নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিষাদ

আমি জানি আমি জানি না

ব্যতীপাত

স্থপতি

ব্যতীপাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের বই পড়া ।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৭

উত্তরাঞ্চলের হাইওয়েতে একটি জনপ্রিয় রেস্তোরাঁ ফুড-ভিলেজ’ । ঢোকবার মুখেই একটি চলমান বইয়ের প্রদর্শণ ও বিপনন কেন্দ্র। যাত্রীদের মনোযোগ ও কিনবার সুবিধার জন্য বইগুলো ডিসপ্লে করা । এর থেকে কি বাংলাদেশের মানুষের বই পড়বার রুচি বা জনপ্রিয়তার কোন পরিমাপ সম্ভব?
সাজানো তিন তাকের পাঁচ সারি বইয়ের চার সারিই ধর্মীয় বই- লজ্জাতুননেছা বা পর্দার হুকুম,নকশে সোলেমানী,খাবনামা বা কবর কি পহেলি রাত জাতীয় সব বই । আরওআছে 'চটজলদি নেকি লাভের উপায় সম্বলিত ডিজিটাল এবাদতের বই ।
উপরের তাকের শেষের টিতে কোনমতে জায়গা করে নিয়েছেন বাংলা সাহিত্যর কিছু চির জনপ্রিয়-শরৎ সমগ্র,রবীন্দ্রনাথ, এ দুয়ের মাঝে জীবনানন্দের শ্রেষ্ঠ কবিতাও জায়গা করে নিয়েছেন,এটা ভাল লাগলো। তার ভক্তরা শ্লাঘা বোধ করতে পারেন । এর মধ্যে ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়ের উপস্থিতিটা চলতি হিসেবের বাইরে । কেননা সেই কবেকার ‘চিতা বহ্নিমান’ এখনও মানুষ পড়ছে-নারীদের স্বামীভক্তি,সংসার ইত্যাদি- নিয়ে ফাল্গুনি আজও জনপ্রিয় হয়ত সব ধর্মের মানুষে কাছেই।
২য় তাকের ৩য় সারিতে শেখ মুজিবের অসমাপ্ত আত্মজীবনি,নজরুলের সঞ্চিতা । হুমায়ুনের জন্য একটি আলাদা তাকই আছে, তার সাথে সমরেশ নিমাইও আছেন। তবে একসময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় নীহাররঞ্জন গুপ্ত একটিও নেই দেখে অবাক লাগলো । সেই সময় ট্রেনে হকারদের হাতে সিংহভাগ বইই থাকতো নীহারঞ্জন গুপ্তের ।
তবে বেশি আশ্চর্য লাগলো সুনীল-শীর্ষেন্দু নাই দেখে। বাসযাত্রীরা কি সুনীল পড়েন না ? অথবা হয়ত এতই পড়েন যে শেষ হয়ে গেছে, তাই কি ? জানিনা- এ ছাড়াও আছে স্বামী-স্ত্রীর মিলন,মেডিকেল সেক্স গাইড,ইংরেজি শিক্ষা বা হোমিও গাইড,সেরা জোকস আরও নানা কিসিমের বই ।
তবে প্রধানত: ভ্রমনকালে সাধারণত: জনপ্রিয় রহস্য রোমাঞ্চ ডিটেকটিভ বা ডাইজেস্ট জাতীয় বই ছাপিয়ে এই যে ধর্মীয় টোটকা জাতীয় বইয়ের পাঠপ্রিয়তা – এইটি কিসের লক্ষণ ? মজার ব্যপার এই যে মূল ধর্মের বইও কিন্তু নেই, যেমন -কোরান,বাইবেল বা গীতা বা ত্রিপিটক। এটা কি আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার মূল বই বাদ দিয়ে মেড-ইজি পড়ার ফল ?
এইটি ভাববার কথা । আমরা তবে কোথায় চলেছি

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৭

অন্তহীন পথিক বলেছেন: আমি সেই ১৯৯৮ সাল, ক্লাস থ্রী থেকে রংপুর কোর্টের সামনে দেখছি হকারেরে এই সব বই বিক্রি করছে। সেই রকম কোন হকার হয়তোবা এই দোকান দিয়েছে।

আর রাস্তা ঘাটে বই কেনেন একটু বয়স্ক মানুষেরা, আমার ধারণা ওদের সময় মেড ইজি ছিল না।

২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮

সুমন কর বলেছেন: থাক !! তবুও একটি বইয়ের দোকান তো আছে !!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.