নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবী আজ তার বার্ধক্যে এসে পড়েছে, শৈশব পেড়িয়ে যৌবন ও সে হারিয়েছে, তাই বৃথা আনন্দ করো না, ক্ষণিকের সময় হাতে, নশ্বর এ পৃথিবী যেন মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে। সে মৃত্যু আসার আগে আজ তীর্থে ভ্রমণ করো, পবিত্র জলে হে পৃথিবী তুমি অবগাহন করো। ধুয়ে ফেলো তোমার গায়ের শত কালিমা, সাজিয়ে নাও বিদায়ের আগে আবার আঙিনা।
মানবজাতির মাঝে সর্বপ্রথম যে সম্পর্কটি সৃষ্টি হয় তার নামই জীবনসঙ্গী । কোন পথে হাঁটার সময় যদি কেউ পাশে থাকে তখন পথটা যতই কঠিন আর অপরিচিত হোক না কেন স্বাচ্ছন্দে কেটে যায়, তেমনি জীবনপথে চলতে গেলে একজন জীবনসঙ্গীও জীবনকে সহজ করে দেয়। ক্ষণস্থায়ী পৃথিবীর বুকে একজন উত্তম জীবনসঙ্গীর সাহচর্য চিরস্থায়ী সুখের স্থান জান্নাতের পথ সুগম ও সহজ করে, জরাজীর্ণ পৃথিবীর হাজারো অশান্তির মাঝে উত্তম জীবনসঙ্গী যেন তীব্র গরমে এক পশলা ঝুম বৃষ্টির মত, যা হৃদয় ও পরিবেশ স্নিগ্ধ শীতল করে দেয়। আল্লাহ তায়ালা প্রথম নর আদমকে সৃষ্টি করার পর , তার একাকিত্ব দুর করার জন্য তার জীবনসঙ্গী হিসেবে প্রথম নারী হাওয়াকে সৃষ্টি করেন, যারা আমাদের আদি পিতামাতা (আলাইহিমাস্সালাম), তাদের বংশ বিস্তারের ফলে আজ মানবসভ্যতা এ পর্যন্ত এসেছে। বিবাহ বন্ধনের মাধ্যমে এক যুগল নারী পুরুষ একসঙ্গে জীবন কাটানোর জন্য দাম্পত্য জীবন শুরু করে। Samuel Johnson এর মতে,
"Marriage has many pains but Celibacy has no pleasure".
নারী ও পুরুষ একদমই ভিন্ন ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন দুটি সত্তা এবং তাদের বৈশিষ্ট্যও ভিন্ন। উভয়ের সৃষ্টি প্রক্রিয়া থেকে তা আরো সুস্পষ্ট হয়। প্রথম সৃষ্ট মানবই একজন পুরুষ। পৃথিবীতে প্রতিনিধিত্ব করার জন্যই পুরুষের সৃষ্টি হয়। তার দেহাবয়ব, অভ্যন্তরীণ গঠন প্রক্রিয়া, স্মৃতিশক্তি, বুদ্ধিমত্তা, মনমেজাজ নারীদের চেয়ে ভিন্ন। আর নারী হচ্ছে স্রষ্টার সবচেয়ে সুন্দর সৃষ্টি। একজন পুরুষের জীবনে পূর্ণতা এনে দেয় একজন নারী, তেমনি একজন পুরুষ একটি মেয়েকে নারীতে রূপান্তর করতে বিশেষ ভুমিকা রাখে। পবিত্র কোরআনে নারীকে পুরুষের জন্য শস্যক্ষেত বলা হয়েছে। Dr.Myles Munroe এর ছোট্ট ক্লিপটি এই রূপকটির চমৎকার ব্যাখ্যা করে।
পুরুষ সৃষ্টিগতভাবেই নিজের আনুগত্য করাকে পছন্দ করে, নারী পছন্দ করে আদর, যত্ন, প্রশংসা। পরিস্থিতি যতই বিরূপ হোকনা কেন, হৃদয়গ্রাহী কথন নারীর হৃদয়কে পুলকিত করে। পুরুষ নারী বলতেই মুগ্ধ। নারী হতে পারে রূপবতী কিংবা গুণবতী কিংবা জ্ঞানবতী। একের মাঝে তিনের সমাহার না মিললেও কোন একটিতো সে অবশ্যই। নারীর পায়ের নখের থেকে শুরু করে মাথার চুল অবধি সৌন্দর্য মণ্ডিত। সে হাসলে যদি মুক্তা ঝরে তবে তার অশ্রু হৃদয়ে ঝড় এনে দেয়। তার রূপের মোহে যদি কেউ বিমোহিত হয়ে পড়ে, গুনের বদৌলতে সে চিত্ত হরণ করে, আর জ্ঞানের আলোতে কারো জীবন আলোকিত করে। এক্ষেত্রে Alexander Pope এর The Rape of the lock এর পংক্তিটি প্রণিধানযোগ্য:
" Beauties in vain their pretty eyes may roll;.
Charms strike the sight, but merit wins the soul.".
বিবাহ বন্ধনের মাধ্যমে মানুষের বহুবিধ কল্যাণ সাধিত হয় । তদ্রূপ দাম্পত্য জীবন মানুষের কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা পূরণ করতে নিয়ামক হিসাবে কাজ করে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মানুষের শারীরিক চাহিদা, মানসিক চাহিদা, সামজিক চাহিদা ও আধ্যাতিক চাহিদা।
শারীরিক চাহিদা পূরণ :
খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ইত্যাদি মৌলিক চাহিদার মতই মানুষের দৈহিক বা শারীরিক চাহিদা। সৃষ্টির নিয়ম অনুযায়ী একটা বয়সে নারী পুরুষ একে অপরের চাহিদা অনুভব করে আর এই চাহিদা পূরণ করাই বিবাহ বন্ধনের অন্যতম মূখ্য উদ্দেশ্য।
যারা নিজ লজ্জাস্থান সংরক্ষণ করে, নিজেদের স্ত্রী ও তাদের মালিকানাধীন দাসীদের ছাড়া অন্য সকলের থেকে , কেননা এতে তারা নিন্দিত হবে না। তবে কেউ এদেরকে ছাড়া অন্য কিছু কামনা করলে তারাই হবে সীমালঙ্ঘনকারী।
(আল কোরআন-২৩:৫, ৬, ৭)
(অনুবাদ— মুফতি তাকী উসমানী)
এই সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে মানবসভ্যতা বংশবিস্তারের ফলে পৃথিবীর বুকে টিকে আছে। সুখী দাম্পত্য জীবনে শারীরিক সম্পর্কের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। সুস্থ শারীরিক সম্পর্ক স্বামী স্ত্রীর মাঝে যে কোন কলহ দুর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এক্ষেত্রে উভয়ের বোঝাপড়া ও সহনশীলতা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এ থেকে বুঝা যায়, ' বৈবাহিক ধর্ষণ ' কথাটি পুরোপুরি অবান্তর। নারী পুরুষ ভেদে শারীরিক চাহিদার তীব্রতার সময়সীমা ভিন্ন হয়ে থাকে, যদিও ব্যক্তিভেদে খাদ্য চাহিদার মত দৈহিক চাহিদাও ভিন্ন রকম। সময়ের কালক্রমে পৃথিবীর সব কিছুই তার পূর্বের জৌলুশ হারায় তদ্রূপ এক্ষেত্রেও একই ঘটে। তবে সার্বিকভাবে সুস্থ থাকলে একেবারে নিঃশেষ হয় না। ৮০ বছরের বৃদ্ধ যেমন বিয়ে করার সক্ষমতা রাখে, তেমনি বয়োঃবৃদ্ধ নারীও আকাঙ্খা অনুভব করতে পারে। তবে তা যৌবনের সময়ের মত তীব্র হয় না। গবেষণায় দেখা গেছে পুরুষের চাহিদা বেশি থাকে ১৮ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত, কিন্তু এ বয়সে নারীদের মাঝে লাজুকতা বেশি থাকে। আরেক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২৭ থেকে ৪৫ বছরের নারীদের মাঝে চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে (MedicineNet), যে সময়ে পুরুষরা কাজকর্ম নিয়ে অধিক ব্যস্ত থাকে। এতে এক প্রকার অসামঞ্জস্য পরিলক্ষিত হয় , যার ফলে উভয়ের মাঝে বোঝাপড়ার ও সহনশীলতার অভাবে তিক্ততা সৃষ্টি হয়। ফলশ্রুতিতে তারা 'পরকিয়া' নামক ব্যধির দিকে ঝুঁকে পড়ে। যেটি দাম্পত্য জীবনে ভয়াবহ মরণব্যাধি ক্যান্সারের অনুরূপ। এই ব্যাধি থেকে পরিত্রাণের সর্বোত্তম প্রতিষেধক হচ্ছে দৃষ্টির সংরক্ষণ।
