![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সন্ধ্যার মেঘমা্লা ...
প্রাচীনকাল থেকেই আদিম জনগোষ্ঠী সমূহে বিভিন্ন উৎসব ও পার্বণের আয়োজন ছিল। তবে সেটা সম্পূর্ণ খাদ্য উৎপাদনের উদ্দেশ্যেই আয়োজিত হতো। অরণ্যে পশু শিকার করতে যাওয়ার পূর্বে কিংবা ভূমিতে ফসল রোপনের সময় বেশ কিছু উৎসব ও পার্বণের আয়োজন করা হতো। এছাড়া প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরনের জাদু বিদ্যার চর্চা করা হতো যেগুলো বেশ পরে এসে ধর্মীয় উৎসবে রূপান্তরিত হয়।
তবে বর্তমান এই আধুনিক সমাজে এসে যদিও ঐসব উৎসবের আদিম উদ্দেশ্য আর প্রচলিত নয়, তবুও মানুষের জীবনে আনন্দ আয়োজনের যে সমকালীন প্রয়োজনীয়তা তা বহুলাংশেই এইসব ধর্মীয় কিংবা গোষ্ঠীগত আয়োজনের মাধ্যমেই পূরণ করা হচ্ছে। যেহেতু বহুধর্ম ও মতবাদের সমাগম ঘটেছে এই ভূমিতে তাই এইসব উৎসবের বৈচিত্রতাও বেশ লক্ষনীয়।
এখানেই ফোটে ফুল,স্বর্ণলতা কিংবা ঈদের চাঁদ! কিংবা প্রাচীন নৃ গোষ্ঠী কর্তৃক আয়োজিত বিহুর এ লগন, মধুর এ লগনতথা বৈসাবি উৎসব অথবা মুসলিম জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি হিন্দু ধর্মালম্বীদের বিভিন্ন পূজা, রথযাত্রা, দীপাবলি উৎসব অন্যতম। এইসব উৎসব ও আয়োজন প্রচলিত জীবনের ধারাবাহিক রুটিন জীবনের বাইরে হাসি, আনন্দ ও মানসিক উদ্দীপনা ছড়ানোতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এবং একমাত্র এইসব উৎসবকেই কেন্দ্র করে দেশের বিশাল এক জনগোষ্ঠীর রুটি, রুজির যোগাড় হয়ে থাকে। তবে যারা প্রবাসে বসবাস করেন তাদের অভিজ্ঞতা হয়তো কিছুটা ভিন্ন। কেননা পরিবার পরিজনের বাইরে থেকে এক কষ্টকর জীবনের পাশাপাশি যখন একাকী ঈদ কিংবা অন্যান্য উৎসব পালন করতে হয় তাদের মানসিকতায় তা নিশ্চই আনন্দের পরিবর্তে বিষাদ অবস্থা যুক্ত করে। তবুও অনেকেই বলেন “প্রবাসে ঈদ : আছে বৈচিত্র্য” আসলে কি এই বৈচিত্র্যের মাঝে আনন্দ রয়েছে নাকি, আকুলতা রয়েছে প্রিয়জনদের কাছে পাওয়ার জন্য! শৈশব স্মৃতি ও মায়ের ছায়া নিশ্চয়ই কারোর পিছু ছাড়েনা, ধরে রাখে কন্ঠ চেপে যা হয়তো দেশে বসে কারো দ্বারা অনুভব করা কোনভাবেই সম্ভব নয়।
তাইতো বলি “বুকের মধ্যে বাংলাদেশটা আছে”।
©somewhere in net ltd.