![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পরিচয় লিখবার মতো কেউ নই। সেই পর্যায় এখনো পৌঁছাতে পারিনি।
অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না।
কালকে থেকেই চিন্তা করছিলাম ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে কিছু লিখব। তাই কাল থেকেই ফেসবুক ও সামহোয়্যার ইন ব্লগ সহ বিভিন্ন বাংলা ব্লগ গুলোতে নজর রাখছিলাম। উদ্দেশ্য ছিলো এর স্বপক্ষে কে কি লেখে তা দেখা। এরপরে সেগুলো পয়েন্ট করে জবাব দেয়া।
কিন্তু হতবাক হয়ে দেখলাম কিছু ঘাড়ত্যাড়া লোক একগুঁয়ে ভাবে "নবীপ্রেমে" ফানা হয়ে যাচ্ছে আর মাঝেমধ্যে আড়চোখে তাদের প্রতি মানুষের দৃষ্টি পরখ করে নিচ্ছে।
ভেবেছিলাম তারা হয়তো দলীল প্রমাণ দিয়ে কিছু একটা বলার চেষ্টা করবে। কিন্তু পরে দেখলাম এরা ইহুদী কায়দায় মানুষদের ধোঁকা দিয়ে "নবীপ্রেম"এর ধোঁয়া তুলে মানুষকে ব্যাকুল করে তুলে নবীর জন্মদিন পালনের গুরুত্ব বুঝাচ্ছে।
সিঁধেল চোর একেকটা।
একজন বিবেকবান মানুষের ব্যাপারটা স্পষ্ট বোঝা উচিৎ। তারা নবীর জন্মদিন পালনের দলীল দিতে ব্যর্থ হয়ে শুধু সিম্প্যাথির আশ্রয় নিচ্ছে।
একটা কথা সত্যি। অজ্ঞতা মানুষের মনে ভীতির সৃষ্টি করে। আর এই অজ্ঞতা আর জ্ঞানহীনতা দূর করে জ্ঞানের আলোয়ে আলোকিত হতে শুধু নবীজী সাঃ নন, বরং স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা উদ্বুদ্ধ করছেন তার পাক কিতাবে !! জ্ঞানের বিকল্প কিছুই হতে পারে না।
আপনি মাদ্রাসায় পড়েননি তাতে কি ?? আপনি বাংলা বা ইংলিশও জানেন না !? যদি জেনে থাকেন তাহলে অবসর সময়টুকু কেন কাজে লাগান না ?? ইসলামি জ্ঞানের সুবিশাল ভান্ডার রয়ে গেছে এই দুই ভাষায়।
ইউটিউবে আজেবাজে ভিডিও না দেখে বরেণ্য আলিমদের লেকচার কেন শোনেন না ??
দেখুন তারা এই বিষয়ে কি বলছেন। যেই বিষয়ে আপনার জানা নেই সেই বিষয়ে শুধু আবেগের বশে চিৎকার করার কোন অধিকার আপনার নেই। এটা শরীয়ত। যা নির্ধারণ করেছেন স্বয়ং বিশ্বনিয়ন্তা। এর দলীল হলো কুরআন। দলীল হলো হাদীস। আবেগের কোন স্থান এখানে নেই। ইসলাম একটা যৌক্তিক ধর্ম। আর এর সর্বোত্তম পালনকারী হলেন সাহাবা রাদিয়াল্লাহু আনহুম।
একজন তাবেঈকে প্রশ্ন করা হয়েছিল এক সাহাবি সম্পর্কে। তার সাথে তাঁর কোন এক মাসআলার ক্ষেত্রে কিছুটা মতপার্থক্য ছিলো।
প্রশ্ন শুনে চমকে উঠলেন তাবেঈ !!
ঃ "আশ্চর্য !! তোমরা আমাকে রাসূল সাঃ এর সাহাবির সাথে তুলনা করছো ,,!!?? অথচ আমি নিজেকে তার ঘোড়ার পায়ের ধুলার সমানও মনে করি না।"
একজন তাবেঈর অবস্থা যদি এই হয় তাহলে সেখানে আমার অবস্থান কোথায় !?
