![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মতিউর রহমান সোহরাব, প্রথম আলোর একজন সিনিয়র সাংবাদিক। সুদীর্ঘ ১৬ বছরের সাংবাদিকতা জীবনে ধর্ষণ নিয়ে অনেক আলোচিত প্রতিবেদন তৈরি করেছেন।
নারী ধর্ষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার এই সাংবাদিক, নিজ কর্মস্থলে এবং পাড়া-প্রতিবেশীর কাছে ব্যাপক সম্মানিত একজন ব্যক্তি।
মতিউর রহমান সোহরাবের পাশের বাড়িতে থাকে ১৬ বছরের সুন্দরী কিশোরী সাদিয়া। সাদিয়ার ইচ্ছা পড়ালেখা শেষ করে সোহরাবের মত একজন সাংবাদিক হওয়া। সোহরাবের কাছেই তিনি সাংবাদিকতার পাঠ নিতে যেতেন, সাদিয়া বাবার মত দেখতেন মতিউর রহমান সোহরাবকে। কিন্তু সাংবাদিকতার ভদ্রতার মুখোশের আড়ালে সোহরাবের ভিতর লুকিয়ে থাকা নরপিশাচের কথা জানা ছিল না সাদিয়ার।
একদিন সাদিয়া মতিউর রহমান সোহরাবের বাড়িতে পড়তে যেয়ে দেখেন সোহরাব ছাড়া সেখানে আর কেউ নেই। তারপরের ঘটনাটা কম বেশি সবার জানা। উন্মোচিত হল সোহরাবের মুখোশ, সাদিয়ার জীবনকে ক্ষত-বিক্ষত করে দেয় সোহরাব নামক নরপশুর হিংস্র থাবা। সমাজে সোহরাবের প্রতিপত্তি আর প্রথম আলো সাংবাদিক হওয়ার কারনে, মেয়ের সম্ভ্রমের কথা ভেবে এই ঘটনার কথা চেপে যান সাদিয়ার অভিভাবকেরা।
কিন্তু এ ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে যা হয়, ঘটনা চাপা থাকল না, সাদিয়ার পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ করা না হলেও প্রথম আলো থেকে বহিস্কার করা হলো মতিউর রহমান সোহরাবকে।
উপর্যুক্ত ঘটনাটি প্রথম আলোর কোনো একজন সিনিয়র সাংবাদিকের অপকর্মের বিবরণ, যা ছদ্মনামে লেখা, ঘটনার সত্যতার পক্ষে কোনো দালিলিক প্রমাণ আমরা দিতে পারবো না, আমাদের ভার্সিটির এক শীক্ষার্থীর দেয়া বিবরণ হুবহু তুলে দিলাম।
ঘটনার সত্যতার বিচার করার দায়িত্ব আমাদের না, আমরা কেবল বলতে চাই আমাদের ভার্সিটি সম্পর্কে কোনো তথ্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হলে, আমরা তা মেনে নেব না।
গত ২০ নভেম্বর শাহাজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের ঘটনার মূল হোতা উত্তম। যার নির্দেশে তার বহিরাগত অনুসারীরা এই সশস্ত্র হামলা পরিচালনা করে। সেই সংঘর্ষের ঘটনার খবর প্রথম আলো অনলাইনে ছাপা হওয়ার পর, আমরা দেখতে পেলাম উত্তমকে প্রথম আলো ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে উল্লেখ করেছে।
নিউজটা দেখার পর সাথে সাথেই আমরা প্রথম আলোতে ফোন করে জানালাম যে উত্তমকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেক আগেই বহিস্কার করা হয়েছিলো, ছাত্রলীগ থেকেও সে বহিষ্কৃত, সে ছাত্রলীগের কেউ না। আপনারা তাকে ছাত্রলীগ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, দয়া করে ভুলটি সংশোধন করে নেন। তারা বলল আমরা দেখছি।
এক ঘণ্টার মধ্যেও যখন তথ্যটি সংশোধনকরা হল না, আবার ফোন করা হলো। তারপরও তথ্যটি সংশোধন করা না হল না। এরপর আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা রাত পর্যন্ত বেশ কয়েকবার ফোন দেওয়ার পরও তথ্য সংশোধন না করে বরঞ্চ আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করে বলা হয় আপনারা কিছুই জানেন না সে ছাত্রলীগেরই সদস্য। এর পর আমাদের আর বলার কিছুই রইল না।
পরের দিন দেখলাম ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ সংবাদ সম্মেলন করে বললেন যে, সংঘর্ষে যারা লিপ্ত ছিলো তারা বহিরাগত এবং ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত। ঘটনার মূল হোতা উত্তমকে অনেক আগেই অপকর্মের দায়ে ছাত্রলীগ থেকে এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
জনাব বদিউজ্জামান সোহাগের বক্তব্যে স্পস্ট হল উত্তম ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত। আমরাও নিশ্চিত হলাম যে প্রথম আলো থেকে আমাদের যে তথ্য দেয়া হয়েছে তা ভুল। আমরা ভাবলাম প্রথম আলোর পক্ষ থেকে, তথ্যবিভ্রাটের জন্য হয়তোবা শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং ছাত্রলীগের কাছে ক্ষমা চাওয়া হবে।প্রথম আলো তা তো করলই না বরঞ্চ তাদের সিনিয়র সাংবাদিকেরা টক শোতে বলে বেড়াতে লাগলেন উত্তম ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কার হয়েছে তো কি হয়েছে, বহিস্কার হওয়ার আগে তো সে ছাত্রলীগেই ছিলো। তার দায় ছাত্রলীগেরই নিতে হবে। একই কথা পরের দিনের পত্রিকায় তারা সম্পাদকীয়তেও লেখল।
এখন আমাদের কথা হচ্ছে ধর্ষক মতিউর রহমান সোহরাবকে প্রথম আলো কি সাংবাদিক বলবে? না ধর্ষক বলবে?
