নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।

শরীফ আল আরমান

আমি একজন ফ্রিল্যানসার,এবং লিখতে ভালোবাসি।

শরীফ আল আরমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেভেলিন সিরিজের দেড় টন ইনভার্টার এসিঃ দামেও সেরা সাশ্রয়েও সেরা!

০৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৫



অসম্ভব এই গরমের মৌসুমে নিজের ঘরে এসি লাগানোর কথা ভাবছেন? তবে সকল চিন্তা চলে আসে সাশ্রয়ী দামে মানসম্মত একটি এসি কেনার কাজ আসলে। এসি কিনতে গিয়ে অনেকেরই বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। কি এসি, কত ক্যাপাসিটির এসি এরকম আনুসাঙ্গিক অনেক প্রশ্ন আসে। অনেক মানুষ আবার কেবল ব্র্যান্ডমুগ্ধতা থেকে এসি কিনে বসেন। অনেক বিষয় বিবেচনা না করে এসি কেনার ফলে দিনশেষে ঠকতে হয়, পরে এতো দামি একটি বিনিয়োগকে ফিরিয়েও নেয়া যায় না।

ওয়ালটন বাজারে নিয়ে এসেছে দেড় টন ক্যাপাসিটির বেভেলিন সিরিজের একদম নতুন একটি এসি WSI-BEVELYN-18C। দারুন ডিজাইন এবং সুবিধার এই এসিটি বাজারে পাওয়া যাবে মাত্র ৬৩ হাজার টাকায়। এসিটিতে যেমন উন্নত ইনভার্টার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, তেমনি এসিটি যথেষ্ট পরিবেশ বান্ধব, কেননা এতে ব্যবহার করা হয়েছে আর-৩২ রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস। আমরা আজকে দারুন এইটির কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব,

এসিটির কম্প্রেসর প্রযুক্তি
এসিটিতে ব্যবহৃত রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস
তাছাড়া এর আনুসাঙ্গিক আরো সুবিধাদি
এসিটির কম্প্রেসর প্রযুক্তি
এসিটিতে পাওয়া যাবে রোটারি ইনভার্টার প্রযুক্তির কম্প্রেসর। ইনভার্টার প্রযুক্তির এসি সাধারন ইনভার্টার এসির থেকেও অনেক বেশি কার্যকর। নন-ইনভার্টার এসি ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে অন-অফ হওয়ার মাধ্যমে। এখানে এসি পূর্ণ শক্তিতে চালু হওয়ার পর ঘরের তাপমাত্রা আরামদায়ক অবস্থায় এলে এসির কমপ্রেসর বন্ধ হয়ে যায়। আবার ঘরের তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে গেলে, তখন চালু হয়। এভাবে বারবার এসি চালু ও বন্ধ হওয়ার কারণে, এসি বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করে, যার ফলে বিদ্যুৎ খরচ বেড়ে যায়।

অন্যদিকে ইনভার্টার প্রযুক্তির এসি প্রথমে পূর্ণ শক্তিতে চালু হয়। পরে রুমের পরিবেশের আরামদায়ক তাপমাত্রা ঠিক রেখে এসিটি শক্তি খরচ কমিয়ে নিয়ে আসে। এভাবে কম শক্তিতে চলার কারণে কম বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয় এবং বিদ্যুৎ খরচ কমে আসে।

একটি এসির কার্যক্ষমতা কতটা ভালো এবং সেটি বাতাসে ঠিক কি পরিমাণে তাপ ছড়াচ্ছে তা নিরূপণের অনেকগুলো বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ একটি হচ্ছে এসির COP তথা কো-ইফিসিয়েন্ট অফ পাওয়ার। COP রেটিং যত বেশি হবে সেই এসির পারফর্মেন্স তত বেশি ধরা হবে, COP রেটিং পয়েন্ট মূলত ১.৫ থেকে ৪ এর ভেতর হয়। মূলত COP রেটিং ৩ এর ওপর হলে সেই এসিকে সাশ্রয়ী এবং কার্যক্ষমতার দিক দিয়ে তুলনামূলক ভালো ধরা হয়। আর এই এসির COP রেটিং পয়েন্ট ৩.৭। সবমিলিয়ে দীর্ঘস্থায়ী কমপ্রেসর লাইফ, সর্বনিম্ন বিদ্যুৎ খরচ, উন্নত মোটর নিয়ে এসিটি ৬০ শতাংশ বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী।

