![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বিশ্বাসীদের একজন। নিজের বিশ্বাসকে সম্মান করি। সম্মান করি অন্যদের বিশ্বাসকেও। তারপরও কোথায় যেন একটা শূন্যতা। এই সত্তা লীন হতে চায় কোথাও। খুঁজে বেড়াচ্ছি কিছু প্রশ্নের উত্তর।
পুরোটা না হলেও কিছুটা অনেকটাই অচেনা একটা শহরে ফারহানকে আসতে হলো জীবিকার তাগিদে। এখানে এসে সে বুঝতে পারে যে তার আগের জীবনটা কতই না সুন্দর ছিল। একটা ছোট্ট ছিমছাম নিরিবিলি শহরে ফারহানের বেড়ে ওঠা। যেখানকার জীবন অনেক সহজ সরল; ঠিক সেখানকার মানুষগুলোর মতো। এই শহরের মানুষ গুলো কথা বলে সরল মনে, হেসে হেসে। আরেকজনের বিপদে কোনও কিছু চিন্তা না করেই এগিয়ে আসে। আসলেই অনেক উদার মনের এই মানুষগুলো।
ফারহান ঠিক তাদের মতই। অনেক সহজ সরল। একটা গোছানো জীবন ছিল ফারহানের। কিন্তু নতুন শহরে এসে সব কিছু কেমন যেন ওলটপালট হয়ে গেল। এখানকার কঠিন যান্ত্রিক জীবনের সাথে সে কোনও ভাবেই নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারছেনা। এখানে বিপদের বন্ধু বলে কেউ নাই। সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যাস্ত। বরং এখানে কারও উপকার করলেই সে উলটা তার ক্ষতি করে বসে। কিভাবে আরেকজনকে পেছনে ফেলে নিজে সামনে আগানো যায় সবাই এই নেশায় মত্ত। এর জন্য তারা মানুষ হত্যার মত ঘৃণ্য কাজ করতেও দ্বিধা করেনা। এরা মনে করে অন্যের ক্ষতি করলেই একমাত্র নিজের ভাল করা সম্ভব।
ফারহান এসব দেখে, আর অবাক হয়। ভাবে, "ইশ যদি এদের কে আমার শহরে নিয়ে যেতে পারতাম। তাদের কে দেখাতে পারতাম যে অন্যের ক্ষতি না বরং অন্যের উপকার করলেই নিজের ভাল হয়"।
একদম মন টেকেনা এই শহরে। তার মনে পড়ে মায়ের হাতের রান্না। বাবার সাথে আড্ডা। বন্ধুদের সাথে একসাথে ঘোরাঘুরি। এই সব কিছু সে আবার ফিরে পেতে চায়। মাঝে মাঝে মনে হয় যেন এই শহর ছেড়ে পালিয়ে যাই। ফিরে যাই সেই আগের জীবনে। রাতের অন্ধকারে বারান্দা্র গ্রিল ধরে সে কেবল এটাই ভাবতে থাকে।
©somewhere in net ltd.