নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হুগলীর হুনুমান

বুবলা

বুবলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আত্মবিশ্বাস

১৭ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:০৪

তানবীর (জিরো গ্রাভিটি) এর সৌজন্যে



জীবনে আমরা সবচেয়ে বেশি ভয় পাই অন্যের মুখোমুখি হতে। অন্যের চিন্তা করে নিজের অনেক চিন্তা ও ভালোলাগাকে বিসর্জন দেই। আবার কখনো চরম খারাপ লাগাকে মেনে নিই। জীবনে আমরা থমকে যাই যখন চিন্তা করিভালো কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হতে পেরে কিংবা চাকরি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ি মুখ দেখাব কি করে! বাইরের সবাই আঙুল তুলে দেখাবে। অন্যের মন্তব্য নিয়ে যে কোনো বয়সের মানুষকেই কঠিন পীড়ায় ভুগতে দেখা যায়।

‘অন্যেরা আমার সম্পর্কে কি ভাবছে’-এই ভয়কে আমাদের মোকাবিলা করতে হবে।

ধরা যাক,

এক ভদ্রলোক ২৫ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন এবং সরকারি উচ্চপদে চাকরিরত ছিলেন। কিন্তু এক বছরের মধ্যেই তার সবকিছু উলট-পালট হয়ে গেল যখন তিনি কিছু ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে বসেন। এরপর তিনি ব্যবসার চেষ্টা করেন, তাতে সফল হতে না পেরে আবারও বিভিন্ন বেসরকারি চাকরিতে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সফল হতে পারেননি। ফলশ্রুতিতে তিনি পরিবারের সকলের হাসি-ঠাট্টার পাত্রে পরিণত হন। তাকে নিয়ে কথা উঠলে তা চলতেই থাকত। যেন শেষ হতেই চাইত না। ভদ্রলোকের স্ত্রীর অবস্থা তখন আরো করুণ। পারিবারিক কোনো আলোচনায় অংশগ্রহণ দূরে থাক, তারা সব সময় পালিয়ে আত্মরক্ষা করতেন। কিছু কিছু আত্মীয় সব সময় জিজ্ঞাসা করত এখন তাহলে তুমি কি করছ? এভাবে তারা ভদ্রলোকের জীবনকে নরকে পরিণত করলেন। এক পর্যায়ে তিনি তার সব আত্মবিশ্বাসই হারিয়ে ফেললেন। তার মনে হতে লাগল প্রত্যেকটা কাজেই তিনি ভুল করে ফেলছেন। একটা সাধারণ ম্যাচবাক্স কেনার সময়ও অন্যের পরামর্শ কামনা করতেন তিনি।এই ভদ্রলোকের মতো অনেকেই আমরা সমাজের এই বদ্ধ খাঁচার মধ্যে বাস করি।



বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইচ্ছা করেই নিজের চাওয়া-পাওয়া-ভালোলাগাকে বিসর্জন দেই।

বাস্তবে আমরা সব সময় অন্যের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠার চিন্তায় কসরত করে চলছি। এটাই আমাদের অন্যের মতো করে তোলে, সাধারণ করে তোলে আর মিশে যেতে বাধ্য করে জনস্রোতের মধ্যে। অন্যরা কি আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করছে, নাকি আমি অন্যদের থেকে আলাদা কিছু করে ফেললাম এই চিন্তা সর্বদা আমাদের গ্রাস করে। যাদের আত্মবিশ্বাস কম তারাই এভাবে চিন্তা করে। দুর্ভাগ্যবশত যত আমরা সামাজিক নিয়মের বেড়াজালে নিজের সত্তাকে বন্দি করে ফেলি, সমাজও ততটাই কৃপণতা দেখায় আমাদের কিছু দেয়ার ক্ষেত্রে।

