![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীতে বিরল কিছু মানুষ থাকে যাদের কাছে কোন কিছু না হওয়াই এক ধরনের যোগ্যতা, জীবনের কোন এক পর্যায়ে এসে আমি নিজেকে আবিস্কার করলাম আমি সেই বিরল মানুষের শীর্ষে অবস্থান কারী একজন। তlই আমাকে কোন যোগ্যতার আলোকে বিচার না করলেেই ভালো লাগবে। আমার এই না পাওয়া জীবনে ভালোবাসার কিছু মানুষের সান্বিধ্যে ভালোই আছি।
মধ্যরাতে ঘুম ভেঙ্গে গেল টিনার। ইদানিং রাতে ভাল ঘুম হচ্ছে না তার। বার বার পুরানো স্মৃতি স্বপ্নে দেখা দিচ্ছে। টিনা ভয়ংকর রূপবতী নারী। যার রূপের আলোতে চাঁদের আলো ও নাকি সৌন্দর্য হারায় বলে একটা কথা প্রচলিত আছে। সাধারনত রূপবতী নারীরা বোকা হয়। কিন্তু টিনা ব্যতিক্রম। সে ভীষন বুদ্ধিমতী। সৌন্দর্যের সাথে বুদ্ধির এই সম্বয় টিনাকে অন্যান্য করেছে। টিনা সময় ও সুযোগের ব্যবহার কতে জানে। তার পাশে শুয়ে আছে টাকাওয়ালা পঞ্চাশের ঘরে পূর্ন হওয়া টাকার কুমির খ্যাত হেকমত আলী। সময় ও সুযোগের ব্যবহার করে তাকে স্বামী হিসেবে গ্রহন করেছে। স্বামীর থেকে টিনার বয়সের ব্যবধান দ্বিগুনের বেশি। তারপরও স্বামীর প্রবল অর্থের কাছে টিনা নিজেকে সামলতে পরেনি।
অমিতের সাথে সাত বছরের দীর্ঘ প্রেম ছিল টিনার। অমিত পাগলের মত ভালবাসত তাঁকে। সেই ভালবাসা পরিমাপ করা ছিল ভীষন কঠিন। দুজনের জীবন নিয়ে ছোট ছোট স্বপ্ন ছিল। ভালবাসায় অভিমান ছিল, অভিমান ভাঙ্গানো জন্য অদ্ভুদ পাগলামি ছিল। ভিষন সুন্দর ছিল তাদের প্রেমের দিনগুলো। কিন্তু হঠাৎ করে টিনা অমিতকে প্রত্যাখান করে বসল। অমিতকে নি:স্ব করে দিয়ে বিয়ে করল বয়স্ক বিত্তশালী হেকমত আলীকে। আসলে টিনা তার লোভ ও বিলাসীমনের কাছে পরাজিত হয়েছে। তার স্বামীর অর্থ ও সম্পদের পরিপূর্ণতা তাকে পবিত্র ও স্বর্গীয় প্রেমকে অস্বীকার করতে সহায়তা করেছ।
টিনার পরিবার নিম্ন মধ্যবিত্ত। চারপাশে নানা সীমাবদ্ধতার ভিতর জীবন পার করতে হয়েছে। তেল আছে তো ঝাল নেই। চাল আছে তো তরকারি নেই। এই রকম অবস্থায় অভাব তার ভিতর অর্থর তীব্রতাকে জাগিয়ে তুলেছে। সে মনে মনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিল। একদিন সে প্রচুর অর্থের অধিকারী হবে। সেই স্বপ্ন পূরনে হেকমত আলকে বাহক হিসেবে পেয়েছে। সে সুযোগ হাতছাড়া করেনি। গাড়ি-বাড়ি, শিল্প প্রতিষ্ঠান কি নেই এখন টিনার সবই আছে। শুধু হ্রদয়ের গহীনে বিশুদ্ধ ভালবাসা নেই। অর্থের সুখে নিজেকে পূর্ন করেছে। কিন্তু ভালবাসার নীল আকাশে জমাট বাধা কারো মেঘ সরাতে পারিনি।
প্রায় রাতে স্বপ্নে অমিত ফিরে আসে। ভালবাসার শুদ্ধতম সাগরে ডুব দেয় দুজনে। টিনা লাইফ জ্যাকেট নিয়ে তীরে উঠে। ডুবে মরে গেছে শুধু অমিত। মৃত্যু হয়েছে বিশুদ্ধ ও পবিত্র ভালবাসার। কিন্তু বার বার গভীর রাতের নিরবতা তাঁকে স্মৃতি কাতর করে কষ্টে ঝলসে দিচ্ছে। টিনা অশ্রুভেজা চোখে স্বামীকে তীব্র ভাবে জড়ি’য়ে তার স্বপ্ন পূরনে বাধা আবেগকে পিছনে ফেলতে চাই। কিন্তু চোখ দিয়ে গড়িয়ে পরা পানি প্রমান করে সবকিছু চাইলে পিছনে ফেলা যায় না।
মানুষের লোভ, অর্থের মোহের কাছে মাঝে মাঝে পরাজিত হয় ভালবাসা। কিন্তু পবিত্র ভালবাসাকে পরাজিত করে সুখী হওয়া যায় না। টিনার মত অনেকে ভালবাসার বিশুদ্ধতাকে পুজি করে স্মুতির জালে বন্দী করে উড়াল দেয়। আর অমিতের মত শুদ্ধতম ভালবাসা ধারনকারী মানুষ স্মৃতির জারে বন্দী হয়ে নি:শেষ ও ক্ষয়ে জীবনের করুন প রিনতির দিকে এগিয়ে যায়। ক্রমাগত পৃথিবীতে হারিয়ে যাচ্ছে শুদ্ধতম ভালবাসা। জায়গা করে নিচ্ছে নষ্ট, স্বার্থে পূর্ন ভালবাসা, ভালবাসার স্বপন্ বিষাক্ত বাতাসে মিশে স্বার্থুক্ত ও স্বপ্নহীন পৃথিবীর দিকে ধাবিত হচ্ছি আমরা।
২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৮
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: টাকার কাছে ভালবাসা বরাবরই পরাজিত হয় , অমিতদের উচিত আবারো সত্যিকারের ভালবাসার সন্ধান করা।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: লেখাটা পড়ে মনটা বিষন্ন হয়ে গেল।