![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবী আজ তার বার্ধক্যে এসে পড়েছে, শৈশব পেড়িয়ে যৌবন ও সে হারিয়েছে, তাই বৃথা আনন্দ করো না, ক্ষণিকের সময় হাতে, নশ্বর এ পৃথিবী যেন মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে। সে মৃত্যু আসার আগে আজ তীর্থে ভ্রমণ করো, পবিত্র জলে হে পৃথিবী তুমি অবগাহন করো। ধুয়ে ফেলো তোমার গায়ের শত কালিমা, সাজিয়ে নাও বিদায়ের আগে আবার আঙিনা।
[বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ এই পোস্টে কোন দলিল প্রমাণ যুক্ত করা হয় নি। লেখাটি বিশেষ করে চিন্তাশীল অবগত মুমিন মুসলমানদের জন্য যারা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পূর্ব থেকেই ওয়াকিবহাল। অনুগ্রহ করে ইসলামবিদ্বেষীরা পোস্টে এসে অযথা মন্তব্য করে নিজের ও অপরের সময় নষ্ট করবেন না। সচেতন থাকার জন্য অগ্রিম ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। ]
আমরা সবাই জানি, ইসলাম ধর্মে মূল স্তম্ভ পাঁচটি। ঈমান, সালাত, সাওম, যাকাত ও হজ্জ। আপনি প্রকৃত মুমিন নাকি মুনাফিক তার নির্ভর করছে আপনার ঈমানের উপর। আল্লাহ তায়ালার উপর পূর্ণ বিশ্বাসস্থাপনের পাশাপাশি নবী রাসূল, ফেরেশতা, আসমানী কিতাব, শেষ বিচার দিবস, তকদিরের ভালোমন্দ, পুনরুত্থান ইত্যাদি বিষয়ে পূর্ণ বিশ্বাস রাখা ঈমানের অন্তর্ভুক্ত। এ বিশ্বাস পুরোপুরি মনস্তাত্ত্বিক বিষয় যা আপনার আচার-আচরণ ও কাজকর্মের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। শরীয়তের অনেক হুকুম আমরা নিজেদের দুর্বলতার হেতু পালন করতে পারি না কিন্তু তা অস্বীকার করা ঈমান বহির্ভূত কাজ।
দ্বিতীয় স্তম্ভ সালাত। দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের ডাকে সাড়া দেওয়ার মাধ্যমে এটাই প্রকাশ পায় যে, জীবনে যে কোন কিছুর ঊর্ধ্বে আল্লাহর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা। সালাত হচ্ছে আল্লাহর সাথে বান্দার যোগাযোগ স্থাপন । আমরা যদি সালাতকে অনুধাবন করতে পারি তাহলে জীবনে আমূল পরিবর্তন ঘটা সম্ভব।
তৃতীয় স্তম্ভ সাওম، যার আক্ষরিক অর্থ বিরত থাকা। পূর্ণ এক মাস সাওম আমাদের আল্লাহর হুকুম পালনের জন্য বৈধ জিনিস থেকে বিরত থাকতে অভস্ত্য করে। যে অভ্যাস আমাদের হারাম থেকে কিভাবে বিরত থাকতে হয় তার শিক্ষা দেয়।
চতুর্থ স্তম্ভ যাকাত যা ইসলামী অর্থনীতিকে গতিশীল রাখে। যথাযথভাবে যাকাত আদায় করলে সম্পদ এক শ্রেণির লোকের নিকট কুক্ষিগত থাকে না বরং সর্বস্তরের মানুষের নিকট ঘুরতে থাকে। যাকাত আমাদের অন্তরের কৃপণতা দুর করে এবং সেই সাথে এটাও বুঝায় সম্পদের মালিক একমাত্র আল্লাহ, তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে সম্পদের মালিকানা দান করেন।
পঞ্চম স্তম্ভ হজ্জ, যার মাহাত্ম্য ও তাৎপর্য নিজস্ব অভিজ্ঞতা লাভের মাধ্যমে অর্জিত হয়। হজ্জ আমাদের শিক্ষা দেয়, শক্তি সামর্থ্য থাকলে আল্লাহর হুকুম পালনের জন্য আমরা পরিবার পরিজন ধন সম্পদ এমনকি নিজ মাতৃভূমি ছেড়ে হাজার কিলোমিটার পথ পারি দিতে প্রস্তুত।
স্তম্ভগুলোকে যদি আমরা সংখ্যার মাধ্যমে প্রকাশ করি তবে ঈমানের সংখ্যা হবে ১ আর বাকিগুলোর সংখ্যা হবে ০। প্রতিটি স্তম্ভের সাথে ঈমাণ জড়িত অর্থাৎ ১০। কিন্তু যদি ঈমান না থাকে তাহলে বাকিগুলোর মান কেবল ০। হাদিসে আছে, শেষ জমানায় ঈমাণ ধরে রাখা ততটাই কঠিন, যতটা কঠিন জলন্ত অঙ্গার হাতে নিয়ে রাখা। জুম্মার নামাজে মসজিদে জায়গা হয় না, রাস্তায় মুসুল্লিদের নামাজ পড়তে দেখা যায়। কিন্তু অন্য ওয়াক্তে মসজিদ পুরো ফাঁকা থাকে। আবার মসজিদ থেকে বের হয়েই চায়ের দোকানে সিগারেট হাতে দেখা যায় অথচ গায়ে প্রচলিত ইসলামি লেবাস, মুখে দাঁড়ি। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর মানুষ যখন হালাল হারাম তোয়াক্কা না করে লাল পানি পানাহার করে, রঙ্গমঞ্চে ফুর্তি করে চানরাত উদযাপন করে তখন সিয়ামের খাতায় কেবল শূন্য ছাড়া আর কি থাকতে পারে? ঢাক ঢোল পিটিয়ে গণহারে যাকাতের টাকায় শাড়ি লুঙ্গি বিতরণ করা বিত্তশালী লোকটির কাছে যখন কেউ গোপনে সাহায্য প্রার্থনা করে কিংবা বিপদে পড়ে ধার চেয়ে বসে তখন তার হৃষ্টপুষ্ট উজ্জ্বল মুখাবরণ মলিন হয়ে যায়। বখিলতা তার অন্তরকে গ্রাস করে এবং সে ভুলে যায় সম্পদের প্রকৃত মালিকের কথা। কয়েকবার হজ্জ করে আসা নামের পাশে আলহাজ্ব উপাধি লাগানো ধবধবে সাদা জুব্বা পরিহিত লোকটা যখন অন্যয়ভাবে অপরের সম্পদ আত্মসাৎ করে, নিজের পরিবারকে পাশ্চাত্যের আদর্শে গড়ে ধর্মের বুলি আওড়ায় তখন এ ধরনের ধর্ম ব্যবসায়ীদের জন্য সমাজে অজ্ঞ লোকদের চোখে ইসলাম দোষী হয়। ঈমান তাহলে কোথায়???
ঈমান আসলে কোথায়!!! আমার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, ঈমান প্রকৃত পক্ষে সবর আর শোকরের মাঝে নিহিত। গোটা জীবনটাই পরীক্ষায় পরিপূর্ণ। অনেক সময় জীবনে এমন কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয় যা মানুষের ঈমানকে নাড়া দিয়ে দেয় যেমন তীব্র ভূমিকম্পে পাহাড়সম অট্টালিকা নড়েচড়ে উঠে। আল্লাহ নেয়ামত দান করে যেমন পরীক্ষা করেন তেমনি নেয়ামত থেকে বঞ্চিত করেও বান্দার প্রতিক্রিয়া দেখেন। এমতাবস্থায় সবর ধারণ করাই একমাত্র সমাধান, পরিস্থিতি কোনভাবে বোধগম্য নয় তবুও আল্লাহর ফয়সালায় শোকর জ্ঞাপন করাই ঈমান।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে সর্বাবস্থায় সবর ও শোকর করার তৌফিক দান করুক এবং ঈমানের সাথে কবুল করুক। আমীন ! ! !
০৪ ঠা জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৩৭
আরোগ্য বলেছেন: আপনি তো ধৈর্যের উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
২| ০৪ ঠা জুন, ২০২৫ সকাল ৯:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: ইমান আল্লাহ প্রদত্ত। যাদের ইমান নেই আল্লাহ তাদের ইমান দেননি।
০৪ ঠা জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৩৮
আরোগ্য বলেছেন: ওকে।
৩| ০৪ ঠা জুন, ২০২৫ সকাল ৯:৪১
ফ্রেটবোর্ড বলেছেন: ইসলামকে তার নিজের মতো চলতে দেয়া উচিৎ। আপনার আবেগ দিয়ে ইসলাম বোঝাতে/বুঝতে হলে সেখানে আর ইসলাম থাকবে না (1+0=10)
০৪ ঠা জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৩৮
আরোগ্য বলেছেন: ধন্যবাদ ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য, সংশোধন করে দিয়েছি।
৪| ০৪ ঠা জুন, ২০২৫ দুপুর ২:১০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভালো কইরা পড়ি আগে, তারপরে আসতেছি। দৌড়ের উপ্রে আছি!!!
০৪ ঠা জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৮
আরোগ্য বলেছেন: পোস্টের সাইজ দেখসেন, কত পিচ্চি।আহেন খাতিরজমা দৌড়ায়েন না, এ বয়সে উষ্টা খায়া হাড্ডি ভাঙলে বিপদে পড়বেন।
৫| ০৫ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: ওকে। ওকে।
০৬ ই জুন, ২০২৫ রাত ১:১৪
আরোগ্য বলেছেন:
৬| ০৫ ই জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: জানা বিষয় নিয়া লেখছেন, তয় এগুলি আমাগো বারে বারে ইয়াদ করন দরকার। পুরা দুইন্যায় মুসলমানগো যেই দূর্গতি আইজকা, তার গোড়াতেই আছে এই ঈমানের সমস্যা। আমরা জাইন্যাও বহুকিছুই পালন করি না। আমি নিজেও এর বাইরে না। এইটার কারনই হইলো ঈমানের দূর্বলতা। আর আমরা যারা পশ্চিমা দুইন্যায় থাকি, আমরা আছি ব্যাপক সমস্যায়। ঘর থিকা বাইর হইলেই ঈমান আরো দূর্বল হয়া যায়। কি করমু, বুঝি না!!!