এসিটিতে ব্যবহৃত রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস
এসি কতটা সাশ্রয়ী, সেটিও অনেকটা নির্ভর করে এসিটিতে কোন রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস ব্যবহার করা হয়েছে তার উপর। এসিটিতে ব্যবহার করা হয়েছে আর-৩২ নামক রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস। আবাসিক এবং বাণিজ্যিক এয়ার কন্ডিশনারে ব্যবহারের জন্য আর৪১০এ হল একটি মানসম্মত রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস, আর ৩২ তার থেকেও পরিবেশসম্মত রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস। আগে আর২২ ব্যবহার করা হত যা ছিল অজোন স্তর জন্য খুবই মারাত্তক।

যেহেতু গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর মত বৈশ্বিক সমস্যার জন্য অন্যতম দায়ী এসির মত ইলেকট্রনিক্স এপ্লায়েন্স, তাই এসিতে সঠিক এবং পরিবেশবান্ধব রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস ব্যবহার করা হয়েছে কিনা তাও বিবেচনার রাখা গুরুত্বপূর্ণ। রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস এর আরেকটি নিয়ামক মাত্রা হল GWP, তথা গ্লোবাল ওয়ার্মিং পটেনশিয়াল মান। GWP মান যত কম হবে এসিটি বাতাসে তত কম তাপ উৎপন্ন তথা কার্বন ছাড়বে।R-410A রেফ্রিজারেন্ট এর GWP মান ২০৯০। এবং R-32 রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস, এটির GWP মান ৬৭৫।

তাছাড়া এর আনুসাঙ্গিক আরো সুবিধাদি
‘বেভেলিন’ এসিতে আপনি পাবেন ১৬ থেকে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত টেম্পারেচার মোড । বাজারের বহু এসিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পাওয়া যায় ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, তবে এতে সর্বনিম্ন ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পাবেন। ‘বেভেলিন’ এসিটি মাল্টি ডাইরেকশনে বাতাস প্রবাহ করতে সক্ষম। বহু এসি শুধু সিঙ্গেল ডাইরেকশনে বাতাস প্রবাহ করে, যার ফলে যারা কেবল এসির সামনে অবস্থান করে তারাই বাতাস পায়, ঘরের কোনায় কিংবা অন্য কোন স্থানে থাকা ব্যাক্তি বাতাস পায় না। তবে ‘বেভেলিন’ এসির মাল্টি ডাইরেকশনে বাতাস প্রবাহ করার সক্ষমতার ফলে সব দিকেই সমানভাবে শীতল বাতাস প্রবাহিত হবে।

পরিশেষে
ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তি, ৪ স্তরে নানা দিক থেকে অনেক বেশি কার্যক্ষম বলে এসিটি এমনিতেও ৬০ শতাংশ বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। আর তাছাড়াও এসিটির কমপ্রেসর বিশেষ করে আমাদের দেশের উপর ভিত্তি করে তৈরি বলে আমাদের দেশের সাপেক্ষে তা অনেক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হবে অন্যান্য বাইরের এসির তুলনায়।

এসিটি দেখতে অবশ্যই আপনার আসেপাশের নিকটস্থ ওয়ালটন ডিলার শো-রুম অথবা ওয়ালটন প্লাজায় চলে যেতে পারেন। অথবা কিনতে এবং দেখে আসতে পারেন ওয়ালটন ইপ্লাজা থেকে। এসিতে থাকছে ৬ মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি। এসির কম্প্রেসরে আপনি পাবেন সর্বোচ্চ ১০ বছরের ওয়ারেন্টি। আরো পাবেন ৩ বছর পর্যন্ত ফ্রি বিক্রয়োত্তর সুবিধা। বর্তমানে সারা দেশে আইএসও সনদপ্রাপ্ত ওয়ালটন সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কর্তৃক পরিচালিত ৭২টি সার্ভিস সেন্টার রয়েছে। যেখানে যেকোনো সমস্যায় খুব সহজেই সেবা পেয়ে যাবেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.