মুমিন পুরুষদেরকে বল, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করবে। এটাই তাদের জন্য অধিক পবিত্র। নিশ্চয় তারা যা করে সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবহিত।(আল কোরআন-২৪:৩০)
(অনুবাদ— Rawai Al-bayan)
আর মুমিন নারীদেরকে বলে দাও তাদের দৃষ্টি অবনমিত করতে আর তাদের লজ্জাস্থান সংরক্ষণ করতে, আর তাদের শোভা সৌন্দর্য প্রকাশ না করতে যা এমনিতেই প্রকাশিত হয় তা ব্যতীত। তাদের ঘাড় ও বুক যেন মাথার কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয়। তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভাই, ভাই-এর ছেলে, বোনের ছেলে, নিজেদের মহিলাগণ, স্বীয় মালিকানাধীন দাসী, পুরুষদের মধ্যে যৌন কামনামুক্ত পুরুষ আর নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ বালক ছাড়া অন্যের কাছে নিজেদের শোভা সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। আর তারা যেন নিজেদের গোপন শোভা সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্য সজোরে পদচারণা না করে। হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহর নিকট তাওবাহ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। (আল কোরআন-২৪:৩১)
(অনুবাদ— Taisirul Quran)
মানসিক চাহিদা পূরণ :
কোন মানুষই একা থাকতে চায় না। যৌবনের শুরুতে আঘাতপ্রাপ্ত হৃদয়টাও পরিপক্ব বয়সে একটা বিশ্বস্ত হাত/কাঁধ খুঁজে পেতে চায়। পৃথিবীতে প্রতিটা মানুষই চায় তার জীবনে এমন একজন বন্ধু থাকুক যার সাথে অকপটে সব কিছু শেয়ার করা যায়। যে তার না বলা ব্যথাটাও বুঝতে পারবে। যার সাথে যে কোন বিষয় পরামর্শ করা যাবে, সমস্যায় কোন সমাধান না দিতে পারলেও অস্থির চিত্তে প্রশান্তি আনতে পারবে। তার পাশে বসলেও এক প্রকার স্বস্তি অনুভূত হবে। আল্লাহ তায়ালা মানুষের জন্য তার সঙ্গী নির্ধারণ করেছেন যাতে তার সংস্পর্শে সে শান্তি লাভ করতে পারে। শারীরিক চাহিদা কালক্রমে কমতে থাকে কিন্তু মানসিক প্রশান্তির চাহিদা মানুষের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বলবৎ থাকে। জীবনসঙ্গীর সংস্পর্শে যত বেশি মানসিক প্রশান্তি মেলে তত বেশি দাম্পত্য সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়। বর্তমান যুগে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই, মানুষ কেবলই দাম্পত্যকে বয়ে বেড়ায়, রিপুর তারণায় শারীরিক সম্পর্ক থাকলেও মনের জগতে একে অপরের উপস্থিতি বিরল। সোশ্যাল মিডিয়ায় কিংবা বন্ধু মহলে মানুষ যতটা সরব তার অর্ধেকটা সময় যদি পরস্পরের সাথে গল্পগুজব, খুনসুটি কিংবা দৈনন্দিন জীবনের ভালোমন্দ শেয়ার করে কাটাতো তবে দাম্পত্য সম্পর্ক অনেক মজবুত হতো। কোন মানুষই স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়, ভুলত্রুটির সন্নিবেশেই মানুষ। এক জনের কাছে অপরজনের সবকিছুই মনঃপুত হবে তা কস্মিনকালেও সম্ভব নয়। তারপরও একে অপরের ভালোলাগার দিকগুলোর প্রতি অধিক মনোযোগ দিয়ে অন্যদিকগুলো উপেক্ষা করতে পারলে উভয়ের জন্য সহজ হয়।
তাদের সাথে দয়া ও সততার সঙ্গে জীবন যাপন কর, যদি তাদেরকে না-পছন্দ কর, তবে হতে পারে যে তোমরা যাকে না-পছন্দ করছ, বস্তুতঃ তারই মধ্যে আল্লাহ বহু কল্যাণ দিয়ে রেখেছেন। (আল কোরআন-৪:১৯)
(অনুবাদ— Taisirul Quran)
তাঁর নিদর্শনের মধ্যে হল এই যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য হতেই তোমাদের সঙ্গিণী সৃষ্টি করেছেন যাতে তোমরা তার কাছে শান্তি লাভ করতে পার আর তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। এর মাঝে অবশ্যই বহু নিদর্শন আছে সেই সম্প্রদায়ের জন্য যারা চিন্তা করে।(আল কোরআন-৩০:২১)
(অনুবাদ— Taisirul Quran)
একজন সঙ্গী ব্যতিত জান্নাতেও মানুষ বিষন্ন অনুভব করে। একজন পুরুষের জীবনে একজন নারীর আর নারীর জীবনে পুরুষের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য , একের জীবনে শান্তির জন্য অপরের উপস্থিতি অপরিহার্য। জীবনের কঠিন মুহূর্তে জীবনসঙ্গীর মনভোলানো কথা, অনুপ্রেরণা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে লড়াই করার এক প্রকার মানসিক শক্তি যোগায়। দাম্পত্য জীবনে এই মানসিক প্রশান্তি কেবল চাইলেই পাওয়া যায় না। তার জন্য স্রষ্টার নিকট প্রতিনিয়ত প্রার্থনা করে যেতে হয়। উস্তাদ নোমান আলী খান এর দুই মিনিটের এই ভিডিওটি বেশ সুন্দরভাবে তা বুঝিয়ে দেয়।
(আল কোরআন-২৫:৭৪)
رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَٰجِنَا وَذُرِّيَّـٰتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍۢ وَٱجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
"Our Lord, grant us from among our wives and offspring comfort to our eyes1 and make us a leader [i.e., example] for the righteous."
(অনুবাদ— Saheeh International)
হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে এমন স্ত্রী ও সন্তানাদি দান কর যারা আমাদের চোখ জুড়িয়ে দেয় আর আমাদেরকে মুত্তাকীদের নেতা বানিয়ে দাও।
(অনুবাদ— Taisirul Quran)
সামাজিক চাহিদা পূরণ :
বিবাহ বন্ধনের ফলে মানুষের জীবনসঙ্গীর সাথে সামাজিক সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। সমাজে সে বিবাহিত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিবাহিত নারী পুরুষের প্রতি অন্য মানুষের বিশ্বাস বৃদ্ধি পায়, যেদিকে অবিবাহিতদের মানুষ সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখে। Francis Bacon এর মতে, "single men, though they may be many times more charitable, because their means are less exhaust, yet on the other side, they are more cruel and hardhearted".
