![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারনেই অসাধারণত্ব
গতকাল ২১ ফেব্রুয়ারির এক অনুষ্ঠানে গিয়ে একটু বিপত্তির সম্মুখীন হতে হল। বাফা ( বুলবুল ললিতকলা একাডেমি)র একটি শাখার শিশু শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীরা নাচতে এসেছে। সোহিনীর পূর্ব দিগন্তে গান টি দিয়ে নাচ শুরু হয়েছে। হটাত আমার সোনার বাংলা বেজে উঠল। নাচের পরবর্তী অংশ এই গানে নাচা হবে। দর্শক সারিতে একটু কনফিউশন দেখা গেল। দাঁড়াতে হবে কি না। শেষ পর্যন্ত অবশ্য দাঁড়ালেন সবাই। নাচ শেষ হল যে লাইনটি থেকে বাংলাদেশে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয় ঠিক ওই লাইন এ।
সোহিনী আলম তার এই গানটিকে জাতীয় সঙ্গীত বলেননি কখনই। তার গান টি যেখান থেকে গাওয়া সেখান থেকে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয় না। আমার জানা মতে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে এই গানের প্রথম ১০ টি লাইন নেয়া হয়েছে।
জাতীয় সঙ্গীত কে অন্যভাবে গাওয়া হয়েছে বা বিদেশীদের দিয়ে বাজানো হয়েছে এই পুরো বিষয়টিতে আমার আপত্তি নেই। রবিন্দ্র সঙ্গীতকে একটি টাইপে ফেলে গাইতে হবে এটিও আমি বিশ্বাস করি না। কিন্তু আমার মা এই গান্ খুব পছন্দ করেছেন। এত দরদ দিয়ে গাইতে নাকি তিনি কখনও শুনেন নি। গান শুনবার সময় নাকি চোখের সামনে ভেসে ওঠে অঘ্রাণ, আমের বোল। বেশিরভাগ মানুষই গান্ টি পছন্দ করেছেন। কোন অজানা কারনে আমার ভাল লাগে নি।কিন্তু তার উদ্যোগটিকে আমি সমর্থন করি।
যেহেতু সোহিনী নিজেই এটিকে জাতিয় সঙ্গীত বলছেন না এবং জাতীয় সঙ্গীত এর রেকুয়ারমেন্ট ও গানটি পুরন করতে পারছে না সেহেতু এটি অবশ্যই জাতিয় সঙ্গীতের মর্যাদা পাবার দাবি রাখে না। এটি নিতান্তই রবীন্দ্র সঙ্গীত। কিন্তু এখন প্রশ্ন হল, এই গানটি যখন বাজান হবে তখন কি দাঁড়াতে হবে? যেখান থেকেই গাওয়া হোক গানটি তো আসলে আমার সোনার বাংলাই।
©somewhere in net ltd.