নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আশরাফ সিদ্দিকী

পৃথিবীতে বিরল কিছু মানুষ থাকে যাদের কাছে কোন কিছু না হওয়াই এক ধরনের যোগ্যতা, জীবনের কোন এক পর্যায়ে এসে আমি নিজেকে আবিস্কার করলাম আমি সেই বিরল মানুষের শীর্ষে অবস্থান কারী একজন। তlই আমাকে কোন যোগ্যতার আলোকে বিচার না করলেেই ভালো লাগবে। আমার এই না পাওয়া জীবনে ভালোবাসার কিছু মানুষের সান্বিধ্যে ভালোই আছি।

আশরাফ সিদ্দিকী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেকারত্বের দিনগুলো

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০৪

মুহিব উচ্চশিক্ষিত বেকার।শিক্ষা জীবনের প্রথমে চাকরি নিয়ে উচ্চাশা ছিল।কিন্তু সময়ের সাথে সাথে চাকরি না পাবার সময় যেমন বেড়েছে।তেমনি হতাশা ও জড়ো হয়েছে।এখন চাকরি হবে না এই ধারনা মনের ভিতর জায়গা করে নিয়েছে।বছর দিয়েক বেকার জীবনে চেনা জানা পরিবেশের অনেক পরিবর্তন দেখেছে।যে সব বন্ধুদের জন্য একসময় জীবন বাজি রাখতে প্রস্তুত ছিলো।তারা এখন দেখা হলে ও দায়সারা কথা বার্তা বলে এড়িয়ে যায়।বেকার বন্ধু কখন কি চেয়ে বসে এই ভাবনা থেকে তারা যোগাযোগ রাখে না।

তনিমা নামে ভীষণ রুপবতী মেয়ে কে ভালবাসত,
মুঠোফোনে জোছনা ভরা গভীর রাতে একদিন বলেছিল তুমি পাশে থাকলে গোলপাতা ঘরে পান্থা ভাত খেয়ে কাটিয়ে দেব এক জনম।সেই তনিমা বেকার জীবনে ধের্য্যহারা হয়ে বিদেশ ফেরত টাকাওয়ালা এক মানুষ কে বিয়ে করে দূর পরবাসে বেশ সুখে আছে। অজস্র স্নৃতির জালে বন্দী করে রেখে চলে গেছে তনিমা।সে এখন মিথ্যা ভালোবাসা ফেরি করে দূর পরবাসে অন্য মানুষের বুকে মাথা রেখে রাএিযাপন করে।

মা-বাবা ও ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া বোন কে নিয়ে পরিবার।বাবার পেনশনের টাকায় কোন ভাবে চলে যাচ্ছে সংসার।মুহিব সিন্দাবাদের ভূতের মত চেপে বসে আছে। পরিবারে কাছে সে জলন্ত একটা বুঝা, সেটা হাব ভাবে বুঝে নিয়েছে।আগের মত কোমল সুরে কথা বলে না মা, বাবা বিরক্ত চোখে তাকিয়ে থাকে।বেকার ভাই এর কাছে কোন আবদার করে না বোনটি। সবই বুঝে ও, নিরত্তপ সময় কাটিয়ে দেয়। চারপাশে এই রকম অজস্র মুহিবের মত সপ্নবাজ তরুণ বেকারত্বের অভিশাপে নিংশেষ হয়ে যাচ্ছে।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৬

কাগজের ফেরিওয়ালা বলেছেন: যদি পৃথিবীর সকল কাজকে সমান মর্যাদার চোখে দেখা হত, তবে বিশ্বে বেকারত্ব শব্দটি বিলীন হয়ে যেত।

২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৭

আজমান আন্দালিব বলেছেন: বেকারত্ব ঘুচাতে মুহিব কি শুধু চাকুরির পিছনেই দৌড়ুচ্ছে?

৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৭

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন:
আজমান আন্দালিব বলেছেন: বেকারত্ব ঘুচাতে মুহিব কি শুধু চাকুরির পিছনেই দৌড়ুচ্ছে?

এসমস্ত শিক্ষীত তরুন যুবকদের উদ্যক্তা হইয়া কিছু আরম্ভ ররা উচিত। যে কোন কিছু যেমনঃ স্থানীয় স্কুলে শিক্ষকতা, টিয়োশনি, এক্সপোরট-ইম্পোরট ব্যাবসা ইত্যাদী।

৪| ০২ রা মে, ২০১৬ রাত ১:৩৭

আশরাফ সিদ্দিকী বলেছেন: হ্যা, ভাই আপনি ঠিক বলেছেন। বেকার জীবন হল বেঁচে থেকেও মরে যাবার মতো। কেউ খোঁজ নিতে চায় না।
@ কাগজের ফেরিওয়ালা

৫| ০২ রা মে, ২০১৬ রাত ১:৪১

আশরাফ সিদ্দিকী বলেছেন: মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের কাছে জীবনের থেকে চাকরি মূল্য বেশি। তাই মুহিবের চাকরি পেঁছনে দৌড়ানো ছাড়া কোনো পথ খোলা নেই।
@ আজমান ভাই

৬| ০২ রা মে, ২০১৬ রাত ১:৪৮

আশরাফ সিদ্দিকী বলেছেন: আমাদের দেশে আইনের শাসন নেই বললে চলে। ক্ষমতা বানরা লুটপাট করে নিচ্ছে সব। ফলে পরিবেশ ভালো না থাকায় কোনো কিছু শুরু করা বেশ কঠিন। তবে এটা ঠিক কঠিনজে জয় করেই আমাদের ভালো কোনো কিছুর উদ্যেগ নিতে হবে।
@ রেজাউল করিম ভাই

৭| ০২ রা মে, ২০১৬ রাত ১:৫১

আশরাফ সিদ্দিকী বলেছেন: আপনাদের মন্তব্য গুলোর উত্তর দিতে দেরি হওয়ায় বিনীত ভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আগামীতে এমনটি হবে না। ভালো থাকবেন সবাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.