নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিষাদ

আমি জানি আমি জানি না

ব্যতীপাত

স্থপতি

ব্যতীপাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুহাম্মদ (সা )এর বাণী : একটি পর্যবেক্ষণ

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪০





একটি পর্যবেক্ষণ ।।

কিছুদিন আগে মুহাম্মদ (সা) এর বাণী নামে একটি সংকলন হাতে পাই। এতে যে সব বাণী সংকলিত হয়েছে তার অনেক কিছুই মেইনস্ট্রীম ইসলামের সাথে ঠিক মেলে না । তবে অনেকে যারা ইসলামকে একটি সহনশীল,সমন্বয়ধর্মী শান্তিপ্রিয় বলতে চান তারা এইটি একটি উদাহরণ হিসেবে দেখেন । সংকলনটি পশ্চিমে বেশ জনপ্রিয় । টলষ্টয়ের মৃত্যুর পর তার পকেটে না কি এই সংকলনটি পাওয়া গিয়েছিল। সংকলনটি পড়ে আমার মনেও কিছু প্রশ্ন জেগেছে। তারই কয়েকটি নীচে -



মুহাম্মাদ (সা) বললেন :নিজে অন্যের কাছে যা ব্যবহার প্রত্যাশা কর ,অপরের প্রতি তাই কর । বাণী-৮০


-এই বাণীটি কনফুসিয়াস এর বাণী হিসেবে দেখেছি । যীশু’র বাণী সমুহের মধ্যেও এটি লিপিবদ্ধ আছে- তাহলে বাণীটি আসলে কার ?



‘সুবেহ সাদেক ও সন্ধ্যার সময়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থণায় মশগুল হও,আর দিবাভাগে আপন পেশায় মশগুল থাক । বাণী-৮


-নামাজ কি তবে দুই বার ?

শিয়ারা তিনবার নামাজ পড়ে । পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের কথা কোরানে সুস্পষ্টভাবে কোথাও নেই। সালাত কায়েম করার কথা বলা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে - ভোরে , রাতে, মাগরেবে , কখনও বা গভীর নিশীথেও । কিন্তু কখনও কোন নিদৃষ্ট সংখ্যা বলে দেয়া হয় নি। মাত্র একটি সুরায় এসেছে- তাও সালাত হিসেবে নয়, আল্লাহর পবিত্রতা স্মরণ করার কথায়-‘তোমরা আল্লাহর পবিত্রতা স্মরণ কর সন্ধ্যায় ও সকালে ।‘ পরের আয়াতে বলা হলো-‘ এবং অপরাহ্ন ও মধ্যাহ্নে [৩০: ১৭ ১৮’] । কিন্তু প্রশ্ন তাও থেকেই যায় । দুই আয়াতে আলাদা আলাদা কেন বলা হলো ? একবারেই একটি আয়াতেই কি পাঁচ সংখ্যাটা কি বলা যেত না ? মনে হল পরের আয়াতটি কি প্রক্ষিপ্ত । তাও আবার পুরা পাঁচবার নাই ।

হাদিস আছে- মিরাজের কালে আল্লাহ প্রথমে ৫০ বার, তারপর পর্যায়ক্রমে ৪০,৩০,৩০,২০,১০ এবং শেষে ৫বার এ কমিয়ে আনেন ।সেই হাদিসে এও আছে যে,-এর পরও অন্যান্য নবীরা তাকে আরও কমিয়ে আনার কথা বলেছিলেন । কিন্ত রসুল রাজী হন নাই। গেলে হয়তো আরও কমতো । কেন এত দোদুল্যমানতা নামাজে এর ওয়াক্ত নিয়ে।



‘আমার নির্দেশ আল্লাহর নির্দেশের বিরোধী নয়, কিন্তু আল্লাহর নির্দেশ আমার নির্দেশের বিরোধী হতে পারে, এবং আল্লাহর কোন নির্দেশ অপর নির্দেশকে বাতিল করে ।আমার কোন কোন নির্দেশ অপরগুলিকে রদ করে ।


-‘আমি কোন আয়াত (বাক্য) রহিত করলে অথবা বিস্মৃত হতে দিলে তার থেকে উত্তম আয়াত কিংবা সমতুল্য কোন আয়াতানয়ন করি।’ ২:১০৬ প্রশ্ন হল- সেই রহিত আয়াতগুলো কি কোরানে থেকে গেছে ? থাকলে সেগুলি কোনটি ,তা নির্দিষ্ট করে বলা নাই । রহিত হলে সেগুলো রাখার কোন যুক্তি নাই , কথাও নয় । আর যদি নাই তাকে তবে সে প্রসঙ্গ তোলার অর্থই বা কি।

আমার কোন কোন নির্দেশ অপরগুলিকে রদ করে -তার মানে কি হাদিসেরও কি বাতিল/রদ আয়াত আছে ?



-‘তোমাদের কি এমন কোন কাজের কথা জানাব না , যা রোজা ,সদকা ও সালাতের চাইতে উৎকৃষ্টতর ? সেই কাজ হল পরস্পরের মধ্যে শান্তি স্থাপন । কারণ শত্রুতা ও বিদ্বেষ সকল পুরষ্কারের ফলাফল কে সমূলে ধ্বংস করে ।’ বাণী-২৮৫

নামাজ পড়ার চাইতেও উৎকৃষ্ট কাজের কথা আছে এখানে বলা হয়েছে । নামাজ রোজা সদকার চেয়ে উৎকৃষ্টতর কিছু ভালো কাজ হচ্ছে - পরস্পরের মধ্যে শান্তি আনয়ন করার প্রচেষ্টা ।

মুসলমানেরা এইটে সত্যিকার ভাবে মানলে পৃথিবীর অনেক মানুষ শান্তি পাবে । আনুষ্ঠানিকতা বাদ দিয়ে কবে সত্যিকার ধর্মপালন করা হবে ?



-‘বেশী বেশী সালাতের চেয়ে বেশী বেশী বিদ্যা লাভ করা ভালো । সংযম ধর্মের মূল । সারারাত সালাতে কাটানোর চাইতে একটি ঘন্টা বিদ্যাশিক্ষা দেয়া ভালো ।‘ বাণী-১৬২


বিদ্যা অমুল্য ধন যা সালাতের চেয়েও ভালো ।

এই সব বক্তব্য ধর্মকে তার সঙ্কীর্ণ আনুষ্ঠানিকতার গন্ডি থেকে বাইরে নিয়ে বৃহত্তর মানবসমাজ ও তার কল্যানের পথে নিয়ে যাবার প্রচেষ্টা করা হয়েছে । হয়তো কেবল নিয়মপালন, আনিষ্ঠানিকতা সর্বস্ব বা অন্ধ ধর্মচর্চাকারীদের কাছে এইসব বক্তব্যকে হাদিসকে ভেজাল মনে হবে বা বানাবার চেষ্টা হবে ।



একটি জানাজার মিছিল দেখে মুহম্মদ উঠে দাঁড়ালেন । তাঁকে বলা হল, এটি তো একজন ইহুদীর জানাজা তিনি বললেন, “এটি কি একটি আত্মার আঁধার ছিল না,যা থেকে আমরা সতর্ক ও ভীত হবো ?”বাণী- ৫৮

কোন জানাজার লাশ তোমার পাশ দিয়ে চলে যাবার সময় উঠে দাঁড়াবে, তা ইহুদী,খৃষ্টান বা মুসলমান যাই হোক না কেন । বাণী-১৬৪

কিন্ত কোরানে বলা হয়েছে-

‘ওদের মধ্যে কারও মৃত্যু হলে তুমি কখনও ওর জানাজায় প্রর্থণা করার জন্য ওর কবর পার্শ্বে দাঁড়াবে না, ওরা তো আল্লাহ ও তার রসুলে কে অস্বীকার করেছিল এবং সত্যত্যাগী অবস্থায় ওদের মৃত্যু হয়েছে।’৯:৮৪

কোনটা মানা উচিৎ ?





‘এটি সত্য,ইসরায়েল বংশধরেরা বাহাত্তরটি গোষ্ঠিতে বিভক্ত হয়েছিল এবং আমার উম্মতেরা বিভক্ত হবে তিহাত্তরটিতে ।এদের মধ্যে একটি ছাড়া প্রত্যেকটিরই বিনাশ ঘটবে ।

সাহাবারা প্রশ্ন করলেন, -‘সেটা কোনটি ?’

তিনি বললেন,-‘আমার ও আমার প্রিয়জনদের স্বীকৃত মতাদর্শের অনুগামীদের দল ।’বাণী-৬৬


প্রিয়জন বলতে ছিল তাঁর কন্যা ও জামাতা আলী এবং অনুসারীরা বলতে ‘শিয়া মুসলিম’- বলে দাবী করা হয় । কিন্তু সুন্নীরা তা মানেনা । তবে সেই একটি দল কোনটি ?

জামাতে ইসলামী বলে সেই ‘একটি’ দল তারাই। তাদের আবার অন্যান্য সুন্নীরাও মানেনা ।

প্রশ্ন থেকেই যায়-সেই একটি দল কোনটি ?



‘ইসলাম কি ? -এই প্রশ্নের উত্তরে মুহম্মদ বলেন- ‘ইসলাম হচ্ছে সংযম ও পরিপূর্ণ আনুগত্য (আল্লাহর)’। অন্য আরেক জনের এই একই প্রশ্নের উত্তরে বললেন- ‘ইসলাম হচ্ছে পবিত্র বচন ও পরের জন্য জীবন।’ বাণী-৮২


যেসব সহিংস মুসলিমদের ইসলামি আন্দোলনের জন্য সন্ত্রাসী কর্মকান্ড প্রতিনিয়ত বিশ্ব দেখছে এইসব পবিত্র বাণী কি তারা অনুধাবন করেন না ?



-নফস্ কে জয় করাই সবচেয়ে বড় জেহাদ । বাণী -৯১

কিন্তু জামাতী, ওহাবীরা সহ আজকের ইসলামবিদরা তা কি মানবেন , যাদের কাছে যুদ্ধের মাধ্যমে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত করাই একমাত্র জিহাদ ।



প্রতিটি শিশু জন্মগ্রহণ করে ফিতরাত(স্বভাবধর্ম,ইসলামের ) উপর, তারপর পিতামাতার কারণে সে হয় ইহুদী,খৃষ্টান বা মাজুসী (অগ্নি উপাসক ) বাণী-৯৯

তবে কি সব ইহুদী খৃষ্টান ও মাজুসীরা ধর্মত্যাগী মুসলমান এবং সেইসব পিতামাতারা সবাই প্ররোচনাকারী ? যে সব জারজ সন্তান জন্ম গ্রহণ করে তারাও তবে মুসলমান ? ধর্ষণের কারনে যে সন্তান জন্ম হল সেও কি তবে মুসলমান এবং তাই বৈধ বলে গন্য হবে না কি ? মুসলিম সমাজে তবে অবৈধ সন্তান বলে কিছু থাকতে পারে না, কেননা সন্তান জন্মাবা মাত্রই তো সে মুসলমান সন্তান বলে গন্য হয় এবং কোন অবস্থাতেই তাকে অবৈধ বলা যাবে না – তাই কি?



আমার অবাধ্য উম্মতেরা কিয়ামতের দিন বিভিন্ন আকৃতি নিয়ে উঠবে, কেউ বা বানর বেশে, কেউ বাঘ হবে, কেউ বা শুয়োর হয়ে (পার্থিব জীবনে তাদের জীবনের আসক্তি অনুসারে । বাণী-১২৮


-বিবর্তনের উল্টোটা –বানর থেকে মানুষ নয় ,মানুষ থেকে বানর । আর পার্থিব জীবনের আসক্তি মানে- পৃথিবীতে যে সব প্রানীর প্রতি আসক্তি । কারও কুকুরের নেশা থাকলে সে কুকুর হয়ে যাবে ,পাখির প্রতি হলে পাখি ।

তবে জড় পদার্থের প্রতি আসক্তির কি হবে তা অবশ্য বলা নাই । তা’হলে অর্থসম্পদ বা মদ এর নেশায় আসক্তরা সব টাকার বান্ডিল বা মদের বোতল হয়ে জন্মাত হয়তো ।



মজলুমকে সাহায্য কর ,সে মুসলমান হোক বা অমুসলমান । বাণী-১৪২


কিন্তু সুরা তওবা বলছে-‘ ইহুদীরা বলে ওযাইর আল্লাহর পুত্র এবং নাসারা’রা বলে ˜মসীহ আল্লাহর পুত্র। এ হচ্ছে তাদের মুখের কথা। এরা পূর্ববর্তী কাফেরদের মত কথা বলে। আল্লাহ এদের ধ্বংস করুন, এরা কোন উল্টা পথে চলে যাচ্ছে।’ ৯-৩০

আল্লাহ যাদের ধ্বংস চাচ্ছেন, মানুষ কি করে তাদের সাহায্য করবে ?



লোকে বললো , -ইয়া রসুলুল্লাহ । কাফেরদের অভিসম্পাত দিন ।’ মুহম্মদ বললেন-‘আমাকে এই কাজে পাঠানো হয় নাই ।আমি মানুষের কাছে প্রেরিত হয়েছি আল্লাহর করুণা রুপে,আর কোন কারনে নয় ।’ বাণী-৪৩১

কিন্তু -

‘একবার রসুলে করিম সমগ্র মক্কার জন্য দুর্ভিক্ষের আযাব সওয়ার হওয়ার দোয়া করেছিলেন –

‘হে আল্লাহ্ এদের উপর ইউসুফের আমলের মত দুর্ভিক্ষ চাপিয়ে দিন। কেননা তারা তোমার পথে না এসে স্বীয় ধর্মপথেই চলতে আগ্রহী ।’ -(মারেফুল কোরানে পৃ: ১২৩৫) বাংলা অনুবাদ-ম মুহীউদ্দীন।



কুরআন প্রেরিত হয়েছিল সাতটি আঞ্চলিক আরবী ভাষায় । বাণী-১৬৫


আমরা কেবল এক প্রকারের কোরাণ দেখি – বাকী ছয়টি আঞ্চলিক ভাষার কোরান কোথায় ?



যে জ্ঞানের পথের অনুসারী, আল্লাতায়ালা তাকে জান্নাতের পথে পরিচালিত করবেন। সত্যি,মূর্খ নামাজীর চেয়ে জ্ঞানীর শ্রেষ্টত্ব তারার মাঝে পুর্ণিমার চাঁদের মতই । বাণী-১৬৭


জ্ঞানী ব্যক্তি যদি প্রাকটিসিং মুসলিম না হোন বা সেই জ্ঞানী ব্যক্তি যদি অমুসলিম হন, তাহলেও?



আল্লাহর উপর ভরসা রেখ,কিন্তু তোমার উটটিকে বাঁধতে ভুলো না । বাণী-১৮০


তুলনীয়- ‘ঈশ্বরের কাছে বৃষ্টির জন্য প্রার্থণা করার আগে আবহাওয়ার পুর্বাভাস দেখতে ভুলোনা’

-ভলতেয়ার ।



তুমি কি স্ত্রীকে প্রহার কর, যেমন তোমার দাসকে করতে ? নিশ্চয়ই তা করবে না । বাণী-১৯৩


কিন্তু কোরানে তো অনুমতি দেয়া আছ- পুরুষেরা নারীদের উপর কৃর্তত্বশীল এ জন্য যে, আল্লাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে। সে মতে নেককার স্ত্রীলোকগণ হয় অনুগতা এবং আল্লাহ যা হেফাযতযোগ্য করে দিয়েছেন লোক চক্ষুর অন্তরালেও তার হেফাযত করে। আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সবার উপর শ্রেষ্ঠ।



মুহাম্মদ বলেছেন স্ত্রীকে প্রহার করবে না । কিন্তু উমর এসে রসুলকে বললেন- ‘স্ত্রীরা এটা শোনার পর স্বামীদের উপর সর্দারী করছে ।’ বাণী-১৯৮

এটার উত্তরে তিনি উমর কে কিছু বলেছিলেন কি অথবা আদৌ উত্তর দিয়েছিলেন কি না তা বোঝা গেল না ।

তোমার কাজের লোকদের দিনে সত্তরবার ক্ষমা কোরো । বাণী ২০৬

যারা গরম লোহা দিয়ে বাসার কাজের লোককে পেটান তাদের এটি কাজে দেবে।



যে ব্যক্তি কোন মুসলমানকে কাফির (নাস্তিক) বলবে, সে নিজেই কাফির হবে । বাণী-২২৯

বিএনপি, ফরহাদ মাজহারসহ ,‘আমার দেশ’ এর মাহমুদুর রহমান, আল্লামা শফি এবং হেফাজতের জন্য এইটা জরুরী জানা ।



তোমাদের দুনিয়ার তিনটি জিনিষ আমার প্রিয়: সুগন্ধী,নারী ও সালাত । বাণী-৩৩৬

এরশাদ সাব নিশ্চয়ই শুনে খুশী হবেন ।



আমি জ্ঞানের নগরী ও ‘আলী’ এর প্রবেশ দ্বার । বাণী-৩৪৬


সুন্নী মুসলিমরা কি শুনে আশ্বস্থ হয়েছিলেন ? না কি এটি শিয়াদের বানানো হাদিস ?







তোমাদের মহিলাদের মসজিদে আসতে বাধা দান করো না- তবে তাদের জন্য গৃহই ভাল । বাণী-৪১৩


-মন্তব্য নিস্প্রয়োজন । এতে কি বোঝা গেল ? গৃহিনীরা তো তাদের ভালতো চাইবেনই-এবং সে জন্য তাদের ঘরে থাকাই তো উত্তম । প্রথমটি তো আসলে কথার কথা ।



আমি দেখলাম উমর কাবার কালো পাথর চুমু খেলেন আর বললেন- এটা নিশ্চিত তুমি পাথর ছাড়া আর কিছুই নও । কারও উপকার বা অপকার করার শক্তি তোমার কাছে নেই । আমি যদি মুহম্মদ কে তোমাকে চুমু খেতে না দেখতাম , তা’হলে কিছুতেই তোমাকে চুমু খেতাম না । বানী-৪৩৫

উমর এর বক্তব্য কতটুকু গ্রহন যোগ্য যে উনি কেবল প্রথা হিসাবে পাথর চুমু খেয়েছিলেন-কোন বিশ্বাস থেকে নয় । এইরূপ অন্ধভাবে আনুষ্ঠানিকতাসর্বস্ব ধর্মপালন , না কি ধর্মের মর্ম পালন-কোনটা জরুরী ?



মুহাম্মদ (সা )এর বাণী : সংকলক আল্লামা স্যর আবদুল্লাহ আল মামুন সুহরাওয়ার্দি ।

প্রকাশক- আশফাক নাজমা ফাউন্ডেশন

বাংলা অনুবাদ : মুস্তফা জামান আব্বাসী



মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:২৭

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: prio,

ei post ta rakhben,
eto juktigrajjo shundor vashar shomalochona khub valo lage, ja durlov.
shundor shomalochonay dhonnobad.

pc te boshe prothom shujog e i ei post er protita bishoy niye montobbo korar asha rakhi.

shuvo kamona,shuveccha.

