![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারনেই অসাধারণত্ব
হুমায়ুন আহমেদের একটা বই পড়েছিলাম । মিসির আলির বই। এই বই নিয়ে আর একটা গল্প আছে। পরবর্তীতে বলার ইচ্ছা রইল। যাই হোক এই বিশেষ বইটিতে একটি অদ্ভুত মানসিক আচরনের একটা ব্যাপার ছিল। এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে কিছু কিছু মানুষ অত্যন্ত অনাকাঙ্খিত কোন পরিস্থিতির মুখোমুখি হলে তার মস্তিষ্কের কোন এক অজানা কোষ একটি অদ্ভুত ব্যাপার ঘটায়। একটি ক্লাস এইট/নাইন এ পড়া মেয়েকে নিয়ে ঠিক সেই গবেষণাটি করেন গল্পের চরিত্র, নাম টি ঠিক মনে পরছে না আনিস হতে পারে।
আনিস থাকেন শহর থেকে দূরে ময়মনসিংহর কাছা কাছি । বাইরের মানুষর চোখে যিনি পঙ্গু, ( বাস্তবে নন) । স্ত্রী, অনুগত একজন চাকর এবং দুইটি ভয়াবহ দর্শন কুকুর নিয়ে জনসাধারন থেকে দূরে বিশাল এক পুরাতন হিন্দু বাড়িতে তার বসবাস। ধিরে ধিরে জানা যায় সেই বাড়িতে আছে একটি কালী মন্দির যাকে গৌর কালী বলা হয়।ওই মন্দিরে সেই বাড়ির পুরবতন মালিক তার ৩ কন্যার বলি দিয়েছিলেন । কালী গৌর নন। কিন্তু মূর্তির বর্ণ গৌর। কাহিনি পরবর্তীতে দেখা যায় কালী মূর্তিটি আনিস নিজের হাতে বানিয়েছেন এবং মূর্তির চেহারা হুবহু তার স্ত্রীর মত। সেই মন্দিরে ওই কিশোরীকে নিয়ে আসা হয় মস্তিষ্কের সেই অদ্ভুত খেলার গিনিপিগ হিসেবে। কিশোরীকে বলা হয় আগামী পূর্ণিমায় তাকে কালীর সামনে বলি দেয়া হবে এবং এর পর তাকে বন্দি করে রাখা হয় ওই মন্দিরে সারা রাত।
পরদিন সকালে দেখা যায় গত রাতের আতঙ্কে অস্থির মেয়েটি সকালে খুব স্বাভাবিক। আনিস কে সে বলে গত রাতে সে ভয়াবহ একটি সপ্ন দেখেছে, তাকে কালীর সামনে বলি দেয়া হবে।বিষয়টিকে সে আরও সহজ করে নিয়েছে এভাবে যে আনিসের স্ত্রী আর মন্দিরের মূর্তি একই রকম দেখতে। যে মূর্তির সামনে তাকে বলি দেয়ার কথা ওই মূর্তিকেই তার মস্তিশক পরম নিরভরতার বস্তু হিসেবে গ্রহন করেছে ।প্রাথমিক ভাবে যে মন্দির তার কাছে ভয়াবহ ছিল,আতঙ্কের সর্বোচ্চ পর্যায়ে তার নিজস্ব যুক্তিবোধ পরাজিত হয়ে তাকে সেটাই বিশ্বাস করিয়েছে যা সে বিশ্বাস করতে চায়। তার অর্থ হচ্ছে ওই মেয়েটির মস্তিষ্ক সেই বিচিত্র খেলাটি খেলেছে। যে জিনিসটি কোন একটি মানুষ কোনদিনও চায় না বা তার জন্য আতঙ্কের বা আকস্মিক সেই ঘটনাটি ঘটলে কিছু কিছু মানুষের মস্তিষ্ক তার জন্য এক বিচিত্র ধোঁকার ব্যাবস্থা করে। মস্তিষ্ক তাকে ভ্রান্ত তথ্য দায়।মস্তিশক তাকে বোঝায় যে এমন কিছুই বাস্তবে হয় নি। কোন ক্ষেত্রে তাকে বঝায় এটি স্বপ্ন, কোন ক্ষেত্রে বোঝায় “বোঝার ভুল” হিসেবে।
এই গল্পের মতই ঘটনা পশু জগতেও ঘটে। উট পাখি যখন বালির ঝড় দেখে তখন সে আতঙ্কে অস্থির হয়।এই অস্থিরতার সর্বচ্চ পর্যায়ে তার মাথা সে বালির ভেতর ঢুঁকিয়ে ফেলে যেখানে সমস্ত শরীর বাঁচানর চেষ্টাই ছিল সাভাবিক। সে কেন এই কাজ টি করে? তার মস্তিষ্ক তাকে পরামর্শ দ্যায় চোখ বালির নিচে রাখার। তার মস্তিষ্ক তাকে বুঝায় যা তুমি দেখতে পাচ্ছ না, তা ঘটছেই না।আতঙ্কের চূড়ান্ত পর্যায়ে তার নিজস্ব ইমেউনিটি জেগে ওঠে এবং তার আতঙ্ক কমতে থাকে।
এই পুর বেপারটা গল্পে নয় বাস্তবেও ঘটে , কিছু সঙ্খক মানুশের ক্ষেত্রে নয় অনেক মানুশের ক্ষেত্রেই । আতঙ্কের ধরনের পরিবর্তন আছে। কিন্তু ঘটছে । আমার কেন যেন মনে হয় মস্তিশকের এই খেলার ফলাফল খুব ভাল কিছু বয়ে আনে না। যে মস্তিশক একসাথে ২ টি সত্য গ্রহন করে, এক পর্যায়ে “মিথ্যা সত্যকে”ই আসল সত্যের উপরে স্থান দায় সে মস্তিষ্ক কি কোনদিন আসল সত্য কে গ্রহন করতে পারবে? আসল সত্যকেই যদি একদিন তার গ্রহন করতে হয় তবে কি সে কোন বিপর্যয়ের এর সম্মুখিন হবে না?
একটি কথা কোথাও পড়েছিলাম ঃ “sometimes we hang on, even if we really should let go...
because sometimes the right things doesn’t gives us the best feelings.” অর্থাৎ কখনো কখন আমারা তাই করি বা বিশ্বাস করি যা আমরা করতে বা বিশ্বাস করতে চাই।
কিন্তু কি হবে এর ফলাফল? প্রশ্ন থেকেই যায় ।
বইটি ভাবায়। বাস্তবতাও ভাবায়।
২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩৩
যেখানে ভুতের ভয় বলেছেন: বই এর নাম আমি ই মিসির আলি সম্ভবত। গজ কচ্ছপ আপনাকে ধন্যবাদ । নিশীথিনী এবং দেবী বই ২ টি পড়ার ইচ্ছা আছে।
৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪১
আন্ডারটেকার বলেছেন: দেবী আর নিশীথিনী এই বই দুইটা সিকুয়েল। এইটা দেবীর অংশ।
৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৩৮
যেখানে ভুতের ভয় বলেছেন: হুম। শুনেছিলাম। দেবি,নিশিথিনি, আমিই মিসির আলী অনেকটা একই ধাঁচের শুনেছি।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২০
গজ-কচ্ছপ বলেছেন: নীশিথীনি মনে হয় বইয়ের নাম।