শীতকালের অপেক্ষায় থাকি। যতো সমস্যা সামারে!!!!
যাউকগ্যা, আমার ওস্তাদরে লয়া একটা পোষ্ট দিছি...........দেখেন নাই মনে কয়। টাইম পাইলে উকি দিয়েন। দাওয়াত দিয়া গেলাম!!!
০৬ ই জুন, ২০২৫ রাত ১:৪১
আরোগ্য বলেছেন: পোস্টের সিংহভাগ লিখসি আম্মু বাসায় থাকতে আর অভিজ্ঞতার অংশটা লেখসি তিক্ত অভিজ্ঞতা অর্জনের পর নাইলে হয়তো লেখার সমাপ্তি অন্যকিছু হইতো। পাঁচটা পুরা পালন কইরাই বা মানুষ কত ঈমানদার হয়। ছোটকাল থেইকা হুনি আগে মানুষ আমল না করলেও ঈমান আছিল আর এহন দেহি আমলের শেষ নাই কিন্তু ঈমান ঠনঠনাঠন। ঈমান তো ভাই আমগো আসলেই দুর্বল মৃত্যু নিশ্চিত জাইনাও দুনিয়ার মিছা মোহে আটকা পইড়া যাই। ঈমানটা লয়া মরা পারলেই বাচি।
আপনের কথা হুইনা আমরা একটা ঘটনা মনে পইড়া গেলো। কয়েক বছর আগে একদিন আমার চাচাতো ভাইরে লয়া একটা রোডসাইড ফার্স্ট ফুডের দোকানে গেসি। ওই তহন গ্রামে অনার্স করতাসে ঢাকায় আসা-যাওয়া আছে। রাস্তার পরিবেশ দেইখা কইলো রমজান মাসে ঢাকায় থাকন যাইবো না।
আপনের পোস্ট দেখসি, হালকার উপ্রে চোখ বুলাইসিলাম তহনই। কিন্তু আমি এত বিমর্ষ আছিলাম যে খালি স্ক্রোলিং কইরা বাইর হয়া যাইতাম, লগইন করবার ইচ্ছা হইতো না। আপনেরে কমু কমু কয়া যহন টাইপিঙের শক্তি পাইসি তহন ওই পোস্টে মন্তব্য করসি। আমু আপনের নয়া পোস্টে একটু সময় লয়া। ফিটফাট হয়া দাওয়াত খাওন লাগে।
৭| ০৫ ই জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উপরে ভুয়া মফিজ ভাইয়ের মন্তব্য প্রণিধান যোগ্য। আমাদের মূল সমস্যা দুর্বল ইমান। দোয়া করি লন্ডনে যেন ১২ মাস শীতকাল থাকে।
আপনার পোস্টের শেষ পারায় বলেছেন যে ইমান হল সবর আর শোকর। আমাদের এই দুইটারই অভাব আছে। আমরা অল্পতেই সবরহীন হয়ে যাই এবং বিপদে পড়লে শোকর করি না। কিন্তু এই দুনিয়াটা একটা পরীক্ষার জায়গা। সেটা আমরা ভুলে যাই। এই দুনিয়াটা একটা ধোঁকা। খুব ভালো লিখেছেন।
০৬ ই জুন, ২০২৫ রাত ১:৫২
আরোগ্য বলেছেন: ইন্না-লিল্লাহ বারো মাস শীতকাল থাকলে তো নিউমোনিয়া হয়া যাইবো।
অনলাইনের যুগে মানুষের সবর ধরে রাখা এক বিশাল চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। আর শোকর জ্ঞাপন তো দুরের কথা অকৃতজ্ঞতা প্রদর্শন এক ধরনের কলা হয়ে গেছে। দুনিয়াটা পরীক্ষার জায়গা এটা আমরা কমবেশি সবাই মুখেমুখে বলি কিন্তু বাস্তবে কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হলে এর তিক্ত সত্যতা অনুভব করি। আসলে মাঝে মাঝে রিমাইন্ডার প্রয়োজন যাতে চিরতরে ভুলে না যাই।
ধন্যবাদ আপনার মতবাদ তুলে ধরার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জুন, ২০২৫ রাত ১:৫১
ফেনিক্স বলেছেন:
ইমান হচ্ছে, মানব জাতির লব্ধজ্ঞান আয়ত্ত্ব করা।