০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৬

ব্যতীপাত বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও , ,কোন মন্তব্য না পেয়ে আমি বুঝতে পারছিলাম না এর ভালোমন্দ ,উৎসাহ পেলাম ।

২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৮

আবদুল্লাহ্‌ আল্‌ মামুন বলেছেন: অসাধারণ, লিসানি ভাই, নিয়মিত এমন পোষ্ট চাই। যা জানা'র আগ্রহ অনেক বাড়িয়ে দিবে।


প্রিয়তে রাখলাম, ধীরে ধীরে পড়তে হবে... :)

৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০২

আবদুল্লাহ্‌ আল্‌ মামুন বলেছেন: অসাধারণ, লিসানি ভাই, আপনার থেকেও নিয়মিত এমন পোষ্ট চাই। যা জানা'র আগ্রহ অনেক বাড়িয়ে দিবে।


লেখকে ধন্যবাদ, প্রিয়তে রাখলাম, ধীরে ধীরে পড়তে হবে... :)

৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই,
আশা করি ভাল আছেন। নেট ব্যবহার করি না, তাই ঢোকা হয় না।

প্রথম বাণী।

বাণীটি কনফুসিয়াস বা কংকোয়ের হতে পারে। মহামতি বুদ্ধের হতে পারে, জিসাস ক্রাইস্টেরও হতে পারে। আবার তাঁরও।

বাহ্যিক কারণ এই, একটা সুচিন্তিত বিবেক সম্পণ্ন কথা মহাধ্যানীরা আলাদা আলাদাভাবে বলতেই পারেন, একজন আরেকজনের সাথে যুক্ত না হয়ে।

আবার, যাঁরা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করেন, তাঁদের অন্যতম মৌলিক বিশ্বাস হচ্ছে, পৃথিবীর প্রতিটি জনপদে মহান স্রষ্টা তাঁর প্রেরিতদের পাঠান আপন আপন ভাষায়, যে পর্যন্ত পৃথিবীতে গ্লোবাল যোগাযোগের যুগ না আসে।

এই প্রেরিত, তাদের আমরা নবী বলি, রাসূল বলি, মেসিয়াহ বলি, বুদ্ধ বলি বা অবতার বলি- তারা যেহেতু এক ও অদ্বিতীয় মহাচেতনার সাথে যুক্ত, তাদের বাণীও সেই একই চেতনা থেকে আসবে।


দ্বিতীয় বাণী- নামাজের ওয়াক্ত


ইসলাম ধর্ম কখনোই শুধু কুরআনের উপর ভিত্তি করে গড়া নয়। কুরআন ভিত্তি, কুরআনের অন্য বাণী সেই ভিত্তির দৃঢ়তাদানকারী, হাদীস সেটার মূল ব্যাখ্যা, নবী দ.'র জীবনাচরণ সর্বশেষ ব্যাখ্যা যার সাথে যুক্ত রয়েছে প্রসিদ্ধ সাহাবাদের জীবনাচরণ। এরপর রয়েছে উম্মাহ বা মুসলিম সঙ্ঘের সম্মিলিত সদস্যদের একমত হওয়ার প্রাধান্য। সবশেষে কিয়াস, বিশেষ পরিস্থিতিতে বিবেকবান এবং যথেষ্ট জ্ঞানী তাঁর জানা ও রিসোর্স অনুসারে সিদ্ধান্ত নেন যতটা কুরআন এবং হাদীস থেকে জানা যায়, তার আলোকে। সকাল সন্ধ্যায় প্রার্থনার বিশেষত্ব দেয়া হয়েছে বিরামের উপর নির্ভর করে।

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের প্রমাণ অসংখ্য অগুণতি হাদিসে প্রমাণিত। হাদিসকে কুরআনে আল্লাহরই বাণী বলা হয়েছে।

'এবং এই রাসূল দ. আপন ইচ্ছা (হাওয়া, নিজের খুশিমত চাওয়া) থেকে কিছু বলেন না। তিনি যাই বলেন, তাই সরাসরি ওয়াহয়ি (প্রভুর বাণী) হয়ে থাকে।'

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৫

ব্যতীপাত বলেছেন: ঠিকই,মহাপুরুষদের বাণী মিলতেও পারে ।আবার অনেক সময় অন্য কারও বানী নিজ নিজ মহাপুরুষদের নামেও চলে আসে ।

বিভিন্ন ধর্ম বা ধর্মগ্রন্থের বিভিন্ন ঘটনা,ইতিহাস, পুরাণ এসেছে ওই সময়কার প্রচলিত অন্যান্য অনেক ধর্ম,উপকথার থেকে, তাই মিল দেখি যরথ্রস্ট ধর্মের সাথে খৃষ্টদের,ইসলামের সাথে ইহুদীদের ।

আপনি বলেছেন-'নবী বলি, রাসূল বলি, মেসিয়াহ বলি, বুদ্ধ বলি বা অবতার বলি- তারা যেহেতু এক ও অদ্বিতীয় মহাচেতনার সাথে যুক্ত ।

তাদের সবার এক ও অদ্বিতীয় মহাচেতনা কি সত্যি একরকম ? । বুদ্ধ’র তো কোন ঈশ্বরই নাই- বৌদ্ধ ধর্মে কোন আ্ল্লাহ ভগবান নাই, সেরকম কোন মহাচেতনা নাই । বৌদ্ধ এক নিরীশ্বরবাদী ধর্ম, জৈনধর্মও তাই – তাদের সেই অর্থে কোন মহাচেতনা নাই ।
আর বাকীদের -ব্রম্মা, জিহোবা, ইয়াহুই, ঈশ্বর এরা সবাই চেতনাগত ভাবেও বিভিন্ন । এদের কেউ যদি গরু খাওয়া সিদ্ধ করেন তো অন্যত্র তাকে পবিত্র বলে পূজা করতে বলে। আবার যদি ধরি তিনি এক ও অদ্বিতীয় মহাচেতনা একজনই- কিন্ত তিনি তবে কাউকে বলছেন শুকর খেতে, কাউকে বলেন ওইটি খাওয়া হারাম; একদলকে বলেছেন স্ত্রী তোমার চিরদেনের সাথী-তাকে ত্যাগ করা যাবে না কিছুতেই,আরেক দলকে বললেন তিনবার তালাক বললেই ওই স্ত্রীটি আর তোমার নয়, তুমি যতই অনুতাপিত হও।

বিষয়টা এইরকম মনে হয় যে- যদি সারা বিশ্বব্রম্মান্ডের একজনই সৃষ্টিকর্তা তবে তার পরিচয় সব মানুষের কাছে একই রকম হল না কেন ?-তার পাঠানো ঐশ্বরিক গ্রন্থসমুহও একরকম হলো না কেন ?
বাতাস সবার কাছেই একই রকম হাওয়া দেয় ,সূর্যের আলোকে কেউ বলবে না ওর থেকে কালো কালো রঙ বেরোয় । কিন্তু ঈশ্বর একেকজনের কাছে একেক রকম,-এক ও অদ্বিতীয় মহাচেতনা নয় ।

দ্বিতীয় বাণী- নামাজের ওয়াক্ত ।।


আমার বক্তব্য ছিল কোরানে যা নাই এমনকি স্বয়ং আল্লাহ যে ব্যপারে নিশ্চিত ছিলেন না ,তাই নামাজ ৫০থেকে ৫ ওয়াক্ত এ নামিয়ে আনেন এবং নবী যদি সবার অনুরোধ মত আবার তাঁর কাছে যেতেন তাহলে আরও কমিয়ে দিতেন না ,তাই বা কে বলতে পারে ।

হাদিস দিয়ে ইসলামকে বা তার আনুষ্ঠানিকতাকে জাষ্টিফাই করলে অনেক সমস্যা । বস্তুত: ইসলামের অনেক যাবতীয় সংস্কার , দ্বন্দ, বিভদে এর জন্য দায়ী এই হাদিস মান্যতা। যার জন্য মুসলমানদের মধ্যে কিছু গোষ্ঠি আছে যারা হাদিস মানে না ,, শুধু কোরান মানে ।

বেশীর ভাগ হাদিস পরবর্তীকালে আবিস্কার, দুর্বল বা জাল । ইসলামের শাসকগোষ্টিরা নিজে এর সুবিধার জন্য নানা সময়ে এসব প্রচলন করে ।
কেন হাদিস গুলো লেখা হল দেড় দুই শত বছর পরে ? কেনই বা নবীর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠজনেরা আবু বকর,ওমর হাদিস বয়ান করেন নাই ? এবং যিনি সবচেয়ে বেশী হাদিস বয়ান করেন, আবু হুরায়রা, তিনি কম সময় তার কাছে ছিলেন। তিনি একদা ওমর কর্তৃক তিরস্কৃত হয়েছিলেন মিথ্যা বলার জন্য।
হাদিস বেত্তারা বেশীর ভাগই ছিলেন অনারব,পারস্যের । অনেক সময় মুসলমানদের মধ্যে হানাহানির জন্য দায়ী হয় তা।,

বোখারী সাতলক্ষ হাদিস আবিস্কার করে তার মধ্যে মাত্র ছয় হাজারকে ‘সহি’ বললেন কেন ? তার মানে, ৯৯ % হাদিস জাল । কি পরিমানে দূষণ হয়েছে ভাবুন ।
আর সুন্না, ইসমা কিয়াস এর কথা বাদই দিলাম –কেননা ওইসব যে যার সুবিধে মত তৈরি করেছেন নিজ নিজ শাসন,গোষ্টিতন্ত্রকে সাপোর্ট করতে।

আপনি বলেছেন- 'এবং এই রাসূল দ. আপন ইচ্ছা (হাওয়া, নিজের খুশিমত চাওয়া) থেকে কিছু বলেন না। তিনি যাই বলেন, তাই সরাসরি ওয়াহয়ি (প্রভুর বাণী) হয়ে থাকে।'

সমস্যা হচ্ছে তিনি কি বলেছিলেন ,আর বলেন নাই সে সব সঠিক ভাবে যাচাই করা মুশ্কিল । যতই চেইন ওফ কনটিনিউটি বের করি না কেন- ওসব বেশীর ভাগ বিতর্কিত । -তাছাড়া হাদিস সমুহের মধ্যেও বৈপরীত্য আছে ,কে কোনটা মানবে তা নিয়ে চরম ঝগড়া বিবাদ আছে। মুসলিম পৃথিবীতে অনৈক্য এইটি একটি বড় কারণ ।

৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: তৃতীয় বাণী- আয়াত রদ হওয়া

আয়াত রদ হওয়া ও বাতিল হওয়া একার্থক নয়।
রদ হওয়া একটা প্রকাশ্য পরিস্থিতিতে। কিন্তু এর অন্যান্য পরিস্থিতি রয়েছে। যেমন, 'তোমরা যেখানেই কাফিরদের পাও, হত্যা কর।'

এই আয়াত শুধুমাত্র পরস্পরকে হত্যা করার মত পরিস্থিতি সহ যখন যুদ্ধক্ষেত্রে থাকা হয় তখন প্রযোজ্য হয়, ঠিক সেই যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরে হয় অপ্রযোজ্য। আবার, যুদ্ধক্ষেত্রে শুধু সেই অস্বীকারকারীর উপরই প্রযোজ্য, যে আক্রমণকারী/ যোদ্ধা।

আমরা জানি, একটা আয়াতের বহু অর্থ রয়েছে। এর মধ্যে একটা প্রযোজ্য অর্থকে সুনির্দিষ্ট প্রয়োগের ক্ষেত্রে রদ করা হয়। কোনটা ক্ষেত্রবিশেষে, কোনটা সেই বিষয়ে আজীবন। কিন্তু তার অন্য অর্থ রয়ে যায়।

আর রাসূল দ.'র বাণী আল্লাহর বাণী হলে তিনি কেন বলছেন যে, তাঁর বাণী অপরিবর্তনীয় হতে পারে, আল্লাহর টা নয়, এটা প্রাধান্য দানের প্রক্রিয়া। তাঁর বাণীর অকাট্যতা কুরআন থেকে নির্ধারিত, অন্যক্ষেত্রে কুরআনের অকাট্যতা ও প্রাধান্য তাঁর বাণী থেকে নির্ধারিত।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৯

ব্যতীপাত বলেছেন: বাতিল আয়াতের কথা কোরানই বলছে ২:১০৬। তার মানে এটি কেবল প্রকাশ্য পরিস্থিতি নয়।
বিভিন্ন আলেম ভেদে তা ৫০০ থেকে ৫ টি রহিত আয়াত আছে।
যেমন-
যেনা করার শাস্তি একবার বলা হলো সুরা নেসা ১৫ আয়াতে-জেনাকারিনীকে গৃহের মধ্যে বন্দী রাখা-যতক্ষণ না তার মৃত্যু হয়-
আবার সুরা নূর এ তা হয়ে গেল ১০০ বেত্রাঘাত।
এই ক্ষেত্রে পরের আয়াতটি আগের আয়াতটিকে বাতিল করছে। এই রকম অনেক আছে-

‘এটি [কোরান] তো সারা পৃথিবীর জন্য ‘উপদেশ’ ব্যতীত আর কিছুই নয় ।’ কিন্তু-
সুরা তওবা’য় বলা হয়েছে- ‘অংশীবাদিগন অপ্রীতিকর মনে করলেও অপর সমস্ত ধর্মের উপর জয়যুক্ত করার জন্য তিনি ‘পথ নির্দেশ’ ও সত্যধর্ম সহ রসুল প্রেরণ করেছেন ।‘ [৯:৩৩]
এখানে প্রথম আয়াতটি অনেকের মতে বাতিল ।

আপনি বলেছেন –‘আমরা জানি, একটা আয়াতের বহু অর্থ রয়েছে। এর মধ্যে একটা প্রযোজ্য অর্থকে সুনির্দিষ্ট প্রয়োগের ক্ষেত্রে রদ করা হয়। কোনটা ক্ষেত্রবিশেষে, কোনটা সেই বিষয়ে আজীবন। কিন্তু তার অন্য অর্থ রয়ে যায়।‘

কিন্তু যেই গ্রন্থকে আমি আমার জীবন পাথেয় করবে তার মধ্যে যদি বহুগামিতা থাকে তাহলে তো সমস্যা।
শুনেছি বিতর্কিত ৪:৩৪ আয়াতটির ‘ধারাবা' অর্থ নাকি প্রহার করা নয়, তার ১৭ রকম অর্থের একটি হচ্ছে 'সঙ্গম' করা । আজকালকার নারীবান্ধব অনুবাদিকারা সেই ভাবেই দেখছেন ।তাহলে আয়াতটির অর্থ কি দাঁড়াল ?
এতে সমস্যা হতো না যদি না শরীয়া আইন করে প্রয়োগ করার প্রচেষ্টা না থাকতো । তখন যে যেভাবে বুঝে সে ভাবেই কোরান মেনে চলতো । কিন্তু যখন দেখি - সৌদিতে শরীয়া পুলিশ থাকে নামাজ কে পড়ছে না পড়ছে তা দেখার জন্য। সমস্যা সেখানেই।

বিখ্যাত তফসিরবিদ মওলানা মওদুদী সাহেব বলেছেন সমগ্র কোরানে নাকি এমন একটিও আয়াতও খুঁজে পাওয়া যাবে না, যাতে দু’জন মুসলিম একমত-(তাফহিমুল কোরান এর ভুমিকা)

আপনি আরও বলেছেন—‘আর রাসূল দ.'র বাণী আল্লাহর বাণী হলে তিনি কেন বলছেন যে, তাঁর বাণী অপরিবর্তনীয় হতে পারে, আল্লাহর টা নয়, এটা প্রাধান্য দানের প্রক্রিয়া। তাঁর বাণীর অকাট্যতা কুরআন থেকে নির্ধারিত, অন্যক্ষেত্রে কুরআনের অকাট্যতা ও প্রাধান্য তাঁর বাণী থেকে নির্ধারিত।‘

আমরা তো দেখছি অনেক সময় কোরানে যা নাই মুসলমান রা তাই করছে । যদি কোন হাদিস কোরানের বিপরীত মনে হয় তবে রসুলের নির্দেশ ছিল, কোরান মানতেহবে ।
কিন্তু আমরা কি তা মানছি ? যেমন জেনাকারীকে পাথর ছুঁড়ে মেরে হত্যা করাহচ্ছে -যা নাকি কোরানে কোথাও নাই । তাহলে প্রাধান্য পেল কে ? কোরআন না রসুলের নির্দেশ ? হাদিসকে কোরান দ্বারা সমর্থিত হলে দু’টোই এক হয়ে যায়- যেই কারনে আবু বকর ওমর রা কেউ হাদিস লিপিবদ্ধ করেন নাই ।
তাঁর বানীর অকাট্যতা প্রমানের আগে নিশ্চিত হন যে বানীটি সত্যই তার । এই সমস্যা গভীর ।

৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৫

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: চতুর্থ বাণী

অবশ্যই এই বিষয়টা নামাজের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্তু নামাজ তাতে বাদ যাচ্ছে না।
নামাজ কিন্তু শুধুই আনুষ্ঠানিকতা নয়।

শ্বাস নেয়া খাবার খাওয়ার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। খাবার আমরা দিনে তিন বেলা না খেলে শরীর কখনোই ভাল থাকতে পারে না। খাওয়া ঘুম থেকেও গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু দিনে একবার না ঘুমালে শরীর তার গাঠনিকতা নিয়ে ঠিকমত কাজ চালাতে পারে না।

পরস্পরের মধ্যে শান্তি যদি নাই থাকে, সেখানে নামাজের শিক্ষাটা কাজে লাগছে না। সেখানে রোজা তথা সংযমের মাধ্যমে নিজেকে নিয়ন্ত্রণের ট্রেনিং, অন্যের কষ্ট উপলব্ধির ট্রেনিং কাজে লাগছে না। আর শান্তি না থাকলে অশান্তিতে দান হল উলুবনে মুক্তা ছড়ানো।

বিষয়টা এমন নয়, যে নামাজ পড়লে পরস্পরের অশান্তিতে ভাল অবদান না রাখলেও চলবে।
আবার এমনও নয়, যে শুধু ভাল অবদান রাখাই শেষ কথা।

নামাজ একই সাথে অনেক বিষয়ের অবতারণা।
মৌলিক দিক দিয়ে,
১. যে প্রভুতে বিশ্বাস, সেই প্রভুতে সাষ্টাঙ্গে অসহায়ভাবে সমর্পণ। তাঁর নির্দেশ মানাটাকে অভ্যাস করে নেয়া এই পাঁচবার অভ্যাসের সাথে দাঁড়ানোয়। তাঁর সাথে একীভূত হওয়া। তাঁর নির্দেশগুলো আউড়ে গিয়ে প্রতিনিয়ত নিজেকে স্মরণ করিয়ে দেয়া যে, এই এই ভাল কাজ। এই এই নির্দেশনা। এটাকে অটোসাজেশন, মেডিটেশন বা রিমাইন্ডার যে কোনকিছু বলা চলে।
২. মানুষে মানুষে সমাজে ভেদ থাকবেই- কারণ একজন অন্যজনকে নিযুক্ত করবে। কিন্তু নামাজের মাঠে তারা পাশাপাশি দাঁড়াবে। ভাতৃত্ব। সমতা।
৩. এক চেতনায় ঋদ্ধ হওয়া। পাশাপাশি পাঁচবার দাঁড়ানো এই চেতনার প্রতিফলন।
৪. শারীরিক ব্যায়াম। নিয়মিত নামাজ ও নামাজের জন্য আসা-যাওয়া, অযু, মনকে খালি করে ফেলে একাগ্র হওয়া এই কাজটা পরিচ্ছন্নতা, ব্যায়াম ও মানসিক রিবুটের কাজ করে।


তাই বলা হয়েছে, নামাজ আর অশুভতা পাশাপাশি চলতে পারে না, হয় নামাজ অকার্যকর হবে, নয়ত অশুভতা।

তাই এটা কোন নিছক আনুষ্ঠানিকতা নয়।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৮

ব্যতীপাত বলেছেন: নামাজ পড়া মানে স্রষ্টার আরাধনা,স্মরন করা,কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা । কিন্তু আপনি যেভাবে শারীরবৃত্তিক ব্যখ্যা দিলেন তাতে মনে হচ্ছে এইটি শরীরবৃত্তীর একটি অংশ ।তাতে যন্ত্রের মত যান্ত্রিকতায় পর্যবসিত হবার সমুহ সম্ভাবনা
আজকাল মানুষ ঘুষ খেতে খেতে নামাজ পড়ে,তারপর আবার ঘুষ খায় । এবাদত স্বর্গীয়, পবিত্র ,তাকে নিয়মের বাঁধনে বাঁধলে –তাতে কেবল ছোবড়া থাকবে শ্বাস নয় ।

ইসলামের প্রাথমিক যুগে অদম্য বর্বর বেদুইনদের জীবনে শৃঙ্খলা আনতে এই নিয়ম করা হয়েছিল। আমরা সেটাই পালন করে যাচ্ছি ।কিন্তু মুল যে ধর্ম পালন-যেটা রসুল বলেছেন মানুষের জীবনে শান্তি শৃঙ্খলা আনা, জ্ঞানার্জন সে দিকে নজর না দিয়ে নামাজ পড়েই ভাবি সব হল।
ওই বানী দুটোর মুলবক্তব্য ছিল তাই ।নিছক আনুষ্ঠানিকতা নয়,সত্যিকার ধর্মপালন। দুটোই করলে ক্ষতি নেই ,কিন্ত তার জন্য শরীয়া পুলিশের প্রয়োজন নেই- এটাই আমার বক্তব্য-মনে হয় রসুলও তাই বলতে চেয়েছিলেন।

তাছাড়া আজকের যুগে এইটি অবাস্তবও বটে । ভাবুন তো সব মুসলমান প্রতিদিন পাঁচবার করে মসজিদে নামাজ পড়ছে –তাহলে কি হোত? দুই ঈদে নামাজ পড়ার সময় নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন- কি রকম হিমসিম খেতে হয় । সরকার প্রশাসন সহ মুসলামানদের জীবনের মুল্যবান সব সময় চলে যেত শুধু সবাইকে প্রতিদিন পাঁচবার নামাজের ব্যবস্থা করতে করতে। কত মসজিদ লাগতো আর তার কত আয়োজন । ভাগ্যিস মেয়েরা মসজিদে যায় না ,গেলে তাহলে না জানি কি হতো।

৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: বিদ্যা বনাম নামাজ

অবশ্যই। সুবিদ্যা নামাজের চেয়ে কার্যকর। হাদিসটা এভাবেও আছে, হাজারো অবিদ্য আবিদ (শারীরিক ও মানসিকভাবে পালনীয় ইবাদত যাঁরা সুষ্ঠুভাবে করেন) এর চেয়ে একজন সুবিদ্য অনেক বেশি ভাল।

বেশি বেশি নামাজ পড়া মানে কিন্তু অবশ্যপালনীয় করেও আরো বেশি কিছু করা।

এই একই ধরনের হাদিস আমরা পাই,

এক প্রহরের গভীর তাফাক্কুর (বিশ্লেষণী ভাবনা=ধ্যান) অনেক অনেক ইবাদাত থেকে উত্তম।

জ্ঞানীর কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়ে দামী।

শেষ হাদীসটাকে ঠিকই জাল বা বাতিল বলার চেষ্টা করা হচ্ছে অনেকের দ্বারা। হাস্যকর হলেও সত্যি। মত-উপমত তো থাকবেই। এটাই বরং স্বাভাবিকত্ব ও সৌন্দর্য।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০০

ব্যতীপাত বলেছেন: সহমত!

৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: জানাজা

প্রার্থনার জন্য দাঁড়ানো নিষেধ। মুক্তির প্রার্থনা করা নিষেধ। কিন্তু একজন মানুষ সব সময়েই সম্মানীয়। সম্মান আর প্রার্থনা ভিন্ন বিষয়।

একজন মানুষকে সারা জীবন সুযোগ দেয়া হয়। মানুষ অতুল জ্ঞানের আধার, অপরিসীম ক্ষমতার আকর, অচিন্ত্য কাজের ও সিদ্ধান্তের শক্তিতে শক্তিমান। এই মানুষ এক জীবনে বেঁচে থাকা পর্যন্ত তার জন্য প্রার্থনা করা যায়। এই কাজই রাসূল দ. করেছেন। জীবিতদের জন্য শান্তি ও সহাবস্থানের, বিশ্বাস ও আস্থার প্রার্থনা করেছেন। মৃতদের জন্য নয়। কারণ তাঁরা সুযোগ নষ্ট করেছেন।

ধর্মের মূল বাণীই এখানে, একজন মানুষকে জীবৎকালব্যাপী সুযোগ দেয়া হবে। আনবাউন্ড সুযোগ দেয়া হবে। শুধু জীবৎকালই তার পরীক্ষার সময়। ক্ষমাপ্রার্থণা এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য- মৃততুর পর।

কিন্তু মানুষ হিসেবে মানুষের মূল্যায়ন চিরকালীন।
রাসূল দ. আজীবন সবাইকে সম্মান দিয়ে এসেছেন। সে জীবিত হোক বা মৃত। যাঁর চুল ঝরার আগে হাজারো সঙ্গী লুফে নিতেন, যাঁর পবিত্র রক্ত পতনের আগে তাঁরা পান করে নিতেন, অযুর পানিও- সেই একই জন যখন নিজের মাথার চাদর ধূলায় বিছিয়ে দেন আগতের জন্য, তা সে মুসলিম হোক বা অমুসলিম- এটাই মানুষের প্রাপ্য সম্মান।

তিনি খ্রিস্টীয়দের মসজিদে নববীতে প্রার্থনা করতে দিয়েছেন। আগত অমুসলিমকে নিজের ঘরে শুতে দিয়েছেন। এবং মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে জীবিত মৃত নির্বিশেষে সম্মান করেছেন।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩১

ব্যতীপাত বলেছেন:

আপনি বলেছেন-
একজন মানুষ সবসময় সম্মানীয়'-

কিন্তু মনে হয় এর সাথে যোগ করতে হবে -'যদি তিনি মুসলিম হন ।' একজন মূর্তিপূজারীকে কি করে সম্মান জানানো হয় যখন তার বিশ্বাসকে নাপাক, অপবিত্র বলা হয় ৯:২৮ ।

একজন অমুসলিমকে সালাম পর্যন্ত দেয়া নিষেধ , কেননা তাদের জীবনে শান্তির জন্য নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে দোয়া চাইবেন না ।
তাহলে কি করে সম্মান জানান হয় ?


আপনি বলেছেন-
একজন মানুষকে সারা জীবন সুযোগ দেয়া হয়। মানুষ অতুল জ্ঞানের আধার, অপরিসীম ক্ষমতার আকর, অচিন্ত্য কাজের ও সিদ্ধান্তের শক্তিতে শক্তিমান। এই মানুষ এক জীবনে বেঁচে থাকা পর্যন্ত তার জন্য প্রার্থনা করা যায়। এই কাজই রাসূল দ. করেছেন। জীবিতদের জন্য শান্তি ও সহাবস্থানের, বিশ্বাস ও আস্থার প্রার্থনা করেছেন।
মৃতদের জন্য নয়। কারণ তাঁরা সুযোগ নষ্ট করেছেন।"

-তাহলে সেজন্যই কি বলা হয়েছে-‘যদি কেউ বিশ্বাসহীন অবস্থায় মারা যায়-তবে তার উপর তোমাদের কোন দায়িত্ব নাই। মৃত ব্যক্তি আল্লাহর এক্তিয়ারে-

বিধর্মী মৃতকে সম্মান করার কোন প্রয়োজন নাই-‘তাদের মধ্যে কারও মৃত্যু হলে তুমি কখনও তার জানায়ায় প্রার্থনা করার জন্য কবর পার্শ্বে দাঁড়াবে না ।৯:৮৪

বদরের যুদ্ধে মৃত কোরেশদের কেবল মাটি দিয়ে চাপা দেয়া হয়েছিল ।
তবে এই বিষয়ে প্রশ্ন নিশ্চয়ই করা য়ায়- মৃতদের কোন জাত ধর্ম থাকে কি ?

বেশ্যাদের কেন মুসলিম কবরস্থানে সমাধিস্থ করা হয় না ? যেখানে মুসলিম নামধারী শোষক লম্পটদের কবর দিতে কোন বাঁধা নাই ?

আপনি বলেছেন--'ধর্মের মূল বাণীই এখানে, একজন মানুষকে জীবৎকালব্যাপী সুযোগ দেয়া হবে। আনবাউন্ড সুযোগ দেয়া হবে। শুধু জীবৎকালই তার পরীক্ষার সময়। ক্ষমাপ্রার্থণা এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য- মৃততুর পর।'

সত্যই আনবাউন্ড সুযোগ কি ?
যারা জিহাদের আদেশের পরেও যায় না এবং ক্ষমতায় গিয়ে পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করে ---"‘আল্লাহ এদেরই অভিশপ্ত করেন এবং করেন বধির ও দৃষ্টিশক্তিহীন "।৪৭:২৩

পৃথিবীতেই মানুষকে শাস্তি দেবার অজস্র আয়াত আছে কোরানে অন্তত: ১৭ টি হুদুদ (আল্লাহ প্রদত্ত সরাসরি শাস্তি) আইন আছে পৃথিবীতে কার্য্যকর করার জন্য।

বলেছেন-
'কিন্তু মানুষ হিসেবে মানুষের মূল্যায়ন চিরকালীন।'

কিন্তু মনে হয়-
ইসলামে মুল্যায়নের জন্য মানুষ নয় ,মুসলমান হওয়া জরুরী'- অজস্র উদাহরণ দেয়া যায় ।

বলেছেন-
'রাসূল দ. আজীবন সবাইকে সম্মান দিয়ে এসেছেন। সে জীবিত হোক বা মৃত।
যাঁর চুল ঝরার আগে হাজারো সঙ্গী লুফে নিতেন, যাঁর পবিত্র রক্ত পতনের আগে তাঁরা পান করে নিতেন, অযুর পানিও- সেই একই জন যখন নিজের মাথার চাদর ধূলায় বিছিয়ে দেন আগতের জন্য, তা সে মুসলিম হোক বা অমুসলিম- এটাই মানুষের প্রাপ্য সম্মান।'

কিন্তু কোরান শরীফে বলা হচ্ছে-' অংশীবাদিরা তো অপবিত্র, সুতরাং আজ হতে তারা যেন মসজিদুল হারামে কাছে না আসে '৯:২৮।
রসুলের পক্ষেও কি সম্ভব হতো সেখানে অমুসলিমদের নেয়া ।শুধুমাত্র ধর্মীয় বিশ্বাস ভিন্ন হবার কি কাউকে অপবিত্র, নাপাক ায় ?


৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ৭৩ দল

এই ব্যাখ্যায় সুনিশ্চিত আপনি বিরক্ত হবেন। এরই মধ্যে হয়ত হয়েছেন ভাই। তাই এটা যথার্থ জায়গা নয়।

আহলুস সুন্নাহ্ - শব্দের অর্থ হচ্ছে আমার জীবনের কর্ম ও আদর্শকে যাঁরা ধারণ করেন।

ওয়াল জামাআহ্- মানে হচ্ছে, এবং আমার জামাআত (সঙ্গীগণ) এর আদর্শ ও কর্মকে যাঁরা ধারণ করেন।।

এখানে জামাতে ইসলামী যদি বলে, বলতেই পারে। সবাই নিজেকে সঠিক বলে। নাস্তিক থেকে শুরু করে প্যাগান, স্যাটানিস্ট, শিয়া সুন্নি সবাই বলছেন। আমাদের মানুষ হিসেবে সবচে বড় যে পাজল আছে, সেটা হল সঠিকটাকে নিংড়ে বের করে আনা।

এবং এই পাজলের সবকিছুই আমাদের সামনে উন্মুক্ত থাকে, শুধু চেষ্টার বাকী। আমরা অপরিসীম ক্ষমতার আকর।

অতি সংক্ষেপে হল,
তাঁর জামাআহ্ মানে, তাঁর পরিবার তথা আহলুল বাইত তথা ক্বুরবা এবং তাঁর অনুসারীগণ, যাঁদেরকে আমরা সাহাবি বলি। যাঁরা শুধু পরিবারকে মানছেন, তাঁরা অবশ্যই আংশিক মানছেন। কারণ রাসূল দ. পরিবার বলতে সব সময় ক্বুরবা এবং আহলুল বাইত টার্ম ব্যবহার করেছেন।

আর যারা ক্বুরবা-আহলে বাইত নির্বিশেষে প্রত্যেক সাহাবার ছিদ্রান্বেষণ করছেন, যথা জামাতে ইসলামী, সালাফি, তাঁরা আদতে কাউকেই মানছেন না। তারাও বাকী ৭২ দলেই পড়বেন।

কারা সমস্ত সাহাবাদের মানেন? এটাতো প্রকাশ্য। (সাহাবা তাঁরাই যাঁরা রাসূল দ. কে দেখে ঈমান এনেছেন এবং প্রকাশ্য মুমিন অবস্থায় মৃততুবরণ করেছেন।)

হাদীসটি সঠিক। আাবার এও সঠিক, এই তিহাত্তর দলের সবাই তাঁর উম্মাহ।
তাঁর উম্মাহ তিন ধরনের। ১. বুদ্ধিমান সমস্ত প্রাণী (রাহমাতাল্লিল আলামীন মানে সমগ্র জগতসমূহের উপর করুণা।) ২. যাঁরা তাঁকে আল্লাহর প্রেরিত ও আল্লাহর পক্ষ থেকে কর্মসম্পাদনকারী হিসাবে মেনে নেন, তা মুখে স্বীকার করুন আর না করুন। ৩. যাঁরা মুখে স্বীকার করে সে অনুসারে কাজ করেন বা করার মত অবস্থানে আসেন। এই তৃতীয় অবস্থানের মধ্যে ৭৩ মতবাদ আসবে। কী অবস্থা!

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:০৬

ব্যতীপাত বলেছেন: ঠিক পরিস্কার হলনা । আমি তো বুঝি নাই ।
আবারও বলছি –সেই এক দল যে কোনটি তা কেউ জানেনা ,অথবা সবাই জানে যে সেটা তার নিজের দল বা সম্প্রদায় ।

সুস্পষ্ট ভাবে দেখি -এই আমি যেখান থাকি সেখানে শিয়া মসজিদ আছে যেখানে সুন্নি মুসলমান যেতে পারে না । আর আহমাদিয়াদের মসজিদে ওই দুই মতের কেউই যায় না । জামাত তো তাদের মসজিদকে উপাসনালয় ব্যনার টাঙিয়ে দিয়ে বলেছিল-ওরা মুসলমান নয় ,অতএব ওরা মসজিদ নাম দিতে পারবে না । বাহাইদের ইরান থেকে নির্বাসন দেয়া হয়েছে।
পাকিস্তানে ৫৫০০০ কাদিয়ানি হত্যার পর মওদুদীর ফাঁসীর রায় হয়েছিল- সেই । কাদিয়ানিরা যদি মুসলমান না হয় তবে মুসলমান কারা- এই প্রশ্নে পাকিস্তানের জাস্টিস মুনীর কমিশন মুসলিম সমাজের সব বড় বড় আলেমদের কাছ থেকে মুসলমানিত্বের সংজ্ঞা চেয়েছিল ।
সেই রিপোর্ট বলছে –‘ সারা মুসলিম জাহান ঢূঁড়ে তারা জেনেছেন যে- এই ব্যপারে কোন দুইজন মুসলিম একমত নয় । তাই কনিশন বআর আমরা , যদি কোন সংজ্ঞা দিই তাহলে তাও হবে সবার থেকে আলাদা।’ অবস্থা আপনিই বুঝেন !

১০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৭

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ইসলাম কী

ভাই, তারা যদি অনুধাবনই করত, তাহলে তো কথাই ছিল না। ভ্রান্তকে সহজেই ডিটেক্ট করা যায়।

যুদ্ধর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা

হয় না ভাই। এটা সবচে ভ্রান্ত ধারণা। এই ধারণা নিয়েই তারা বসে আছে। ইসলামে যুদ্ধ এসেছে প্রতিবার আক্রান্ত হবার পর। প্রতিবার যুদ্ধের শিকার হবার পর। প্রতিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবার পর। প্রত্যক্ষভাবে আপনি আক্রান্ত হয়ে নিজের ঘাড়টা শত্রুর সামনে পেতে দিবেন, তাহলে তো আপনিই থাকবেন না। প্রতিরোধ না করার মত বোকামি আর নেই। কিন্তু 'তোরা মুসলমান না, আয়, তোর সাথে যুদ্ধ করি'- হোয়াট ইজ দিস?
আসলেই কি আপনার ধারণা, এটা ইসলামের মূল শিক্ষা?
ভাল কথা, মধ্যযুগের প্রায় সব মুসলিম সম্রাটের সাম্রাজ্য নেশাকে ইসলামের সাথে গুলিয়ে ফেলার দরকার নেই।

হুমায়ূনের ইসলাম, স্ট্যালিনের কমুনিজম, বুশের স্যাটানিজম, ওবামার ক্যাপিটালিজম, সিনিয়র বুশের ডেমোক্রেসি, পৃথ্বিরাজের সনাতনতা, বর্তমান বার্মার বৌদ্ধত্ব, হার হাইনেস ডিফেন্ডার অভ ফেইথের ক্রিশ্চিয়ানিটি- এগুলোর কোনটাই কিন্তু নিজ নিজ ধর্ম বা মতবাদ নয়।

এই সবগুলোই আসলে ফিউডালিজম থেকে শুরু করে সাম্রাজ্যবাদ।

ফিতরাত

একটা সন্তান দোষী নয়। সে যেখানে যে অবস্থায় যে পিতামাতা থেকেই জন্মাক না কনে শুভতায়, স্বভাবধর্মেই জন্মগ্রহণ করে। কারণ, মানুষ মাত্রই শুভতার আকর। পরবর্তীতে সে নির্ধারণ করে সে কোন্ দিকে কী করবে। তখন সে পাপী বা পূণ্যবান হয়। জন্ম থেকে মানুষের মধ্যে শুধু অনন্ত শুভতা থাকবে, এই ধারণাটাই মানুষের মানুষ হয়ে ওঠার ধারণা।

পাশবিক আকৃতি

যার প্রতি আসক্তি তার মত হয়ে উঠবে সেটা কিন্তু বলা হয়নি। যার মত স্বভাব তার মত হয়ে উঠবে। মাটির মত স্বভাব মানে তো ভাল স্বভাব। সরল হাদীস। বিবর্তন নয়। বিবর্তনের প্রশ্নই ওঠে না এই ক্ষেত্রে। কারণ, মুসলিমরা ধরেই নিচ্ছে আল্লাহ সর্বশক্তিমান। এখন আল্লাহর সর্বশক্তিমান হওয়া নিয়ে কথা উঠলে তো আর চলে না। যার যার স্বভাব অনুযায়ী তাকে সে আকৃতিতে ওঠানো এখন তো খুবই সাধারণ বায়োকেমিস্ট্রি আর জেনেটিক্স দিয়ে বোঝানো সম্ভব। আর আকৃতিটা হুবহু হতে পারে, আকৃতিটা আংশিক প্রতিভূ হতে পারে, আকৃতিটা রূপক হতে পারে আবার আকৃতিটা অন্যের মনে এভাবে প্রতিভাত হতে পারে।

এখানে বরং হিংস্রতা, স্বার্থপরতা, কপটতা, আত্মকেন্দ্রীকতার কথা বলা হচ্ছে। যেগুলো পাশবিক গুণ বা হাইওয়ানিয়াত।

মাযলুম

মাযলুম মানে নির্যাতিত। নির্যাতিতের পক্ষে যদি না দাঁড়াই, তাহলে ধর্ম আবার কীসের???
ধর্ম কি ভাই শুধুই খোলস???
হয়ত আপনি বলবেন হ্যা, টারমারিক এসিডপ্রিয় কিছু মানুষও বলবে, হ্যা।
তারা আপনাদের নিয়ে এবং আপনারা তাদের নিয়ে খুশি। প্রতিপক্ষ পেলে সবাই খুশি হয়, কী বলেন?

সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট মানুষের ধ্বংস কামনা করা হতেই পারে। এ ছাড়া অন্য পরিপ্রেক্ষিত নাই থাকতে পারে।
তাঁর ক্ষমার হাদিসগুলোর সংখ্যা নির্ধারণ করতে পারবেন না ভাই। আমি পারি নাই। বহু পড়েছি।

সাতটি আঞ্চলিক ভাষা

সাতটি আঞ্চলিক ভাষায় কুরআন মানে সাত কুরআন নয়। একটা প্রকাশ্য অর্থ আরেকটা গোপন অর্থ মানে চোদ্দটা অর্থ নয়।

কুরআন একটা, এর মধ্যে যে ডায়ালেক্ট আছে তার বিভিন্ন জায়গা সাত গ্রামার এরই সমন্বয়। এতে এক ভাষা প্রতিষ্ঠিত হয়। আর কুরআনের একেকটা আয়াতের পরিপ্রেক্ষিত অনুযায়ী কমপক্ষে দুটা করে অর্থ তো আছেই।





০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:১৫

ব্যতীপাত বলেছেন: ইসলাম কী ?

আপনি বলেছেন –“ভাই, তারা যদি অনুধাবনই করত, তাহলে তো কথাই ছিল না। ভ্রান্তকে সহজেই ডিটেক্ট করা যায়। যুদ্ধর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা হয় না ভাই। এটা সবচে ভ্রান্ত ধারণা। এই ধারণা নিয়েই তারা বসে আছে। ইসলামে যুদ্ধ এসেছে প্রতিবার আক্রান্ত হবার পর। প্রতিবার যুদ্ধের শিকার হবার পর। প্রতিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবার পর।”

মদিনা হিযরতেরপর জিহাদের আদেশ পেলে ইসলামের অফেন্সিভ ওয়ার শুরু হয় ।তারপর সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য,উত্তর আফ্রিকা,পারস্য থেকে ভারত ,ইউরোপে একাংশ জুড়ে যে বিশাল আরব সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছিল তার সবটাই আত্মরক্ষার্থে- এইটা সঠিক না । ইসলামের ইতিহাস অন্য কথা বলে । সে সব ইতিহাস না হয় বাদই দিলাম-সে দীর্ঘ আলোচনা ।

মক্কায় রসুলের জীবনে প্রথম তের বছরের মিশন ছাড়া ইসলামের ইতিহাস অবিসংবাদিত ভাবে শক্তি প্রয়োগে ক্ষমতা দখল ,অন্তর্দ্বন্দ ও সহিংসতার বিবরন ছাড়া আর কিছুনা । ইসলামের দুর্বলকালে তা আত্বরক্ষামুলক ছিল,কিন্তু মদিনায় হিযরত করার পর শক্তি সন্চিত হলে ইসলাম হয়ে যায় পুরোটাই আক্রমনাত্বক ।এরপর যতদিন জীবিত ছিলেন -ইসলামের প্রসারের জন্যই শক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল ।

তার মৃত্যুর পর ,ক্ষমতা ও নেতৃত্বের দ্বন্দই ছিল সহিংসতার কারণ ।যার জন্য ইসলামের চার খলীফাই অপঘাতে মৃত্যু হয় ।
পরবর্তীতে রাজতন্ত্র এসে যায় ইসলামে এবং রাজত্ব করা হয় দুনিয়া জুড়ে । ইসলামের সেই মিশন আজও শেষ হয় নি । সারা দুনিয়ার ইসলাম কায়েম পর্যন্ত চলবে।

বলেছেন -“প্রত্যক্ষভাবে আপনি আক্রান্ত হয়ে নিজের ঘাড়টা শত্রুর সামনে পেতে দিবেন, তাহলে তো আপনিই থাকবেন না। প্রতিরোধ না করার মত বোকামি আর নেই।
কিন্তু 'তোরা মুসলমান না, আয়, তোর সাথে যুদ্ধ করি'- হোয়াট ইজ দিস? আসলেই কি আপনার ধারণা, এটা ইসলামের মূল শিক্ষা?”

