![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১। গার্মেন্স কর্মী রিমা গুলিস্তান দাঁড়িয়ে আছেন , উদ্দেশ্য মীরপুর যাবেন । মীরপুর এর গাড়ী ও আসচ্ছে কিন্ত রিমা কে নিচ্ছে না । কারন সিট নেই । দাঁড়িয়ে পুরুষদের নিলেও মেয়েদের নিচ্ছে না ।
২। অনেক সময় পর ধাক্কা ধাক্কি করে একটা গাড়ীতে উঠল এই বলে যে সে দাঁড়িয়ে যাবে । গাড়িতে উঠার পর সে দেখল মহিলা সঙ্গরক্ষিত সিট এ পুরুষ বসে আছে !! রিমা সিট এর কথা বলতেই পুরুষরা অনেক টা খেকিয়ে উঠল । আর তাদের কে সাপোর্ট দিল আরো কিছু মানুষ এর মুখোশধারী ।
৩। দাঁড়িয়ে কিছু দূর আসার পর রিমা বুঝতে পারল তার আসে পাশে ভীর বেশী । প্রথমে ভেবেছিল সম্পুর্ন গাড়ীতেই ভীর কিন্তু বেশ অবাক হল যখন দেখল গাড়ীর পিছনের দিক বেশ ফাকা । সে বুঝতে পারল , মানুষ গুলা ইচ্ছা করেই তাকে ধাক্কা দিচ্ছে !
৪। কিছুদুর আসার পর পিছনের দিক একটা সিট ফাকা হল কিন্তু রিমা বসল না । এতক্ষনের অভিজ্ঞতায় সে আর পিছনে বসার সাহস পেল না । ইচ্ছাও পেল না ।
৫। মীরপুর কাজীপাড়া নামার সময় হেল্পার চেচিয়ে বল্ল, ওস্তাদ, চাপ দেন , মহিলা আছে !! কিছুটা খুশি হলেও সম্পুর্ন খুশি হতে পারল না, কেননা এভাবে বলার অর্থ হচ্ছে মহিলারা অক্ষম ।
রিমা হাটছে আর ভাবছে, কতই না ভাল হত যদি এদেশে মেয়েদের মেয়ে ভাবার আগে মানুষ ভাবা হত । আর এ কারনেই হয়ত বাংলাদেশ আগাতে পারছে না সেভাবে, যেভাবে আগান দরকার ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৯
বিপরীত বাক বলেছেন: একহাতে তালি বাজে না।
মেয়েরা নিজেরা কি নিজেদের সম্মান করে?
একবার অামার সিটের সামনে দুইজন `মেয়ে প্রচন্ড ভিড়ের মাঝে দাড়িয়েছিল। যদিও ওটা মহিলা সিট ছিল না। সামনের সারির সিট ছিল।
তা কিছুক্ষণ পর অামি সিট ছেড়ে একজন মেয়ে কে বসতে দিলাম। তার কিছুক্ষণ পরে পাশের লোকটি কে বললাম যে ভাই অাপনি ও সিট টা ছেড়ে দিন তাহলে অন্যজনও বসতে পারবে। তা অামার অনড় মনোভাব দেখে লোকটি গাইগুই করে উঠে পড়ল।
ঘটনা ঘটলো এরপর। প্রথম যে মেয়ে টি বসেছিল ( মানে অামি যাকে সিট ছেড়েছিলাম) সেই মেয়ে ২য় মেয়েটিকে বসতে দিল না। বরং পিছনের দিকে দাড়িয়ে থাকা তার প্রেমিক কে ডেকে এনে বসালো।
২য় মেয়ে টি কিন্তু সারা পথ ভিড়ের মধ্যে দাড়িয়ে গেল।