![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের লেখাপড়া করার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে বিয়ে-সাদী করা ...
ছেলেটা বড় হয়ে চাকরী করবে , ফ্ল্যাট কিনবে , সুন্দ্রী-শিক্ষিতা এবং ইসমাট একটা মেয়েকে বিয়ে করবে.....
সেজন্যই ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে দিছে ॥
ছেলের শশুড়ের ঢাকা শহরে ফ্ল্যাট বাড়ি থাকিতে হইবে ॥ আমার ছেলে ইঞ্জিনিয়ার মানুষ ! নামিদামী ভার্সিটিতে লেখাপড়া করাইছি কি স্বাধে ?
আমার ছেলে ল তে পড়ে , ডাক্তারী পড়ে .......
বউমার বাপের বাড়িত্তে একটা গাড়ি দিতে হইবে । কারণ ছেলে আমর ২ লাখ টাকা বেতনের চাকরি করে ॥ছেলের ব্যাংকে কয়েক কোটি টাকা জমা আছে । ছেলের গাড়ি আছে । খামখেয়ালি নাকি ? হুহ ...
.
মেয়ে আমার রূপবতী , গুণবতী , কিউটি , সুইটি .......
বাবা-মায়ের চিন্তা হচ্ছ মা মুনিকে মেডিক্যালে পড়াবে ॥ মেডিক্যালে পড়ালে যে মেয়েটাকে বিলেতি কিংবা আম্রিকান ছেলের হাতে তুইল্লা দেওয়া যাইবে ॥
মেয়ে ভার্সিটিতে পড়লে মেয়ের জন্য বড় বড় বিয়ের ঘর আসবে । একটা সত্পাত্রে কন্যাকে দিতে পারিলেই যে আমাদের বাবা-মায়েদের সব দুঃশ্চিন্তা দূর হইবে...
.
ছেলেটা গ্রেজুয়েশন শেষ করার পর ফেটাফেটি বেতনের একটা চাকরি করিতেছে । বহু পাত্রী দেখিয়াছে কিন্তু ছেলের সরকারি জব ছাড়া সবাই কন্যা দান করিতে অপারগ ॥ ঐসব বেসরকারি চাকরির কোনো ভ্যালু নাই ! বুড়ো হলে পেনশন পাবে না ক খ গ .......
ছেলে সরকারি জব করিলে কত রাজকইন্যার বাপেরা এই ছেলেকে জামাই করিতে চাইবে......:-|
.
আমাদের লেখাপড়া করার উদ্দেশ্য সোনার হরিণগুলোকে ছিনিয়ে আনা ॥ আমরা আত্মাকে আনন্দ দিতে লেখাপড়া করি না । আমরা চাকরি-বাকরি, বাড়ি -গাড়ি এবং নারীর জন্য লেখাপড়া করি ॥ নারীরা লেখাপড়া করে সোনার হরিণ লাভকারীদের বউ হওয়ার জন্য ॥ এজন্যেই আমরা এ+ না পেলে আত্মহত্যা করি , এজন্যেই আমরা ভার্সিটিতে চান্স না পেলে আত্মহত্যা করি ॥
এই সমাজে কল্পনা শক্তি তুচ্ছ ॥ আরেহ ! শিক্ষা হলো সেই জিনিস যা তোমাকে আনন্দ দেবে ॥ শিক্ষা হলো সেই জিনিস যা দ্বারা তুমি বিশ্বটাকে জয় করতে পারবে ॥ তাইতো আমি বলি , অর্ধেক শিক্ষা তুমি , অর্ধেক কল্পনা ..............
©somewhere in net ltd.