ঠিক বলেছেন। সমগ্র কোরান পড়লে সেইটা ধারণা হওয়াটাই স্বাভাবিক- কোরান বলছে-‘আল্লাহ তার রসুলকে পাঠিয়েছেন পথনির্দেশ ও সত্যধর্মসহ অপর সমস্ত ধর্মের উপর একে জয়যুক্ত করার জন্য ।’৪৮:২৮ /২ অর্থাৎ-
তাকে পাঠানোর প্রধান উদ্দেশ্য বলা হয়েছে অন্য সমস্ত ধর্মের উপর জয়যুক্ত হবার জন্য।

এই একটি আয়াতই তো যথেষ্ঠ ইসলামের মুল যুদ্ধবাদিতা প্রমানের জন্য । এরূপ আরও অজস্র আয়াত আছে । সেসব উল্লেখ চর্বিত চর্বন হবে ।

ইসলামকে শান্তিধর্ম হিসেবে যারা বলতে চান-‘অন্য সমস্ত ধর্মের উপর জয় করে নেবার’ এই আকাঙ্খা কোন শান্তির আহ্বান নয় ।

জিহাদ হচ্ছে ইসলামের মুল,আর এই জিহাদ মানে পৃথিবীর সব ধর্মের উপর জয়ী হতে হবে, যেভাবেই হোক । অন্য সমস্ত ধর্মের উপর জয়যুক্ত হবার কাজটি কোরানের নির্দেশ মোতাবেক শুরু করা হয় ভালোভাবেই । প্রায় ৬৫টি যু্দ্ধ করেছিলেন-যার মধ্যে ২৩টিতে রসুল নিজেও অংশগ্রহণ করেন সমস্ত আরব অন্চল, সিরিয়া ,ইরাক তার সময়েই বিজিত হয়-বাকীটা করেন তার সহচরেরা ।
বর্তমানে লাদেনদের দলবল করছে ।

বলেছেন- “ভাল কথা, মধ্যযুগের প্রায় সব মুসলিম সম্রাটের সাম্রাজ্য নেশাকে ইসলামের সাথে গুলিয়ে ফেলার দরকার নেই।“
ঠিক, আপনিও যেন কিছু সুফি কবি রুমী খৈয়াম ইউসুফ এমরে ,পারস্যের মরমীবাদ, গ্রীক নয়া প্লেটোনিজম আর ভারতীয় অদ্বৈতবাদ মিশ্রিত ইসলাম , ফকির দরবেশের কাহিনি আর মক্কী আমলে ইসলামের দুর্বল কালের বহুল উদ্ধৃত কিছু সুরা কোট করে -আপনিও যেন সবগুলিয়ে ফেলবেন না ।

বলেছেন –“হুমায়ূনের ইসলাম, স্ট্যালিনের কমুনিজম, বুশের স্যাটানিজম, ওবামার ক্যাপিটালিজম, সিনিয়র বুশের ডেমোক্রেসি, পৃথ্বিরাজের সনাতনতা, বর্তমান বার্মার বৌদ্ধত্ব, হার হাইনেস ডিফেন্ডার অভ ফেইথের ক্রিশ্চিয়ানিটি- এগুলোর কোনটাই কিন্তু নিজ নিজ ধর্ম বা মতবাদ নয়।"

কিন্তু একমাত্র ইসলামেই একই দেহে ধারণ করেন সীজার ও যীশুকে । সমস্যাটা সেখানেই। কোনটা শান্তি, আর কোনটাই বা যুদ্ধ সেটা আপেক্ষিক -মুসলমানদের কাছে মুর্তি পুজাটাই তো ফেৎনা । পৌত্তলিক কাছে সেটাই ধর্ম । ইসলামে পৌত্তলিক বা শিরকি শাসক থাকলে সেই দেশ হয়ে যায় আর ‘দারুল হরব’ আর চরম অশান্ত জনপদও মুসলিমশাসক থাকলে ‘দারুস সালাম’ ।

ফিতরাত

বলেছেন-"একটা সন্তান দোষী নয়। সে যেখানে যে অবস্থায় যে পিতামাতা থেকেই জন্মাক না কনে শুভতায়, স্বভাবধর্মেই জন্মগ্রহণ করে। (তার মানে মুসলমান হিসেবে নিশ্চয়ই নয় ,নয় কি ?) কারণ, মানুষ মাত্রই শুভতার আকর। পরবর্তীতে সে নির্ধারণ করে সে কোন্ দিকে কী করবে।"

এইখানে আমার একটু খটকা আছে-
এই হাদিসটি খেয়াল করে দেখুন-
আয়েশাকে সাথে নিয়ে মুহাম্মদ একবার এক শিশুর জানাযায় অংশ নিয়েছিলেন ।শিশুটির নিষ্পাপ মুখের দিকে তাকিয়ে আয়েশা বলে উঠলেন- ‘ও যেন স্বর্গের পাখিদেরই একটি পাখি, কেননা সে নিষ্পাপ ।পাপ করার বয়সই তার হয়নি। তার আগেই তার মৃত্যু হল ।’
আয়েশার কথা শুনে মুহাম্মদ বললেন- ‘হে আয়েশা,বিষয়টি একেবারেই বিপরীত।‘
-কেন ?
-আল্লাহ মানুষকে স্বর্গের জন্য তৈরি করে যখন সে বাবার মাজায় (father’s loin), কটিতে থাকে,আর নরকের মানুষদেরও তিনি একই অবস্থান থেকেই স্থির করে রাখেন।‘ সহি বুখারি আপনার উপরোক্ত বক্তব্যের সাথে মিললো কি ?

আপনি বলেছেন-"তখন সে পাপী বা পূণ্যবান হয়। জন্ম থেকে মানুষের মধ্যে শুধু অনন্ত শুভতা থাকবে, এই ধারণাটাই মানুষের মানুষ হয়ে ওঠার ধারণা। "
-এই ব্যপারে আপনার সাথে একশত ভাগ সহমত।

পাশবিক আকৃতি ।আপনি বলেছেন-
"যার প্রতি আসক্তি তার মত হয়ে উঠবে সেটা কিন্তু বলা হয়নি। যার মত স্বভাব তার মত হয়ে উঠবে। মাটির মত স্বভাব মানে তো ভাল স্বভাব। সরল হাদীস। বিবর্তন নয়। বিবর্তনের প্রশ্নই ওঠে না এই ক্ষেত্রে। কারণ, মুসলিমরা ধরেই নিচ্ছে আল্লাহ সর্বশক্তিমান। এখন আল্লাহর সর্বশক্তিমান হওয়া নিয়ে কথা উঠলে তো আর চলে না। যার যার স্বভাব অনুযায়ী তাকে সে আকৃতিতে ওঠানো এখন তো খুবই সাধারণ বায়োকেমিস্ট্রি আর জেনেটিক্স দিয়ে বোঝানো সম্ভব। আর আকৃতিটা হুবহু হতে পারে, আকৃতিটা আংশিক প্রতিভূ হতে পারে, আকৃতিটা রূপক হতে পারে আবার আকৃতিটা অন্যের মনে এভাবে প্রতিভাত হতে পারে। এখানে বরং হিংস্রতা, স্বার্থপরতা, কপটতা, আত্মকেন্দ্রীকতার কথা বলা হচ্ছে। যেগুলো পাশবিক গুণ বা হাইওয়ানিয়াত।"

আমার মত হচ্ছে-
যেভাবেই দেখেন- পরকালে মানুষের পুনর্জন্ম হবে । কি রূপ হবে –বাচ্চা বুড়া রা নাকি সবাই যুবক হবে,ষোড়শী যুবতী হবে সবই কল্পনা রূপক । উক্ত বাণীতে আকৃতি কথাই বলা হয়েছিল ।এবং মানুষ ছাড়া বেহেশ্তে আর কোন জীব জানোয়ারের কথা কোরানে কোথাও নাই ।তাই ওই বাণী নিয়ে দ্বন্দ

মাযলুম
আপনি বলেছেন-
"মাযলুম মানে নির্যাতিত। নির্যাতিতের পক্ষে যদি না দাঁড়াই, তাহলে ধর্ম আবার কীসের??? ধর্ম কি ভাই শুধুই খোলস??? হয়ত আপনি বলবেন হ্যা, টারমারিক এসিডপ্রিয় কিছু মানুষও বলবে, হ্যা। তারা আপনাদের নিয়ে এবং আপনারা তাদের নিয়ে খুশি। প্রতিপক্ষ পেলে সবাই খুশি হয়, কী বলেন?
সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট মানুষের ধ্বংস কামনা করা হতেই পারে। এ ছাড়া অন্য পরিপ্রেক্ষিত নাই থাকতে পারে।"

আমার প্রশ্ন- সুনির্দিষ্ট কারন কি ? যাদের ধ্বংস কামনা করা হচ্ছে তারা- তোমার পথে না এসে স্বীয় ধর্মপথেই চলতে আগ্রহী -’ শুধু এই কারনেই তাহলে একটি জনপদ ধ্বংস করা যায়? এটা হতেপারে ?
আপনার মনে কেন প্রশ্ন জাগলো না যে- এটা ত দূর্বলের উপর সবলের অত্যাচার । এটা নৈতিকতার প্রশ্ন –অন্ধ আনুগত্যের নয়। যে ভিন্ন মতের হলেই একটা গোটা জনপদের উপর দূর্ভিক্ষ চাপিয়া দেয়া যায় কিনা । তার মানে বিধর্মী মাত্রই কতলযোগ্য?

আপনার সুফী টাইপ মুখোশটা তাহলে খুলেই গেল –এতক্ষণ ইসলামকে সহনশীল ,শান্তিময়,ক্ষমাশীল বলা কত জার্গলারি করলেন । যাহোক শেষ পর্যন্ত যে আসল ইসলাম চিনতে পেরেছেন এবং বুঝলেন কেন মুসলমানদের হাতে অমুসলিমরা কখনই নিরাপদ নয় ।বিশেষ সময়ে বিশেষ কারণে তাদের সমস্ত
জনপদ জ্বালিয়ে দেয়া যেতে পারে-তাই নয় কি ?তার মানে সুযোগ বুঝে শান্তিময় ইসলাম ,তারপর সুযোগ হলেই যুদ্ধ ?

এই বিশেষ ঘটনাটি বিশেষ যে অঞ্চলের মানুষের উপর হয় তাহচ্ছে সমগ্র মক্কার পৌত্তলিক মানুষ । সেই মানুষ গুলোর মধ্যে কিছু খারাপ লোক থাকতেই পারে। ভালো খারাপ সর্বকালে সর্বস্থানে ছিল আছে থাকবে। কিন্তু একটি সম্পুর্ণ জনপদ ধ্বংস কামনা করা ,-যেখানে নিষ্পাপ শিশু,সরল বালকবালিক, অশীতিপর বৃদ্ধ বৃদ্ধা রাও নিশ্চয়ই ছিল তাদের ধ্বংস কি করে চাইতে পারেন ।তাদের দোষ কি এই যে তারা পৌত্তলিক ছিল ? ইসলাম না মানলে তবে সবাই পাপী হয়ে যাবে ?

ঐরূপ আরও আছে- আরেকটি হাদিস :
‘হে আল্লাহ ,মুদার গোষ্ঠির উপর শাস্তি পাঠাও । ইউসুফের আমলের মত দুর্ভিক্ষ চাপিয়ে দাও, তারা দুঃখ ভোগ করুক ।’ বর্ননা আবু হুরায়রা ।
এখানে ক্ষুধার্তকে অন্ন দেওয়া থেকে বন্চিত করার দোয়া করা হলো এ জন্য যে তারা মুসলমান হয় নাই ।

কোরানেও এর সমর্থন মেলে। সুরা আরাফের ৯৪ সংখ্যক আয়াতে বলা হয়েছে আল্লাহ নিজেই দুর্ভিক্ষ দিয়ে মানুষকে পীড়িত করেন, যাতে তারা বাধ্য হয় তার নবীর কথা শুনতে-
-‘আমি কোন জনপদে নবী পাঠালে ওর অধিবাসীদের দুঃখ ও ক্লেশ দ্বারা পীড়িত করি, যাতে তারা নতি স্বীকার করে ।‘ (৭:৯৪) কোরানের বাণী মিথ্যা হয় নাই এবং
মক্কাবাসীরা সেবার সত্যিই দুর্ভিক্ষে পতিত হয় এবং মৃত কুকুর,জন্তু ইত্যাদি ভক্ষন করতে বাধ্য হয় । দুর্ভিক্ষে কেবল ইসলামের শত্রুরাই নয় শত শত নিরপরাধ শিশু ও বৃদ্ধারাও মারা যান । (ঐ)

একই ঘটনা নিয়ে আরও একটি সুরা :
-‘অতএব তুমি অপেক্ষা কর সেদিনের যেদিন আকাশ স্পষ্টই ধূমাচ্ছন্ন প্রতীয়মান হবে এবং মানবজাতিকে তা গ্রাস করে ফেলবে। সে হবে মর্মন্তুদ শাস্তি। ’৪৪:১২

সেই দুর্ভিক্ষে অসহায় মানুষদের দুদর্শা দেখে কোরায়েশ নেতা আবু সুফিয়ান হযরত মুহম্মদের কাছে গিয়ে বললেন :–আপনি কি বলেন নাই যে বিশ্ববাসীর কাছে আপনি রহমত স্বরূপ?
-নিঃসন্দেহে বলেছি এবং বাস্তবিকই তাই ।
-আপনি স্বগোত্রের প্রধানদের বদর যুদ্ধে তরবারি দ্বারা হত্যা করেছেন আর এখন যারা জীবিত তাদের ক্ষুধা দিয়ে হত্যা করছেন ? আল্লাহর কাছে দোয়া করুন যাতে এই আজাব সরে আমাদের উপর থেকে সরে যায় ।
(মারেফুল কোরান, পৃ: ৯২০ অনু-ম মুহীউদ্দীন )

আরও আছে । মক্কায় তাকে ব্যঙ্গ করে কবিতা লেখকদের হত্যা, অন্ধ গায়ক ও তার দুই গান গাওয়া কন্যা হত্যা ,বনি কুরাইযার সমগ্র পুরুষ মানুষদের গনহত্যা ইত্যাদি ইত্যাদি । ইবনে ইসহাক এর সিরাতে সব বর্ণনা আছে

বলেছেন-"তাঁর ক্ষমার হাদিস গুলোর সংখ্যা নির্ধারণ করতে পারবেন না ভাই। আমি পারি নাই। বহু পড়েছি। "

-তা ঠিকই বলেছেন ,অসংখ্য ক্ষমার হাদিস আছে নি:সন্দেহে । কিন্তু আগেই বলেছি হাদিস সমুহের মধ্যে অনেক আরোপিত । তবে প্রতিহিংসারও কম নাই। বস্তুত যুদ্ধের সীজার যিনি -তাকে কি যীশু সেজে বসে থাকলে চলে।

১১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: জ্ঞানী ও জান্নাত

অবশ্যই জ্ঞানীর মর্যাদা অতুল।
তিনি শিক্ষা ও জ্ঞানকে কী পরিমাণ সম্মান দিয়েছেন তার প্রমাণ, অশিক্ষিত মুসলিমকে অক্ষরজ্ঞান দিলেই যুদ্ধবন্দীর মুক্তি হত- কী অসাধারণ মুক্তিপণ!
এবং নূনতম শিক্ষিতেরও কী মূল্যায়ন!

তিনি বলেছেন,
* লোকে যাকে যতটা সম্মান করে, ততটা সম্মান করতে কার্পণ্য করোনা।
* তাকে অন্তত ততটা মূল্যায়ন কর যতটা মূল্যায়নের সে যোগ্য।
* আমি অনুসন্ধানীর ভিতরে, অনুসন্ধানী আমার ভিতরে।
* নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রত্যেক মুসলিমের জ্ঞান অর্জন অবশ্যকর্তব্য। (ধর্মীয় জ্ঞানই কিন্তু নয়, জ্ঞান।)
* দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত জ্ঞান অর্জন করো।
* জ্ঞানার্জনের জন্য প্রয়োজনে চীনে যাও। (আরবের অপর পৃষ্ঠে চীন, তাই উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিমের সবচে দূরতম অঞ্চল চীন।)
* আমার উম্মতের মধ্যে তাকেই দোষী সাব্যস্ত করা হবে, যে জানে কিন্তু জানায়নি। সম্পদশালী, কিন্তু দেয়নি।
* জ্ঞানীরাই আমার উত্তরাধিকারী।
* সে-ই উত্তম, যে মহান প্রভুর বাণী শেখে ও শেখায়।
* সেই সবচে কৃপণ, যে জানে কিন্তু জানায় না।

জ্ঞানী সর্বত্র অগ্রগণ্য। এ নিয়ে কথা নেই।

কিন্তু জ্ঞানের উদ্দেশ্যও দ্রষ্টব্য। উদ্দেশ্য, সর্বত্র সত্যে উপনীত হওয়া। কল্যাণে উপনীত হওয়া। দেখবেন, আমাদের সায়েন্টিফিক রিসার্চেও কিন্তু ওইসব প্রজেক্ট নেয়া হয় না, যাতে কোন ব্যবহার্য উপকার নেই। ব্যবহার্য উপকার নেই, এমন রিসার্চ পেপার কিন্তু জার্নালও নেয় না।

উদ্দিষ্ট যেমন উপকার, কল্যাণ- সত্যের উপরে সত্যও তেমনি উদ্দিষ্ট।
অকার্যকর, অপ্রযোজ্য জ্ঞান তাই নিষ্ফল। (আমিকিন্তু ফিজিক্স কেমিস্ট্রির কথা বলিনি)

সবশেষে, নামাজ কিন্তু জ্ঞানীদের জন্য বাদ দেয়া হয়নি। যেমন খাওয়া বা শ্বাস নেয়া জ্ঞানীরা পুরোপুরি বন্ধ করে দেন না। তবে ক্ষমার ক্ষমতা তো প্রভুর হাতে।
তাই জ্ঞানীর সিদ্ধান্তই জ্ঞানীর গন্তব্য নির্ধারণ করবে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৩১

ব্যতীপাত বলেছেন: সুফী মিসটিক ইমাম গাজ্জালীর সাথে দার্শনিক ইবনে রুশদ এর দ্বন্দবিবাদ নিশ্চয়ই জানেন । তিনি দার্শনিকদের জ্ঞানচর্চার কি রফাই না করলেন ।
মসজিদের সামনে ইবনে রুশদ্ কে বেঁধে রেখে সব মুসল্লিদের থুথু দেওয়ালেন । ইবনে সিনাকে তো সব সময়ই ঘোড়া নিয়ে তৈরি থাকতে হতো । কখন মোল্লাদের জহ্লাদ আসে । ভাগ্যিস সেটা বাদশাহ হারুনের কাল ছিল-আর তখন মুতাজ্জিলদের তিনি প্রশ্রয় দেন ।
কিন্তু ওই সব জ্ঞানীদের চর্চা গাজ্জালী সহ আসল মুসলমানেরা মানতে পারেনি তাই সব বন্ধ হলো । মুসলমানদের জ্ঞান চর্চার সেই সমাপ্তি –বিজ্ঞান চর্চারও। ১৪০০ বছরেও আজও জাগলো না ।
জ্ঞানচর্চার জন্য 'প্রয়োজন হলে চীনেও যেতে বলেছিলেন ।' কিন্তু-
‘জ্ঞানচর্চার জন্য প্রয়োজন হলে চীন যাও’-রসুলেরএই হাদিসটিও নাকি জাল । কারন জ্ঞান চর্চার জন্য চীনে যেতে হবে কেন, যেখানে কোরান চর্চা করলেই সব মিলবে । দুনিয়ারসব সাইন্স আর্টস কমার্স ।
তাই
ntv র সওয়াল জবাবে বাচ্চু রাজাকার বলেছিলেন ওটি সহি হাদিস নয় ।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:২৬

ব্যতীপাত বলেছেন: আগের জবাব টায় একটি তথ্যগত ভূলছিল । -চার খলীফা নয় তিনখলীফা নিহত হন।

১২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: উট বাঁধা

এখানে আপনি যে টার্মটা নিয়ে এসেছেন সেটার নাম ইসলামে ক্বাজা ও ক্বদর।

আল্লাহ আমাদের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে পাঠাননি।
আবার পূর্ণভাবে আমাদের নিয়ন্ত্রণও করেন না।

যদি পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে পাঠাতেন, তাহলে প্রয়োজনে পৃথিবীকে টিকিয়ে রাখা বা পৃথিবীতে কিছু পরিমাণ ব্যালান্স রাখতেন না।

আবার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ দিয়েই যদি পাঠাতেন, তাহলে কর্মফল দিতেন কার? বিষয়টা কি অতীব সরল নয়? না হলে আমি একটা আলাপের লিংক দিব।

প্রহার

পুরুষকে কর্তৃত্ব দেয়া হয়েছে তার বাইরে কাজ করার সামর্থ্যের জন্য। প্রভুত্ব দেয়া হয়নি। যে পরস্পর বিপরীত বিষয় আপনি উঠিয়ে এনেছেন, এতে সেটাই প্রমাণিত হয়। শাস্তি দেয়া অত্যন্ত বাজে কাজ, তাতে বাধ্য হওয়া আলাদা কথা। বাস্তবতা হচ্ছে, এই বিষয়ক অনেক হাদিস আছে। স্ত্রীকে প্রহার না করা। আর আরো বাস্তবতা হচ্ছে, একজন শিক্ষিত বরং বলা উচিত সুশিক্ষিত মুসলিম বা অমুসলিম কেউই স্ত্রীকে মারেন না- এর কারণ, শিক্ষা তাকে চালিত করতে পারছে। অপরদিকে অশিক্ষিত মুসলিম বা অমুসলিম হাত তুলতে পারেন- কারণ তাকে শারীরিক শক্তি প্রয়োগ করতে হচ্ছে- বিশ্লেষণী নয়।

এই হাদিসগুলো এবং আয়াতের আলোকে খুব সহজেই মুসলিম জানে, স্ত্রীর গায়ে হাত তোলা গর্হিত কাজ। এইটা আপনি সমাজে দেখে এসেছেন। মুসলিম সমাজের আশপাশে যদি আপনি না থাকতেন, তাহলে বলে বোঝানো কঠিন হয়ে যেত। কিন্তু আপনি দেখে অভ্যস্ত- বিষয়টা অনেকটা নারীদের খৎনা করানোর মত। যার প্রয়োগ আপনি কখনোই দেখেন না, তার পরও বিষয়টা তুলে আনা আপনার আমার মত কারো কারো দ্বিধা হয় না।

রাসূল দ. কখনো কোন মুমিন-মাতাকে প্রহার করেছেন এমনটা আমার জানা নেই। আমিও সেই সুন্নাহর উপর প্রতিষ্ঠিত।

কিছু ছোট প্রশ্ন অনেক বড় আলাপের জন্ম দেয়। এগুলো আপনি ভাই পড়েও দেখবেন কিনা তা চিন্তার বিষয়। আর পড়লে তো ভালই। সবচে ভাল হয়, এ নিয়ে আরো কিছু চাইলে আমরা কথা চালিয়ে যেতে পারি।

নারী প্রিয়তা

আপনার ফুল প্রিয় মানেই কিন্তু ফুল ছিঁড়ে সাথে নিয়ে হাঁটেন না। মা প্রিয় হলেই কিন্তু আমরা বাবা থেকে তাকে আলাদা করে ফেলি না। বোন প্রিয় মানেই তেমনি নয়।

আপনি যখন বলবেন, আমার কুরআন প্রিয়, তখন এর দুটা অর্থ হতে পারে, এক, চা বানানোর জন্য ছিঁড়ে জ্বালানী হিসাবে, দুই, সেভাবে জীবন গড়ার জন্য। অর্থাৎ, ত্রুটি অণ্বেষণের জন্য অথবা সঠিক খুজে পাবার জন্য।

নারী প্রিয়'র সাথে ভোগের ব্যাপারটা আসছে কীভাবে!
নারী আমারও প্রিয়।
পথে কোন নারীর অবমাননা দেখলে আমিও কলার চেপে ধরি।
এর মানে কি এই, সেই নারী আমার ভোগের বস্তু!