দাম্পত্য জীবন মানুষের সম্মান মর্যাদা বৃদ্ধি করে। সামাজিক রীতিমতো বিবাহ বন্ধনের মাধ্যমে মানুষ তার জীবনসঙ্গীর সংস্পর্শে বংশবৃদ্ধির ফলে মানবসভ্যতার বিকাশে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিটি মানুষের উপরই কতিপয় দায়িত্ব ন্যাস্ত থাকে। দাম্পত্য সম্পর্কের ফলে পরস্পর পরস্পরের দায়িত্ব পালনে সাধ্যমত সাহায্য করে থাকে। এতে তাদের সম্পর্ক আরো সুন্দর হয়। বিবাহের মাধ্যমে একজন পুরুষ একজন নারীর ভরণপোষণের দায়িত্ব নেয়। সেই সাথে তার আদর যত্নের কোন অবহেলা না করার অঙ্গীকার করে। তদ্রূপ একজন নারীও তার স্বামীর অনুগত থেকে নিজের দায়িত্ব কর্তব্য পালনে সচেষ্ট থাকে। চলার পথে একজনকে পথের দিশারি ও অন্যদের তার অনুসারী হতে হয়, সকলেই যদি অধিনায়কত্ব করার চেষ্টা করে তবে গন্তব্যে পৌঁছানো অসম্ভব। ইসলাম তাই দাম্পত্য জীবনে পুরুষকে দিশারি ও নারীকে অনুসারীর দায়িত্ব দিয়েছেন। দিশারি যদি কোন ভুল সিদ্ধান্ত নেয় তখন অনুসারীর কর্তব্য তাকে সঠিক পরামর্শ দেয়া এবং দিশারীর উচিত তার পরামর্শ যথাযথ মূল্যায়ণ করা।
পুরুষরা নারীদের তত্ত্বাবধায়ক, এ কারণে যে, আল্লাহ তাদের একের উপর অন্যকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন এবং যেহেতু তারা নিজদের সম্পদ থেকে ব্যয় করে। সুতরাং পুণ্যবতী নারীরা অনুগত, তারা লোকচক্ষুর অন্তরালে হিফাযাতকারিনী ঐ বিষয়ের যা আল্লাহ হিফাযাত করেছেন। (আল কোরআন-৪:৩৪)
(অনুবাদ-Rawai al- bayan-)
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত মানুষকে সমাজ তীর্যক দৃষ্টিতে দেখে, তাদের কোন সামাজিক মর্যাদা থাকে না, নারী পুরুষ উভয়ই একটি অরক্ষিত সম্পর্কে জড়িত থাকে। সমাজে বিবাহবন্ধন প্রতিষ্ঠিত না হলে মানুষ নিজের কামনা বাসনা চরিতার্থ করার জন্য পশুপাখির মত আচরণ করতো। ফলশ্রুতিতে অজ্ঞাতকুলশীল সন্তানের জন্ম বেড়ে যেত এবং সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতো।
আর মুমিন সচ্চরিত্রা নারী এবং তোমাদের পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে, তাদের সচ্চরিত্রা নারীদের সাথে তোমাদের বিবাহ বৈধ। যখন তোমরা তাদেরকে মোহর দেবে, বিবাহকারী হিসেবে, প্রকাশ্য ব্যভিচারকারী বা গোপনপত্নী গ্রহণকারী হিসেবে নয়। (আল কোরআন-৫:৫)
(অনুবাদ— Rawai Al-bayan)
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘যখন এমন কোনো ব্যক্তি তোমাদের কাছে বিয়ের প্রস্তাব পেশ করে, যার দ্বীনদারি ও চারিত্রিক দিক তোমাদের মুগ্ধ করে, তখন তোমরা ওই ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে দাও। যদি তোমরা তা না করো তাহলে সমাজে বিরাট ফিতনা-ফাসাদ ও বিপর্যয় দেখা দেবে।’ (তিরমিজি: ১০৮৪)
আধ্যাতিক চাহিদা পূরণ :
প্রত্যেক মুসলমানের জীবনের চূড়ান্ত সফলতা হচ্ছে জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও আল্লাহর সন্তুষ্টিস্বরূপ জান্নাতের অতুলনীয় বাসস্থান লাভ করা। ঈমানবিধ্বংসী এই যুগে যেদিকে দ্বীনের পথে অটল থাকা প্রতিকূল পরিবেশে খাপ খাওয়ানোর চেয়ে কঠিনতর, সেদিকে ইসলাম বিবাহকে দ্বীনের অর্ধেক বলে আখ্যায়িত করেছে। বিবাহের সময় জীবনসঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে দ্বীনদারীতাকে প্রাধান্য দিতে বলা হয়েছে। বিবাহ সম্পন্ন করে বংশবিস্তার করা ইসলামের উপদেশ এবং নবীজীর ﷺ সুন্নাত। বৈরাগ্যবাদকে ইসলাম নিরুৎসাহিত করেছে এবং মানুষের জৈবিক চাহিদা পূরণ করতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে জীবনসঙ্গীর সান্নিধ্য লাভ করাকে উৎসাহিত করেছে। নবীজীর জীবনে তার জীবনসঙ্গী উম্মুল মুমিনীন খাদিজা রাদিআল্লাহু আনহা এর অবদান অপরিসীম। নবুওয়াতের প্রথম দিনগুলোতে বিবি খাদিজার সাহচর্য , বিশ্বাস ও অনুপ্রেরণা নবীজীর মনোবল বৃদ্ধি ও ধর্মপ্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, শত্রুদের ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ ও অত্যাচারের সামনে খাদিজা রাদিআল্লাহু আনহার অগাধ ভালোবাসা দুর্গের মত কাজ করে। নবীজীর কঠিন সময়ে তিনি ছায়ার মত পাশে ছিলেন।
ইসলামের দৃষ্টিতে বিবাহবন্ধনের প্রয়োজনীয়তা আরো স্পষ্ট হয় ব্যভিচারের ভয়াবহ শাস্তি থেকে। একজন উত্তম জীবনসঙ্গীর সান্নিধ্যে মানুষ এহেন পাপ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে।
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের বলেছেনঃ হে যুব সমাজ! তোমাদের মধ্যে যে বৈবাহিক জীবনের ব্যয়ভার বহনে সক্ষম সে যেন বিয়ে করে। কারণ তা দৃষ্টিকে নিচু করে দেয় এবং লজ্জাস্থানকে সংরক্ষণ করে। আর যে (ভরণ-পোষণে) সমর্থ না হয়, সে যেন রোযা পালন করে। কারণ তা তার যৌন কামনা দমনকারী।
—সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩২৭০ (আন্তর্জাতিক নং ১৪০০-৩)
আল্লাহ তায়ালা কোরআনে তার বান্দাদের ভালো কাজে প্রতিযোগিতা করতে বলেছেন। আর জীবনসঙ্গীর চেয়ে অধিক সহযোগী কে হতে পারে যার সাথে ভালো কাজে প্রতিযোগিতা করা যায়?
আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেনঃ আল্লাহ ঐ ব্যক্তির উপর রহম করুন, যে রাত জেগে নামায আদায় করে; অতঃপর সে স্বীয় স্ত্রীকে ঘুম হতে জাগ্রত করে। আর যদি সে ঘুম হতে উঠতে না চায় তখন সে তার চোখে পানি ছিটিয়ে দেয় ( নিদ্রাভঙ্গের জন্য)। আল্লাহ ঐ মহিলার উপর রহম করুন যে রাতে উঠে নামায আদায় করে এবং স্বীয় স্বামীকে জাগ্রত করে। যদি সে ঘুম হতে উঠতে অস্বীকার করে, তখন সে তার চোখে পানি ছিটিয়ে দেয়।
-সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ১৩০৮
জীবনসঙ্গী মানুষের সবচেয়ে কাছের মানুষ কারণ তার সাথেই সে সবচেয়ে বেশি উঠাবসা করে। ফলে তার আধ্যাতিক জগতে জীবনসঙ্গীর প্রভাব সবচেয়ে বেশি প্রতিফলিত হয়।
আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম (ﷺ) বলেছেনঃ সৎ সঙ্গী ও অসৎ সঙ্গীর উপমা হল, কস্তুরী বহনকারী ও কামারের হাঁপরের ন্যায়। মৃগ-কস্তুরী বহনকারী হয়ত তোমাকে কিছু দান করবে কিংবা তার কাছ থেকে তুমি কিছু খরিদ করবে কিংবা তার কাছ থেকে তুমি লাভ করবে সুবাস। আর কামারের হাঁপর হয়ত তোমার কাপড় পুড়িয়ে দেবে কিংবা তুমি তার কাছ থেকে পাবে দুর্গন্ধ ।
—সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫১৩৬ (আন্তর্জাতিক নং ৫৫৩৪)
দাম্পত্যকে একেকজন একেকভাবে সংজ্ঞায়িত করে। সাহিত্যে জীবনসঙ্গীকে ব্যাখ্যা করার জন্য অনেক উপমা ও রূপক ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু মহান আল্লাহ জীবনসঙ্গীর জন্য যে রূপক ব্যবহার করেছেন তা অতুলনীয়। আল কোরআনে জীবনসঙ্গীকে পরস্পরের পোশাক হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
তারা তোমাদের জন্য পোশাক, তোমরাও তাদের জন্য পোশাক। (আল কোরআন-২:১৮৭)
(অনুবাদ--মুফতি তাকী উসমানী)
মৌলিক চাহিদার মধ্যে খাদ্যের পরই পোশাকের স্থান। একজন সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন মানুষের কাছে খাদ্যের চেয়ে পোশাকের গুরুত্ব অনেক বেশি। পোশাক মানুষের বিবিধ উদ্দেশ্য সাধন করে থাকে।