আমরা তো তাকে ধর্ষকই বলব, প্রথম আলোর সাংবাদিক বলব না, কারন অপকর্মের দায়ে তাকে প্রথম আলো বহিস্কার করেছে। আমরা আমাদের সাধারণ জ্ঞান থেকে বুঝতে পারি তাকে প্রথম আলোর সাংবাদিক না বলে ধর্ষকই বলা উচিত।
একইভাবে বহিষ্কৃত উত্তমকে আমরা সন্ত্রাসীই বলব ছাত্রলীগার না।
আমরা আশা করব প্রথম আলোও এ বিষয়ে সাধারণ জ্ঞান অর্জন করে তারপর ভবিষ্যতে নিউজ লিখবে। এই সাধারণ জ্ঞ্যান অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত প্রথম আলো বন্ধ থাকুক। এটাই আমাদের দাবি।
মানুষ মাত্রই ভুল করে, তার অপরাধের জন্য সে তার সংঘঠন থেকে বহিস্কার হতেই পারে, আবার ভুল শুধরে নিয়ে, অপরাধের শাস্তি ভোগ করে আবার সেই সংঘঠনে ফিরতেই পারে। সোজা কথা অপরাধ করলে শাস্তি ভোগ করতেই হবে।
আমরাও চাই প্রথম আলো যে অপরাধ করেছে তার শাস্তি ভোগ করে আবার তারা নিজস্ব কার্যক্রম চালাক।
আমাদের সাধারণ জনগণের এ ধরনের মতামতের মূল্য হয়তোবা অনেকের কাছে আছে, অনেকের কাছেই আবার নেই।
তাতে ক্ষতি নেই, যত যাই হোক আমরা সারাজীবনই এই সততার মূল্যবোধ পোষণ করে বেঁচে থাকব। আশায় থাকব প্রথম আলোর মত এ ধরনের সাংবাদিকতা বিশ্বের সবখানেই যাতে নির্মূল হয়ে, সুন্দর একটা সমাজ তৈরি হয়।
একটা সংবাদপত্র ভুলবশত অসত্য খবর ছাপতেই পারে। কিন্তু বার বার ভুল সংশোধন করতে বলা হলেও, তা না করে যখন সবাদপত্রটি যা করেছি ঠিক করেছি ধরনের উদ্ধত ব্যবহার করে তখন আর মেনে নেওয়া যায় না।
প্রথম আলো বন্ধ করে দেওয়া হোক।
২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:০২
নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: যার মধ্যে আল্লাহ, পরকাল ও মান-ইজ্জতের ভয় নেই - এরকম যে কেউই ধর্ষক হতে পারে। প্রথম আলোর নীতিমালার মধ্যে এরকম কিছু নেই যে ধর্ষণ করা যাবেনা। তাই প্রথম আলোর সাংবাদিক ধর্ষণ করলে আকাশ থেকে পড়ার কিছু নেই।
৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৫
ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: বহিষ্কৃত উত্তমকে আমরা সন্ত্রাসীই বলব ছাত্রলীগার না... মাগার সব ছাত্রলিগারইতো সন্ত্রাসী
প্রথম আলো বন্ধ করে দেওয়া হোক
সন্ত্রাসী ছাত্রলিগা নিষিদ্ধ করে দেওয়া হোক
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভাল লিখেছেন।
এই বাস্টার্ডকে প্রথম আলোর সাংবাদিক না বলে ধর্ষকই বলা উচিত।