![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।
আমার মামাতো বোন পারু’দের বাসায় শৈশবে কিছু দুর্লভ জিনিস ছিল। তার মধ্যে অবশ্যই পারু’র বাবা অহিদুর রহমান মামার সংগ্রহ করা বইপত্রও ছিল। সেই মামার প্রিয় লেখক ছিলেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। অবশ্য বঙ্কিমচন্দ্রের কিছু বইও তার সংগ্রহে ছিল। শরৎচন্দ্রের ‘বিরাজ বৌ’ উপন্যাসটি আমি শৈশবে পারুর বাবার সংগ্রহশালা থেকেই নিয়ে পড়েছিলাম।
পারুদের বাসায় আরও ছিল বাঁধাই করা অনেক জিনিস , তবে ছবি বাঁধানো ছিল খুব কমই। বেশি ছিল সার্টিফিকেট বাঁধানো। বৃটিশ আমলে লেখাপড়ার কয়েকটি সাটিফিকেটও বাঁধানো ছিল , সার্টিফিকেটের লেখাগুলো ছিল অবশ্যই ইংরেজিতে। শুনেছি আমার নানার বাপ-চাচাদেরই কারো কারো ছিল এসব সার্টিফিকেট। আজকাল আর সার্টিফিকেট এভাবে বাঁধিয়ে রাখা হয় না।
আর ছিল আমার নানার মৃত্যু বিষয়ক কিছু লেখা কারুকাজ করে বাঁধানো। সেখানে লেখা ছিল-যতদূর মনে পড়ে...
‘জগতের আনন্দে এসেছিলেন
দুঃখ দিয়ে আবার গেলেন সরে
কতো আপন ছিলেন প্রাণের পরে
চলে গেলেন সকল শূন্য করে।’
তারপর নাম-ঠিকানা ও মৃত্যুর তারিখও লেখা ছিল। সর্বশেষ লেখা ছিল ‘ইয়া আল্ল¬াহ পাকশাই কাদের...কে করিও দান জান্নাত তোমার। আমিন।’
এসব বাঁধানো ছবিগুলো এখন কোথায় কেউ জানে না। একদিন পারুকে বললাম ,কোথায় গেল সেসব দুর্লভ জিনিসগুলো? পারু বলে , বলতে পারবো না। আমার মায়ের মৃত্যুর পর যখন আমরা শহরে চলে এলাম , তখন ঠিক মায়ের মতোই জিনিসগুলোকে চিরতরেই হারিয়ে ফেলেছি।
২৮ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৩
জসীম অসীম বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। পারু এখন ঢাকায় থাকে। শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ।
২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:০৮
চড়ুই বলেছেন: শুভকামনা জানবেন।
২৮ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৪
জসীম অসীম বলেছেন: শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ। আপনাদের মতামতই আমার চলার পাথেয়।
৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯
সুমন কর বলেছেন: শুভকামনা রইলো।
২৯ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৭
জসীম অসীম বলেছেন: অনেক শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৫৯
অপ্সরা বলেছেন: শুভকামনা পারুর জন্য