* পোশাক পরিধানের মূখ্য উদ্দেশ্য তা লজ্জা নিবারণ করে,
* শরীরকে ঢেকে রাখে,
* শালীনতা বজায় রাখে,
* বিভিন্ন আবহাওয়ায় সুরক্ষা বজায় রেখে আরাম প্রদান করে,
* শরীর থেকে সংক্রামক ও বিষাক্ত পদার্থ দুরে রাখে,
* ময়লা আবর্জনা, ধুলাবালি, কালি, নোংরা পানি থেকে শরীরকে রক্ষা করে,
* শরীরের ক্ষত বা ত্রুটি ঢেকে রাখে,
* পরিহিত পোশাক মানুষের আচরণকে প্রভাবিত করে,
* ব্যক্তিত্ব ও রুচির বহিঃপ্রকাশ করে,
* সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে,
* সম্মান ও মর্যাদার প্রতীক বহন করে,
* ঐতিহ্য তুলে ধরে,
* মানুষ ও পশুর মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করে,
* পছন্দসই পোশাক মানুষকে প্রফুল্ল রাখে,
* উপযুক্ত পোশাক মানুষের আত্মবিশ্বাস ও কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি করে।
হে আদম সন্তান! আমি তোমাদেরকে পোষাক-পরিচ্ছদ দিয়েছি তোমাদের লজ্জাস্থান আবৃত করার জন্য এবং শোভা বর্ধনের জন্য। আর তাকওয়ার পোশাক হচ্ছে সর্বোত্তম পোশাক। ওটা আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে একটি যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে। (আল কোরআন-৭:২৬)
(অনুবাদ— Taisirul Quran)
পরিহিত পোশাকের যত্ন নেয়া, ময়লা পরিষ্কার করা, পরিচ্ছন্ন রাখা, ত্রুটি দুর করা, সৌন্দর্য বজায় রাখা ইত্যাদি কাজও পরিধানকারীর করতে হয়। তদ্রুপ জীবনসঙ্গীর যত্ন নেয়া, ভুলত্রুটি সংশোধন করা, তার দোষগুলো লোকচক্ষুর আড়াল করা আরেক জীবনসঙ্গীর কর্তব্য।জীবনসঙ্গী যদি এক অপরের পোশাক হয় তাহলে জীবনসঙ্গীবিহীন মানুষ বিবস্ত্রের মত। কোরআনের এই রূপক দ্বারা একজন মানুষের জীবনে জীবনসঙ্গীর প্রয়োজনীয়তা কত বেশি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
মানবজাতির পথিকৃৎ মহানবী ﷺ জীবনের প্রতিক্ষেত্রে আমাদের জন্য উত্তম আদর্শ রেখে গেছেন। দাম্পত্য জীবন সুখকর করতে জীবনসঙ্গীর সাথে কেমন আচরণ করতে হবে তাও নবীজীর জীবনী থেকে পাওয়া যায়।
* জীবনসঙ্গীকে স্বান্তনা প্রদান করা। ( আস সুনানুল কুবরা, নাসাঈ : ৯১১৭)
* জীবনসঙ্গীর প্রশংসা করা। ( সহীহ মুসলিম ; ২৪৩৫)
* একপাত্রে পান করা। ( নাসাঈ :৭০)
* একসাথে স্নান করা। ( নাসাঈ :২৪০)
* সৌহার্দ্যপূর্ণ ও সম্মানজনক আচরণ করা। (বুখারী :১/২৭৩)
* পারস্পরিক মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। (বুখারী :১/৩৮০)
* পারিবারিক কাজে সহযোগিতা করা। (মিশকাত :৫২০)
* জীবনসঙ্গীর মনোরঞ্জন করা। (বুখারি :৫১৯০)
* ধৈর্য্য ও বিচক্ষণতার সাথে সমস্যার সমাধান করা। (তিরমিজি : ৩৮৯৪)
* অহেতুক সন্দেহ পরিহার করা। (বুখারি :২/৫৯৫-৫৯৬)
* জীবনসঙ্গীকে ব্যক্তিগত কাজে স্বাধীনতা দেওয়া। (বুখারি :৬১৩০)
* পারস্পরিক গোপনীয়তা রক্ষা করা। (মুসলিম :১৪৩৭)
আল্লাহ তায়ালা প্রতিটি মানুষের দাম্পত্য জীবন শান্তিময় করুক ও প্রত্যেককে নিজের দায়িত্বগুলো নিষ্ঠার সাথে স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করার তৌফিক দান করুক এবং জীবনসঙ্গীকে পরস্পরের ইহকাল ও পরকালের জন্য মঙ্গলময় করুক।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৩৪
আরোগ্য বলেছেন: বাঁচলাম।
২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:২৮
মিরোরডডল বলেছেন:
পৃথিবীর সবচেয়ে দামী সম্পদ হলো একজন সৎ চরিত্রবান নারী
তাহলে সেই নারী কি একজন অসৎ চরিত্রহীন পুরুষ ডিজার্ভ করে???
নিশ্চয়ই না।
নারী পুরুষ নির্বিশেষে একজন ভালো মানুষ হওয়া দরকার।
সেটা শুধু জীবনসঙ্গীর জন্যই না, সবার জন্য।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৩৮
আরোগ্য বলেছেন: এ কথার উত্তর তো Myles Munroe এর ভিডিওতে দেয়া আছে।
আশা করি আরেকবার দেখে নিলে বুঝতে অসুবিধা হবে না ।
একজন ভালো মানুষ নির্দ্বিধায় সবক্ষেত্রেই প্রয়োজন। যেহেতু পোস্ট জীবনসঙ্গী নিয়ে তাই ততটুকুই লিখেছি।
৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:৫০
মিরোরডডল বলেছেন:
একজন সঙ্গী ব্যতিত জান্নাতেও মানুষ বিষন্ন অনুভব করে।
আরোগ্য মাই ফ্রেন্ড, একবার যদি কেউ জান্নাতে চলেই যায়, ওখানেতো পাপ পুণ্যের কিছু নেই, মৃত্যু ভয় নেই, সোশ্যাল প্রেশার নেই, তাহলে একজন সঙ্গী কেনো, একাধিক হলে সমস্যা কোথায়
পৃথিবীতে প্যারা, একশো এক নিয়ম মেনে চলতে হয় সৎ থাকার জন্য।
আবার জান্নাতেও প্যারা!!!
তাহলেতো Justice won't be served
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩
আরোগ্য বলেছেন: এটা তো আদম হাওয়ার ঘটনা থেকে লিখেছি। আদম আ. শুরুতে একা ছিলেন পরে হাওয়া আ. কে সৃষ্টি করা হয়েছে।
জান্নাতে কেন প্যারা হবে, সেখানে তো কোন কিছুর কমতি নেই।
Justice will be served undoubtedly.
ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য মিরোরডডল।
৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬
রানার ব্লগ বলেছেন: নারীর চরিত্র নিয়া বিশাল বিশাল কাহিনী লিখে ফেললেন। পুরুষের কি ডিজার্ভ আছে এটাও বুঝিয়ে দিলেন, নারী কি ডিজার্ভ করে? পুরুষের চরিত্র কতোটা জরুরী? ইহা নিয়াও ভাবুন।
আমাদের সব থেকে বড় সমস্যা, আমরা জারা ধর্ম নিয়ে বেশি ভাবি তারা নারী কে চরিত্রহীনা, কম বোঝে, বুদ্ধিহীন, কামের বস্তু ভেবে আত্মতৃপ্তি বোধ করি। এটা একটা মানুষিক অসুস্থতা এটার চিকিতসা জরুরী।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪৬
আরোগ্য বলেছেন: ওকে।
৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:২০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
নিম্নমানেরওয়াজ।
এই রকম ওয়াজ ইউটিউবে অনেক আছ। কষ্ট করে পড়ার দরকার কী?
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪৭
আরোগ্য বলেছেন: কষ্ট করে সময় নষ্ট না করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:২৬
নজসু বলেছেন:
আস সালামু আলাইকুম ভাই।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৫২
আরোগ্য বলেছেন: ওয়ালাইকুম আসসালাম পুরানো সাথী। অচিনপুরীর ভিড়ে চিনা মানুষের আগমন। আলহামদুলিল্লাহ ভালো লাগলো। আশা করি আমার ভাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। সময় পেলে পোস্ট নিয়ে দু চার কথা বলবেন। সমালোচনা হলেও সাদরে আমন্ত্রণ।
৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:২২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কিতাবে লেখা আল্লাহ সবাইকে জোড়া জোড়া হিসেবে তৈরি করেছেন। ১ঃ১ =২
নবিগন সবাই জোড়া জোড়া মেনে চলছিল। পশুপাখি প্রানীকুল এখনো মেনে চলে। কিন্তু নবীদের অর্থ আর ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার পর জোড়ার সংগাই বদলাইয়ে গেল ১ঃ১৭য়ার উম্মতের ৪জন সুন্নত।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২৪
আরোগ্য বলেছেন: এতো প্রসিদ্ধ আয়াতটি কেন পোস্টে যোগ করলাম না???
