নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তার জন্য অপেক্ষায় থাকা একশো বছরের পুরাতন যুবক

আসিফ্লী

দেয়ার মত অনেক কিছুই ছিল, নিলে না

আসিফ্লী › বিস্তারিত পোস্টঃ

চোর হয়তোবা মানুষ

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৬:৪৭

এলাকায় হুলুস্থুল বেধেঁ গেল। সবার মুখে একই কথা। শরীফ ব্যাপারির দুইটি ষাঁড় চুরি হয়ে গেছে। চারদিকে খবর ছড়ানো হয়েছে। মোবাইল এর যুগ। এমনটাই স্বাভাবিক। বৃষ্টি তোয়াক্কা না করেই একদল করিমন নিয়ে খুঁজতে বের হয়ে গেছে

বিকেলে খবর আসলো পাশের ইউনিয়নে করমচাঁদ গ্রামে গরু পাওয়া গেছে। সাথে চোরও। গ্রামের মানুষ শরীফ ব্যাপারিকে খবর দিয়ে নিয়ে গেলে উনি গরু এবং চোর দুটোকেই করিমনে করে এলাকায় নিয়ে আসেন

চোরের কোন রকম জ্ঞান আছে। চোখ দুটো অল্প অল্প খুলে পাশে ঘিরে ছাতা মাথায় দিয়ে দাড়িয়ে থাকা আবেগী মানুষ গুলোকে দেখছে। আমিও সেই উত্সুক জনতার মধ্যে একজন ছিলাম
---

চোর নামের লোকটির গায়ে কোন কাপড় ছিল না। মাটিতে কুঁজো হয়ে শুয়ে আছে। বৃষ্টির ফোঁটা হয়তোবা চোর লোকটির উপর পড়তে অনেকটা কৃপনতা করলেও আমরা ঘিরে থাকা জনতা তার দিকে একটি ছাতাও আগিয়ে দেই নি। কারণ সে চোর

আমারও মনে মনে ইচ্ছে হচ্ছিল কিছুক্ষণ নিজের মতো করে পিটাতে। কারণ এই চোর জাতটাই আমার ছোট্ট বেলার দুইটি সাইকেল চুরি করে নিয়ে গেছে

শরীফ ব্যাপারি কিছুক্ষণ পর আসলেন। সাথে করে গরুকে ইঞ্জেকশন দেয়া সিরিঞ্জ এর মোটা সুঁচ নিয়ে। মনে মনে অনেক আনন্দই লাগছিলো। এবার চোর শালার শিক্ষা হবে। সুঁচটি এক এক করে সব কয়টা আঙ্গুলের মাথায় নখের ভিতরে ঢুকানো হলো। চোরটা একটু ও টু শব্দ করলো না। নড়াচড়া ও আস্তেধীরে শিথিল হয়ে লাগলো

এভাবে নানা প্রকার অত্যাচার চললো সন্ধ্যা পর্যন্ত। সন্ধ্যায় চোরের এলাকার চেয়ারম্যান আসার পর মিমাংসা করে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়

চোর ছেড়ে দেয়ার পর সবাই বলা বলি করছিলো চোর কিভাবে করমচাঁদ গ্রামের মানুষ ধরে। চোর কেউ ই ধরে নি। চোর নিজে থেকেই ধরা খেয়েছে
---

চোর গরু চুরি করে যাওয়ার পথে বৃষ্টির সম্মুখীন হয়। কারণ সেদিন মাঝ রাত থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়। একটানা বৃষ্টি। সেই বৃষ্টির খপ্পরে পরে চোর। বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে গরু নিয়ে যাওয়ার সময় অনেকটাই অসুস্থ হয়ে পরে। একপর্যায়ে গরু দড়ি হাতে রেখেই অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যান

পরদিন সকালে লোকজন মাঠে যাওয়ার পথে তাকে জঙ্গলে পরে থাকতে দেখে বাসায় নিয়ে আসে। গরু চুরি হয়েছে এই খবর ছড়িয়ে যাওয়ার পর শরীফ ব্যাপারি কে খবর দেয়া হয়
---

চোরের ধরা পরার ব্যাপারটা শুনে চোরের প্রতি মায়াই হচ্ছিল। মনে কিছুটা কষ্ট নিয়ে চিন্তা করলাম অসুস্থ মানুষটাকে এভাবে না মারলেও হতো

এই কথা টা চিন্তা করার পর নিজেই বিব্রতবোধ করলাম। কারণ আমি এই প্রথম চোর টিকে মানুষ বলে সম্মোধন করলাম

ভাবতেই অবাক লাগে

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৬:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:

আপনারা কোন এলাকার লোক ? ঐদিকে কি শুধু জল্লদেরা থাকে?

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৭:০৩

আসিফ্লী বলেছেন: জল্লাদদের কোন এলাকা নেই / নেই কোন ঠিকানা

২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৭:৪৯

জাহিদ নীল বলেছেন: Ja sob chor mar khay oder dosh ora gorib manus, takawalader katarea thakla marta parto

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৭:৫৬

আসিফ্লী বলেছেন: আমি জানি না কেউ শখ করে চুরি করে কি না / সবাই পেটের দায়ের কারনের চুরি করে / টাকা ওয়ালারাও যে চোর না এমন কোন প্রমান আমাদের কাছে নাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.