নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বৃষ্টিতে হাঁটতে ভাল লাগে আমার কারন কেউ দেখেনা দুচোখের জল ধুয়ে যায় বৃষ্টিধারায়

আশিক হাসান

আসলে নিজের কথা বলতে গেলে প্রথমে মনে হয় কেও হয়তো একটা ভিডিও ক্যামেরা সামনে নিয়ে লাইভ শো করছে ।এবং আমি যা বলবো সেটা সবাই দেখছে ফলে আর দশ জনের মত আমিও অনেক কথা বলতে গিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে যাই । কি বলবো আর কি বলবোনা এই দুইয়ের দোলাচলে পড়ে সব গুলিয়ে ফেলি।তবে এটুকু বলতে পারি । জীবনের খাতা টি না মুড়ানো পর্যন্ত আসলে হিসাব কষা খুবই মুস্কিল কতটুকু বলার ছিল আর কতটুকু বলতে পেরেছি।।।।।।

আশিক হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আরব সিংহ উমর ইবনে আল খাত্তাব

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩৬

প্রখর তপ্ত বালুকাময় প্রান্তরে হেঁটে চলেছে বৃদ্ধ নারী শিশু আর পৌড়দের এক কাফেলা । উটগুলো নাসারন্ধ কিছুক্ষন পরপর ফুলে উঠছে কাছে পিঠে পানির গন্ধ শোঁকার সহজাত স্বভাবে। দূরে এক উঁচু বালুর পাহাড়ে এক আরবী ঘোড়ায় সওয়ার এক তেজতীপ্ত বেদূইন যুবক অনেকক্ষন ধরে সেই কাফেলার দিকে তাকিয়ে কি যেন ভাবছে। কাফেলার উটগুলোর পিঠে চাপানো সংসারের যাবতীয় বোঝা চাপানো দেখে বোঝা যাচ্ছে এই কাফেলার সদস্যরা আর কখনো হয়ত ফিরে আসবেনা এই তল্লাটে । আর সেই কারনেই সেই বেদূইন যুবক কিছুটা দূঃখিত। আজকের এই কাফেলার চিরদিনের জন্য চলে যাওয়া তার মনে কোথায় যেন এক ঝড় তুলে চলেছে। সেই বেদূইন যুবক ভেবে চলেছে অনেকক্ষন ধরে কি সেই সত্য ? যেই সত্যর কারনে যুগ যুগ ধরে মক্কায় বসবাসকারী এই কাফেলার দল অনেক অত্যাচার সহ্য করে সমস্ত অধিকারকে জলান্জলী দিয়ে আজ পথের ফকিরের বেশে হেঁটে চলেছে আবিসিনিয়ার পথে। সেই সত্যকে জানার প্রবল আগ্রহ সেই বেদূইন যুবকের মনে দিনে দিনে ছাইচাপা আগুনের মত ধিকিধিকি জ্বলেই চলছিলো । আর সেই কারনেই প্রতিদিন এরকম মক্কা ছেড়ে চলে যাওয়া কাফেলার দলকে সে দৃষ্টিসীমার শেষ পর্যন্ত দেখে বাড়ী ফিরে আসাটা তার এক প্রাত্যহিক অভ‌্যাসে দাড়িয়ে গিয়েছিলো অবচেতন মনে। কিন্ত কি একটা অজানা কারনে তার সাহস বা ইচ্ছে করেনি সেই সত্যকে জানার অথবা কাফেলার কারও সাথে কথা বলার। কিন্ত একদিন সে তার অবচেতন মনেই কি কারনে এরকমই এক মক্কা ছেড়ে চলে যাওয়া কাফেলার কাছে ঘোড়া ছুটিয়ে এগিয়ে গেল।



সেই যুবকের এরকমভাবে ছুটে আসতে দেখে কাফেলার অনেকেই ভীত হয়ে উঠল। শিশুদেরকে নিয়ে মহিলাদের দল জড়সড় হয়ে আড়ালে লুকালো কিছু যুবক আর প্রবীনের দল দ্বিধামিশ্রিত হয়ে খোলা তরবারী নিয়ে মুখামুখি হল সেই বেদূইন যুবকের কারন এই যুবক সেই সত্যকে গ্রহন করার কারনে কুরাইশদের সাথে মিলে তাদের উপর চালিয়েছে অনেক অত্যাচার। তারা ভাবছিলো হয়ত কোন বদমতলবে আবার কোন অত্যাচার বা হত্যার উদ্দেশ্য এই যুবকের আগমন। কিন্ত কাছে আসতেই সেই যুবক তাদের কে আশ্বস্ত করলো তার খোলা তরবারী খাপে ভরে । ঘোড়া থেকে নেমে সেই বেদূইন যুবক দৃপ্তপদে এগিয়ে গেল সে উম্মে আবদুল্লাহ বিনতে হানতামাহের কাছে।



