নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ৩০ বছর চাকরি করেছি; অবসর নিয়েছি কর্নেল পদবীতে ২০০৬ সালে। এরপর এযাবৎ প্রিন্সিপাল হিসেবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে; এখন অর্কিড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা-তে। ‘স্কুল সাইকোলোজি’ নিয়েও কাজ করছি।

আশরাফ আল দীন

কবি, শিক্ষাবিদ ও প্যারেন্টিং এক্সপার্ট

আশরাফ আল দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

"শরীরটা ভালো যাচ্ছে না"

১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২১

পায়ে হেঁটে মসজিদের দিকে এগুচ্ছি। দেখা হলো এক বন্ধুর সাথে। নিয়মিতই মসজিদে আসেন। কুশল জানতে চাইলাম,
: কেমন আছেন?
: শরীরটা ভালো যাচ্ছে না!
আমি জানি, বেশ ক'দিন হলো উনার দুই চোখে ক্যাটারাক্ট অপারেশন হয়েছে। চোখের অবস্থা এখন ভালো; আলহামদুলিল্লাহ। তারপরও, পড়ন্ত বয়সে কিছু সমস্যা বিনা নোটিশে উঠে আসে বলা যায়।

: এখন কি অবস্থা?
: পায়ে সমস্যা হচ্ছে ইদানিং। কয়েক দিন ক্র্যাচ নিয়ে হাঁটতে হয়েছে। মাঝখানে মসজিদেও আসতে পারে নি পায়ে হেঁটে।

আমরা একই বয়স সীমার মধ্যে প্রায় সকলেই! একজন আরেকজনকে বুঝি, ঘনিষ্ঠতা নিয়ে কথা বলি এবং নিজেদের শারীরিক সমস্যার কথা শেয়ার করি। আমি গলা নিচু করে একটু আন্তরিকতা নিয়ে বললাম,
: তারপরও এই বয়সে আমরা তো প্রত্যেকেই বেশ ভালোই আছি। কি বলেন?

উনি হাসলেন আর আবেগের সাথে বললেন,
: তা তো বটেই! আলহামদুলিল্লাহ। আমরা অনে-ক ভালো আছি।

ধৈর্যের উপদেশ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে পবিত্র কালামে। আমি ভাবলাম, একটু গল্প করি নিই। বলতে লাগলাম,
: আল্লাহ রাসুল (স) একবার একজন অসুস্থ সাহাবীকে দেখতে গিয়েছিলেন। তিনি বেরিয়ে আসার মুখে অন্য একজন সাহাবী জানতে চাইলেন, "রোগীর কি অবস্থা হে আল্লাহর রসূল? মহানবী (স) জবাবে বললেন, "ভালো।"
এই বলে নবীজি চলে গেলেন কিন্তু একটু পরেই ওই রোগী ইন্তেকাল করলেন। এতে প্রশ্নকারী সাহাবী অত্যন্ত চিন্তিত হয়ে পড়লেন এই ভেবে যে, আল্লাহর রাসূল (স) বললেন ভালো আর তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে হতে তিনি তো মারাই গেলেন! তাহলে 'ভালো' হলো কি করে! নিজের মনের মধ্যে প্রশ্নগুলোর জবাব খুঁজে না পেয়ে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে গেলেন এবং জিনিসটা কি তা জানতে চাইলেন, "হে আল্লাহর রাসুল! আপনি বললেন ভালো, তাই আমিও ভাবলাম তিনি মনে হয় ভালো হয়ে যাবেন, যেহেতু আপনি বলেছেন! অথচ তিনি যে মৃত্যুবরণ করলেন!" রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জবাব দিলেন, "খারাপ যে কি তা তোমরা জানো না!" (অর্থাৎ খারাপের মাত্রা এত ভয়াবহ হতে পারে যে তোমরা তার চেয়ে কম যে কোনো খারাপ অবস্থাকে ভালো হিসেবেই বিবেচনা করবে। আসলে মানুষ ভালো খারাপের কিছুই জানে না!) আমার বন্ধু আমার দিকে তাকালেন এবং মাথা নেড়ে সম্মতি দিলেন; মুখে তাঁর মিষ্টি হাসি। ততক্ষণে আমরা সিঁড়ির শেষ ধাপে পৌঁছে গেছি‌। দু'জনেই দরজা ঠেলে মসজিদে ঢুকে পড়লাম।

আমাদেরকে সুস্থ থাকার চেষ্টা করতে হবে এবং সর্ব অবস্থাতেই আল্লাহর উপর সন্তুষ্ট থাকতে হবে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সুস্থ রাখুন, নিরাপদ রাখুন, এবং 'ভালো' রাখুন। যে 'ভালো'তে আল্লাহ রাজী, তা।
আমিন।
[email protected]

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৭

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য।
সুন্দর পোষ্ট।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪৯

আশরাফ আল দীন বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ।

২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১১

রাজীব নুর বলেছেন: সব ঠিক হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫২

আশরাফ আল দীন বলেছেন: আপনিও তাড়াহুড়োর মধ্যে পড়েছেন মনে হচ্ছে! হা হা হা!
তবু, মন্তব্য করার জন্যে সাধুবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.