শায়েখ আসিম আল হাকিম
শায়েখ আহমাদুল্লাহ
উস্তাদ নোমান আলী খান
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
যখন যাকারিয়া কক্ষে সালাতে দাঁড়িয়েছিলেন তখন ফিরিশতাগণ তাকে সম্বোধন করে বলল, ‘আল্লাহ তোমাকে ইয়াহ্ইয়ার সুসংবাদ দিচ্ছেন, সে হবে আল্লাহ্ র বাণীর সমর্থক, নেতা, স্ত্রী বিরাগী ও পুণ্যবানদের মধ্যে একজন নবী।’
—আলে ইমরান - ৩৯
৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:২১
রাজীব নুর বলেছেন: গার্বেজ পোষ্ট।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:১৯
আরোগ্য বলেছেন: একটা প্রবাদ মনে পড়ে গেল,
মানিকে মানিক চেনে, শুয়োরে চেনে কচু।
৯| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: পর্ব আকারে দিতেন!! একলগে এত্তোবড় পোষ্ট দিছেন কিল্লেইগা? অহনে পড়নের টাইম নাইক্কা, মহা ব্যস্ত। পরে পইড়া জানামু নে।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৩৭
আরোগ্য বলেছেন: আপনের মন্তব্য দেইখা কান্দুম না হাসুম?? ভালা কাহিনি শুরু করসেন আমার পোস্ট লয়া। । যাউক তাও ভালা আধামিদি পইড়া হি হি করেন নাইক্কা। ।
ভুইলেন না আমার কতগিলি পোস্ট জমা রাখসেন। আইবেন কইলাম।
কি কুবুদ্ধি আপনের? পর্বাকারে পোস্ট!!! পর্বাকারে গালি খাওনের শখ নাই আমার।
১০| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বড় বুবুকে নিয়ে আজকে আবার আর জি করে কাটাতে হয়েছে। সন্ধ্যায় ফিরেছি। খুব চিন্তায় আছি ওকে নিয়ে। আগামীকাল আবার ওখানে যেতে হবে সিটি স্ক্যান করাতে। যতোক্ষণে ডিটেকশন না হচ্ছে ততক্ষণ চিকিৎসা শুরু করা যাচ্ছে না। চোখের সামনে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন।ফলে বুঝতেই পারছো সবকিছু ঠিকঠাক হচ্ছে না। এখন শুতে যাওয়ার আগে একটু ঢু মারতে গিয়ে দেখলাম আলোচিত পাতায় তোমার পোস্ট। গবেষণা ধর্মী বলতেই হবে। সঙ্গে জানাপুর নিজস্ব একটি পোস্ট। ওনার পোস্ট দেখে ভালো লাগলো। সঙ্গে তোমার পোস্ট দেখেও খুশি হয়েছি। তুমি বলছিলে একটা প্রস্তুতি চলছে। সময় নিয়ে আসছি।
ভূয়া ভাইকে দোষারোপ করো না।উনি আমাকে পর্ব করে দেই বলে জিজ্ঞেস করেন শেষ কবে হবে। তখন একসঙ্গে সব পড়বেন
আবার তোমাকে বলছে বড় পোস্ট পর্ব করে কেন দিলে না বুঝতেই পারছো ভূয়া নামের যথার্থই ব্যবহার করছেন।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৩৬
আরোগ্য বলেছেন: মাঝে মধ্যে মনে হয় যাদের পরীক্ষা কঠিন হয়, দিন দিন কঠিনতর হতে থাকে। আল্লাহ বুবুকে সুস্থ করে দিক। আসলে পরিবারে যার ঘাড়ে দায়িত্ব থাকে তার কোন স্বস্তি নেই, নির্বিঘ্নে ঘুম পর্যন্ত হয় না। দায়িত্ব এমন একটা ভারী জিনিস যার ওজন কোন মেশিনে মাপা সম্ভব নয়। আমার কাছে এই ব্লগটাকে মনে হয় এক পশলা বৃষ্টি। বুবুর অবস্থা মেইলে জানিও।
জানা আপার পোস্ট দেখে ভীষণ খুশি হয়েছি। আশা করি আমাদের সবার ভালোবাসা দেখে আপা মানসিক শক্তি পাবেন। আল্লাহ দ্রুত আপাকে সুস্থ করে দিক।
গবেষণা করেই পোস্ট লিখতে হয়েছে। লিখতে লিখতে এক পর্যায়ে ভীষণ মর্মাহত হয়ে গিয়েছিলাম, বাকরূদ্ধ বটে। হয়তো পড়তে গেলে তুমি আমার অবস্থা অনুধাবন করতে পারবে, বিশেষ করে শেষের দিকে। পোস্টটা তুমি ভাবীকে দেখাতে পারো সামনের ২৮ তারিখের জন্য।
ভুয়া ভাই বুঝি পুরান ঢাকার চাপাবাজ পাবলিক। কারে কেমনে কি বুঝ দেয়া লাগবে তাই চেষ্টা করে। তবে লাভ নাই আমিও কিন্তু পুরান ঢাকারই।
মজার কথা আমার পোস্টের পর দু চার খান পোস্ট দেখলাম আমার লেখা থেকে তথ্য নিয়ে করা হয়েছে।
অবশ্যই পুরো পোস্ট পড়ে সময় নিয়ে মন্তব্য করবে। তোমাদের মন্তব্য দেখলে ভালো লাগে। নয়তো গালি জোটে কপালে ।
১১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৬:৪৪
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
"যিনি নেতা হবেন এবং নারীদের সংস্পর্শে যাবেন না, তিনি অত্যন্ত সৎ কর্মশীল নবী হবেন"। [সূরা আলে-ইমরান: 39]
এখানে আল্লাহ জোড় ভেঙ্গে বেজোড় বা বহুগামি হতে বলে নি বরং সৎ হতে বলেছেন।
কিন্তু উল্টোটা হলো। অর্থ আর ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার পর কিতাবের নির্দেশ ভংগ করে অসৎ ভাবে বহুগামী ..
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৯
আরোগ্য বলেছেন: যে আয়াতের উল্লেখ পোস্টে করিনি সেই আয়াতের পিছনে পড়ে আছেন। এই জোর বিজোড় এর ব্যাখ্যা হিসেবে তিন জনের ভিডিও লিংকও দিলাম, দয়া করে সেগুলো দেখে নিবেন। আর আপনার এতো সমস্যা কেন বহুবিবাহ নিয়ে, বহু ইটিশ পিটিশ নিয়ে তো তথাকথিত সেকুলাররা মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকে। মর্যাদার সহিত সামাজিক স্বীকৃতি স্বরুপ একাধিক বিয়ে করলেই খালি গাত্রদাহন হয়। পাত্রীর সমস্যা নাই, পাত্রীর বাপের সমস্যা নাই, যত মাথা ব্যথা পাড়ার লোকের, যত্তসব।
এসব জোড় বিজোড় নিয়ে আশা করি আর মন্তব্য করবেন না।
১২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৩৬
করুণাধারা বলেছেন: তথ্যপূর্ণ পরিশ্রম সাধ্য পোস্ট। তবে আকারে এত বড় যে একবারে পড়ে উঠতে পারিনি।
জীবন সুন্দর আর শান্তির করে গড়ে তুলতে যোগ্য জীবনসঙ্গীর ভূমিকা অপরিসীম। সেজন্য অনেক যাচাই-বাছাই করে জীবনসঙ্গী নির্বাচন করা দরকার।
তবে পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, দীর্ঘকালীন জীবনসঙ্গীর প্রয়োজন ফুরিয়েছে। আজকাল কেউ খুব ভাবনা চিন্তা করে জীবনসঙ্গী নির্বাচন করে না।
পোস্টের একবারে শেষে যে কথাটি বলা আছে, তার ভাবানুবাদ সম্ভবত এমন হবে: একজন স্বামী তার স্ত্রীকে বলছে, "আকাশ ও সমুদ্র সৃষ্টির ৫০,০০০ বছর আগেই আল্লাহ তোমার নামের পাশে আমার নাম লিখে রেখেছেন।"
এমন কিছু কুরআনে নেই। তাহলে আল্লাহর কাজ নিয়ে এমন একটা উক্তি এলো কোথা থেকে? আল্লাহ তা বলেননি বা করেননি সেটা বলেছেন বা করেছেন এমন বানিয়ে বলা ঠিক নয় বলে আমি মনে করি।
পোস্টের বাকি অংশে++++
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:১৭
আরোগ্য বলেছেন: আপা আসলে অনেক বেশি ছবি যুক্ত করেছি তো তাই পোস্টের আকার বেশ লম্বা দেখাচ্ছে।
জীবন সুন্দর আর শান্তির করে গড়ে তুলতে যোগ্য জীবনসঙ্গীর ভূমিকা অপরিসীম। সহমত আপা। সঠিক বলেছেন।
আপা আমি আমার পোস্টের তথ্য ও ছবিগুলো খুব দেখেশুনে বাছাই করি। যে ছবিটার কথা বলেছেন এটা আমার খুব পছন্দের। যথাসম্ভব রেফারেন্স চেক করি আমি পোস্ট করার চেষ্টা করি। আপা ছবিটা নিয়ে আপনার প্রশ্নের উত্তর এই লিংকে পাবেন।
অনেক ধন্যবাদ আপা সময় করে পোস্ট পড়ার জন্য। লাইক ও মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম।
১৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৩২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বিবাহ নিয়া বিশাল পোষ্ট!!