নিজের ধ্বংস বা নিঃশেষ না হওয়া পর্যন্ত চক্র থেকে বের হওয়া যায় না।



আরেকটি কাহিনী খেয়াল করুন

২০ বছর বয়সী একটি মেয়ে যার জীবনে নাচ শেখার খুব শখ ছিল। কিন্তু স্বভাবে অন্তর্মুখী হওয়ার লজ্জায় সে নাচের স্কুলে ভর্তি হয়নি। অবশেষে সে নিজেকে বোঝাতে সক্ষম হলো এবং সাহস করে ভর্তি হলো নাচের স্কুলে। প্রথম দিনে সে তালই ঠিকমতো ধরতে পারলো না। অথচ একাকী আয়নার সামনে নাচতে তার কোনো অসুবিধাই হয়নি। সবার সামনে সে নাচতে পারেনি, কারণ তার অবচেতন মনে সে দর্শকদের কথা চিন্তা করছিল। সে কিভাবে নাচবে এই চিন্তা তাকে ভাবিয়ে তোলেনি বরং নাচলে অন্যরা তাকে নিয়ে কি ভাববে সেই চিন্তাই গ্রাস করেছিল।



ওহ্ কি সুন্দর তুমি, তুমি কত ভালো এসব কথা আমরা সর্বদা শুনতে পছন্দ করি। একটু ভালোবাসা, একটু শুভদৃষ্টি একটু প্রশংসা পাওয়ার জন্য আমরা কতই না ব্যাকুল। বাস্তবতা হলো যখন তুমি অন্যের কাছে কিছু চাইবে তুমি স্বস্তিতে থাকতে পারবে না।



এই অস্বস্তি নিজেকে কখন সুন্দর, সকলের প্রিয় বিত্তশালী দেখতে পারব সেই চিন্তার কারণে। এ কারণে অন্যেরা কি পছন্দ করবে সেই অনুযায়ী নিজেকে পরিচালনা করতে থাকি। যখনই অন্যকে খুশি করতে নিজের সত্তাকে হারিয়ে ফেলি তখনই আমাদের স্বাভাবিকতা থাকে না, মন হয়ে ওঠে অশান্ত। দুর্ভাগ্য হচ্ছে আমরা প্রায় সবাই নিজের অজান্তে মনের মধ্যে এরূপ ধারণা নিয়ে জীবন যাপন করি।



অন্যের মতামতকে ভয় করার এই চিরায়ত অভ্যাস প্রতিটি মানুষকেই সিদ্ধান্তহীনতায় ঠেলে দিবে, যা মানুষকে দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপের মধ্যে ঠেলে দেয়। এটা পরবর্তী জীবনে স্বাস্থ্য ও সুখকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিতে পারে। এটা আমাদেরকে বন্দি করে ফেলে একটি বৃত্তের মধ্যে, যে বৃত্তের মধ্যে সমাজ বা অন্যরা আমাদের দেখতে পছন্দ করে। ফলে আমাদের সত্যিকার সামর্থ্য সারাজীবনই রয়ে যায় শৃঙ্খলিত।



তাহলে আমরা কি পাছে লোকে কিছু বলে এই ভয়ে নিজেকে গুটিয়ে নেব? আমাদের নিজেদের সত্তাকে বিলীন করে দেব সমালোচকদের ভয়ে। অবশ্যই না। অন্যের সমালোচনার ভয়ে নিজের ভালোবাসাকে নিশ্চয়ই বিসর্জন দেয়া চলে না।

যদি সমালোচনাকে জীবনে উন্নতির পথে বাধা হিসাবে চিন্তা করি তাহলে উচিত হবে কিভাবে সেই বাধা অতিক্রম করা যায় তার একটা উপায় বের করা।