নাকি মানে এই, নারীর মর্যাদা অন্যরকম?
আলাদা প্রিভিলেজড?

তসলিমা নাসরীন নারীবাদী মানে কিন্তু তিনি লেসবিয়ান নন।
নিজের ভোগের সাথে সংশ্লিষ্ট করে তিনি বিষয়টাকে দেখছেন না।

আর নারী পছন্দ হওয়ার মানে যে ভোগ সংশ্লিষ্ট নয়, তা এত এত বেশি হাদিসে এতবার এসেছে যে, বলে শেষ করা সম্ভব নয়।

মায়ের পায়ের তলায় সন্তানের বেহেস্ত- এখানে মায়ের পায়ের তলায় কিন্তু ভোগ নেই।
তোমরা বাবা-মাকে উফ্ বলো না- এর সাথে কিন্তু মাৎসর্যের বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই।


মানব সমাজে, মানব জন্মে এটা এমনি এক বেসিক বিষয়, যা ক্লিয়ার না থাকলে মনোবিকৃতি অপরিহার্য।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৪৬

ব্যতীপাত বলেছেন: প্রহার

কোরান যেখানে প্রহারের কথা বলছে তখন হাদিস দিয়ে তাকে ডিফেন্ডকরা যাবেনা ।কোরনে সুস্পষ্ট ভাষায় প্রহারকে জায়েজ করা হয়েছে । স্বয়ং নবী বিদায় হজ্বে বলেছেন-
এখন তাকেও অস্বীকার করে বলা হচ্ছে বিদায় হজ্বের তিন ভার্সন আছে। ঠিক কিন্তু স্ত্রীপ্রহারের ব্যপারে কোন ডিসপিউট নাই-কেবল তিনি আস্তে মারবার উপদেশ দেন-হাদিসে কি দিয়ে মারতে হবে তার পরিমাপ দেন ।

বহুল সমালোচিত স্ত্রীপ্রহারের আয়াতটিতে এখন বলা হচ্ছে যে ওটির অর্থ প্রহার নয়-চলে যেতে বলা ।এক পাকি এপলজিস্ট অনুবাদ করেছেন-সঙ্গম করা ।অর্থাৎ অবাধ্য হলে নারীকে প্রথমে বোঝাও তারপর শয্যা পৃথক কর এবং অতঃপর তার সাথে সঙ্গম কর ।

বিদায় হজ্ব এর ভাষণের ব্যপারে শিয়া ও সুন্নি মতভেদ আছে ।
আজকাল কোরাণের অর্থের ব্যপারে নতুন ব্যখ্যা-অন্য ভাষায় সংস্কার আসছে।

১৪০০ বছর ধরে মুসলমান যে অর্থ জানতো আজ মডার্ণ মুসলিমদের কাছে তা বাতিল হবার অর্থ তারাও ওই কোরাণ মানতে পারেন না যাতে স্ত্রী প্রহারের কথা আছে,।
আরও বদল হচ্ছে -
যেখানে খৃষ্টান ও ইহুদীদের নাম ধরে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে মানা করা হয়েছে-তাদের চিরকালের শত্রু বলা হয়েছে ।

যেখানে পুরুষকে শাসনকর্তা বলাহয়েছে-
ডিফেন্ড করতে হচ্ছে নারীর উত্তরাধিকার
,তালাক প্রথা,
চার বিবাহের মত অশোভন কথা ,
পরধর্মকে গালাগালি করা –তাদের শুয়োর বানর কুকুর গাধা বলা,
ব্যভিচারের শাস্তির বেত্রাঘাত বা প্রস্তর নিক্ষেপে হত্যা
প্রভৃতি অজস্র অসম ভ্রান্ত বিদ্বষী বক্তব্যকে ।

নারী প্রিয়তা।

নারীবাদিতা আর আর নারীপ্রিয়তা এক নয় এটা বুঝার ক্ষমতা আপনার নাই এটা বলতে চাইনা । সব কিছু ডিফেন্ড করতেই হবে এটা কে বলছে ।
আমরা তো আর সাঈদীর ওয়াজের শ্রোতা নই যে তার তার যৌন সুরসুরি মার্কা সবক শুনে স্ত্রী সঙ্গের জন্য বেচয়িন হব ,বা তেতুল তত্ত্বের শফীর মত লালা ঝরবে ।
‘নারী’ বললে তার সাথে ৯ বছরের বালিকা বা ৬৫ বছরের মা’কেও একই ব্রাকেট বন্দী করলে বায়োলজিকাল ভ্রান্তি হয়তো হবে না, কিন্তু ব্যকরন গত ভূল অবশ্যই । যে জন্য বালিকা, কিশোরী, যুবতী নারী, মহিলা প্রভৃতি শব্দ আলাদা অর্থবোধক ।

মায়েরা অবশ্যই নারী,কিন্তু আকেলমন্দরা অবশ্যি মানবেন যে তিনি আসলে কাদের মিন করেছেন। -‘ তিনি ফুল ,সুগন্ধি, এবং মা’বোনেদের পছন্দ করতেন বললে অনেকে তাকে অন্যরকম মনে করতে পারত।
' নারী জাতি' বললে হয়তো সবাইকে ব্রাকেট বন্দী করা যেত । কিন্তু এখানে শুধুই নারীজাতি নয় শুধু নারী বলা হয়েছে -

১৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫

হারান সত্য বলেছেন:
লিসানি ভাই এবং লেখক

আপনারা উভয়ে ইসলাম ও মানবতার কল্যানের পথ নিয়ে চিন্তা গবেষণা করছেন দেখে ভাল লাগল। আমি আপনাদের দুজনকে একটা ওয়েব সাইটে আমন্ত্রন জানাচ্ছি। এখানে ইসলামের একটি অনন্য চিত্র ও তা বাস্তবায়নের ব্যাবহারিক উপায় বর্ণিত হয়েছে - যা আপনাদের চিন্তা-গবেষণার সহায়ক হবে বলে আশা কার যায়।

উপস্থাপনাটা সম্ভবত একটু দুর্বোদ্ধ/কঠীন/সময়সাপেক্ষ হয়ে থাকবে - তাই নিবন্ধিত সদস্যদের মধ্যে অতি অল্প সংখ্যকই সবগুলি অধ্যায় পড়তে পেরেছেন। আশা করি আপনারা সবগুলি অধ্যায় পড়ারমত যথেস্ট ধৈর্যশীল হবেন।

সাইটের ঠিকানা: মহাসত্যের পরিচয়

আল্লাহ আমাদের সকল কল্যানকর প্রচেস্টা কবুল করুন - আমীন।

১৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কাফির-মুসলিম; জ্ঞানের দরজা

ভাই, পার্সোনাল আলাপে আসি।

হয় আপনি প্রকৃতার্থেই নাস্তিক। অথবা সংশয়বাদী। অথবা শিয়া (মুসলিম)। অথবা নাস্তিক/সংশয়বাদী হয়েও শিয়াপন্থীতা ভাল লাগছে আপনার।

আপনি সংশয়বাদী হতেই পারেন, কারণ একমাত্র সংশয়বাদী এবং অবিশ্বাসী ছাড়া আর কেউ নবী দ.'র কর্মকান্ড নিয়ে সংশয়পূর্ণ কথা বলেন না। যৌক্তিক কথা।

যেটাই হোক, আমার কিছু এসে যায় না। আপনারো না। কারণ আমরা পাশাপাশিই থাকব।

শিয়াপন্থীতা যদি আজকাল ভাল লেগে থাকে, সহায়তা করি, ডা. বা ঈমান আল সুরেশ্বরীর বই পড়ছেন বোধহয়? অথবা সদরউদ্দিন চিশতীর? অথবা তাঁদের দুজনের সংশ্লিষ্টতার অথবা আন্তর্জাতিক বইপত্রও হতেই পারে।

এ বিষয়ে সহায়তার জন্য আছি। কারণ এক ধাঁধা থেকে আরেক ধাঁধায় উপনীত হতে থাকুন- এটা কোন কাজের কথা নয়।


নিশ্চই বুঝতে পারছেন, আমি সুন্নি।
অবশ্যই-
* আলী রা. জ্ঞানের দরজা।
* তিনি রাসূল দ.'র কাছে তেমন, মূসা আ.'র কাছে হারুন আ. যেমন।
* হে আবু হুরাইরা, পুরুষদের মধ্যে তুমি ও আলী রা. আমার প্রিয়। (সডোমি বা হোমোসেক্সুয়ালিটির দিক দিয়ে নিশ্চই এ কথাটাও নিবেন না! হাজার হলেও, প্রিয় কথাটা এসেছে।)
* হে আবু বকর রা., আপনি ও আলী রা. আমার প্রিয়।
* হে আল্লাহ! এরাই ( আলী রা. নবী তনয়া রা., ইমাম হাসান রা., ইমাম হুসাইন রা. ) আমার আহল আল বাইত, এদেরকে আমি যেমন ভালবাসি আপনিও ভালবাসুন। এদের সংরক্ষিত ও পবিত্র করুন।
* আমি যার মাওলা (নিকটতম আপনজন) আলী রা. তার মাওলা।
* আমি উৎস আর সেই বৃক্ষের কান্ড আলী রা.।
* কিয়ামাত পর্যন্ত আলী রা. মুমিনদের সাহায্যকর্তা।
* আলী রা.'র যিকর করা ইবাদাত।
* পুরো মুসলিম জাতি যদি একদিকে যায়, আর আলী রা. যদি অন্যদিকে যান, তাহলে আলী রা. সঠিক।- মাতা আয়িশা রা.।
* যে আলী রা.'র সাথে শত্রুতা করে, সে আমার সাথে শত্রুতা করে।
* আলী রা.'র চেহারা দেখা ইবাদাত।

এগুলো হাদিস। আর কুরআন হল,

হে রাসূল দ., আপনি মানুষদের বলে দিন, তারা যদি আপনার রিসালাতের অধিকার পূর্ণ করতে চায় (আদায়), পারবে না, বরং আপনার ক্বুরবার (ভালবাসায়/ সম্মানে/শ্রেষ্ঠত্বে কিছুটা আদায় হতেও পারে।)।


এবার বলেন তো ভাই,
আমাকে সুন্নি মনে হয়?
যদি সুন্নি মনে হয়, তাহলে কেমনধারা সুন্নি আমি?

আপনি কিছুটা শিয়াপন্থী, নাকি শিয়া সুন্নির রগড়টা খুব উপভোগ করেন, এটা খোলামনে জানালে কিছু মনে করব না।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৫৯

ব্যতীপাত বলেছেন: আপনি বলেছেন-

"এগুলো হাদিস। আর কুরআন হল,
হে রাসূল দ., আপনি মানুষদের বলে দিন, তারা যদি আপনার রিসালাতের অধিকার পূর্ণ করতে চায় (আদায়), পারবে না, বরং আপনার ক্বুরবার (ভালবাসায়/ সম্মানে/শ্রেষ্ঠত্বে কিছুটা আদায় হতেও পারে।)।"

এসব বিষয়ে আমার বলার কিছু নেই । যেকোন শিয়া লিটারেচার পড়লে এর বিপরীতে ওদের হাজারটা প্রমান হাজির করবে ।বাহাই,কাদিয়ানি,ইসমাইলি, খারিজি, ওহাবি, সুফি প্রভৃতি সবারই নিজস্ব দেন দরবার আছে । সবাই কোরান কোট করে । এবং ১৭ রকম অর্থের কল্যানে সবই জায়েজ-যে যার মত চলছে নিজস্ব ব্যখ্যা নিয়ে । ফলে চলছে দন্দ্ব, সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে মারামারি ,সোমালিয়া থেকে সামারিতান সর্বত্র একই

বলেছেন-
"আপনি কিছুটা শিয়াপন্থী, নাকি শিয়া সুন্নির রগড়টা খুব উপভোগ করেন, এটা খোলামনে জানালে কিছু মনে করব না।
এবার বলেন তো ভাই,
আমাকে সুন্নি মনে হয়?
যদি সুন্নি মনে হয়, তাহলে কেমনধারা সুন্নি আমি?"

আমি শিয়াপন্থি নই ।
আর শিয়া সুন্নী ব্যপারটা রগড় নয় -ইসলাম এর উপর বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন।
মুসলিমদের এই রগড় এমনই যে তারা যে শুধু একসাথে নামাজই পড়ে না তাই নয়- আজ ১৪০০ বছর ধরে যে লড়াই তারা করছে, লক্ষ লক্ষ মুসলমান মারা গেছে-আজও তার জের চলছে ।আজও পাকিস্তানে ইরানে সিরিয়ায় ইয়মেনে বাহরাইনে শিয়াসুন্নী দাঙ্গায় যত মুসলমান মরছে সেরকম মারত আরও কয়েকটা আমেরিকা লাগবে।

বলেছেন: মহিলাদের মসজিদে যাবার হাদিসের কনক্লুশন আপনি দিয়েছেন আপনার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে।

এটা নিয়ে বাড়তি আলাপের কিছু নাই।
মহিলারা একসাথে আল্লাহর এবাদত কেন করে না ।
নারী পুরুষের এই সেগ্রেগেশন ইসলামে প্রথম যুগে ছিল না । তারা একত্রে ঈদের জমাতে একত্র হতো,হজ্ব করতো একত্র কোন পর্দা টানার কোন ব্যবস্থা না করেই,যুদ্ধও করতো এমন উদাহরণ আছে।

কাফির। আপনি আবার কাফির প্রসঙ্গ টেনে বলছেন-
"প্রসঙ্গটা ওই কমেন্টে শেষ হয়নি। কে কাফির কে কাফির না তা নির্ধারক আল্লাহ ও তাঁর রাসূল দ.।
আপনি আমি নির্ধারক নই। আপনার মনের গহীনে বিশ্বাস কতটা আছে, আমি বলতে পারব না। তাঁরা অন্তর্যামী, বলতে পারবেন। তাই আমি কাউকে কাফির বলার অধিকার রাখি না। বরং বিশ্বাসীকে অবিশ্বাসী বললে আমি পাপী। বিষয়টা তো স্পষ্ট।"

আমারমন্তব্য হলো-
গাজ্জালী সুস্পষ্ট বলেছেন মুসলিম ছাড়া সবাই কাফের । আপনি না বলেন সেটা ভিন্ন । আর মুসলমানরা তো প্রতিনিয়ত একে অপরকে কাফির বলছেই ।
শাহবাগীরা তোসসবাই এখন কাফের টাইটেল পেয়েছে –এইটা তোনিশ্চয়ই জানেন ।।

১৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৪

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: মহিলাদের মসজিদে যাবার হাদিসের কনক্লুশন আপনি দিয়েছেন আপনার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। এটা নিয়ে বাড়তি আলাপের কিছু নাই।

কাফির

প্রসঙ্গটা ওই কমেন্টে শেষ হয়নি। কে কাফির কে কাফির না তা নির্ধারক আল্লাহ ও তাঁর রাসূল দ.। আপনি আমি নির্ধারক নই। আপনার মনের গহীনে বিশ্বাস কতটা আছে, আমি বলতে পারব না। তাঁরা অন্তর্যামী, বলতে পারবেন। তাই আমি কাউকে কাফির বলার অধিকার রাখি না। বরং বিশ্বাসীকে অবিশ্বাসী বললে আমি পাপী। বিষয়টা তো স্পষ্ট।

কালো পাথর চুমু

প্রথমত, উমার রা. কে?
রাসূল দ.'র পর রিসালাত যদি থাকত, নবী কেউ হলে উমার হতেন।
এত উচ্চতম মর্যাদার ব্যক্তির পাপ নেই, যেটা কাটানো যাবে হাজরে আসওয়াদ পাথর চুম্বন করে।
নি:সন্দেহে উমার রা.'র কোন উপকার করার ক্ষমতা ওই পাথর রাখে না।

দ্বিতীয়ত,
রাসূল দ. কে?
তাঁর কৃতকর্ম ইসলামে কতটা প্রভাবশালী সেটা বোঝা যাচ্ছে।
তাঁর ভালবাসায় নিথর পাথরে চুম্বন করাও মহান কাজে পরিণত হচ্ছে যিনি নবীর মত উচ্চতায় আসতে পারতেন নবুয়ত থাকলে- তাঁকেও।

তৃতীয়ত,
রাসূল দ. কেন চুম্বন করেছেন?
এই পাথর আল্লাহর নিদর্শন। আল্লাহর নিদর্শন চুম্বন করা তাঁর প্রতি ভালবাসার বহি:প্রকাশ বিধায় বিনা দ্বিধায় মহান ইবাদাত।

যেমন সাহাবীরা রাসূল দ.'র পবিত্র চরণ ও হাত চুম্বন করতেন।

চতুর্থত,
এই হাদিসটার মূল চেতনা তো ধরতে হবে। মূল চেতনা ধরতে না পারলে কেউ বলবে, ,মা আমি তোমাকে ভালবাসি। আপনি অনুবাদ করবেন, ওই যে দেখ, মা কেও ভালবাসে। কাউকে ছাড়ল না।


তাহলে বিষয়টা কী দাঁড়াচ্ছে? বিষয়টা দাঁড়াচ্ছে, আমার স্ট্যান্ড, আমার দৃষ্টিভঙ্গি কখনোই ঘটনা সঙ্ঘটনের মূল বিষয়ের ব্যাখ্যা হতে পারে না।

মূল চেতনা আলী রা.'র অন্য একটা হাদিস থেকেই দেখা যাক।

উচু একটা গাছের নিচ দিয়ে যাবার সময় তিনি মাথা নিচু করলেন। সাথের সাহাবারা বললেন, হে আমিরুল মু'মিনীন! এই গাছের শাখা তো অনেক উচুতে। আপনি কেন নিচু মাথায় যাচ্ছেন?

