নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লকড

ব্লকড › বিস্তারিত পোস্টঃ

যৌন হয়রানি : উত্তাল সাস্ট ক্যাম্পাস ভিক্টিম কে স্যার বললেন নষ্টা

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯







শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে লোকপ্রশাসন বিভাগের কর্মচারী আবু সালেহ কর্তৃক এক ছাত্রী যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন।

গত রোববার এ ঘটনা ঘটার পর ভয়ে ঐ ছাত্রী মুখ খোলেন নি। পরে সোমবার তার সহপাঠীরা ঘটনাটি জানার পর বিভাগীয় প্রধানের কাছে ওই কর্মচারীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এসময় বিভাগীয় প্রধান শিক্ষার্থীদের কাছে একদিনের সময় চেয়ে নেন। তবে মঙ্গলবার নির্ধারিত দিনেও এ ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। অভিযোগপত্রের প্রেক্ষিতে অভিযুক্তকে এখন পর্যন্ত কোন কারণ দর্শানো নোটিশও প্রদান করা হয়নি।

এরকম একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে বিভাগীয় প্রধানের নিরব ভূমিকায় বিভাগের শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

এদিকে মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ কমিটির কয়েকজন সদস্য এ বিষয়ে লোক প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের সাথে দেখা করতে যান। তবে ওইসময় তিনি বিভাগে না থাকায় মুঠোফোনে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এবিষয়ে প্রসিডিউর মেইনটেন করে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। তবে ওইছাত্রীর দেয়া লিখিত অভিযোগের বিষয়টি তিনি তাদের সাথে অস্বীকার করেন।

জানা যায়, রোববার লোকপ্রশাসনের বিভাগের এক ছাত্রী বিভাগের অফিসের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তাকে কক্ষে ডেকে নিয়ে যান মাস্টার রোলে নিয়োগ পাওয়া কর্মচারী আবু সালেহ। এসময় তিনি তার হাত ধরে টেনে নিয়ে আপত্তিকর ইঙ্গিত করেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন সেই ছাত্রী। এ ঘটনায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভাগের কয়েকজন ছাত্রীও ওই কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন।

যৌন হয়রানির অভিযোগের বিষয়ে বিভাগের কর্মচারী আবু সালেহ সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এব্যাপারে তিনি কথা বলতে চান না।



অপরদিকে আবু সালেহের পক্ষ নিয়ে লোক প্রশাসন বিভাগের জামায়াতপন্থী শিক্ষক নাসির উদ্দিন এর বক্তব্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে ক্যাম্পাসে। তিনি ভিকটিমকে ‘চরিত্রহীনা’ আখ্যা দিয়ে আবু সালেহকে নির্দোষ দাবি করেছেন। তার এধরনের বক্তব্যে ওই সময় বিভাগের অপর শিক্ষকদের তোপের মুখে পড়েন তিনি। এছাড়া শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন, বক্তব্যের জন্য ক্ষমা না চাইলে তারা তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নামবেন।

কর্মচারী কর্তৃক যৌন হয়রানি করার ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বুধবার লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিমকে প্রধান করে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও যৌন নিপীড়ন নিরোধ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. ইয়াসমীন হকের নির্দেশে এ কমিটি গঠন করা হয়।

তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফাতেমা খাতুন ও মো. ফখরুল ইসলাম।



নিউজ লিঙ্ক

http://sustnews24.com/news/4962

http://ctgnews.com/01/28453.php

http://barta24.com.bd/details.php?id=2459

Click This Link

Click This Link



ব্লগার ভাইদের সরব হউয়ার আহব্বান জানাচ্ছি।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:০৭

একজন ঘূণপোকা বলেছেন: B:-) B:-) B:-)


হালার শিশ্ন কেটে নেয়া হউক X( X( X(

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৩৩

ব্লকড বলেছেন: যৌন হয়রানির দায়ে অভিযুক্ত লোক প্রশাসন বিভাগের কর্মচারী মো. আবু সালেহকে সাময়িকভাবে চাকুরীচ্যুত করা হয়েছে বলে ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক ও প্রক্টর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের জানিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তারা শিক্ষার্থীদের আশ্বস্থ করেন।
আসলে পারবে কি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে ?????
**** সেটা দেখার অপেক্ষায় রইলাম.......
কারন, আবু সালেহ এর বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যস্থা না নেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বড় মাপের কর্মকর্তা সুপারিশ করেছেন। এমনি তার সাময়িকভাবে বহিষ্কারের ফাইলটিও ওই কর্মকর্তা স-যত্নে আটকে রেখেছেন।
সাবেক ভিসি মো. সালেহ উদ্দিন স্যারের শেষ সময়ে আবু সালেহ এর কাছ থেকে ওই কর্মকর্তা ১৫০০০০ (দেড় লক্ষ) টাকা ঘুষ নেয়ার বিনিময়ে তাকে চাকুরী দেয়া হয়।
ওই কর্মকর্তার এখনকার ভাষ্য হচ্ছে- গরীবের পেটে লাথি মারা ঠিক হবে না। courtesy Gazi Sadek

২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:২২

অগ্নি সারথি বলেছেন: নাসির উদ্দিন এবং আবু সালেহকে কুত্তা দিয়ে ...নো হোক।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৩৬

ব্লকড বলেছেন: ইন্ডিয়ার ধর্ষণ কান্ড নিয়ে ব্লগ ফেসবুক উরে গেল অথচ নিজের বাড়ির খবর নাই। আপনাদের আমাদের পাশে চাই।

৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৪৫

তানজিয়া মোবারক মণীষা বলেছেন: এ কি অবস্থা, সাময়িক বরখাস্ত করা কোন শাস্তি হলো?! ছাটাই করে দিয়ে লিগাল একশন নিতে হবে। এই ব্যাটার নিজের মেয়ের সাথে যদি এমন হতো, তখনও কি এমন জামাই আদরে রাখতো এই লোককে?

