নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যেখানে ভুতের ভয়

সিমপ্লেসট ইন টেস্ট বাট স্যাটিসফাইড অনলি উইথ দা বেস্ট

যেখানে ভুতের ভয়

সাধারনেই অসাধারণত্ব

যেখানে ভুতের ভয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুটি অভিজ্ঞতা ও রাষ্ট্রপতি

২১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৯

তখন বয়স কম। ছোট মানুষ। স্কুলের এক অনুষ্ঠানে এক নেতা এসেছেন। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। মায়ের সাথে গেছি। বাড়ি ফেরার পথে হঠাত আমার সুচিন্তিত ঘোষণা “ মা, আমি রাজনীতিবিদ হব , মন্ত্রী হতে চাই। ফলাফল অগ্নি দৃষ্টি এবং ভীষণ রাম ধমক “ “চড় খাবা”। এই প্রথম মোটামুটি অকারনে এমন রোষ এর হেতু কি - কে জানত। তবে রাজনীতি ব্যাপারটা ভাল না এই বিষয়টি তখনি ওই অগ্নি দৃষ্টিই বুঝিয়ে দিয়েছিল। আমার মায়ের তখনকার সাহসি সন্তানের সাহসের সেই ইতি। এখন সে মোটামুটি ভিতু প্রকৃতির মানুষ।



পরের ঘটনা ২০১২ সালের। সেই ভিতু সন্তান তার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নির্বাচিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সাথে 3G প্রযুক্তির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য। পুরো ব্যাপারটাই আনন্দের। সেই অনুষ্ঠানে ৩ জি’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পরে বঙ্গভবন থেকে প্রথম কথা বলা হবে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রাহমানের সাথে।বঙ্গভবনে আমার বাবা মা বহুবার গেছেন নিমন্ত্রিত হয়ে। অনেক গল্প শুনেছি তাই দেখার ইচ্ছা অগাধ। দেখ যাক ৩জির কল্যাণে বঙ্গভবনের ভেতরকার ব্যাপার স্যাপার দেখা যায় কিনা।



ফোন দেয়া হয়েছে। আমরা অতিব আগ্রহান্বিত কি হয় দেখার জন্য। এই ভদ্রলোককে আমাদের বাসার ছোটরা বেশ পছন্দ করে। তার কাজ কর্ম পুতুলের মত।তিনি চলেন পুতুলের মত, আচার আচরন পুতুলের মত। তো সেই পুতুল সদৃশ মানুষ কথা কিভাবে বলেন দেখার জন্যই আমার আগ্রহ তুমুল। তিনি ফোন ধরলেন। ৩ জির কল্যানে তাকে লাইভ দেখা যাচ্ছে।প্রধানমন্ত্রী কুশল জিগ্যাসা করলেন। রাষ্ট্রপতি বললেন “দেশবাসীকে অভিনন্দন”।

আবার কুশল জিজ্ঞাসা । আবার অভিনন্দন। এবং এইবার আর ৩য় বার কুশল জিজ্ঞাসার সুযোগ না দিয়ে তিনি তার বক্তব্য শুরু করলেন। বক্তব্য সম্ভবত তৈরি ছিল। বক্তব্য শেষ করার পর প্রধানমন্ত্রী পুনরায় তার কুশল জিগ্যাসা করলেন। এবারও সম্ভবত তিনি বুঝলেন না। প্রধানমন্ত্রীও বুঝে গেলেন ব্যাপারটা ঠিক হচ্ছে না। অনুষ্ঠান লাইভ যাচ্ছে। ৩জি সম্পর্কে ভুল ধারনার তৈরি হবে যে - ৩ জি তে কথা শোনা যায় না। বলা যে যায় তা অবশ্য প্রমানিত। প্রথম দিনের জন্য তাই যথেষ্ট। লাইন কেটে গেল বঙ্গভবনের। আমার অত্যন্ত মায়া লাগলো ।এই ৮৩ বছর বয়সেও এত ধকল সহ্য করছেন রাষ্ট্রপতি।পারিবারিক জীবনে এত বড় দুর্ঘটনার পরেও সত্তিই প্রশংসনীয় মানসিক শক্তি ।



গতকাল এই অমিত জীবনী শক্তির অধিকারী জিল্লুর রাহমান চিরকালের জন্য বিশ্রামে গেলেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি ছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি।



নেতা মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেন। নেতা আরও অনেককে সাহস জোগান তার মত হবার। জিল্লুর রাহমান ভাল নেতা ছিলেন সকল রাজনৈতিক দল তা এক বাক্যে স্বীকার করেছে। নেতা যেন হন এমন যাকে সকল দল নির্দ্বিধায় শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে পারে, এমন নয় যার মত হতে চাইলে চড় খাওয়ার হুমকি পেতে হয় ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১২

ম্যানিলা নিশি বলেছেন:

ভাল লাগল আপনার অভিজ্ঞতার কথা জেনে,আরও এগিয়ে যান।

২| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৭

যেখানে ভুতের ভয় বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ নিশি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.