প্রথমে চিন্তা করতে হবে কি কি কারণে আমরা অন্যের মতামতকে এত গুরুত্ব দিচ্ছি। এই প্রশ্নের একটা উত্তর হলো গুরুত্ব না দিলে তাদের সমালোচনা সহ্য করতে হতে পারে। এ কারণে নিজের মনে এক ধরনের প্রতিরোধের শক্তি দরকার। এই প্রতিরোধ গড়ে না তুললে সারাজীবন এই ভয় থেকে মুক্ত হওয়া যাবে না। যদি নিজের শক্তিকে অনুভব করতে পারেন, সম্মান করতে পারেন কিছুদিনের মধ্যেই আপনি আপনার পরিবর্তনও অনুভব করতে শুরু করবেন।

তাই সাহসের সঙ্গে দুঃসময়কে মোকাবিলা করুন।

অন্যকে অনুকরণ না করে নিজেকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করুন। প্রকৃতিগতভাবে প্রত্যেকেরই রয়েছে অনেক ভালো গুণাবলি। অন্যের মতো হলে হাততালি পাওয়া যাবে দূর করুন এই ভাবনা। নিজের ভিতরের শক্তিকে বিশ্বাসে পরিণত করুন আর নিজের মতো করে কাজ করুন দেখবেন সফলতা আপনার কাছে ধরা দিবেই।

নিজের ভুলগুলোকে গ্রহণ করুন, ধীরে ধীরে সেগুলো থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করুন। থেমে না থেকে পুনরায় আত্মবিশ্বাসের সাথে কাজ শুরু করুন। অন্যে কি চিন্তা করবে সেই ধারণাকে দূরে সরিয়ে দিন। সকল ভয় থেকে নিজেকে মুক্ত করুন, দেখবেন আপনি কত সুখী।

প্রথমেই অন্যের প্রশংসার চিন্তা করবেন না। নিজেই নিজের একটা পরিমাপক ঠিক করে নিন কোথায় দেখতে চান নিজেকে সেই জায়গাটায় পৌঁছালে নিজেকে প্রশংসা করুন। নিজের ভালোলাগার জন্য কাজ করুন। দেখবেন নিজের সন্তুষ্টি আপনাকে কি পরিমাণ আত্মবিশ্বাস এনে দেয়। সেই আত্মবিশ্বাসই আপনাকে একদিন অন্যের প্রশংসা এনে দেবে।

কারো কাছে কিছু প্রত্যাশা করবেন না, দেখবেন আপনি ভারমুক্ত। খোলামনে কাজ করুন, যে কোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে উপস্থাপন করার চেষ্টা করুন। শুরু করুন আত্মবিশ্বাস নিয়ে। অন্যের সমালোচনাকে অগ্রাহ্য করুন। দেখবেন আপনার জীবন হবে সুখী ও সমৃদ্ধ।



জীবনে আমরা সবচেয়ে বেশি ভয় পাই অন্যের মুখোমুখি হতে। অন্যের চিন্তা করে নিজের অনেক চিন্তা ও ভালোলাগাকে বিসর্জন দেই। আবার কখনো চরম খারাপ লাগাকে মেনে নিই। জীবনে আমরা থমকে যাই যখন চিন্তা করিভালো কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হতে পেরে কিংবা চাকরি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ি মুখ দেখাব কি করে! বাইরের সবাই আঙুল তুলে দেখাবে। অন্যের মন্তব্য নিয়ে যে কোনো বয়সের মানুষকেই কঠিন পীড়ায় ভুগতে দেখা যায়।

