![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীতে বিরল কিছু মানুষ থাকে যাদের কাছে কোন কিছু না হওয়াই এক ধরনের যোগ্যতা, জীবনের কোন এক পর্যায়ে এসে আমি নিজেকে আবিস্কার করলাম আমি সেই বিরল মানুষের শীর্ষে অবস্থান কারী একজন। তlই আমাকে কোন যোগ্যতার আলোকে বিচার না করলেেই ভালো লাগবে। আমার এই না পাওয়া জীবনে ভালোবাসার কিছু মানুষের সান্বিধ্যে ভালোই আছি।
পড়ালেখার জগতে যার ছিল অবাধ বিচরণ।সুনীল ও শান্ত নদীর মত যে ছেলেটির জীবন ধারা।তাকে এখন খুঁজে পাওয়া যায় নেশার আড্ডাঘরে, মাঝে মাঝে রাতে মাতাল হয়ে পড়ে থাকে রাস্তার পাশে। এই তো কিছু দিন আগে তার মনের রাজ্যে হানা দিয়েছিল এক রাজকন্যা। গভীর প্রণয়ে রাত জাগা পাখির মত মুঠোফোনে চলত প্রেমময় সংলাপ। দিনে হুডতোলা রিকশায় অলিগলিতে খুঁজে পাওয়া যেত দুজনকে।কিন্তু একদিন বিনা নোটিশে রাজকন্যা উড়াল দিলো দূর পরবাসে। নতুন সপ্নের আশায় অন্য মানুষের মাঝে সুখ খু্ঁজে নিলো। সাজানো সপ্ন হারিয়ে ছেলেটির আজ নেশার ভুবনের বাসিন্দা।
যে মেয়েটি সবাইকে মাতিয়ে রাখত।যার কোলাহলে বন্ধুরা আলোড়িত হত। সে বিহীন আড্ডা জমত না। পরিবারের সবাই তার প্রাণখোলা হাসিতে কস্ট গুলো ভুলে থাকত। সেই মেয়ে এখন কান্নায় বালিশ ভিজিয়ে রাখে সারাক্ষণ। বন্ধু দের আড্ডায় এখন আর তাকে খুঁজে পাওয়া যায় না। পরিবারের সবাই তার প্রাণখোলা হাসি দেখেনি অনেক দিন।হ্যামিলনের বাশিওয়ালার মত তাকেও ভালোবাসার সুরে পাগল করেছিল এক যুবক। কিছুদিন পর তাকে রেখে হারিয়ে গেছে অচেনা পথে সেই যুবক। এই হারিয়ে যাওয়াকে মেনে নিতে না পেরে মেয়েটি এখন হতাশায় আগুনে পুড়ছে।
জীবনের সব হিসাব না মেলানোর কষ্ট মেনে নেওয়া যায়। শুধু ভালোবাসার হিসাব অমিল থাকলে মেনে নেওয়া যায় না। ভালোবাসাকে যে মানুষগুলো মনের ক্যানভাসে শুভ্রভাবে ধারণ করে, তাদেরকে বিরহের আগুনে পুড়তে হয় বেশি। মনের ভিতরটা পুড়ে গেলে বাইরে থেকে বুঝা যায় না। সব কিছুই ঠিক মনে হয়। শুধু পুড়ে যাবার অনুভূতি নিয়ে বেচে থাকা মানুষটি রাতের কালো আকাশে পুড়ে যাবার ধোঁয়া ছড়িয়ে দেয়। ক্রমগতই বেড়ে চলছে বাতাসে এই পুড়ে যাবার ধোঁয়া।
©somewhere in net ltd.