আলী রা., বললেন,
আমার প্রিয় রাসূল দ. যখন এ গাছের তলা দিয়ে যান, সেটা তখন নিচু ছিল। ডাল এড়াতে তিনি পবিত্র মস্তক অবনত করে গেছেন। এখন গাছ বেড়ে গেছে। আমি মাথা উচু করেই যেতে পারি। কিন্তু প্রিয় রাসূলের স্মরণ ও তাঁর ভালবাসা মাথা নিচু করে দিয়েছে।
তিনি যা করেছেন, সেই স্মরণে থাকতে আমার ভাল লাগে।


০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:০২

ব্যতীপাত বলেছেন:
মুল পয়েন্টটি ছিল- পাথর চুম্বন পৌত্তলিক প্রথা । ওমর এইটা খুব ভালো জানতেন । তাই পছন্দ করতেন না । কিন্তু ইচ্ছার বিরুদ্ধে হলেও তিনি রসুলের প্রতি শ্রদ্ধা এবং মুসলিম উম্মার ঐক্য রক্ষার্থে ওই রিচুয়াল মানতেন । উমরের অপছন্দটা জানা জরুরী ।
রসুল সম্পুর্ণ পৌত্তলিক প্রথা কিছু পরিবর্তন করে প্রায় হুবুহু রেখে দিয়েছিলেন এর কমার্শিয়াল উপযোগীতার কথা ভেবে । তিনি অত্যন্ত দূরদৃষ্ঠিসম্পন্ন মানুষ ছিলেন। আজকের হজ্জ্ব থেকে সৌদিদের যে ইনকাম হয় তাতেই নিশ্চয়ই বুঝবেন।
যদিও রসুলের ভাবনা হয়ত ছিল- এই অর্থ সমগ্র মুসলিম উম্মার কাজে ব্যবহৃত হবে।
কিন্তু সৌদি রাজতন্ত্র তা কি আর হতে দিবে।

১৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৯

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আবারো। এইসব কনভার্সেশন থেকে রীতিমত শিখছি।

এক মহাচেতনা



মহামতি বুদ্ধর বিষয়ে বৌদ্ধদের একটা বড় ধারা এবং পশ্চিমা বৌদ্ধিক ইতিহাস যা বলে, তার সাথে দ্বিমত পোষণ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।

মহামতি বুদ্ধ কখনোই ঈশ্বরের অস্তিত্বকে অস্বীকার করেননি বা ঐশ্বরিকতার বিপরীতে যাননি। তিনি শুধু একটা মৌলিক থিমকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন।

প্রত্যেক মহাপুরুষের আগমনের একটা পরিপ্রেক্ষিত থাকে। তাকে সেইদিকেই বেশি ঝুঁকতে দেখা যায়। কিন্তু অন্য বিষয়গুলো এখানে বাদ হয়ে যায় না, বরং উহ্য থাকে। এর ফলে তাদেরকে ব্যাখ্যা করাটাও দুষ্কর হয়ে ওঠে।

একেকজন একেকটা বিষয়ে প্রাধান্য দেন। কারণ ওই সময়ে সেটাই সবচে বেশি জরুরি হয়ে দেখা দেয়। একটা ধারাতেই নাহয় বিষয়টা বলি। ইসলামের সাথে যুক্ত করে।

* যাকে আমরা 'বড় পীর' হিসাবে চিনি, তাঁর মৌলিক থিম ছিল ইসলামি বাহ্যিক জীবনাচরণের উপর সর্বদা প্রতিষ্ঠিত থাকা। এঁকে সবাদ্য ধর্মসঙ্গীত করতে দেখা যায় না বা এঁর অনুসারীদের বাহ্যিক আচার আচরণে ইসলাম থেকে দূরে দেখা যায় না।

* যাঁকে 'খাজা বাবা' হিসাবে চিনি, তাঁর মৌলিক বিষয় ছিল মানুষকে একত্ববাদে উপস্থিত করা এবং এছাড়া সব বাহ্যিকতা/ ত্রুটি ওভারলুক করা। এঁকে দেখা যায় বাদ্য অনুমোদন করতে, মানুষের জীবনাচরণে খুব সামান্য পরিবর্তনের চেষ্টা করতে। মূল পরিবর্তনের উদ্দেশ্য আত্মিক ছিল। তাঁর অনুসারীদের আজও বাহ্যিক ধর্মাচরণে মনোযোগ দিতে দেখা যায় না।

* যাঁকে 'মুজাদ্দিদে আলফে সানি' নামে চিনি, তাঁর মৌলিক বিষয় ছিল এক ধর্মকে অন্য ধর্মর সাথে মিলিয়ে না ফেলা। তাঁর পরিপ্রেক্ষিত ছিল সম্রাট আকবরের দ্বীন ই ইলাহির ফলে নতুন ধর্মে ইসলামের মার্জ হয়ে যাওয়া ঠেকানো। তিনি আবার বাহ্যিক শরীআহ বা আচার আচরণে ফিরে গেলেন।

* যাঁকে 'আলা হজরত' নামে চিনি তাঁর থিম ছিল নবী দ. ও তাঁর সাথে সম্পর্কিত সবকিছুর সম্মান পুনরুদ্ধার। তখন নতুন নতুন ওহাবী মতবাদ আমদানি হয় এবং ওহাবী মতবাদ সব নবী-রাসূল-সাহাবা-আহলেবাইতকে খুবই বালখিল্যভাবে সাধারণ মানুষের কাতারে নামিয়ে আনার চেষ্টা, তাদের প্রতি ভালবাসা ও স্মৃতিচিহ্ন ধ্বংসের চেষ্টা। হাদিসকে জাল বলার স্রোত। তিনিও কঠিনভাবে শরীয়ত মানছেন।

* যাঁকে লালন সাঁই বলছি, তাঁর থিম ছিল মানবতাবাদ। আত্মিক আভ্যন্তরীণ শুদ্ধতা। এককে সমর্পণ। তাঁকে ও অনুসারীদের এখনো বাহ্যিক আচরণের বিপরীত করতে দেখা যায়।

* যাঁকে 'মাইজভান্ডারী' বলা হচ্ছে তাঁর থিম ছিল শুধুই একত্ববাদে প্রতিষ্ঠিত হওয়া। তাঁর কাছেও বাহ্যিক আচরণ গুরুত্ব পায়নি তখনকার পরিপ্রেক্ষিত অনুযায়ী। এখনো তাঁর অনুসারীরা এভাবেই চলেন।

* ইদানীং শাইখ হামজা ইউসূফ ও ড. তাহির উল ক্বাদরী নামে দুজন শিয়া-সুন্নির পার্থক্য এবং আন্তবিশ্বাস পার্থক্য নিয়ে কাজ করছেন, তাঁরা জীবনাচরণে কঠোরভাবে শরীয়ত পালন করলেও মতপ্রকাশের ক্ষেত্রে উদারপন্থা গ্রহণ করছেন।

যতজনের নাম বললাম, আকাশ পাতাল পার্থক্য থাকলেও এঁদের প্রত্যেকেই সঠিক ও সত্যপন্থী হিসাবে সম্মানিত। পুরো বিষয়টাই এখানে, আগমনের পরিপ্রেক্ষিত।

মহামতি বুদ্ধ দেখছেন, ঈশ্বরের কোন অভাব নেই, কিন্তু লক্ষ কোটি ঈশ্বর মানুষে মানুষে ভেদই নিয়ে আসছে। তাই তখনকার প্রয়োজন মত তিনি সেটাকে রহিত করলেন। ঈশ্বরের কথা সচেতনে নিয়ে না এসে, ঈশ্বরের সমস্ত ঐশ্বরিক শিক্ষাই শুধু দিলেন।

তাই, আমি কি বলেছি, ঈশ্বর আছেন? আমি কি বলেছি, ঈশ্বর নেই?

সেইসাথে, এটা যে একটা ট্রানজিশনাল বিষয়, তাও জানিয়ে দিলেন, আমিই প্রথম বুদ্ধ নই, আমিই শেষ বুদ্ধ নই। আমার পরে আসবেন মেত্তেয় (মৈত্রেয়)। তাঁর শিক্ষায় উপনীত হয়ো।

খেয়াল করবেন, মানুষ আজো মেত্তেয়র অপেক্ষায় আছে।

অশীতীবর্ষ সহস্রায়ুষ্ক পর মেত্তেয়র আবির্ভাব। এই কথাটাকে দেখলাম এমন, মিলিনিয়াম মানে যেমন আক্ষরিক অর্থেই হাজার বছর বোঝানো হয় না, সহস্রায়ুষ্ক হয়ত তেমনি।

মহামতি বুদ্ধর বুদ্ধত্ব লাভের কাল থেকে এক হাজার আশি বছর পরই ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের সমসাময়িক কাল আসে।

অনুসারী হাজার হাজার হওয়া, তাঁকে চন্দ্রবুদ্ধ বা চাঁদের সাথে তুলনা করা, নিরঙ্কুশ (চুল-দাঁড়ি বিহীন) না হওয়া এসবই সেই চিহ্ন বহন করে।

আর প্রত্যেক জাতিতে প্রত্যেক কালে- গ্লোবাল যোগাযোগের আগে নবী/মনোনীত পাঠানোর বিষয়টা এইজন্যই যৌক্তিক যে, পরিবর্তন ওই পর্যন্ত লোকাল প্রয়োজন, যে পর্যন্ত গ্লোবাল ইন্টারাকশন শুরু না হচ্ছে। এবং স্থানিক হিসাবেই সেটা একটু একটু করে পরিবর্তিত হবে।

একটা মৌলিক প্রশ্ন আসতে পারে: বুদ্ধ যদি ঈশ্বরের কথা নাই বলেন, তাহলে তাঁকে অনুসরণ করলে কখনো কি চলতে পারে? অবশ্যই পারে। কারণ প্রেরিতজনকে অনুসরণই প্রেরককে অনুসরণ।

সবচে বড় বিষয় হল বুদ্ধের ভাবনা-আচরণ-কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণের বিধান। এর যত দিক রয়েছে, তা সর্বত্রই ধার্মিক। পৃথিবীর সব প্রাচীণ ধর্মের মৌলিক থিমের সাথে এর একচুল তফাত নেই- লোকালাইজেশন বাদ দিয়ে।

সবশেষে, বুদ্ধের ঈশ্বর-নির্লিপ্ততা আমাদের যুক্তিগ্রাহ্য। তাঁর সারা জীবনের ঘটনাগুলোও যুক্তিগ্রাহ্য করে নিলে কিন্তু আমাদের ভিতরেই দোটানা চলে আসবে। যেমন, তিনি হাত তুললেন, মত্ত হাতি থেমে গেল সামনে এসে। এসবকে আমরা কিন্তু অবশেষে সেই মিথের আওতায়ই ফেলে দিব।

অর্থাৎ ঈশ্বর-নির্লিপ্ততা তার ধর্মকে আর সব ধর্ম থেকে কোনদিক দিয়েই আলাদা করতে পারছে না। ধর্মর আর সব উপাদান এতেও একইভাবে টইটম্বুর হয়ে আছে।

ঈশ্বর-আল্লাহ-ভগবান(যাঁকে ইন্ডিকেট করা হচ্ছে শব্দটা দিয়ে)-ইয়াহওয়ে তো একই। এতে কোন তফাত নেই। তাঁর পরিচয় মাত্র একটা। সব ধর্মে তিনি একক। সর্বক্ষমতাবান। সর্বআদেশ তাঁর থেকে। সবকিছু নির্দেশিত বিষয় ঘটে তাঁর দ্বারা অথবা তাঁর অধীনদের দ্বারা।

এটাই কিন্তু ঈশ্বর তথা আল্লাহর পরিচয়। আল্লাহর গাঠনিকতা এখানে একেবারেই অগ্রহণীয়। ইসলামেও আল্লাহর গাঠনিকতা/রূপ ইত্যাদি নিয়ে ভাবনা না করে তাঁর গুণ নিয়ে ভাবার কথা রয়েছে। এই যে গুণগুলো- যা সব ধর্মে একইভাবে আছে, একত্বের গুণ, সর্বক্ষমতার গুণ- এই গুণের নির্দেশ যাঁকে করা হচ্ছে তিনিই ঈশ্বর।

আর রঙ তো সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে চড়বেই। সেটা তাঁর পরিচয় ও তাঁর সার্বিকতার উপর চড়ানো রঙ।

আর বিধান. বিধান ধীরে ধীরে পরির্তিত হয়। এটা ইসলামও বলছে। যেমন রাসূল দ. বলছেন, আমার আগে সারা পৃথিবীর সর্বত্র প্রার্থনা করার নিয়ম ছিল না। প্রার্থনার কক্ষ ছিল, সেখানেই করা যেত। এই প্রতিটা বিধান পরিবর্তনের যুক্তি আছে। যেমন, ধর্মের গ্লোবাল সময়কাল আসার পর সেটার আচরণও গ্লোবাল করে দেয়া হল। নামাজ যে কোন জায়গায় পড়া যাচ্ছে।

অনেক বিধান কঠোর হয়েছে। আগে থেকে নমনীয় থেকে একটু একটু কঠোর করে। অনেক বিধান নমনীয় হয়েছে। আস্তে আস্তে। অনেক বিধান ঈশ্বর থেকে আসেনি, আমরা মানুষেরা তৈরি করে নিয়েছি। তাও কুরআন-হাদীসে বলা আছে।

১৭| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: নামাজ ও হাদিস

আল্লাহ কিন্তু আসলেই পাচ ওয়াক্ত থেকেও কমাতে পারতেন। তাঁর কাছে তাঁর রাসূলের অনুরোধের গুরুত্ব অপরিসীম।

হাদিস মানেন না এমন অনেক গোত্র আছে। মজা পাবেন, জামাতে ইসলামি কিন্তু প্রকৃতপক্ষে হাদিস মানে না। আর এই কারণে জামাতে ইসলামী প্রায় সবদিক দিয়ে ওহাবী হলেও ওহাবীরা পর্যন্ত সুযোগ পেলে জামাতকে এই হাদিস না মানার কারণে ঝেড়ে দেয়।

'বেশীর ভাগ হাদিস পরবর্তীকালে আবিস্কার, দুর্বল বা জাল ।'- কথাটা সত্যি, শুধু বেশিরভাগ... এভাবে বলতে পারছি না। বেশিরভাগও হতেই পারে। নাও হতে পারে। অগুণতি মানুষ নিজের প্রয়োজনে হাদিস তৈরি করেছে।

'কেন হাদিস গুলো লেখা হল দেড় দুই শত বছর পরে ?'- কারণ স্মৃতিতে ধরে রাখার কাজটা তখন ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছিল অনেক বছর পেরুনোতে। ইসলামের রীতি এই দেড়শো বছরও হাদিস দিয়েই প্রচলিত ছিল। আর তা ছিল মৌখিক। যে কোন শাসন বা জীবনযাপন বিষয়ক কাজের সময়ই একে অন্যকে বলতেন এভাবে, আমি তাঁর কাছে শুনেছি এবং তিনি তাঁর কাছে শুনেছেন এবং তিনি স্বয়ং রাসূল দ.'র কাছে শুনেছেন একাজ এভাবে করতে হবে। তখন সেই কথা ভেরিফাই করে লোকজন সেভাবে শাসন/প্রশাসন/জীবনযাপন চালাতেন।
ঠিক এই কথাগুলোই পরবর্তীতে লিখিত হয় এভাবেই। কিন্তু অনেক বাছবিচারের পর।

'কেনই বা নবীর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠজনেরা আবু বকর,ওমর হাদিস বয়ান করেন নাই ?'- তাঁরা করেননি, কারণ, তাঁরা যা জানতেন, তাঁদের সমসাময়িকরাও তাই জানতেন। তাঁরা দুজনেই ইসলামের অতি প্রাথমিক যুগে দেহত্যাগ করেছেন। কিন্তু তৃতীয় খলিফা ও চতুর্থ খলিফার সময় সমসাময়িকদের পরও আরো নতুন প্রজন্ম ও নতুন মুসলিমের সময়কাল এলো, তাই তাঁরা তা বর্ণনা করা শুরু করেন।

'এবং যিনি সবচেয়ে বেশী হাদিস বয়ান করেন, আবু হুরায়রা, তিনি কম সময় তার কাছে ছিলেন।'- সময়কালের হিসাবে কম সময় ছিলেন। কথা সত্যি, কিন্তু যতক্ষণ ছিলেন, বাণিজ্য ও সংসার ছাড়া শুধু রাসূল দ.'র কাছে ছিলেন। এদেরকেই বলা হত আসহাবে সূফফা। যাঁদের ছাড়া রাসূল দ. এক আঁজলা পানিও পান করতেন না। একটা রুটির টুকরাও খেতেন না। তাঁরা জাগ্রত রাসূল দ.'র প্রায় পুরোটা সময় সাথে সাথে থাকতেন এবং মসজিদে নববীতে ঘুমাতেন।
তার উপরে, ধর্ম তো, এখানে আমাদের কাছে যা অব্যাখ্যাত/অলৌকিকতা/মিথ- তাই এখানে একটা প্রাইমারি রিকোয়ারমেন্ট।
তিনি রাসূল দ. কে বললেন, আপনার কথা মনে রাখতে চাই। পারি না।
রাসূল দ. তাঁর বুকে হাত রেখে বললেন, এখন থেকে আমৃততু তুমি যা শুনবে তাই মনে রাখতে পারবে। আবু হুরাইরা রা. বলেন. এরপর থেকে আমি কিছুই ভুলিনি।
তারপর, প্রতিটা মানুষের একটা প্রাইমারি লক্ষ্য থাকে। কারোটা ছিল, রাসূল দ.'র সেবা করা। কারোটা, তাঁর কাছ থেকে ঈশ্বরের পরিচয় জানা। আবু হুরাইরা রা.'র প্রাইমারি অবজেকটিভ ছিল, রাসূল দ.'র কথাকে যে কোনভাবে সংরক্ষণ করা। এ কাজ করতে গিয়ে তিনি এমনকি ওই যুগে হাদিস লিখেছিলেনও! সেই হাদিস লেখার কথা তাঁর নিষেধ করা ছিল। রাসূল দ. সেই হাদিসের গ্রন্থ পোড়াতেও বলেছেন। এই কারণে যে, এই কথাগুলো লিখিত থাকায় কুরআনে যুক্ত হয়ে যেতে পারে। যেহেতু কুরআনও তাঁর মুখনিসৃত।
নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলে কুরআনে আর কোনকিছু যুক্ত হবার আশংকা না থাকায় হাদিস সর্বসম্মতিক্রমে লিপিবদ্ধ হয় কারণ, নিষিদ্ধের মূল কারণ পেরিয়ে গেছে।
আবু হুরাইরা রা. কে অনেক সাহাবা বলতেন, তুমি এত কথা কোত্থেকে বল? তিনিও তখন এই উপরের যুক্তিগুলো জানাতেন এবং তা হাদীসেই আছে।




'তিনি একদা ওমর কর্তৃক তিরস্কৃত হয়েছিলেন মিথ্যা বলার জন্য।'-হাদিসটা পড়া ছিল। মিথ্যা বলা নয়, বরং বিষয়টা ছিল না-জানার। আর ওমর রা. তো সব সময়েই সবার সাথেই অগ্নিগর্ভ।

'হাদিস বেত্তারা বেশীর ভাগই ছিলেন অনারব,পারস্যের । অনেক সময় মুসলমানদের মধ্যে হানাহানির জন্য দায়ী হয় তা।,'- অনারবরা একটু অন্যভাবে বিষয়টা উপলব্ধি করেন। আর হানাহানি তো চিরকালীন।

'বোখারী সাতলক্ষ হাদিস আবিস্কার করে তার মধ্যে মাত্র ছয় হাজারকে ‘সহি’ বললেন কেন ? তার মানে, ৯৯ % হাদিস জাল । কি পরিমানে দূষণ হয়েছে ভাবুন ।'- এইতো ভুল।
এই বিষয়টা নিয়ে নামাজ সিরিজ দেখতে পারেন। বিশেষ করে হাদিস ও হাদিসের শুদ্ধতা নিয়ে একটা পোস্ট আছে, একটু কষ্ট করে দেখতে পারেন ভাই। সংক্ষেপে-

১. ইমাম বুখারী কখনোই শুদ্ধ হাদিসের সংকলন করেননি। তিনি শুদ্ধ হাদিস থেকে নিয়ে নিয়ে একটা জীবনব্যবস্থা তৈরি করছিলেন, আর সেটা হল, মাজহাব। মাজহাব তৈরির জন্য যেটুকু হাদিস যে যে ক্ষেত্রে দরকার, শুধু সেটা নিয়েছেন। মাজহাব ইসলামিক কনটেক্সটে একটা অপরিহার্য বিষয়। এটা আরো একটু ভিতরের বিষয়।

২. ইমাম বুখারীর এই ছয় হাজার হাদিস একটা রীতিকে প্রতিষ্ঠিত করার হাদিস। তিনি ইমাম হাম্বলের সরাসরি অনুসারী (ভুল না হলে সরাসরি ছাত্রও)। তাই তাঁর মাজহাব মূলত হাম্বলি মাজহাবের প্রতিচ্ছায়া হওয়ায় হাম্বলিরা এঁর গ্রন্থকে সবার উপরে মর্যাদা দেয়া শুরু করেন। যেহেতু সব মাজহাবই শুদ্ধ, তাই অন্য মাজহাবও তা মানা শুরু করে। পরবর্তীতে ওহাবীরা এসে এই গ্রন্থকেই একমাত্র শুদ্ধতা ইত্যাদি শুরু করে।

৩. ওহাবীরা এই গ্রন্থেও কাটছাট করেছে।

৪. স্বয়ং ইমাম বোখারী এই গ্রন্থের শুরুতেই বলেছেন, সঠিক হাদিস তিন ধরনের, তার মধ্যে প্রথমটা হচ্ছে সহীহ্ (শব্দগত মানে, শুদ্ধ। কিন্তু হাদিসের ব্যাকরণে সহীহ মানে যেটার বর্ণনাক্রমের প্রত্যেক ব্যক্তি বিশুদ্ধতম স্বভাব ও সততায় ছিলেন এবং নির্ভরযোগ্য ছিলেন, কখনো মিথ্যা বলেননি এবং এমনকি মানসিক রোগী/স্মৃতিভ্রষ্টও ছিলেন না। এমনকি কোন ওয়াক্তের নামাজ মিস করতেন না। কী কঠিন পরিমাপ! হাসান বলা হয় যে হাদীসগুলোকে, সেগুলো বিনা দ্বিধায় পরিপূর্ণ সহীহ্।)
এবং শেষটা হচ্ছে, দ্বয়িফ, যার বর্ণনাক্রমে নির্দ্বিধায় ইতিহাসের আলোকে পরিপূর্ণ নি:সন্দেহ হওয়া যায় না।

আজকাল ওহাবীরা বলে, দ্বয়িফ=জাল!
অথচ জাল হাদিস মানে হল, ফ্যাব্রিকেটেড, যার একটা আরবি রয়েছে (সম্ভবত শব্দটা মাওজু)

তারা বোখারীর চেয়ে বড় হাদিসবেত্তা! আর তাদের এই হাদিসবেত্তাগিরির কারণে কথাটা গ্লোবাল রেফারেন্স হয়ে গেছে।

স্বয়ং ইমাম বোখারির সহিহ গ্রন্থেও জয়িফ হাদিস আছে। এই জয়িফ হাদিসকে তিনি পূর্ণ সঠিক বা 'সহীহ্' মনে না করলে জেনেশুনে গ্রন্থিত করতেন না। কারণ তিনি কমপ্রোমাইজের মানুষ ছিলেন না।

প্রকৃত সত্য হচ্ছে, সাত লক্ষ হাদিসের মধ্যে ইমাম বোখারী দেড় লক্ষ হাদিসকে সঠিক চিহ্নিত করেছিলেন যা থেকে মাত্র সাড়ে ছয় হাজার নিয়ে গ্রন্থ করেন এবং তিনি যেহেতু মূল লক্ষ্যে সমস্ত সহিহ হাদিসের সংকলক ছিলেন না, তাই বাকিগুলো গ্রন্থিত করেননি।

দূষণ অনেক হয়েছে। কথা সত্যি। আবার বর্তমান পৃথিবীতেই ৫০+ আলাদা আলাদা পরিপূর্ণ সঠিক তথা 'সহীহ' হাদিসের গ্রন্থ আছে, এই কথাটাও সত্যি।