‘অন্যেরা আমার সম্পর্কে কি ভাবছে’-এই ভয়কে আমাদের মোকাবিলা করতে হবে।

ধরা যাক,

এক ভদ্রলোক ২৫ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন এবং সরকারি উচ্চপদে চাকরিরত ছিলেন। কিন্তু এক বছরের মধ্যেই তার সবকিছু উলট-পালট হয়ে গেল যখন তিনি কিছু ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে বসেন। এরপর তিনি ব্যবসার চেষ্টা করেন, তাতে সফল হতে না পেরে আবারও বিভিন্ন বেসরকারি চাকরিতে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সফল হতে পারেননি। ফলশ্রুতিতে তিনি পরিবারের সকলের হাসি-ঠাট্টার পাত্রে পরিণত হন। তাকে নিয়ে কথা উঠলে তা চলতেই থাকত। যেন শেষ হতেই চাইত না। ভদ্রলোকের স্ত্রীর অবস্থা তখন আরো করুণ। পারিবারিক কোনো আলোচনায় অংশগ্রহণ দূরে থাক, তারা সব সময় পালিয়ে আত্মরক্ষা করতেন। কিছু কিছু আত্মীয় সব সময় জিজ্ঞাসা করত এখন তাহলে তুমি কি করছ? এভাবে তারা ভদ্রলোকের জীবনকে নরকে পরিণত করলেন। এক পর্যায়ে তিনি তার সব আত্মবিশ্বাসই হারিয়ে ফেললেন। তার মনে হতে লাগল প্রত্যেকটা কাজেই তিনি ভুল করে ফেলছেন। একটা সাধারণ ম্যাচবাক্স কেনার সময়ও অন্যের পরামর্শ কামনা করতেন তিনি।এই ভদ্রলোকের মতো অনেকেই আমরা সমাজের এই বদ্ধ খাঁচার মধ্যে বাস করি।



বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইচ্ছা করেই নিজের চাওয়া-পাওয়া-ভালোলাগাকে বিসর্জন দেই।

বাস্তবে আমরা সব সময় অন্যের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠার চিন্তায় কসরত করে চলছি। এটাই আমাদের অন্যের মতো করে তোলে, সাধারণ করে তোলে আর মিশে যেতে বাধ্য করে জনস্রোতের মধ্যে। অন্যরা কি আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করছে, নাকি আমি অন্যদের থেকে আলাদা কিছু করে ফেললাম এই চিন্তা সর্বদা আমাদের গ্রাস করে। যাদের আত্মবিশ্বাস কম তারাই এভাবে চিন্তা করে। দুর্ভাগ্যবশত যত আমরা সামাজিক নিয়মের বেড়াজালে নিজের সত্তাকে বন্দি করে ফেলি, সমাজও ততটাই কৃপণতা দেখায় আমাদের কিছু দেয়ার ক্ষেত্রে।

নিজের ধ্বংস বা নিঃশেষ না হওয়া পর্যন্ত চক্র থেকে বের হওয়া যায় না।



আরেকটি কাহিনী খেয়াল করুন

২০ বছর বয়সী একটি মেয়ে যার জীবনে নাচ শেখার খুব শখ ছিল। কিন্তু স্বভাবে অন্তর্মুখী হওয়ার লজ্জায় সে নাচের স্কুলে ভর্তি হয়নি। অবশেষে সে নিজেকে বোঝাতে সক্ষম হলো এবং সাহস করে ভর্তি হলো নাচের স্কুলে। প্রথম দিনে সে তালই ঠিকমতো ধরতে পারলো না। অথচ একাকী আয়নার সামনে নাচতে তার কোনো অসুবিধাই হয়নি। সবার সামনে সে নাচতে পারেনি, কারণ তার অবচেতন মনে সে দর্শকদের কথা চিন্তা করছিল। সে কিভাবে নাচবে এই চিন্তা তাকে ভাবিয়ে তোলেনি বরং নাচলে অন্যরা তাকে নিয়ে কি ভাববে সেই চিন্তাই গ্রাস করেছিল।



ওহ্ কি সুন্দর তুমি, তুমি কত ভালো এসব কথা আমরা সর্বদা শুনতে পছন্দ করি। একটু ভালোবাসা, একটু শুভদৃষ্টি একটু প্রশংসা পাওয়ার জন্য আমরা কতই না ব্যাকুল। বাস্তবতা হলো যখন তুমি অন্যের কাছে কিছু চাইবে তুমি স্বস্তিতে থাকতে পারবে না।