যদিও আপনে খালি সঙ্গিনীর উপ্রে ফোকাস করছেন, তবুও একটা বিয়া টিক্কা থাকনের পূর্বশর্তই হইলো সঙ্গী-সঙ্গিনীর একের অন্যের প্রতি কমিটমেন্ট, স্যাক্রিফাইস আর বিশ্বাসযোগ্যতা। আপনে যেইসব বিষয় নিয়া আলোচনা করছেন সেইসব আসলে খালি কিতাবেই আছে, বাস্তবে নাই। না, ভুল কইলাম, বাস্তবে আছে...........যেমন আমি। আমার মতো সঙ্গী পাওন যাইবো বিলিয়নে একটা।
আসলে এই যুগে সত্যিকারের ভালো সঙ্গিনী পাওয়া আর লটারীতে প্রথম প্রাইজ পাওয়া সমান কথা।
আপনে যে কইলেন, পুরুষরে তৈরী করা হইছে নেতৃত্ব দেওনের জন্য, আর নারীরে অনুসরণের জন্য........এইটা পছন্দ হইছে।
কিন্তু সমস্যা হইলো, আধুনিক নারীরা এইটা এক্কেবারেই মানে না, আপনের ভাবীও মানতে চায় না। তারা খালি সম-অধিকারের কথা কয়। যেইসব নারীরা ধার্মিক (যেমন আমার বউ), তারা সরাসরি কইতে পারে না কিন্তু আকারে ইঙ্গিতে কয় যে আল্লাহ পুরুষগো সুপিরিয়র বানায়া ডিসক্রিমিনেশান করছে। তখন আমি বুঝাই, ছাগলে যদি কয় যে আমারে বাঘের মতোন শৌর্য-বীর্য না দিয়া আল্লায় ডিসক্রিমিনেশান করছে তাইলে হইবো? মহান আল্লাহ কিয়ের লাইগা কি করছেন, সেইটা উনিই ভালো জানেন। দুইন্নার সবাইরে সমান বানাইলে তো সৃষ্টির কোন ডায়নামিজমই থাকে না। আর আল্লাহর সৃষ্টির ডায়নামিক হওয়াটাই তো আসল কারিশমা........তখন আর প্রতিবাদ করে না, তয় চেহারা দেইখা বুঝি পুরা মাইনাও নেয় না। আরো কিছু কইবার চায়!!!
যাউকগ্যা, ১০ নং মন্তব্যে দেখলাম পদাতিক চৌধুরি প্যাচ লাগানোর চেষ্টা করতাছে!!! আর সেই ফাদে পইড়া আপনে......ভুয়া ভাই বুঝি পুরান ঢাকার চাপাবাজ পাবলিক। কারে কেমনে কি বুঝ দেয়া লাগবে তাই চেষ্টা করে। তবে লাভ নাই আমিও কিন্তু পুরান ঢাকারই। এই মন্তব্য কইরা ফালাইলেন!! আমি যা কই, বুইঝাই কই। ব্যাখ্যা করি।
এই পোষ্ট দুই পর্বের হইলে কোন অসুবিধা আছিল না। সবাই পড়তে পারতো, আগের পর্বের সাথে রিলেইটও করবার পারতো। আর হ্যার গল্প কয় পর্বের হইবো হ্যায় নিজেই জানে না। এই মাল পইড়া কোন লাভ আছে? তার সব পাঠকই একটা পর্ব দিলে আগের পর্বে কি পড়ছে মনে করবার পারে না। এমনই তার পোষ্টের কারিশমা। কোন ধারাবাহিক গল্প বা উপন্যাস কি হ্যায় আইজ পর্যন্ত শ্যাষ করবার পারছে? হ্যারে জিগান!!!
১১ ই মে, ২০২৪ রাত ২:৩৮
আরোগ্য বলেছেন: ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪১
লেখক বলেছেন: আইসেন তাইলে তাও এই পঁচা গরমে, আমগো এদিক ৪০ ডিগ্রী, পুরান ঢাকা তো বুঝবারই পারেন। কোন দিক দিয়া হাওয়া আইবো আর কোন দিক যাইবো কোন কায়দা নাই। গাছপালা তো খালি এহন ইউটিউবে দেহন যায়। যাও কেলাসে গেলে ভার্সিটি এলাকায় সতেজ হাওয়া পাইতাম তাও আজিরা ঢং ধরসে অনলাইনে কেলাস কইরা দিসে। অভিযোজন ক্ষমতা কমায়া পোলাপানরে কুয়ার ব্যাঙ বানাইবো।
কমিটমেন্ট, স্যাক্রিফাইস, বিশ্বাসযোগ্যতা কত কঠিন কঠিন শব্দ লেখসেন। এটিও কি এহন বাস্তবে দেহা যায় কন দেহি। আমি আনাড়ি মানুষ তাও মানুষরে নিজ নিজ কর্তব্য একটুহানি মনে করায়া দিলাম। আপনে নিজের ঢোল নিজে পিটাইলে কি হইবো ভাবীর তে সার্টিফিকেট না পাইলে পুরাই ফেল।
লটারির প্রথম প্রাইজটা আগে পাই তারপর নাইলে দুজন মিলা আবার নতুন কইরা পোস্ট দিমু, এটা ভালা বুদ্ধি।
আপনে যে কইলেন, পুরুষরে তৈরী করা হইছে নেতৃত্ব দেওনের জন্য, আর নারীরে অনুসরণের জন্য........এইটা পছন্দ হইছে। আপনে আমারে কেস খাওয়াইতে চান কেলা, এটা আমি কই কইলাম এটা তো কোরআনের কথা। কেউর না পছন্দ হইলে আমার কিচ্ছু করণের নাইক্কা।
বেশিরভাগ মহিলাগো বুদ্ধি একটু কম থাকে তাই সুপেরিয়রিটি নিয়া মাথা ঘামায়। পুরুষ রাজ্য চালায় ঠিকই কিন্তু একটা পুরুষরে মূলত মহিলাই চালায়, এইটা ভাবী বুঝলে আর মন খারাপ করবো না।
পদাতিক ভাইয়ের পোস্টের কথা আর কি কমু। শরমে আমি নতুন পোস্টে যাইতাসিনা, পুরানা কাহিনি ঠিকমত মনে করতে অইলে ব্রেইনে চাপ দেওন লাগবো। এই গরমে কি করুম কন।
আর আমার পোস্ট দুই পর্বে দিলো দুই পর্বে গালি খাওন লাগতো, এত কষ্ট কইরা লেইখা গালির বর্ষন কেমনে হজম করি।।। আল্লাহ বাচাইসে আপনের ভারতীয় পোস্টে আমি দেরিতে মন্তব্য করসি নাইলে ওদিকও গালি জুটতো।
( আগের মন্তব্য থেইকা দুইটা লাইন সরাইতে অইসে তাই আবার কপি পেস্ট মাইরা দিলাম)
১৪| ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৩:৪৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বেশ পরিশ্রমী মুল্যবান কথা ও তথ্য সম্বলিত পোষ্ট ।
জীবনসঙ্গী পুরুষ ও নারী সম্পর্কে সুন্দর করে বলেছেন;
নারী ও পুরুষ একদমই ভিন্ন ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন দুটি সত্তা এবং তাদের বৈশিষ্ট্যও ভিন্ন।
উভয়ের সৃষ্টি প্রক্রিয়া থেকে তা আরো সুস্পষ্ট হয়। প্রথম সৃষ্ট মানবই একজন পুরুষ।
পৃথিবীতে প্রতিনিধিত্ব করার জন্যই পুরুষের সৃষ্টি হয়। তার দেহাবয়ব, অভ্যন্তরীণ
গঠন প্রক্রিয়া, স্মৃতিশক্তি, বুদ্ধিমত্তা, মনমেজাজ নারীদের চেয়ে ভিন্ন। আর নারী হচ্ছে
স্রষ্টার সবচেয়ে সুন্দর সৃষ্টি। একজন পুরুষের জীবনে পূর্ণতা এনে দেয় একজন নারী,
তেমনি একজন পুরুষ একটি মেয়েকে নারীতে রূপান্তর করতে বিশেষ ভুমিকা রাখে।
কোরআন হতে সংস্লিষ্ট আয়াত , হাদিস হতে প্রাসঙ্গিক কথামালা ও বিশিষ্ট ইসলামী
ব্যক্তিত্ব যথা মুফতি তাকী ওসমানীর মুল্যবান উদ্ধৃতি পোষ্টটিকে বেশ সমৃদ্ধ করেছে।
পোষ্টি ১ পর্বে দেয়াতেই অনেক মুল্যবান কথা একবারের প্রচেষ্টা্তেই পড়া সহজ
হয়েছে । পোষ্টটি প্রিয়তে নিয়ে গেলাম , বিশেষভাবে পড়ার মত বিষয়গুলি পরে
সময় হাতে নিয়ে ধীরে সুস্থে পাঠ করব বলে ।
শুভেচ্চা রইল
০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:১৯
আরোগ্য বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ স্যার আমার পোস্টে আসার জন্য। আমার পরিশ্রম ও তথ্য মূল্যায়ণ করে পোস্টটি লাইক করে প্রিয়তে রাখার জন্য বিশেষ করে কৃতজ্ঞতা রইলো। এতে বেশ অনুপ্রানিত হয়েছি।
