![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রথমেই হাত মুখ ভাল করে ধৌত করুন, দামী ব্র্যান্ডের শার্ট-প্যান্ট পড়ুন।আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ান, মুখে ভালো করে বিদেশি ক্রিম মাখেন, চুলে জেল লাগান তারপর তেরাবেরা করে একটা অদ্ভুত স্টাইলে শেপ দেন যাতে দেখতে কিম্ভূতকিমাকার লাগে। হাতে একটা চকচকা ব্রেসলেট পড়েন, পারলে কানে-ভ্রুতে দুল লাগান। এরপর পেট মোটা খাসীর মত হেলেদুলে, অথবা বান্দরের মত লাফাতে লাফাতে রাস্তায় হাঁটতে থাকেন। হাঁটতে হাঁটতে বন্ধুবান্ধবের আড্ডায় গিয়ে হাজির হন। তাদের সাথে বাংলিশ উচ্চারণে খটমট করে এমনভাবে কথা বলেন যেন মনে হয় আপনি সবসময় ইংরেজীতেই কথা বলে থাকেন, বাধ্য হয়ে এখন বাংলা বলছেন(যদিও আপনাকে একটা ইংলিশ বই পড়তে দিলে দুই লাইন পড়তে আপনার চৌদ্দ বার কাশি দেওয়া লাগে)।
ব্যাস হয়ে গেলেন আপনি স্মার্ট!
উপর্যুক্ত পদ্ধতি ফলো করার পর আপনি যদি নিজেকে স্মার্ট ভাবতে থাকেন তাহলে পরের লেখাটুকু দয়া করে পড়বেন না।
যুগ পাল্টেছে, বাহ্যিক গেটআপ চেঞ্জ করে যুগোপযোগী হতে লাগে দুই দিন।
কিন্তু চিরস্থায়ী স্মার্টনেসের জন্য নিয়মিত কিছু কাজ করা দরকার। আপনার শার্ট-প্যান্ট নিয়ে ভাববেন না। কেবল খেয়াল রাখুন এগুলো পরিস্কার কিনা, ইস্ত্রি করা কিনা, ব্যাস। চুল নিয়ে কখনোই বেশি দুশ্চিন্তা করবেন না যেমন আছে থাকতে দিন।
মাথাটাকে সবসময় ঠান্ডা রাখুন, ফ্রেশ রাখুন। মেমরিটা অনেক বড় জিনিস যা দেখবেন তা থেকে কেবল দরকারি জিনিসগুলোকে মনোযোগ দিয়ে দেখুন,আজেবাজে জিনিস দেখে মাথাটা নস্ট করবেন না। কথাটা হলো যা দেখবেন সূক্ষ্ম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে দেখেন।
দিনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারগুলোকে সুন্দর করে লিখে রাখেন।স্টুডেন্ট, চাকরিজীবী, বেকার আপনি যেই হন, আপনার কাজের একটা লিস্ট তৈরি করেন।
প্রচুর পড়াশোনা করেন, দেখেন, শোনেন। দরকারি বিষয়গুলো পড়ার সাথে সাথেই একটু করে লিখে রাখেন। বেশি বকবক করবেন না, বেশি করে লোকজনের কথাবার্তা শোনেন। এর মধ্যে থেকে ভালো জিনিসগুলো নেয়ার চেস্টা করেন। ছোট-বড় যা কিছু শিখলেন অবশ্যই অবশ্যই, অবশ্যই লিখে রাখবেন।
অল্প কিছু শিখেই নিজেকে বড় হিসেবে জাহির করার চেস্টা করবেন না, ভাব ধরবেন না, সিম্পল থাকতে পারাটাই আসল স্মারটনেস।
বুদ্ধির খেলা খেলেন, পাজল গেম হতে পারে, দাবা, শব্দজট অথবা আপনার পছন্দসই কিছু একটা।
আবারো বলছি প্রচুর পরাশোনা করেন, যেকোনো ভালো কিছু পড়েন। নতুন নতুন বিষয় জানার চেস্টা করেন, এবং এগুলোকে বন্ধুবান্ধবের কাছে ব্যাখ্যা করেন, ব্যাখ্যা না করলে আপনি জানতে পারবেন না আসলেই বিষয়টা আপনি বুঝতে পেরেছেন নাকি পারেন নাই।
কিন্তু একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে ব্যাখ্যা করার সময় যাতে নিজের জ্ঞানী জ্ঞানী ভাবটা ফুটে না ওঠে গল্পের ছলে বলেন-এই জিনিসটা পড়লাম। প্রতিদিন জ্ঞান দিতে গিয়ে আঁতেলে পরিনত হবেন না, ১০-১৫ দিনে একদিন কোনো একটা বিষয় তুলে ধরবেন। এই সময়টায় ঐ বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনা চালিয়ে যাবেন।
স্মার্ট হওয়ার খুবই গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হচ্ছে ভালো বন্ধু নির্বাচন। হাজার হাজার বন্ধু থাকার চেয়ে পাঁচ জন বিবেকবান, বুদ্ধিমান, শিক্ষিত বন্ধু থাকা লক্ষগুণ ভালো, এদেরকে আপনার একদিনেই জোগার করতে হবে তা না, জীবনে চলারপথে এরকম পাঁচজন মানুষ আপনি চিন্তাভাবনা করে বেঁছে নেন। ভালো-খারাপ সবার সাথেই মেশেন কথা বলেন, কিন্তু কখনোই বাজে লোককে বন্ধু বানাবেন না, কখনোই না।
যথেস্ট পরিমাণে ঘুমান। প্রতিদিন ভালো ঘুম হওয়াটা জরুরি।
সময়টাকে ঠিকমতো কাজে লাগান। টাইম ম্যানেজমেন্টে পারদর্শী হন।
যে কোনো একটা নতুন ভাষা রপ্ত করুন, হিন্দি উর্দু আরবি যাই হোক সে ভাষার ১০-২০ লাইন প্রতিদিন পড়েন, গুগল ট্রান্সলেটরের সাহায্যে ব্যাপারটা এখন অনেক ইজি।
নিজের জন্য একটা নির্দিস্ট টাইম আলাদা করে রাখেন শুধুমাত্র একা থাকার জন্য।
বাসার কাজের লোক হোক অথবা অফিসের বস কখনোই কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করবেন না।
এই সবগুলো অভ্যাস একদিনে রপ্ত করে ফেলার চেষ্টা করবেন না, ধীরে ধীরে সময় নিয়ে একটা একটা করে আয়ত্ত করেন, সময় নেন। এই সবগুলো কাজ আপনি জানেন, জাস্ট একটু মনে করিয়ে দেওয়া! এই আরকি! আপনি স্মার্ট
©somewhere in net ltd.