(১) " তোমরা কি একেবারের জন্য এই মক্কা ছেড়ে চলে যাচ্ছো ?" বেদূইন যুবকের এই প্রশ্নে উম্মে আবদুল্লাহ বিনতে হানতামাহ অনেকটা ঘৃনা আর দ্বেষমিশ্রিত ভাষায় জবাব দিলো " তোমাদের এই অত‌্যাচারে আমাদের আর কি বা করার আছে, নিজের বসতভিটা তাই আজ চিরদিনের জন্য ছেড়ে আমরা আল্লাহর আদেশে এই পবিত্রভূমি ছেড়ে চলে যাচ্ছি , যতদিন না আল্লাহ আমাদের আবার তাঁর এই পবিত্র ভূমিতে ফিরিয়ে না আনেন"। উম্মে আবদুল্লাহ বিনতে হানতামাহের এই তেজদৃপ্ত জবাবে কিছুটা বিচলিত হয়ে সেই বেদূইন যুবক বললো " আল্লাহ তোমাদের যাত্রাপথে সহায় হউন"।

কালক্ষেপন না করে সেই আরব বেদূইন যুবক লাফিয়ে ঘোড়ায় উঠে জোড়ে ঘোড়া ছুটিয়ে নিমিষেই ঝড়ের বেগে দৃষ্টিসীমার আড়ালে মিলিয়ে গেল। আবারো সেই কাফেলার দল তাদের গন্তব্যস্থানের দিকে যাত্রা শুরু করল। উম্মে আবদুল্লাহ বিনতে হানতামাহ শুধু ভাবতে লাগলেন তিনি আজ যা দেখেছিলেন সেই বেদূইন কুরাইশ যুবকের চোখের কোনে সেই চোখের ভাষা কি তিনি পড়তে ভুল করেছিলেন? আসলেই কি আরবের সিংহশার্দূল বীরদের মাঝে যিনি অন্যতম সেই সময়ে সেই উমর ইবনে আল খাত্তাবের চোখে আজ তিনি কি দেখে ছিলেন তাদের জন্য এক অব্যক্ত বেদনার প্রতিচ্ছবি ? মনের সেই গোপন প্রশ্ন কে আপাতত চেপে রেখে উম্মে আবদুল্লাহ বিনতে হানতামাহ উঠে বসলেন উঠের পিঠে এক অজানা গন্তব্যর পথ ধরে কাফেলার সাথে এগিয়ে চললেন।



(২) কিন্ত সেই অত্যাচারী বেদুইন যুবকের চোখের কোনে আজকের দেখা সেই আদ্রতা তাকে অস্থির করে তুললো । বিষয়টি অবশেষে তিনি সত্যর আরেক অনুসারী আমির ইবনে রাব্বিয়াহকে বললে, তিনি অনেক তাচ্ছিল্য আর অবিশ্বাসের সাথে বললেন " তার মানে তুমি কি বলতে চাও সেই কঠোর অত্যাচারী বেদূইন যুবক অবশেষে ইসলামের ছায়ায় আশ্রয় নিবে? খানিক ক্ষন হেসে আমির বললেন এই কথাটা বিশ্বাসের চাইতে সেই অত্যাচারী যুবকের গৃহপালিত গাধাটা বরং ইসলাম গ্রহন করবে এই কথাটা বললে আমি বিশ্বাস করতে রাজী আছি।"

তবু যেন উম্মে আবদুল্লাহ বিনতে হানতামাহ বিশ্বাস করতে ভাল লাগছিলো যে হয়ত সেই অত্যাচারী বেদূইন যুবকের চোখে যদি তিল পরিমান দয়ার উদ্রেক হয় তাহলে হয়ত সেটা মক্কার অনুসারীদের জন্য হতে পারে মহান আল্লাহ পক্ষ থেকে এক বিশেষ রহমত। শুধু উম্মে আবদুল্লাহ বিনতে হাতমাহ নয় বরং এই প্রার্থনা ছিল সে সময়কার মক্কার সত্য অনুসারীদের সকলের। কারন সেই অত্যাচারী বেদূইন যুবক ছিলো আরবের কুরায়শ বংশের এক উজ্জল নক্ষত্র, একজন সাহসী বীর তিনি ছিলেন আল খাত্তাবের ছেলে উমর ইবনে আল খাত্তাব।



(১) এবং (২)



[Seerah ibn Hishaam (1/216) and Fadaail As-Sahaabah (1/341), by Imaam Ahmad. The chain of this narration is Hassan.]