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৫১

ব্লকড বলেছেন: আপনাদের পাশে চাই। আপরাধ কখনই ক্ষমার যোগ্য নয়।

৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:১৪

রাতুলবিডি৪ বলেছেন: ৯৬ এর দিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন একটা ঘটনা ঘটেছিল। ভিকটিমকে প্রশাসণ অভিযুক্ত করেছিল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে! সে নাকি বিশ্ব বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করতে পরিকল্পিত ভাবে এসব করেছে !

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেড় বছরের জন্য ভিকটিমকে ভিষ্কার করা হয়!
কাকে কি বলব !

৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:২১

ফলক বলেছেন: পোলাপাইন এইটা নিয়া হুদাই নাচানাচি করছে ! আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন প্যারেড গ্রাউন্ডে ছাত্রীরা যৌনহয়রানির শিকার হওয়ার পর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে তা খুবই দুঃখজনক। নারীদের সম্মান করতে হবে, এটা না বুঝলে আসলে কিছু করার নেইআগামী দিনে এ ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে, এ ব্যাপারে আমরা সতর্ক থাকব।’



আমার আন্ডার লাইন কৃত অংশ দেখুন। নারীদের সম্মান করতে হবে কিন্তু তাদের জন্য কিছু করার নাই ! আর আগামীতে যেন না ঘটে তাই নারীরা সতর্ক থাকবে।


আমার প্রিয় বোনদের বলছি, আমরা দুঃখিত ঐ কুকুরগুলোর জন্য আমরা তোমাদের জন্য কিছু করতে চাইলেও পারবো না কেননা তাদের মাথায় আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকরা হাত দিয়ে রেখেছে।

৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৪৮

তাসজিদ বলেছেন: এসবের শেষ কোথায়?

সাময়িক বরখাস্ত কোন শাস্তি নয়।

৭| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:০৭

ইছামতির তী্রে বলেছেন: একজন কর্মচারীর এত সাহস?!? X( X( X(

সাস্ট-এর সকল ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি আবেদন, এই পশুটার শাস্তি নিশ্চিত না করে কেউই বাড়ি ফিরে যাবেন না। আমরা আপনাদের পাশে আছি।

৮| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৮

এম মাসুদ বলেছেন: শাস্তি দিতে হবে

৯| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: কি বলব? বলার মত কোন ভাষা খুজে পাচ্ছি না।

১০| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩১

নীল জোসনা বলেছেন: দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হয় না বলেই একই অপরাধ বার বার ঘটে ।

কুকুরের চোখ মা, বোন ,কন্যা , তফাৎ জানে না ।

১১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:০৮

ফয়েজ উদ্দিন বলেছেন: we cant change our mind to avoid those type of work. we have to respect to other whoever male or female. if we can change our mentality it will be reduce this type of crime.

১২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৪০

দূরে থাকা মেঘ বলেছেন: দীর্ঘশ্বাস টা গোপন করা খুব কঠিন।

১৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৪৮

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: কি দেখা যাবে এ ক্ষেত্রে? বড়জোর এই লোকটাকে ৬ মাস কিংবা ১ বছরের জন্য বহিস্কার করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। দেখা যাবে ৬ মাসের আগে সে টাকা পয়সা দিয়া ম্যানেজ করে আবার কাজে আশা শুরু করেছে। এটাকে কোন বিচার বলেনা।

যৌন হয়রানির একমাত্র বিচার যে হয়রানি করবে তাকে সম্পূর্ণ ভাবে পুরুষত্বহীন করে দিতে হবে।

১৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:০৮

সোহানী বলেছেন: একজন কর্মচারীর এত সাহস যে সে একজন ছাত্রীর দিকে চোখ তুলে তাকানো সাহস থাকার কথা নয়। এর বিচার হতেই হবে নতুবা এ পশুরা আরো বাড়াবাড়ি করবে.......

সকল ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি আবেদন, এই পশুটার শাস্তি নিশ্চিত না করে কেউই থামবেন না। আমরা সবসময় আপনাদের পাশে আছি। আমরা সবসময় আপনাদের পাশে আছি। আমরা সবসময় আপনাদের পাশে আছি। আমরা সবসময় আপনাদের পাশে আছি।

১৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৩১

ভাঙ্গা মাস্তুল!! বলেছেন: একটা মেয়েরে টিপে দিলো আর মেয়ে কিছু বলল না!! এতো সহজ দুনিয়া!! B:-) B:-)

১৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৪৯

আহলান বলেছেন: দুঃখজনক .... চরম শাস্তি হওয়া উচিৎ ... এবং তাৎক্ষনিক ভাবে উত্তম মাধ্যম দিতে পারলে আরো ভালো হতো .... মেয়েটা কি করলো ? যখন সে এমন ঘটনার শিকার হলো তখনই তো দুই পায়ের মাঝে কষে লাত্থি মারতে পারতো ..... এভাবেই সমাধান খুজতে হবে ..... নয়তো কিছুই হবে না ....

১৭| ০১ লা মে, ২০১৪ বিকাল ৪:১৬

আমি তুমি আমরা বলেছেন: একজন কর্মচারীর এতবড় সাহস হয় কিভাবে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.