এই অস্বস্তি নিজেকে কখন সুন্দর, সকলের প্রিয় বিত্তশালী দেখতে পারব সেই চিন্তার কারণে। এ কারণে অন্যেরা কি পছন্দ করবে সেই অনুযায়ী নিজেকে পরিচালনা করতে থাকি। যখনই অন্যকে খুশি করতে নিজের সত্তাকে হারিয়ে ফেলি তখনই আমাদের স্বাভাবিকতা থাকে না, মন হয়ে ওঠে অশান্ত। দুর্ভাগ্য হচ্ছে আমরা প্রায় সবাই নিজের অজান্তে মনের মধ্যে এরূপ ধারণা নিয়ে জীবন যাপন করি।



অন্যের মতামতকে ভয় করার এই চিরায়ত অভ্যাস প্রতিটি মানুষকেই সিদ্ধান্তহীনতায় ঠেলে দিবে, যা মানুষকে দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপের মধ্যে ঠেলে দেয়। এটা পরবর্তী জীবনে স্বাস্থ্য ও সুখকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিতে পারে। এটা আমাদেরকে বন্দি করে ফেলে একটি বৃত্তের মধ্যে, যে বৃত্তের মধ্যে সমাজ বা অন্যরা আমাদের দেখতে পছন্দ করে। ফলে আমাদের সত্যিকার সামর্থ্য সারাজীবনই রয়ে যায় শৃঙ্খলিত।



তাহলে আমরা কি পাছে লোকে কিছু বলে এই ভয়ে নিজেকে গুটিয়ে নেব? আমাদের নিজেদের সত্তাকে বিলীন করে দেব সমালোচকদের ভয়ে। অবশ্যই না। অন্যের সমালোচনার ভয়ে নিজের ভালোবাসাকে নিশ্চয়ই বিসর্জন দেয়া চলে না।

যদি সমালোচনাকে জীবনে উন্নতির পথে বাধা হিসাবে চিন্তা করি তাহলে উচিত হবে কিভাবে সেই বাধা অতিক্রম করা যায় তার একটা উপায় বের করা।

প্রথমে চিন্তা করতে হবে কি কি কারণে আমরা অন্যের মতামতকে এত গুরুত্ব দিচ্ছি। এই প্রশ্নের একটা উত্তর হলো গুরুত্ব না দিলে তাদের সমালোচনা সহ্য করতে হতে পারে। এ কারণে নিজের মনে এক ধরনের প্রতিরোধের শক্তি দরকার। এই প্রতিরোধ গড়ে না তুললে সারাজীবন এই ভয় থেকে মুক্ত হওয়া যাবে না। যদি নিজের শক্তিকে অনুভব করতে পারেন, সম্মান করতে পারেন কিছুদিনের মধ্যেই আপনি আপনার পরিবর্তনও অনুভব করতে শুরু করবেন।

তাই সাহসের সঙ্গে দুঃসময়কে মোকাবিলা করুন।

অন্যকে অনুকরণ না করে নিজেকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করুন। প্রকৃতিগতভাবে প্রত্যেকেরই রয়েছে অনেক ভালো গুণাবলি। অন্যের মতো হলে হাততালি পাওয়া যাবে দূর করুন এই ভাবনা। নিজের ভিতরের শক্তিকে বিশ্বাসে পরিণত করুন আর নিজের মতো করে কাজ করুন দেখবেন সফলতা আপনার কাছে ধরা দিবেই।

নিজের ভুলগুলোকে গ্রহণ করুন, ধীরে ধীরে সেগুলো থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করুন। থেমে না থেকে পুনরায় আত্মবিশ্বাসের সাথে কাজ শুরু করুন। অন্যে কি চিন্তা করবে সেই ধারণাকে দূরে সরিয়ে দিন। সকল ভয় থেকে নিজেকে মুক্ত করুন, দেখবেন আপনি কত সুখী।