যেখানে রাসূল সাঃ এর জন্য জান কুরবানকারি সাহাবী, যারা যুদ্ধের ময়দানে নিজেদের শরীর রাসূলের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতেন, যেই উমর ফারুক রাঃ রাসূলের ইন্তিকালে পাগলপারা হয়ে গিয়েছিলেন, রাসূলের তিরোধানের পর হজরত বিলালের আযান শুনে রাসূলের কথা মনে পড়ে যাওয়ায় যেই মদীনাবাসী কেঁদে আকুল হয়েছিল,
রাসূলের এক আহ্বানে সা'দ বিন মুআ'য রাঃ এর সেই কালজয়ী জবাব, যা আজও মর্দে মুমিনের বুকে শিহরণ জাগায়,,,
এইসব জলিলে ক্বদর সাহাবীর আবেগকে উপেক্ষা করে তুমি কে হে নকল মজনু ??
এদেরকে কোন দলীল বুঝানো আর উলুবনে মুক্তো ছড়ানো এক কথা।শুধু মুসলিম ভাই হিসেবে দোয়া করতে পারি, আল্লাহ যেন তাদের বিদআতের এই খপ্পর থেকে নাজাত দেন এবং সুস্থ বিবেক দান করেন।
২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৭
কালীদাস বলেছেন: ভাল পোস্ট। বিদায়াত কোন লেভেলে গেছে বলার মত না।
আমার উপরের কমেন্টকারীও সকালে দেখলাম মিলাদুন্নবী করার মত দিয়ে পোস্ট করেছেন, এখন আবার আপনাকে ক্রিসমাস উইশ করছেন। দুনিয়া!!
৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:০৭
আশিক আহমাদ বলেছেন: বিদআত একটা ইসলামি পরিভাষা। ধর্ম সংক্রান্ত ক্ষেত্রে এর ব্যবহার শুদ্ধ। কেউ যদি তাকে তুলো বাছার কাজেও ব্যবহার করতে চায় তবে শুধু তার জ্ঞানের দৈন্যতা প্রকাশ পাবে বৈকি !
কুরবানির কথা তুলছেন কি করে ?? এগুলো তো শিয়ারে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত। নাকি কোবভাবে বলতে চান আপনার "হ্যাপী মিলাদুন্নবী" কুরবানির সমতুল্য ??
আপনি আবার বড় দিনের শুভেচ্ছাও জানান! আমার তো মনেহয় এখান থেকেই সূত্রপাত হয়েছে পুরো ব্যপারটার।খৃস্টানদের জন্মদিন পালন দেখে আপনার মতো কিছু মানুষের শখ জেগেছে 'আমরাও জন্মদিন পালন করব। তাও যার তার না। একেবারে খৃস্টানদের মতো মুহাম্মদ সাঃ এর'। পারেনও বটে ! অনুকরণের এই বিরল প্রতিভা যদি রাসূলের সুন্নতের অনুকরণে ব্যয় করতেন, এদ্দিন অনেক উপরে উঠে যেতেন। আল্লাহ হিদায়াত দান করুন।
৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:১৮
আশিক আহমাদ বলেছেন: কালিদাস, সবচেয়ে দুঃখ হয় এদের আস্ফালন দেখলে। সুন্নতের নূনতম অনুসরণ যাদের মাঝে নেই তারাই রাসূল প্রেমে অতিষ্ঠ হয়ে হিন্দুদের "রথযাত্রা"র মতো র্যালি আর খৃস্টানদের ক্রিসমাসের মতো জন্মদিন পালনে ব্রতী হয়। আজব এদের বিবেক ! ধর্মের মতো স্পর্শকাতর বিষয় এরা মামাবাড়ির মোয়ার মতো মনে করে। আল্লাহ এঁদের হেদায়াত দিন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৫
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সম্পূর্ণ ইসলামই আজ বিদাতের উৎস। কম্বলের তুলা বাছা শুরু করলে আর কিছুই বাকী থাকবে না। কয় দিন পর শোনা যাবে নামাজ ৩ ওয়াক্ত। গরু ছাগল কোরবানি করা নাজায়েজ। যাই হোক পবিত্র বড় দিনের শুভেচ্ছা।