(চলবে)

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১২

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: হাউকাউ

২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪৮

বেলা শেষে বলেছেন: ....this is a good -better- best post, do not hessited for bad compliment, good writing,
Respect & Salam to you...
Up to next time....

৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০৭

আশিক হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ বেলা শেষে আপনার মন্তব্যর জন্য । অনেকদিন ব্লগে লেখা এবং দেখা হয়না । তাই এই হাউকাউদের দলও চোখে পড়েনা। প্রথমে হাউকাউের মন্তব্য মুছে দিয়েছিলাম কিন্ত বেচারা নাছোড়বান্দা তাই তার মন্তব্যও স্বযত্নে রেখে দিলাম ।

এই লেখাটা মূলত ডা: আলী মুহাম্মাদ সালাবী রচিত UMAR IBN AL- KHATTAB HIS LIFE & TIMES ঐতাহাসিক গ্রন্হের ছায়া অবলম্বনে লেখা হচ্ছে । ইসলামের ২য় খলীফা হজরত উমর (রাঃ) এর জীবনীভিত্তিক এবং বিপুল তথ্যনির্ভর এরকম লেখা আমি আগে কখোনো পড়িনি। লেখাটা পড়ে আমি ব্যক্তিগত ভাবে উপকৃত হয়েছি। বিশেষ করে একটি ইসলামী রাষ্ট্রের মডেল আসলে কি রকম হওয়া উচিত। জিজিয়া করের বিষয়ে পরিষ্কার ব্যাখ্যা, হজরত উমর (রাঃ) এর জীবনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে রেফারেন্স সহ তথ্য এবং তার জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সমগ্র জীবন কে বিশাল দুটি খন্ডে তুলে আনা হয়েছে। আমি চেষ্টা করছি ইতিহাসের বিষয়গুলোকে ঠিক রেখে ঘটনাগুলোকে গল্পের আকারে রুপ দেয়ার জন্য। ইতিহাসকে সরাসরি পড়লে অনেকসময় সেটা পাঠকের কাছে আনন্দদায়ক হয়ে উঠেনা সেজন্যে।

৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৪

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: গুহা-মানব,
আপনি প্রস্তরযুগে ভালো করবেন; জিজিয়া কর আপনার পিঠের উপর দেয়া হবে, ডামী।

৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৬

আশিক হাসান বলেছেন: ছোটভাই, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।

৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১৭

পথহারা নাবিক বলেছেন: @তরল তুই তো হিন্দু তাও নিচু জাতের!! তোকেই মানায় এই সব আজে বাজে মন্তব্য করার জন্য!!

৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:০৩

হেদায়েত বলেছেন: পোস্ট ভালো হয়েছে । আর পাঠক১৯৭১ এর জন্য !!!!! হ্যাঁ পাঠক১৯৭১ তোর মত চেতনা বাজদের বলছি.........তোমার এইখানে কোন কাম নাই । তুই হাউকাউয়ের মাঝে কি করস । ( পাঠক১৯৭১ কে) [ মাতাল তুই চেতনার ভান্ডারে যা গিয়া চেতনার মদ খা গিয়া ]



আগেরটাতে ভুল হয়েছিল

৮| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৪২

আদম_ বলেছেন: সুন্দর।
কিছু পাগল-ছাগলদের কথায় মাইন্ড করবেন না।

৯| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৮

আশিক হাসান বলেছেন: পাঠক মাত্রই মন্তব্য করতে পারে তবে ব্যক্তিগত আক্রমনাত্বক না হয়ে লেখার সমালোচনা করলে সেক্ষেত্রে সবাই উপকৃত হয়। সকলকে ধন্যবাদ।

১০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৫৯

বেলা শেষে বলেছেন: আশিক হাসান Brother, you are a Longtime writer- not only writer but "Blogger"! basically if you are Blogger more over on Islam - then you have to be a as like Robots! Criticism will purify you!!!

১১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১০

আশিক হাসান বলেছেন: বেলা শেষে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । মজার মন্তব্যের (ছবি সহ) জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

১২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৭

ইমরান আশফাক বলেছেন: চমৎকার পোস্ট খুজে পেলাম, সোজা প্রিয়তে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.