'সমস্যা হচ্ছে তিনি কি বলেছিলেন ,আর বলেন নাই সে সব সঠিক ভাবে যাচাই করা মুশ্কিল । যতই চেইন ওফ কনটিনিউটি বের করি না কেন- ওসব বেশীর ভাগ বিতর্কিত ।'- আমরা কিন্তু অ-বিতর্কিত খুঁজছি না, সঠিক খুঁজছি। রাসূল দ. বিতর্কিত, ইসলাম বিতর্কিত, মানুষের উদ্ভব বিতর্কিত, রাষ্ট্রব্যবস্থা বিতর্কিত, ওয়ার্ল্ড অর্ডারও, আমাদের মুক্তিযুদ্ধও। প্রতিটা মিথ্যাই বিতর্কিত। এবং প্রতিটা সত্যই।

আমরা ইতিহাস ঘেঁটে একের উপর আরেকটা স্থাপন করে মেনে চলার প্যারামিটার ঠিক করলেই কিন্তু সব পরিষ্কার হয়ে ওঠে।

সবচে বড় কথা, আত্মিকতা। আত্মিকতায় উদ্ভাসিত হলে গাইডেন্সের মাধ্যমেই সঠিকটাকে খুঁজে বের করা যায়।


'-তাছাড়া হাদিস সমুহের মধ্যেও বৈপরীত্য আছে ,কে কোনটা মানবে তা নিয়ে চরম ঝগড়া বিবাদ আছে। মুসলিম পৃথিবীতে অনৈক্য এইটি একটি বড় কারণ ।'- অনৈক্যের কারণ, প্যাসিভভাবে। কারণ, আমি সেটার অর্থ ধরতে পারিনি। অবশ্যই বিপরীত হাদিস আছে। প্রতিটাই পরিপ্রেক্ষিতে ধর্তব্য। একটার কারণে আরেকটা বাতিল হয়ে যায় না। যেমন, মানুষের গাঠনিকতায় জল আছে এই কথাটা কুরআনে আছে এবং সত্যি। আবার মানুষের গাঠনিকতায় মাটি তথা মাটির উপাদান আছে এটাও সেখানে আছে এবং এটাও কমনসেন্সেই সত্যি। আবার মানুষ মেরুদন্ডের দিক থেকে যোগানো পুষ্টিদ্রব্য থেকে উৎপন্ন সিমেন থেকে তৈরি এটাও কুরআনে আছে আর এটাও বাস্তবে সত্যি। এই তিনটা সত্যি কিন্তু আপাত বিপরীত।

এই হল সঠিক হাদিসের প্রকৃত বৈপরীত্য।

১৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১২

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আয়াত রদ হওয়া

আমি বরং আপনার এই কথাগুলো থেকে অনেক শিখলাম।
আয়াত রদ হওয়া বিষয়ে আসলে ওই কথাগুলো (যা বলেছি)'র বাইরে বলতে পারব না বর্তমান জানার পরিধি থেকে। অনুসন্ধান চলবে।
মওদুদীর বই কখনো পড়িনি। কখনো যদি শীতকালের দিঘির জলের মত শান্ত করতে পারি মাথা- পড়ব। সে সর্বৈব পাপিষ্ঠ।
দুইজন মুসলমান কখনো এক হতে পারেনি- এই হল তার বাড়াবাড়ির নমুনা। তবে সবাই পূর্ণ একমত হয় না- কথাটা এভাবে বলা যায়। তা সত্যিও হয়।
আর হাদিসের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কুরআনেই অনেক আয়াত আছে।

সবচে বড় কথা হল, হাদীস ছাড়া ধর্মই থাকে না। কারণ কুরআনে এমনকি নামাজেরও ব্যাখ্যা দেয় না, আর সব কিছু তো বাদই।

হাদীস কতটা গুরুত্বপূর্ণ এই হাদিস থেকেই দেখি, তোমরা নীতি ও নিয়মের ব্যাপারে যা বলি, সেটার বাইরে অতিরিক্ত চাপাচাপি করো না। আমি বললে প্রতিবছর হজ্ব করাও তোমাদের জন্য অবশ্যকর্তব্য/ফরজ হয়ে যাবে। তা আমি চাই না।

অর্থাৎ, ধর্মবিধান বলতে মানুষ শুধু কুরআন মনে করছে- যা একটা বস্তুতান্ত্রিক ধারণা।

বিধান হল একটা অণ্বয়। একটা প্রক্রিয়া। এই অণ্বয় ও প্রক্রিয়ায় আল্লাহ রয়েছেন, তাঁর বাণী রয়েছে। রাসূল রয়েছেন, তাঁর বাণীও রয়েছে।

নামাজ

যে নামাজ শুধু আনুষ্ঠানিকতা, সে নামাজ আর বুকডনের মধ্যে কোন তফাত নেই। এ বিষয়ে আপনি-আমি এবং পৃথিবীর তাবৎ সচেতন মানুষ একমত। কিন্তু সবার উপলব্ধির মাত্রা তো কখনোই এক হবে না।

নামাজ পড়লে বাজে কাজ মাফ হয়ে যাবে। নামাজ পড়ো এবং বাজে কাজ ইয়ে মানে, না করার চেষ্টা করো... এই যে কথাটা, এই যে ইন্টারপ্রিটেশন, এটা কিন্তু কিছু মুসলিমও করেন, অমুসলিম কেউ কেউ তো এমন ইন্ডিকেটই করেন। তাতে সমস্যা নেই।

সমস্যা নেই, এ কারণে যে, নিয়্যত সকল কর্মের মূল। যে পাপ করতেই থাকবে এবং নামাজ পড়তেই থাকবে, তার আর যাই হোক, পাপ মাফ হবে না।

শৃঙ্খলার যে বিষয়টা বললেন, সেটায় একটু অন্যভাবে আমি একমত। প্রাচীণ আরব থেকে আমরা কিন্তু খুব বেশিদূর এগুইনি।

এগুইনি, কারণ টেকনোলজি এগুনোর সহায়ক, সহায়ক হলেও মাপকাঠি নয়।

টেকনোলজি বা সামাজিকতা কোনটাই আমাদের মনের অন্ধগলিকে শুদ্ধ করতে পারেনি। তাই পশ্চিমা বিশ্বে কারেন্ট চলে গেলে রেপ হচ্ছে রাস্তাঘাটে, আবার পাপুয়া নিউগিনিতে রেপ হচ্ছে জঙ্গলে। বাংলাদেশে ক্ষেতের ভিতর বা কর্পোরেট অফিসে বসের রুমে।

টেকনোলজি, সামাজিক বলয় - কোনটাই কিন্তু আমাদের মনের পশুত্বকে নির্বাপিত করতে পারছে না। আমরা বিশ বছর পর যে টেকনো ব্যবহার করব, সেটা আজকে ব্যবহার করে ইরাক আফগানিস্তানে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিশেষায়িত রেপ স্কোয়াড। কিছু মানুষের ভিতরে রেসিজম এবং আন্তবিশ্বাস ঘৃণা এত প্রবল যে, তাদের দিয়ে রেপ স্কোয়াড গড়া যাচ্ছে।

তাই বিশৃঙ্খল আরব আর সুসৃঙ্খল আমরা- উভয় সময়কাল ও সভ্যতাতেই এবং আরো হাজারো বছর পরের প্রায় দেবতায় উপণীত হওয়া মানুষের জন্যও আত্মশুদ্ধি এমন একটা উপকরণ থাকবে, যার কোন বিকল্প থাকবে না।

আর আত্মশুদ্ধির প্রক্রিয়াকেই আমরা বলি নামাজ, ধ্যান, আরাধনা, উপাসনা, সাইকিক হিলিং বা কাউন্সেলিং।

আর এই শুদ্ধির প্রক্রিয়া মানুষের আজীবন চলতে হয়। কারণ মানুষ স্বাধীন। সে চাইলেই একটা অবোধ মেয়ের মুখ চেপে ধরতে পারে। তখন নিজের উপর যে নিয়ন্ত্রণটা প্রয়োজন, সেই নিয়ন্ত্রণ স্থাপনের জন্য এবং তা টিকিয়ে রাখার জন্য সব সময় যে কোন পদ্ধতিগত রিমাইন্ডারের ভিতর দিয়ে যেতেই হবে।

ইসলামে এটাকে নামাজ বলা হচ্ছে।

নামাজের ব্যাখ্যা তো যেটাই আমরা করব, সেটাই আংশিক হয়ে যাবে।

দেহের উপকারিতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের যে ব্যাখ্যা এখানে এল, সেটা তো পূর্ণতা নয়। খন্ডিত। এর বাইরেও কিছু রয়ে গেছে।

এই কিছুটুকুকে ধরতে না পারলে আমরা সরলভাবে জান্নাতের কথায় উপনীত হই। তাও ধর্মদৃষ্টিতে বাস্তব, তাও ঠিক।

আসলে মসজিদ বা অন্যান্য যে ধর্মালয়/কল্যাণকেন্দ্র- এগুলোর মূল চেতনা ঠিক থাকলে মানুষের সব কাজের পাশাপাশি সেখানে যাওয়াটা আমি মনে করি অপরিহার্য। তাতে আর যাই হোক, শুদ্ধতার একটা আবহ থাকবে। আমরা বড় বড় ফ্লাইওভার তৈরি করে ফেলেছি, কিন্তু জাহান্নামের ভয় নাহয় বাদই থাক, চুরি করা যে ঠিক না, তাতে অন্যে ঠকে, আর অন্যকে ঠকানো আমার কাজ নয়- এই চেতনা একটু হলেও কাজ করত, যদি আমরা মসজিদ/ধর্মশালা/শুভতার কেন্দ্রে শুদ্ধভাবে কিছুক্ষণের জন্য হলেও নিয়মিত যেতাম।
অবশ্য সেই যাওয়া নিছক আনুষ্ঠানিকতায় পর্যবসিত হলে আবার এই আমরাই কপালে সেজদার দাগ নিয়ে কালোবাজারি মজুতদারি করব।

আর এই কারণেই আনুষ্ঠানিকতা তখনি কার্যকর যখন মন সাদা থাকছে। অথবা আনুষ্টানিকতায় সাদা হবার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

পোশাকি ধর্ম কাগুজে বিধান থেকে আসে। তাই কাগুজে বিধানের অন্তর্গত উপলব্ধিই পারে পোশাকি ধর্মকে আন্তরিকতায় পর্যবসিত করতে।

একেই আমরা বলি আধ্যাত্মিকতা। এটাকে বর্জন করেই আমরা ব্যস্ত বাজারে বোমা মেরে শহীদ হওয়ার আশা করি।

১৯| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৬

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: মৃত, মুসলিম, অমুসলিম

নানা, একজন মানুষ সব সময়েই মানুষ হিসেবে সম্মানীয়। এটা উচ্চ।
তার বাইরে নিজের সংঘ ও পরিবারের সম্মান একটু বেশি থাকবে।
কিন্তু ন্যায়বিচারের অধিকার সবারই সমান।

বিশ্বাসের জন্য মানুষ নাপাক হতেই পারে ভাই। মুসলিম হিসাবে বলছি না, মানুষ হিসাবেই বলছি। আমি যদি মনে করি খুন করা ভাল তাহলে আমি অপবিত্র। অপবিত্রতা দেহের আছে, মনেরও আছে।

আসলে সম্মান আমরা কোথায় জানাব, এই যৌক্তিকতা স্থির থাকলেই হলো।

একজন মানুষ যখন ধর্মপালন করেন, সেখানে শুভেচ্ছা কোন বিষয়ে জানাব? এখানে শুভেচ্ছা হবে, যেন তাঁরা তাঁদের আচার্য বিষয় বিনা দ্বিধায় বিনা সমস্যায় পালন করতে পারেন। যেন এ থেকে পারস্পরিক শান্তি ও শুভশিক্ষার প্রসার হয়। কিন্তু যখন বিষয়টা মহাপ্রভূর সাথে অংশীদারীতে পরিণত হয়, ওইটুকু বিষয়ে কাজে সায় দিয়ে যুক্ত হওয়া নয়। কিন্তু তা সুষ্ঠুভাবে বিনা সমস্যায় পালিত হোক এই শুভেচ্ছা তো রইবে। অংশীদারীত্ব মহা অপবিত্র- এটা মানসিক অপবিত্রতা বিশ্বাসের দিক দিয়ে।

তাই এ কাজটাকে সম্মান জানানো সম্ভব নয়, কিন্তু কাজে বা ভঙ্গিতে অসম্মান জানানোও সম্ভব নয়। আর মানুষ তো মানুষই।

ভুল ভাই।
অমুসলিমের জন্য অবশ্যই আমি শান্তি কামনা করব।
শান্তি কামনা আর সালাম ভিন্ন বিষয়।

সালাম আল্লাহর নাম। এই বাণীর মাধ্যমে আমরা যেমন শান্তি কামনা করি তেমনি প্রভুকে তাঁর উপর ইমপ্লিমেন্ট করি। যা নিতান্তই ধর্মীয় বিষয় হওয়াতে তা অন্যকে বললে বরং তার অবমাননা হয়।

তার উপর, অমুসলিমকে তবুও সালাম দেয়া তো পুরোপুরি নিষিদ্ধ নয়। বিষয়টা নিষিদ্ধ হয় যখন ইহুদি সম্প্রদায় আস সালামু আলাইকুম শব্দগুচ্ছকে বিকৃত করে বলা শুরু করেন মুসলিমদের সাথে, যেটার অর্থ দাঁড়িয়েছিল, 'তোমার ধ্বংস হোক।'। এটা হাদিসে অনেকবার এসেছে।

তখন রাসূল দ. বলেন, তাহলে তোমরা বলো, তোমার উপরও তাই হোক। ফলে সে যদি সালাম বলে থাকে তাহলে সালাম হয়ে যাবে, ধ্বংস বলে থাকলে সেটাই বলা হয়ে যাবে।

এটা একটা বিশেষ পরিপ্রেক্ষিতে বলা, যা বিশেষ পরিপ্রেক্ষিত থাকাকালীন প্রযোজ্য হবে। আমিতো অনেক অমুসলিমকে সালাম দিই। অসংখ্য মুসলিম দেয়। এবং তারা না জেনে তা করে না।

আপনি যদি আমাকে বলেন, তোমার ধ্বংস হোক। আমি আর কীই বা বলতে পারি? আমিতো বলতে পারছি না, আপনি আমার ধ্বংস কামনা কেন করলেন? আমি বড়জোর বলতে পারি, যা কামনা করলেন তা আপনিও যেন পান।

আর আপনি যদি এটা না বলেন, তাহলে সালাম দেয়া যায়। আমি সহ অগুণতি মুসলিম দেয়।

আমি দেখেছি, কাউকে কাউকে ভ্রু কুঞ্চিত করতে, সালাম দেয়ার পর। এটাকে তারা ধার্মিক আগ্রাসন হিসাবে দেখছেন। এই দেখাটাকে সম্মান দিয়েই তখন থেকে শুভেচ্ছা বিনিময় করি ওই মানুষদের সাথে। অথবা শিক্ষক হলে আদাব বলি।

শরীর হল আত্মার আবাস, ঘর বা কবর।
মৃত শরীর কেন অসম্মানের কারণ হবে? শরীরে তো আত্মা ছিল। আর আত্মা তো মহাপ্রভূর ফুঁক।

মৃতদেহকে মাটিচাপা দেয়া অসম্মানের পরিচায়ক কিনা এটা ভাবুন। উত্তপ্ত আরবের বালুবেলায় মৃত শরীর ফেলে রাখলে সেটা হতো অবমাননা। দ্রুত পচন এবং অসহায়ত্বের নিদর্শন। আর মুসলিমদের পক্ষে সম্ভব ছিল না, ধর্মীয় আচার আচরণ পালন করে কবর দেয়া। কারণ ধর্মরীতি ও বিশ্বাস মিশ্রণ ইসলামে চরম দূষণীয়।

আর বদর প্রান্তটা যে কোন বসতি থেকে অনেক দূরে। বিশেষ করে কুরাইশরা এসে সেখানে সৎকার করার সুযোগ পেত না।

বেশ্যাদের মুসলিম কবরস্থানে কবরস্থ করা হয় না- বিষয়টা সম্ভবত শুধুই বিদ্বেষ। তাদের কবর দিলে কীই বা হবে। পাপ ছাড়া তো মানুষ নাই।

হ্যা, পৃথিবীতেও শাস্তি দেয়া হচ্ছে। সেটা পরকালের অনেক শাস্তির পরিপূরক হয়ে যায়।
কিন্তু অন্যধর্ম অবলম্বন এমন অপরাধ নয়, যার শাস্তি পৃথিবীতে দেয়া যাবে। এই অধিকার কাউকে দেয়া হয়নি। কাউকেই নয়।

বরং আল্লাহ বলেছেন,
তোমাদের মধ্যে যে মতভেদ আছে, তা পরকালে আল্লাহই দূর করে দেবেন বা বুঝিয়ে দেবেন।

এর মাধ্যমে আমরা এটাও বুঝতে পারি যে, এখন আমরা কাফির অমুসলিম বলে অনেকের নামে ফেনা তুলে ফেলছি, তারা হয়ত পরকালে মুসলিম (সমার্থক- বিশ্বাসী/শান্তিপ্রাপ্ত/শান্ত/মহাপ্রভুর প্রতি আত্মসমর্পণকারী) হিসাবে বিবেচিত হবেন।

এ বিষয়ে আয়াতও আছে,

যারা নিজেদেরকে আহলে কিতাব (শুধু কিন্তু ইহুদি আর খ্রিস্টান নয়, যাদের কাছেই ঈশ্বরের বাণী পুস্তক আকারে ছিল তারা সবাই আহলে কিতাব। অবশ্যই এ উপমহাদেশে আহলে কিতাব আছেন।এক বা দুই গোষ্ঠী নয়, অনেকেই। আশা করি বুঝতে পারছেন । আহলে কিতাব আছেন পারস্যের প্রাচীণ ধর্মে, চৈনিক প্রাচীণ ধর্মেও),
নক্ষত্রপূজারী,
অগ্নিপূজারী বলে,

তারা যদি এক আল্লাহতে বিশ্বাস স্থাপন করে,
এবং বিশ্বাস স্থাপন করে তিনি যত প্রেরিতপুরুষ রেখেছেন, সবার প্রতি,

তাহলে তাদের না আছে ভয় (পারলৌকিক), না কোন চিন্তা।


একবার ভাবুন তো ভাই।
আমি নিজেকে ধরা যাক, 'জরোআস্ত্রিয়ান' বলছি। কিন্তু আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি যে, প্রভু একজন আছেন। আর তাঁর প্রেরিতজন সারা বিশ্বজুড়ে ছিলেন।
আমার কোন ভয়ও নেই, কোন চিন্তাও নেই।

এরচে ক্ষমাপ্রবণতা আর কাকে বলে?