যদিও আমি পোস্টে নারীবিদ্বেষী বা নারীবাদী কোন মন্তব্য করিনি তবুও অনেকেই না পড়ে অবান্তর মন্তব্য রেখেছে। ধর্ম ও সাহিত্যের আলোকে আমি আমার তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আসলে সেটা মুফতি তাকি উসমানীর ঊদ্ধৃতি নয়, মূলত কোরআনের আয়াতের অর্থ উল্লেখ করার সময় আমি অনেকগুলো অনুবাদ দেখি যখন যার অনুবাদটি আরবির অধিক কাছাকাছি মনে হয় তখন সেটাই উল্লেখ করি এবং নিচে অনুবাদের সোর্স উল্লেখ করে দেই।
আমি গল্প ব্যতিত পর্বাকারে পোস্ট তেমন পছন্দ করি না তাই চেষ্টা করি যতটা সম্ভব প্রয়োজনীয় কথায় এক পর্বে পোস্ট শেষ করার।
আপনার শুভেচ্ছা সাদরে গৃহীত হলো।
১৫| ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৩:৪৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
কোন লেখার বিশেষ করে প্যার শুরুর সময় সাধারণত চ্যাপ্টার ও শাখা বুজানোর জন্য সাধারণত একটি
গানিতিক নিয়ম যথা ২.১৮৭ ব্যবহৃত হয় । অন্যদিকে সাধারণত কোরআনের আয়াত লেখার পরে
গণিতিক নিয়ম যথা ২:১৮৭ লেখা হয়, এমনটি দেখেই অভ্যস্ত বলে লেখার শুরুতে গণিতিক সংখ্যা
যথা ২:১৮৭ দিয়ে শুরু করে লেখাটির শেষে তাকি উসমানির নাম থাকায় অমার ভুল হয়ে গেছে ।
তাই লেখাটিকে তাকি উসমানির উদ্ধৃতি ভেবেছি । কারণ তাকি উসমানি কুরআন, হাদিস, ইসলামি আইন,
ইসলামি অর্থনীতি ও তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের একজন নেতৃস্থানীয় পণ্ডিত হিসাবে ইসলামী বিশ্বে সুপরিচিত ।
তিনি তাঁর নীজদেশ সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইসলামী সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্টিত থেকে বিবিধভাবে
ইসলামী বিষয়ের চর্চা ও সমাজ , দেশ ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে গ্রহণযোগ্যতা ও তার বাস্তব প্রয়োগে
গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রেখেছেন। উর্দু, আরবী ও ইংরেজিতে লেখা প্রায় দের শতাতিক মুল্যবান ইসলামি
পুস্তকাদি ইসলামী জ্ঞানভান্ডারে বিশাল ঐশ্বর্য যুক্ত করেছে । তাঁর প্রতি রইল শ্রদ্ধা ।
এখানে উল্লেখ্য অগনিত তাফসির কারক একই রকম বাংলা আনুবাদ করায় অনুবাদের শেষে তাদের নাম
দেয়া না হলেও কোন সমস্যা নেই । শুধু বুঝানোর সুবিধার জন্য মুল আরবির পাশে বাংলা আনুবাদ দিলে
কোন অসুবিধা নেই । আজকের যুগের ইন্টারনেট সুবিধার কারণে কারো মনে অনুবাদ নিয়ে কোন মতানৈক্য
থাকে তাহলে লেখাটি অনলাইনে সামুতে পাঠের সময়েই খুব সহজেই ইন্টারনেটে যাচাই করে নিতে পাবেন ।
অনুবাদের কথা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোন পাঠককে কোন বিরোপ মন্তব্য বা মতানৈক্য করতে দেখা যায় না ।
তবে যারা সমালোচনা করেন তারা কোরআনের আয়াতটি কিংবা পারলে পুরা কোরআন নিয়েই অবিশ্বাস ও
সমালোচনা করেন ।
যাহোক, লেখায় উদ্ধৃত কোরআনের আয়াতের সাথে আয়াতটির মুল আরবী অংশটুকু যুক্ত করে দেয়া হলে
আল্লাহতে বিশ্বাসী মুসলমানগন যারা আরবী পড়তে জানেন তারা এটি পাঠের সময় প্রতি অক্ষর পাঠে ১০ টি
নেকি অর্জন করতে পারবেন , সামুতে বিচরণ করে লেখাটি পাঠের সময় তাঁরা একসাথে জ্ঞান ও নেকি
অর্জন করতে পারবেন । অনেকের কাছে এটা বিরোক্তিকর হলেও বিশ্বাসীদের জন্য তা অনেক কল্যান
জনক । আমি আমার লেখাতে উদ্ধৃত কোরআনের আয়াতের মুল আরবী অংশ তুলে ধরি । অবশ্য আপনার
পোষ্টেও একটি আয়াত যথা সুরা আল ফুরকানের ৭৪ নং আয়াতের অংশ বিশেষ আবরীতে লেখা হযেছে ,
বিষয়টি আমার কাছে খুব ভাল লেগেছে , আরবীতে পাঠে অনেক নেকি হাছিল হয়েছে বলে বিশ্বাস রাখি ,
অবশ্য কুরআন ও হাদিস নিয়ে যে কোন মুল্যবান লেখা বিশ্বাস নিয়ে পাঠের মধ্যেও অনেক পূণ্য রয়েছে।
هُنَّ لِبَاسٌ لَّکُمۡ وَ اَنۡتُمۡ لِبَاسٌ لَّهُنَّ ( সুরা বাকারা আয়াত ১৮৭ এর অংশ বিশেষ )
অর্থঃ তারা তোমাদের জন্য পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের জন্য পরিচ্ছদ ( সুরা বাকারা , অয়াত ১৮৭ এর
অংশ বিশেষ ) অনুবাদসুত্রঃ আল বায়ান (আল-বায়ান ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক অনূদিত পবিত্র
আল-কুরআনুল কারীম সরল অর্থানুবাদ)
তারা তোমাদের আচ্ছাদন আর তোমরা তাদের আচ্ছাদন( অনুবাদঃ তাইসিরুল কুরানঃ অনুবাদক
অধ্যাপক মোহাম্মাদ মোজাম্মেল )
তারা তোমাদের জন্য এবং তোমরা তাদের জন্য আবরণ( অনুবাদঃ মুজীবুর রাহমান। মুহাম্মাদ মুজীবুর
রাহমান তাফসীর ইবনে কাসীর , বাংলায় অনুবাদ সম্পন্ন করেন। এখন ইন্টারনেটে
থাকা অনেক তাফসিরেই দেখা যায় লেখা থাকে শুধু মজিবর রাহমান এর নাম )
যাহোক, আপনার লেখাটি হতে কোরআনের আয়াতের রেফারেন্স দেয়ার স্টাইল হতে আমি আরো বেশী
সচেতন হওয়ার দিশা পেলাম, যাতে কোন ভুলের মধ্যে পতিত না হই । বিষয়টি প্রতিমন্তব্যে অবহিত করার
জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল
০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৮:১০
আরোগ্য বলেছেন: পুনরায় মন্তব্যে আসার জন্য আবারও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আসলে বিষয়টি আমার জানা ছিল না যে, কোরআনের আয়াত সংখ্যা সব সময় পরে লিখা হয়। আপনার মন্তব্যের ফলে আমি এ বিষয়ে জ্ঞাত হয়ে ভুল সংশোধন করার সুযোগ পেয়েছি, সেই সাথে অনুবাদকের পাশে অনুবাদ কথাটি উল্লেখ করে দিয়েছি। আশা করি এবার কেউ পড়লে বিভ্রান্ত হবে না। অনেক কৃতজ্ঞতা রইলো স্যার।
মূলত আমরা যারা সাহিত্যের স্টুডেন্ট তারা এ বিষয়ে খুব অবগত যে, সমার্থক শব্দ হলেও শব্দের ওজন ও মাহাত্ম্য কিঞ্চিৎ পরিমাণ হলেও ভিন্নতা বহন করে , কোরআনের অনুবাদের বেলায় তো আরও সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। তাই তুলনামূলক বিশ্লেষণ করেই অনুবাদ সোর্সসহ উল্লেখ করেছি, যাতে শব্দ নিয়ে পাঠকদের মাঝে দ্বিধা সৃষ্টি না হয়।