প্রথমেই অন্যের প্রশংসার চিন্তা করবেন না। নিজেই নিজের একটা পরিমাপক ঠিক করে নিন কোথায় দেখতে চান নিজেকে সেই জায়গাটায় পৌঁছালে নিজেকে প্রশংসা করুন। নিজের ভালোলাগার জন্য কাজ করুন। দেখবেন নিজের সন্তুষ্টি আপনাকে কি পরিমাণ আত্মবিশ্বাস এনে দেয়। সেই আত্মবিশ্বাসই আপনাকে একদিন অন্যের প্রশংসা এনে দেবে।

কারো কাছে কিছু প্রত্যাশা করবেন না, দেখবেন আপনি ভারমুক্ত। খোলামনে কাজ করুন, যে কোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে উপস্থাপন করার চেষ্টা করুন। শুরু করুন আত্মবিশ্বাস নিয়ে। অন্যের সমালোচনাকে অগ্রাহ্য করুন। দেখবেন আপনার জীবন হবে সুখী ও সমৃদ্ধ।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:২৯

আমি দিহান বলেছেন: +++++++++

উপকারী পোস্ট

২| ১৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:৪৯

মুহম্মদ ইমাম উদ্দীন বলেছেন: বেশ শিক্ষণীয় পোস্ট। আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হয়ে গেলাম। লেখক কে ধন্যবাদ।।
আসলেই সফলতা পেতে চাইলে এই লোকভয় জিনিসটা মন থেকে ল্যাং মেরে ফেলে দেওয়া উচিত।

৩| ১৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:২৪

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: নিজের ভিতরের শক্তিকে বিশ্বাসে পরিণত করুন আর নিজের মতো করে কাজ করুন দেখবেন সফলতা আপনার কাছে ধরা দিবেই।
নিজের ভুলগুলোকে গ্রহণ করুন, ধীরে ধীরে সেগুলো থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করুন। থেমে না থেকে পুনরায় আত্মবিশ্বাসের সাথে কাজ শুরু করুন। অন্যে কি চিন্তা করবে সেই ধারণাকে দূরে সরিয়ে দিন। সকল ভয় থেকে নিজেকে মুক্ত করুন, দেখবেন আপনি কত সুখী


লেখা ও বিষয় দুই-ই ভালো লাগলো। কিন্তু লেখাটা মনে হয় দুবার কপি হয়ে গেছে, ঠিক করে দিয়েন।

১৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:১৬

বুবলা বলেছেন: লেখক বলেছেন: লেখক বলেছেন: দুবার কপি কোথায় হয়েছে বুঝতে পারলাম না, পাবলিশ করার সময় দুবার পোষ্ট হয়ে যেতে পারে, লেখাটা ফেসবুক এ একজনের থেকে পেয়েছি উপরে তার নাম সৌজন্যে হিসাবে দিয়েছি। মন্তব্য করার জন্য ধন্যবদ, আত্মবিশ্বাস কিভাবে বেশি করবেন এই ব্যাপারে সন্দীপ মাহিস্বরি নামে একজনের দারুন কিছু ভিডিও আছে, কিন্তু হিন্দিতে, যদি আপনারা চান আমি লিন্ক দিতে পারি, দেখলে উপকার পাবেন।

৪| ১৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ২:২৬

আহসানের ব্লগ বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ১৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:১৭

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: কারো কাছে কিছু প্রত্যাশা করবেন না, দেখবেন আপনি ভারমুক্ত। খোলামনে কাজ করুন, যে কোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে উপস্থাপন করার চেষ্টা করুন। শুরু করুন আত্মবিশ্বাস নিয়ে। অন্যের সমালোচনাকে অগ্রাহ্য করুন। দেখবেন আপনার জীবন হবে সুখী ও সমৃদ্ধ।


এই প্যারার পরের অংশ আবার শুরুর দ্বিতীয় কপি। এডিট করে ঠিক করে দিতে পারেন।

৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৪০

একজন ঘূণপোকা বলেছেন: উপকারী পোস্ট

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.