আর মসজিদে হারামে না আসার কারণ অনেক সুদূরপ্রসারী। মালিক তো সর্বমাত্রায় সমক্ষমতাবান। তিনি জানেন, ভবিষ্যতে কী হবে, কারণ ভবিষ্যত তথা চতুর্থ মাত্রা স্পেস-টাইম তাঁর কাছে স্পষ্ট বর্তমানের মতই।

মক্কা-মদিনার এই অঞ্চলে অমুসলিমের প্রবেশ নিষেধ ঘৃণার কারণে কক্ষনো নয়, শুধুই আত্মরক্ষার্থে। কারণ এই দুটা কেন্দ্র ইসলামের হিসাবে, সংরক্ষিত থাকলে ইসলাম সংরক্ষিত থাকবে। এটা শুধুই ট্যাকটিক্যাল সিদ্ধান্ত। অনেকটা আমাদের সামরিক স্থাপনায় যেতে না দেয়ার মত। সামরিক স্থাপনা তো আমাদেরই, কিন্তু যেতে দেয়া হচ্ছে না নিরাপত্তা এবং অখন্ডতা রক্ষার জন্য।

আর ওই কথার সাথে যে অপবিত্রতা যুক্ত করা হয়েছে, সেটা চক্রান্ত-সংশ্লিষ্ট। মক্কা-মদীনায় এই প্রবেশ বৈধ করলে যে চক্রান্ত করা হতো, তার দিকেই ইন্ডিকেশন।

৭৩ দল

এই বিষয় নিয়ে কখনো ব্লগে বলি না। কারণ, অপ্রস্তুত লাগে। মনে হয়, যার পাবার, এমনি পেয়ে যাবে।

ওই মুসলিম তারাই, যারা রাসূল দ.'র জীবনাচরণ মানেন এবং তাঁর দেড় লক্ষ সঙ্গীর কমন জীবনাচরণ মানেন।
এইভাবে যদি দেখেন, কাদের ভিতরে রাসূল দ.'র কোমলতা রয়েছে, সত্যে দৃঢ়তা রয়েছে, তাঁর সঙ্গীদের সবার এই বিষয়গুলোতে সায় রয়েছে তাহলে তো সহজ হয়ে যায় ভাই।

একটা মাত্র মত পাবেন, যেখানে রাসূল দ. কে যে কোন দেবতার চেয়ে বেশি শ্রদ্ধা করা হয়। একটা মাত্র মত, যারা রাসূল দ. কে তিনি বলেছেন এজন্য মানেন এবং তারচে বড় কথা, তাঁর উপলব্ধির পথ ধরে চলেন- কারণ দেবতা তো ফেরেশতা-নবী-রাসূলরাই। একটা মাত্র মত বলে, সাহাবারা সবাই শুদ্ধ।

এই মতের মানুষগুলোই সারা পৃথিবীতে ইসলাম প্রচার করেছিল। কারণ, বাংলাদেশের কমবেশি পনের কোটি, ভারতের বিশ কোটি, পাকিস্তানের পনের কোটি মানুষের পূর্বপুরুষ তলোয়ার দেখে মুসলিম হয়নি। তারা মুসলিম ছিলও না।

যেমন করে রাসূলকে দেখে আরবের মানুষ মুসলিম হয়েছে বিনা-বাধ্যবাধকতায়, তেমনি করে। আপনি যাকেই অশ্রদ্ধা করেন না কেন, আজমীরের খাজা মুঈনুদ্দীন, সিলেটের শাহ জালাল, রাজশাহীর শাহ মাখদুম, ঢাকার শাহ আলী- এদেরকে পারবেন না।

এদের প্রকৃত ধরণ এদের মাজারে এখনো দেখা যায়। সেখানে প্রকৃত শ্রদ্ধা নিয়ে মত-নির্বিশেষে সবাই যাচ্ছেন। জাত-নির্বিশেষে সবাই। এটাই সেই মত, যা চেপে ধরে রাজত্ব কায়েম করতে চায়নি, শুধু মনের ভিতরে বসত করতে চেয়েছে।

এটাই আহলে সুন্নাত।

২০| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ইসলাম ও সাম্রাজ্যবাদ

তেরো বছরের পরও, অফেন্স ছাড়া কোন যুদ্ধ ঘোষণা কি হয়েছে?
আমি পাইনি ভাই।
আপনি বরং আমাকে যুদ্ধের ঘটনাগুলো বলুন, অবশ্যই পাঁচজনের- রাসূল দ., তাঁর চার খলিফার।

চার খলিফার তিনজনই শহীদ হয়েছেন। কথা সত্যি। তাঁরা সব সময় সত্যের জন্য মৃততুকামনা করেছেন। আর তাঁদের মত অবস্থানে যাঁরা, তাঁদের কামনা পূর্ণ হয়।

তাঁদের কাছে সত্যের জন্য প্রাণপাত করার চেয়ে প্রিয় কিছু ছিল না।

আরেকটা মজার বিষয় দেখুন, রাসূল দ.'র জীবদ্দশা ছিল ৬৩ বছরের। তাঁদের মধ্যে তিনজনেরও জীবদ্দশা ছিল ৬৩ বছরের। এই অকল্প মিলটা আসলে আধ্যাত্মিক।

সারা দুনিয়ায় ইসলাম কায়েম বলতে মোটাদাগে বোঝানো হয় মুসলমানের রাজত্ব।

বিষয়টা কিন্তু এমন নয়। সারা দুনিয়ায় ইসলাম কায়েম মানে হল পৃথিবীবাসীর যথাসম্ভব বেশি মানুষকে প্রভুতে সমর্পিত ও শান্তিপ্রাপ্ত করা।

বাহ্যিক শাসনের গুরুত্ব দ্বিতীয় স্তরের।
আর যখন এই দ্বিতীয় স্তরই প্রাধান্য পায়, তখন আর তা ইসলাম কায়েম থাকে না, সন্ত্রাসবাদ অথবা সাম্রাজ্যবাদে পর্যবসিত হয়।

এক খলিফা (সম্ভবত আলী রা.) বলেছিলেন,
আল্লাহ আমাকে ইসলামের জন্য মনোনীত করেছেন (আত্মিকতা) বলেই আমি রাষ্ট্রের দায়িত্ব নিচ্ছি (বাহ্যিকতা)।

যখন আত্মিকতা নেই, তখন বাহ্যিকতা বরং পরিত্যাজ্য।

এই চার খলিফার ব্যক্তিগত জীবন দেখুন, সম্পদ/আবাস/গৃহীত সম্মান দেখুন! এমন সম্রাট পৃথিবীতে আর কেউ ছিলেন না বলব না, অবশ্যই আরো অনেকে ছিলেন, কিন্তু তাদের প্রত্যেকেই মহাচেতনার নিসৃত।

এঁরা ছাড়া আর কেউ তা করতে পারেনি। যতই আমরা খিলাফাত খিলাফাত বলে চিল্লাই না কেন, এই গোলাম আজম বা ওই মোল্লা ওমর কোনদিন কশ্মিনকালেও এমন শাসন কায়েম করতে পারবে না। তাদের নিজেদের ভিতরই শুদ্ধতা নেই, সততা নেই, মমতা নেই, এমনকি নেই খোদাভীতিও। তাহলে রইল কী? কাগজ?

আত্মিকতা সিলেক্টিভ। প্রভু যাকে নির্ধারণ করেন, তাঁকেই এই অতি মূল্যবান উপহার দেন।

এমন প্রকৃত আত্মিকতার মাত্র দুটা উদাহরণ দিতে পারি পরবর্তী কথিত 'ইসলামিক' শাসনে। ওমর ইবনে আবদুল আজিজ এবং আলমগীর।

যদি শাসক নিজেই প্রধান বিচারপতির সামনে মাথা নত না করেন, দারিদ্রে ক্ষুৎপীড়িত না থাকেন, খাবার জন্য পশু না চড়ান, টুপি না বোনেন- তাহলে ওই শাসকের কাছ থেকে কী আর আশা করা যায়? শাসক হবে সে, যার পরনের কাপড় হবে না গণ-বন্টনের কারণে। যার পিঠে দাগ থাকবে খাদ্যের বস্তা বয়ে বেড়ানোর। রাতে যার চোখের পানি নিচে চলতে থাকা পথচারীর গায়ে পড়বে।

এই শাসন ইসলাম নয়, বরং ইসলামের একটা ক্ষুদ্র অংগ।
রাসূল দ. নিজেই তো বললেন, আমার পর ইসলামিক শাসন ঠিকমত থাকবে মাত্র ত্রিশ বছর। ইসলামের চাকা ঘুরবে সাইত্রিশ বছর। এরপর শুধুই রাজতন্ত্র। এরপর অত্যাচারী। তারপর কেউ কেউ তুলনামূলক ভাল হবে, কেউ কেউ নয়। অবশেষে কিয়ামাতের আগে পরপর তিনজন সুশাসক আসবেন। মোট বারোজন সুশাসন ব্যতীত কিয়ামত হবে না।

এই বারোজনই হবেন প্রকৃত ইসলামিক শাসক। আর যারা- সবাই সাম্রাজ্যবাদী। এরা ব্যক্তি মুসলিম হতে পারেন, নামে অথবা প্রকৃত মুসলিমও হতে পারেন, কিন্তু তাদের শাসন ব্যবস্থা ইসলামিক হবে না। কারণ তাঁরা নবী রাসূলদের মত নির্বাচিত নন।

এখন, চোদ্দশ বছর কেটে গেছে। কে জানে আরো কত বছর আসবে আর্মাগেডনের আগে। সম্ভবত মাত্র তিন/চারজন আসা বাকি। অন্যেরা এসে গেছেন।

এই তিন/চারজন কিন্তু নির্বাচিত। পূর্বনির্ধারিত। মনোনীত।
তাই ইসলামের সাথে রাষ্ট্র কায়েমের কোন সম্পর্ক নেই।
আমি মুসলিম। আমি কখনোই আগ বাড়িয়ে খেলাফতের জন্য যাব না। কারণ, যার আসার কথা সে আসবেই। তখন সুশাসন হবেই। সেখানে আমাকে লাগবে না।

এইসব কারণে ইসলামে রাজনীতি নেই। শুধু শুরুতে আর শেষে- খুবই ক্ষুদ্র। যে কেউ চাইলেই কখনোই ইসলাম কায়েম করতে পারবে না। ন্যায়বিচার করা মাৎসর্যপ্রিয় ধর্মান্ধের কাজ নয়।

২১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কোরআনের এই জয়যুক্ত মানে কিন্তু সাম্রাজ্যের জয়যুক্ত নয়। অন্য ধর্ম পালন করতে না দেয়ার জয়যুক্ত নয়।

দারুল হারব মানে কিন্তু অমুসলিমের দেশ নয়। দারুল হারব মানে হচ্ছে মুসলিমের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত দেশ।
বিধর্মী কখনোই, কোন অবস্থাতেই, কোন কারণেই কতলযোগ্য তো নয়ই, বরং সম ব্যবহারের যোগ।
কতল শুধু যুদ্ধকালীন বিপরীত সৈন্যের সাথে হওয়ার বিষয়, অন্য হত্যার কারণে হত্যা্ করার বিষয়, হত্যা করার মত অপরাধ করলে সে বিষয় (অন্যধর্ম পালন নয়)।

ভাই মুখোশের কী আছে?
যাকে অভিশাপ দেয়ার পরিস্থিতি তৈরি হবে তাকে অভিশাপ আপনি দিবেন না?
পঞ্চাশজনের একটা দল সুপরিকল্পিতভাবে আপনাকে শেষ করে দিচ্ছে, এবং তারা অস্ত্র সংবরণ করবে না, আপনি অভিশাপ দেবেন না? রাজাকারকে অভিশাপ দিবেন না? একাত্তরে যা করেছে, এখনো সেই হাতিয়ার গর্জাতে বলে, আপনি তাদের বলবেন, ঠিক আছে?
এটাই তো স্থানিক প্রযোজ্যতা। এই স্থানিক প্রযোজ্যতা তো কোন সম্প্রদায় বা জাতির বিষয়ে নয়।

বিশেষ সময়ে জনপদ কেন জ্বালিয়ে দিবেন? কথাটা তো আপনার কাছে গিয়ে ভয়ানকভাবে বিকৃত হয়ে গেল। মানে আমিই ঘোষণা করব এটা বিশেষ সময়, তারপর যার উপর খুশি অত্যাচার করতে থাকব?

আমার কাছে তো একটা পিঁপড়ারও নিরাপদ থাকার কথা, আর মানুষ সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাণী, সে নিরাপদ থাকবে না?

আমিতো বড়জোর এটা বলতে পারি, তোমাদের ধর্ম তোমাদের, আমাদের ধর্ম আমার।

ও, মনে পড়েছে, হাদিসটা সম্ভবত এই-

রাসূল দ. সিজদা রত ছিলেন ক্বাবা শরীফের সামনে।
তখন তিনদিনের পঁচা উটের নাড়িভূঁড়ি ঢেলে দেয়া হয় তাঁর উপরে।
তিনি ঢাকা পড়ে যান পঁচা নাড়িভূড়ির নিচে।
মাথা উঠাতে পারছিলেন না।

এমন সময় ফাতিমা রা. সেখানে আসেন। তিনি তখন বাচ্চা মেয়ে। তিনি চিৎকার করে কান্না শুরু করে দেন।
(সম্ভবত) সাতজন নেতৃস্থানীয় কুরাইশ ছিল সেখানে।

তাদেরকে সমূলে ধ্বংসের অভিশাপ দেন রাসূল দ. সেই নাড়িভূড়ির নিচ থেকে উঠে আসার পর।


আমি কি সঠিক হাদিসটা স্মরণ করতে পেরেছি???
আপনিই বাকিটা বলেন।
পুরো জনপদের উপর অভিশাপ ছিল, নাকি যারা মহাপ্রভুর সামনে মাটিতে লুটিয়ে থাকা একজনের উপর তিনদিনের পঁচা নাড়িভূড়ি ঢেলে দিয়ে ঢেকে দেয়ার পর তার বালিকা কন্যা চিৎকার করে কাঁদার সময় মজা করে, তাদের উপরে ছিল?

মুসলমান হয়নি, এই কারণে কারো উপর অভিশাপ দেয়া হয়নিরে ভাই। হাদিসটাই ঘেঁটে দেখুন। দেখবেন, কোন নিরস্ত্র শান্তিদূতকে হত্যা করা হয়েছে, অথবা শান্তিচুক্তি ভংগ করে লুট ও খুন করা হয়েছে অথবা এমনি কিছু। বরং আপনিই রেফারেন্সটা দিন। কারণ আমিও কিছু পড়েছি। এমনি পেয়েছি প্রতিবার।

আয়াতগুলোর অর্থ কি এমনি ভাই, নাকি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির কারণে কিছুটা পরিবর্তিত হয়ে গেছে?

দুর্ভিক্ষ কি শাস্তিস্বরূপ দেয়া হয়নি?
ঈশ্বরের আইডিয়া যারা বিশ্বাস করেন, তাদের সবাই কি ঈশ্বর প্রেরিত শাস্তিতে বিশ্বাস করেন না? ঈশ্বরে বিশ্বাস এর বিষয় না এলে অন্য কথা।

নবীকে ব্যঙ্গ করে কবিতা লেখা একটা নিম্নস্তরের অপরাধ। তাদের এটাই প্রাপ্য ছিল। একজনের প্রাপ্য সম্মান বাদ দিয়ে তার বংশ নিয়ে, জন্ম নিয়ে, পরিবার নিয়ে, চরিত্র নিয়ে ব্যঙ্গ করে রচনা করলে তাদের এটাই প্রাপ্য হবে, অন্তত পরকালে এর সমতার অবমাননা তাদের প্রাপ্য থাকবে।

নবী তো অনেক উপরের।
আপনার বা আমার মা কে নিয়ে চরিত্র নিয়ে নিয়মিত যে এ কাজ করে আসবে, আপনি আমি মুখে যতই সুশীল হই না কেন, তাকে মাটিতে পুঁতে দিতেই চাইব। কারণ ক্রমাগত এ কাজ করা ভয়ানক পার্ভার্টের লক্ষণ।

আমার মা কে একবার গালি দিলে ক্ষমা করব।
তিনবার দিলে সহ্য করব।
তেইশ বছর দিলে প্রথম সুযোগেই হত্যা করব।
অবশ্যই করব।
আপনি কি করবেন?

কেন?
মা পবিত্রতার প্রতীক।
ধর্মও। নবীও।
আর সব ধর্মেই, যে ধার্মিক, তার দেবতা তার মায়ের চেয়েও প্রিয়।


বনু কুরাইজার সমস্ত পুরুষ মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল, কারণ তারা সামরিক চুক্তি ভঙ্গ করে চুক্তিবদ্ধ অ্যালাইয়ের বিপরীতে গিয়ে বিপরীত বাহিনীর শক্তিবৃদ্ধি করেছিল।

সারা পৃথিবীতে, সমস্ত দেশে দেশে, সবখানে সব যুগে সামরিক বিশ্বাসঘাতকের একটাই শাস্তি, আর সেটা হল মৃততুদন্ড।

চৈনিক ইতিহাস দেখেন, গত পাঁচ হাজার বছর থেকে গতকাল পর্যন্ত।
আমেরিকার-ব্রিটেনের-ইউরোপের ইতিহাস দেখেন, গত পাঁচ হাজার বছর থেকে এখন পর্যন্ত। সি আই এর বর্তমান বিশ্বাসঘাতক পর্যন্ত।
বৈদিক ইতিহাস দেখেন। পাঁচ হাজার বছর পর আজো ভারত-পাকিস্তান।

সর্বত্র, সামরিক চুক্তিভঙ্গ করে প্রতিপক্ষের শক্তিবৃদ্ধি এবং নিজের ছাউনিতে থেকে শত্রুকে ইনফর্ম করার একটাই শাস্তি।

জ্ঞানচর্চা

ইমাম গাজ্জালির বিষয়টা জানা নেই। হয়ত পরিস্থিতি তেমনি ছিল।
ইবনে সিনার উপর আক্রমণ- সেটা তো সবার উপরেই হয়েছে। স্বয়ং নবী দ.'র উপরও হয়েছে, আবার চার খলিফার উপরও হয়েছে। অন্যধর্মেও তাই ছিল।
বিষয়টা আসলে কী, সিনার উপরে আক্রমণ কি এই কারণে ছিল যে তিনি শিয়া ছিলেন? নাকি এই কারণে যে তিনি বিজ্ঞানী ছিলেন?
বাচ্চু রাজাকার তো বাচ্চু রাজাকারই।

আসলে ভাই বলেন তো, সত্যি বলেন, জাতিগতভাবে খ্রিস্ট জাতি ও ইহুদি জাতি কখনো জাতিগতভাবে মুসলিম জাতির অ্যালাই অর্থে বন্ধু ছিল???

তা কি বাস্তব না গত ১৪০০ বছর ধরে?

যা বাস্তব, তা আল্লাহ বলে কেউ থেকে থাকলে তো ফোর্থ ডাইমেনশনের কারণে ঠিকই জানেন কী হবে, তাই না?

যদি সত্যি ঈশ্বর বলে কেউ থেকে থাকেন, তিনি কী পরিমাণ দূরদর্শী দেখেন! তিনি কীভাবে কীভাবে যেন সত্যিটা বলে দিলেন যে জাতিগতভাবে ইহুদি জাতি ও খ্রিস্টান জাতি কখনো মুসলিমের স্থায়ি অ্যালাই হবে না। কোন জনপদেই না।

আর ব্যক্তিগত বন্ধুতা-
হাজার বছর ধরেই কোটি মুসলিমের সাথে কোটি খ্রিস্টানের আর কোটি ইহুদির বন্ধুত্ব চলছে।

দুইটা ভিন্ন বিষয়। আমারও খ্রিস্টান বন্ধু আছে। ইহুদি বন্ধু আছে কিনা জানি না, কারণ পারতপক্ষে ইহুদিরা নিজের ইহুদি পরিচয় দেয় না।

শাহবাগীরা কাফের টাইটেল পেয়েছে।
আমি এই ব্লগে ত্রিশবারের বেশি নাস্তিক আর কাফের টাইটেল পেয়েছি।
কাজী নজরুল ইসলাম আর লালন সাঁইও কাফের টাইটেল পেয়েছেন। মুসলমানরাও একে অন্যকে নানা কারণে কাফের বলে।

কাফের মানে তো অস্বীকারকারী।
এখানে টাইটেলের কিছু নাই।
এই নিয়ে বাড়াবাড়ি করে আজকে এই অবস্থা।
আমি যদি আল্লাহ রাসূলের কোন নির্দেশ অ্যাবসলিউটলি অস্বীকার করি, তাহলে ওই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে আপনিও আমাকে কাফের বলে দিতে পারেন।

এই হল সস্তার তিন অবস্থা।

ইমাম গাজ্জালী কিন্তু ঠিকই বলেছেন।
যে অন্তরেও আল্লাহকে একমেবাদ্বিতীয়ম্ প্রভু না মানে এবং তাঁর সমস্ত নবী-রাসূলদের (তাঁদের যে নামেই ডাকা হোক না কেন, প্রেরিতপুরুষ) ইশ্বরিকতায় প্রেরিত না মানে- সে অস্বিকারকারী।

আর এটুকু যে মানে,
সে নূনতম মুসলিম। মুসলিম মানে পাগড়ি জোব্বা ওয়ালা আরবি নয়। মুসলিম মানে আধ্যাত্বিকতায় নূনতম সঠিকভাবে বিশ্বাসী।




২২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: হাজরে আসওয়াদ

পৌত্তলিকতা- এই শব্দটার ইসলামিক মানে হচ্ছে,
পুতুলের কাছে কিছু চাওয়া, তাকে আল্লাহর অংশী মনে করা।

পুতুলমাত্রই খারাপ হলে আয়েশা রা. পুতুল নিয়ে খেলতেন না।
পুতুল নিয়ে খেলাই যেখানে পৌত্তলিকতা নয়, সেখানে স্রষ্টার নিদর্শনকে চুম্বন করা কীভাবে পৌত্তলিকতার অবশিষ্টাংশ হতে পারে?

বিষয়টা কি এমন, যে ইসলামে স্মৃতিচিহ্ন বলে কিছু নেই?
না।
আছে।
আছে বলেই অগুণতি সাহাবা রাসূল দ.'র চুল টুপিতে সেলাই করে রাখতেন। অগুণতি সাহাবা তাঁর কাছে আসতেন তাঁর পবিত্র পায়ের ছাপ নিতে। তিনি তা দিতেনও। সেই চিহ্ন তাঁরা ধারণ করতেন, লালন করতেন।

পৌত্তলিকতার যে সঙ্গাই থাক না কেন, ইসলামিক কনটেক্সট এ পৌত্তলিকতার একটা মাত্র সঙ্গা রয়েছে, আর সেটা হল, আল্লাহর অংশী মনে করে অথবা বস্তুর কাছে কিছু কামনা করে প্রার্থনা করা।

আর মূল কথাটা কিন্তু এখানেই। ওমর রা.'র কথা আমরা শুনেছি, তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি জানি না।

আর কথাটা আবার অন্যভাবে বলি,
এই সামান্য পাথর থেকে তাঁর উচ্চতা অনেক বেশি। এই পাথরের থেকে তিনি উমার রা. স্রষ্টার আরো বড় নিদর্শন। এই পাথর চুম্বন করে তিনি স্রষ্টার কোন্ সান্নিধ্য পাবেন? যেখানে স্রষ্টার সবচে বড় নিদর্শন রাসূল দ.'র হস্তপদ তাঁর চুম্বন করা হয়ে গেছে!

এখানে আবারো রাসূল দ.'র অনুসরণের বিষয় চলেই আসে।

আর হজ্ব- হজ্ব অপ্রয়োজনীয়, কারণ এটাও এক প্রকার পৌত্তলিকতা, এই ধারণাটা যে কারো কারো আসেনি তা কিন্তু নয়।
ইবনে আবদুল ওহাব নজদীর এ ধারণা ছিল।
সে বাণিজ্যের জন্য তা টিকিয়ে রেখেছে।

হজ এমন একটা ভিত্তি, যা না থাকলে ইসলাম বহু আগেই মুখ থুবড়ে পড়ত। সামান্য সিজনাল বেচাকেনা থেকে এর গুরুত্ব আরো অনেক বেশি।

২৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৫

সংগ্রামী মন বলেছেন: VAi akti kothai bolbo jekhana Quran bola ace Quran hoccha bisod biboron & sohoj shakana hadis ba bani neya ato matha gamano keno?r akta kotha vaijanQuran ar onubad pora apni biboron dila hoito apner Didadondo DUrhoba inshaallah.Valo thakben

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.