শুধু এ পোস্টের বেলায়ই আমি আরবি আয়াত উল্লেখ করিনি। আপনি আমার " আরবি ভাষা : কোরআনের বুলি " নামক পোস্টে হয়তো খেয়াল করে থাকবেন আমি আরবির পাশাপাশি ইংরেজি ও বাংলা অনুবাদও দিয়ে দেই। " হতাশা " নামক পোস্টে একটি আয়াত শব্দ ধরে ধরে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি। আবার " মুখবন্ধ " নামক পোস্টেও প্রতি আয়াতের ব্যাখ্যায় আয়াতের আরবি সহ ইংরেজি বাংলা অনুবাদ দিয়েছি। যেহেতু এতে পোস্ট দেখতে অনেক বেশি লম্বা দেখায় তাই এই পোস্টে শুধু বাংলা অনুবাদ দিয়েই শেষ করেছি। কিন্তু আপনার পরামর্শটি আমার পছন্দ হয়েছে। পরবর্তীতে পোস্টের সাইজের দিকে লক্ষ্য না করে ইনশাআল্লাহ আরবি আয়াত দিবো এতে অনেকে নেকি হাসিল করতে পারবে এবং আমিও কিছুটা হলেও সদাকায়ে জারিয়ার সওয়াব পাবো ইনশাআল্লাহ ।
অনেক কৃতজ্ঞতা রইলো স্যার।
১৬| ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:১০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আরোগ্য! গতকাল আপনি ডঃ আলী ভাইয়ের লেখায় আমাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সেখানে আমার নাম মেনশন করাতেই আপনার ব্লগে ঢু দিতে এলাম। হ্যাঁ পুরোটাই আমার অনিয়মিত ব্লগিং চর্চার ফলফল যে আলী ভাই এবং আপনার এই পোষ্ট সব ই আমার চোখ এড়িয়ে গেছে।
ধন্যবাদ আপনাকে সুলিখিত এই লেখাটা পড়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য।
শুভ কামনা অবিরাম।
০৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৩
আরোগ্য বলেছেন: যাক ভালোই হলো মনিরা আপার উছিলায় আমি স্যারের মূল্যবান পোস্টের সন্ধান পেলাম আবার স্যারের পোস্টের সুবাদে আমার পোস্টে আপার আগমন ঘটলো, আলহামদুলিল্লাহ।
এখন চেষ্টা করি একটু পরিশ্রম করে গবেষণাধর্মী পোস্ট করার যার ফলে পোস্টের সাইজ বড় হয়ে যায়। তাই পাঠক সমাগম কম হয়। তবে আক্ষেপ নেই। আপনাদের মত ২/৪ জনের কাছেও যদি লেখাটি মনপুত হয় তাতেই আমি অনুপ্রাণিত হই।
আপনার কাছে পোস্ট সুলিখিত লেগেছে জেনে ভীষণ খুশি হলাম। ধন্যবাদ মনিরা আপা।
১৭| ২৪ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে লিখেছেন। প্রথম দু'তিনটি অনুচ্ছেদ পড়েই মুগ্ধ হ'লাম। পরেরগুলো পড়তে শীঘ্রই আবার এ পোস্টে আসবো, ইন শা আল্লাহ।
২৫ শে মে, ২০২৪ রাত ১:৩২
আরোগ্য বলেছেন: গতানুগতিক অভ্যাসমত সামুতে চোখ বুলাতে এসেছিলাম। স্যারের মন্তব্য সাম্প্রতিক মন্তব্যের ঘরে দেখে লগইন করতে বাধ্য হলাম। আগামীকাল ও সোমবার পরীক্ষা আছে তাই এটাতেই কেবল প্রতিমন্তব্য রাখছি।
আপনার মুগ্ধতা আমার অনেক বড় প্রাপ্তি। আশা করি পুরোটা পড়ার পর বিস্তারিত মন্তব্য পাবো। লাইক করায় ভীষণ খুশি হলাম। ইনশাআল্লাহ পরীক্ষার পর পরের মন্তব্যে উত্তর দিবো।
১৮| ২৪ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩০
খায়রুল আহসান বলেছেন: পবিত্র ক্বুর'আন এর উদ্ধৃতিসহ জীবনসঙ্গীদের একে অপরের বিভিন্ন প্রকারের "চাহিদা পূরণ" সংক্রান্ত আলোচনা ভালো লেগেছে। আপাততঃ প্রথমটা মন দিয়ে পড়লাম, অন্যগুলোর উপর চোখ বুলিয়েছি। পড়ে এসে সেগুলোও ভালোভাবে পড়বো।
০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ১:১৪
আরোগ্য বলেছেন: দুঃখিত দেরিতে উত্তর দেয়ার জন্য। গতকালই পরীক্ষা শেষ হয়েছে। আশা ছিলো ইতোমধ্যে আপনার পূর্ণাঙ্গ মন্তব্য পাবো।
একজন মুসলিম হিসাবে আমি পোস্টে কুরআনের আয়াত দিয়ে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করি। সেই সাথে আরো এনালিটিকাল লিংকও যোগ করেছি যাতে ইসলামবিদ্বেষী কেউ কটুক্তি করতে না পারে। কিন্তু উপরে অনেকেই না পড়ে বিরূপ মন্তব্য রেখেছে।
পোস্টে আপনার আগমন ও অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্য আমাকে উৎসাহিত করেছে। সময় পেলে অবশ্যই পুরো পোস্ট পড়ে একটি মন্তব্য করার অনুরোধ রইলো।
১৯| ০৩ রা জুন, ২০২৪ সকাল ১১:১৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: পরীক্ষা কেমন হলো?
ভালোবাসা, দয়া, মমতা ও মায়া- পারস্পরিক সুখী ও সমন্বিত দাম্পত্য জীবনের জন্য এসব অনুভূতি ও গুণাবলী স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের অন্তরে পোষণ এবং আচরণে প্রকাশ করা অপরিহার্য। তাহলে তারা একে অপরকে দর্শনমাত্র মানসিক প্রশান্তি অনুভব করবে। এ চারটি গুণাবলী তাদের মানসিক চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট, এবং মানসিক চাহিদা পূরণ হলে তা শারীরিক চাহিদা পূরণেও সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।
০৪ ঠা জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৭
আরোগ্য বলেছেন: জ্বি স্যার আলহামদুলিল্লাহ পরীক্ষা ভালো হয়েছে। ঠিক এক মাস পর ফাইনাল পরীক্ষা, দোয়া করবেন।
তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। মানসিক চাহিদার অনুচ্ছেদে সুরা রুম এর ২১ নং আয়াতটি উল্লেখ করেছি। এখানে আল্লাহ যে ভালোবাসা ও দয়ার পরিপ্রেক্ষিতে যে দুটি শব্দ ব্যবহার করেছেন সেগুলো হচ্ছে مودة و رحمة ( মাওদ্দাহ্ এবং রাহমাহ্)। এ শব্দ দুটি ব্যাখ্যা করলে ভালোবাসা, দয়া, মায়া, মমতা সবকটি অনুভূতি সম্ভবত এসে পড়ে। অনুবাদে কোরআনের নিগুঢ় অর্থ তুলে ধরা যায় না আর যেহেতু এ পোস্টে আয়াতগুলো কেবল রেফারেন্সের জন্য দিয়েছি তাই শব্দের বিস্তারিত আলোচনায় যায়নি।
আপনার এই মন্তব্যটি আমার চিন্তার খোরাক জোগান দিয়েছে। কিন্তু সময় আর জ্ঞান দুটোরই স্বল্পতার জন্য আমি আরো নিগূঢ়ভাবে জানার সুযোগ করতে পারছি না। ইনশাআল্লাহ চেষ্টা করবো সময় করে।
অনেক ধন্যবাদ পুনরায় আগমনের জন্য। জাযাকাল্লাহ খাইরান।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৪১
কামাল১৮ বলেছেন: প্রথম বাক্যটির ধারনা ভুল।তাই বাকিটুকু আর পড়া হয় নাই।