নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিষাদ

আমি জানি আমি জানি না

ব্যতীপাত

স্থপতি

ব্যতীপাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্রাম্মনবাড়িয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু ও সারেঙ্গী ধ্বংসকরণ

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৬

ব্রাম্মনবাড়িয়ার ঘটনায় শুধু একটি মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যুর কারন অনুসন্ধান জরুরী, না সমগ্র শহর জুড়ে সেই মাদ্রাসার ছাত্ররা বেছে ২ সুরসাধক ওস্তাদ আলাউদ্দীন খাঁ সঙ্গীত বিদ্যালয়সহ সাহিত্য সংস্কৃতি প্রগতিশীলদের স্থাপনা ভাঙ্গলো-তার কারণ অনুসন্ধানও জরুরী ?
তারা ছাত্র লীগের কার্যালয় ভেঙ্গেছে,পুলিশের গাড়ী পুড়িয়েছে ঠিক আছে -সরকারে যেহেতু আলীগ তাই সরকারী স্থাপনা ভাঙ্গারও না হয় একটা কারণ বোঝা গেল- যদিও হাসপাতাল ,রেলস্টেশন,ফিসপ্লেট তুলে ফেলার মত বিধ্বংসী কাজে সাধারণ মানুষের ক্ষতিই বেশী-
কিন্তু শিল্পকলা একাডেমী,ললিতকলা একাডেমী, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে সব সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও পাঠাগার,তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রসমুহ তছনছ করে পুড়িয়ে ধ্বংস করা এসব কিসের আলামত?
সরকারী মাদ্রাসা শিক্ষা, কওমী মাদ্রাসা হচ্ছে ইসলামী ভাব ধারায় শিক্ষা দেয়া হয়। এইসব কেন্দ্র থেকেই যে মানসিকতা গড়ে উঠছে তা খুবই ভয়াবহএবং সভ্যতা বিধ্বংসী । তারা মনে করছে এই যে শিল্পকলা,সাহিত্য সঙ্গীত চিত্রকলার চর্চা সব অনৈসলামিক,তাই এসবও ধ্বংস করতে হবে।
আশঙ্কা হয় ক্ষমতায় গেলে কি এরাও সিরিয়ার পালমীর সভ্যতার চিহ্ন ধ্বংস বা আফগানিস্তানে বামিয়ান বুদ্ধমূর্তি সংহারক ভুমিকা পালন করবে না ? আর আমাদের হারমনি ,গীটার আর তবলা গলায় বেঁধে প্রস্তুত থাকতে হবে-আলাউদ্দীন সাহেবের তানপুরা আর সেতারের মত ধ্বংস হবার জন্য ।মাদ্রাসায় শিক্ষিতরা কি জানে ওস্তাদ আলাউদ্দিন বলতেন- সঙ্গীতের সাধনাও আল্লাহর দিকেই একটি রাহে?
এখানেই অবধারিতভাবে আসে শিল্পকলার সাথে ইসলামের সম্পর্কে কথা।কওমী মাদ্রাসাসহ সব ইসলামী শিক্ষাতেই সরাসরি অথবা পরোক্ষে শিল্পকলার সাথে এই যে বিরোধ ও বিদ্বেষ -এই জায়গায় এসে আমাদের থেমে যেতে হয় স্পর্শকাতর বিষয় বলে।
কিন্তু আমাদের এড়িয়ে যাবার উপায় নেই। মুসলিম হলেই কি ক্যাট স্টিভেনস এর মত গানটান ছেড়ে তবলীগে যেতে হবে ? নাকি জোকার নায়েকের পিস টিভিতে বাদ্যযন্ত্রবিহীন হামদ ও নাত গাইতে হবে।
যদি না হয় তবে মোস্তফা জামান আব্বাসীর মত প্রাকটিসিং মুসলিম ও গায়কদের জোর গলায় বলতে হবে-'মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যুর সাথে সুরসাধকের সারেঙ্গী পুড়িয়ে ফেলার কোন যোগসূত্র নেই।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫১

ডাঃ প্রকাশ চন্দ্র রায় বলেছেন: উচিৎ অনুচিৎ জ্ঞান আগে ঠিক করেই তো তারা ভাঙতে নেমেছিল ভাই,।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.