সেই ছেলেটির অপেক্ষায়...

২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:১৩

রাত দশটা। নীলিমা ছাদের কার্নিশ ধরে দাড়িয়ে। বারোটা বাজার অপেক্ষায়...
-
নিলয়ের সাথে কাটানো প্রত্যেকটি মুহূর্ত এখনও স্পষ্ট। এইতো সেদিন আকাশে কালো মেঘ দেখে নিলয় কে ফোন করে বাসা থেকে নামিয়ে দুজন রিক্সা করে ঘুরলো। কিন্তু যে বৃষ্টির আশায় এত্তো কিছু তার কোন খোঁজই ছিলো না
-
তবুও তারা রিক্সা মামাকে বলে কয়ে পলিথিন নিয়ে দুজন পা ঢেকে বসেছিল। শুধুমাত্র একটু বৃষ্টির স্বাদ গ্রহণের জন্য
-
অনেক গরম। তবুও নীলিমা নিলয়ের দেয়া লাল চাদরটা এখনও গায়ে জড়িয়ে। চাদরের ভিতরে শরীরটা ঘেমে পা গড়িয়ে পানি পড়ছে। নীলিমা চাচ্ছেনা চাদরটা সরাতে শরীর থেকে। কারণ এমনটাই কথা ছিল নিলয়ের সাথে
-
নিলয় প্রতিবার রাত বারোটায় এই রাতেই রাস্তা দিয়ে হেঁটে যায় নীলিমাকে দেখার জন্য। আর নীলিমা দাড়িয়ে থাকে ছাদের কার্নিশ ধরে। আজ যেমনটি দাড়িয়ে
-
আজ অনেক বেশী করে ই মনে পড়ছে নিলয়ের সেই হাসি ভরা মুখটা। যে হাসিটা নীলিমার হাজার কেজি ওজনের রাগটাকে ভেঙে দিত নিমিষেই। নিলয়ের সাথে কাটানো সময়গুলো স্মৃতিচারণ করতেই চোখ গড়িয়ে পানি আসছে নীলিমার
-
নীলিমা এমনিতে ছাদে বেশী উঠে না। সিড়ি বেয়ে উঠতে অনেক কষ্ট হয়। বয়স হয়েছে তো। তবুও আজ পঞ্চাশ বছর ধরে নীলিমা এভাবেই এই দিনটিতে নিলয়ের জন্য দাড়িয়ে থাকে ছাদের কার্নিশ ধরে
-
রাত এগারোটা চল্লিশ। নিচের পিচঢালা পথের দিকে তাকিয়ে ছাদের কার্নিশ ধরে দাড়িয়ে আছে নীলিমা। উপরের দিকে তাকিয়ে হাসি মুখের সেই ছেলেটির অপেক্ষায়...

২ টি +০/-০