![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারনেই অসাধারণত্ব
মন্দির পুড়ছে। যারাই পোড়াক ( আওামি লিগঃ দোষ অন্যের ঘাড়ে দেয়ার জন্য বা জামাত শিবিরঃ দেশ কে অন্য ধর্ম মুক্ত করার জন্য ) ক্ষতিগ্রস্থ তো হচ্ছে সংখ্যালঘুরাই । যে এলাকায় থাকি এই এলাকা কে যদি একটা দেশ বিবেচনা করা হয় তবে আমিই এখানে ধর্মের দিক থেকে সংখ্যালঘু। যে বাড়িতে থাকি সেখানে ৯৮% মানুষ হিন্দু। আজকে যদি আমি এই মন্দির পোড়ান দেখেও ঃ "আমাকে ত কিছু করছে না। আমার কি" বলে চুপ থাকি তবে কালকে দাঙ্গা লাগলে যদি এলাকার সংখ্যালঘু হিসেবে আমার ঘরে আগুন লাগে তার প্রতিবাদ করার যোগ্যতা কি আমার থাকবে?
ভারত হোক কি বাংলাদেশ - কেন এই দুই দেশের মানুষরা এখনও সঙ্খালঘুদের নিজেদের দেশের মানুষ ভাবতে পারলাম না।কেন কিছু হলেই ভারতের মসজিদ আর বাংলাদেশের মন্দিরগুলি চুরমার হবে। "হিন্দু" ধর্ম হোক কিংবা "ইসলাম" কোন ধর্ম ত আমাদেরকে “তারা আমাদের অনুসারি নয়” শুধু সেই অপরাধে তাদের ধর্ম স্থানকে অপবিত্র করার শিক্ষা দেয় নি।
খুব অদ্ভুত হলেও সত্য, এই দেশের সংখ্যাগুরু হয়েও বাস্তবতার বিচিত্র খেয়ালে সংখ্যালঘুদের আতঙ্কের মাত্রাটা আমি উপলব্ধি করছি। আসলেও নিজে কোন জায়গায় দাঁড়ানোর পরই মানুষ বোঝে তার আগে সেখানে যে দাঁড়িয়েছিলো তার অনুভুতি কেমন ছিল। আজ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হলে আমাকে হত্যা করতে হয়ত তারাই আসবে যারা কোন এক সময় আমার শিক্ষক ছিলেন, কিংবা ছোটবেলার খেলার সাথি, কিংবা যে লোকটা রোজ দুধ দিয়ে যায়। বিশ্বাস হতে চায় না। কিন্তু অসম্ভব কি?
©somewhere in net ltd.