![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Neither a son nor a daughter, but a lump of butter! অনেক পুরোনো একটি কৌতুক। কৌতুকটির রগরগে বর্ণণায় যেতে চাই না, তবে মূল বক্তব্যের প্রতি সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করতে চাই।
দেশে ভোটের মৌসুম সমাগত। ‘অমুক ভাইয়ের সালাম নিন, তমুক ভাইকে ভোট দিন’ অতি শীঘ্রই দেশের আনাচে-কানাচে দেয়ালে দেয়ালে শোভা পাবে। ইতিমধ্যেই জনগণ বিভিন্ন শ্রেণীর ভাইয়ের কাছ থেকে শুভেচ্ছা পেতে শুরু করেছেন। শুভেচ্ছা সম্বলিত বাণী নগরের শোভা বর্ধন করতে শুরু করেছে। দেশবাসী এই অবধি কম ভাইকে ভোট দেয়নি। অনেক ভাই অনেক সময় শুধু সালাম/শুভেচ্ছা দিয়েই মেলা মেলা ভোট পেয়ে সুরম্য অট্টালিকায় প্রবেশ করে তাকে শুকরের খোঁয়াড় বানিয়ে ফেলেছে। কোন ভাই শুধু আঙ্গুল না, হাত-পা-দাঁত-নখ ফুলিয়ে হিংস্র শ্বাপদে পরিণত হয়েছে (অর্থ-বিত্তের বিষয়টা সযতনে উহ্য রাখা হল; আগে ‘চাচা আপন প্রাণ বাচা’)।
কিন্তু যে ভাই-বোনেরা এই ভোট দিয়ে যাচ্ছেন কালের প্রবাহে তাদের অবস্থান্তর চোখে পড়ে না। অবশ্য এই বক্তব্য পুরোপুরি সঠিক নয়, যেখানে ভাই-বোনদের একটি প্রকট অবস্থান্তর দৃশ্যমান! সেটা হল ‘ফুটন্ত কড়াই থেকে জলন্ত উনুনে লাফ দিয়ে পড়া’। প্রতিবার ভোটের পরে এই অবস্থান্তর প্রকট থেকে প্রকটতর হয়েছে; কারণ শুভেচ্ছা/সালাম বিতরণকারী শ্বাপদেরা হিংস্র থেকে হিংস্রতর হয়েছে।
এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য চাই একটি বাস্তবসম্মত সমাধান। সেই সমাধান হতে পারে এই সব হিংস্র শ্বাপদদের নির্বাচিত হওয়া থেকে বিরত রাখা। খুব শীঘ্রই আমরা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের নিকট থেকে কোনরূপ দূরদর্শী এবং প্রজ্ঞাময় সিদ্ধান্ত আশা করি না; সেটা হবে বাতুলতা মাত্র। সুতরাং বলাই বাহুল্য পরবর্তী নির্বাচনেও এদের শুভেচ্ছা এবং সালাম বিতরণ করতে দেখা যাবে।
তাই যদি হয়, তবে উপায় কি গোলাম হোসেন? উপায় একটা আছে, সেটা হল ‘না’ ভোট। আমাদেরকে ‘না’ ভোট দেবার অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। আমরা কোণ শ্বাপদকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে চাই না। আমরা কোন প্রার্থীকে পছন্দ না হলে ‘না’ ভোট দিতে চাই। ‘না’ ভোট আমাদের অধিকার। মনে রাখবেন সুরঞ্জিতের মত কালো বেড়ালরাই ‘না’ ভোটের বিপক্ষে ওকালতি করে এটি রহিত করতে ভূমিকা রেখেছে।
যদি অতীতের পুনরাবৃত্তি না চান, যদি আপনার জীবনকে সুন্দর ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে চান, যদি আপনার নিকট আপনার পরিবার-পরিজন এবং আপনার জীবন মূল্যহীন না হয়, তবে বাস্তব সমাধান ‘না’ ভোট। আমাদের সবাইকে সমস্বরে ‘না’ ভোটের মাধ্যমে জানাতে হবে আমরা এইসব শ্বাপদদের চাই না।
প্রবাদটি ভুলে যাবেন না – ‘as you sow, so you reap’। আশা করি শিরোনামের অর্থ পরিষ্কার হয়েছে।
দেখুন: আমার ‘না ভোট’ বিলাসিতা, রোগীর প্রতি প্রাইভেট প্রশ্ন (জবাব চাই) এবং বর্গা চাষী সলিমুদ্দির ‘না ভোট’ প্রাপ্তি
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৭
আসফি আজাদ বলেছেন: না ভোট ফিরে আসার সম্ভাবনা নাই সত্যি, কিন্তু চেষ্টা করে যেতে ক্ষতি নাই। সচেতন নাগরিক এবং ভোটারদের উচিত 'না' ভোটের ব্যাপারে উচ্চকন্ঠ হওয়া। যদি না ভোট থাকত, তবে অতি শীঘ্রি কোন সুফল পাওয়া না গেলেও দীর্ঘ মেয়াদে আমরা লাভবান হতে পারতাম।
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৪
ডেভিড বলেছেন: কৌতুকটা কিন্তু এখনকার সময়ে বেশ প্রযোজ্য, পাচ বছর পর জনতা কিন্তু বাটারই পাচ্ছে, তবুও ভোররাতে উঠে লাইনে দাড়িয়ে যায় ভোট দেয়ার জন্য। আর প্রার্থীদের ভাল মন্দ বিচারটাও কতটুকু যুক্তিযুক্ত যেখানে দলের হিডেন এজেন্ডাই দুর্নিতি - হ্যা, না ভোট একটু হলেও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়া হয় যে, আমরা তোমাদের পছন্দ করছিনা। কিন্তু এখন যে যুগ এসেছে - দুর্নীতি, রাহাজানি আর চুরিটা অধিকারের পর্যায়ে চলে যাচ্ছে - কেউ এর বিরুদ্ধে গেলেই তারা সহ্য করতে পারছেনা - তাই না ভোট ফিরে আসার সম্ভাবনা নাই