নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গল্প শুনতে ও বলতে ভালবাসি ।
আজ সেমিস্টারের শেষ দিন।
কাল থেকে ছুটি তাই সবাই গ্রামে যাওয়ার প্রস্ততি নিচ্ছিল ।
এমন সময় মুবিদের মনে পরে আবিরের গল্প আর প্রলয় দ্যা’ র কথা ।
আবিরের কথা ভাবতে ভাবতে প্রলয় দ্যা’র রুমের দিকে এগুলো মুবিদ।
কিন্তু হতাশ হলো কারণ প্রলয় দ্যা’র রুমের বাইরে বড় তালা ঝুলছিল।
মোবাইলে ফোন দিয়েও পাওয়া গেলো না ।
একটু চিন্তা হতে লাগলো মুবিদের।
কেন না প্রলয় দ্যা খুব একটা কথাও যায় না।
গেলেও মুবিদকে জানিয়ে যায় কারণ প্রলয় দ্যা’র অনুপস্থিতিতে প্রলয় দ্যা’র নিম্মির ( একুরিয়ামের গোল্ডফিস ) খেয়াল রাখে মুবিদ ।
জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখ একুরিয়ামের পানি অনেক নোংরা এবং নিম্মি মৃতপ্রায় ।
দেখে দ্রুত পাশের রুমগুলোতে খোঁজ নিলো মুবিদ ।
কারও কাছে প্রলয় দ্যা’র রুমের চাবি আছে কি না ।
কেন না নিম্মির কিছু হলে প্রলয় দ্যা আস্তো রাখবে না ফিরে এলে ।
সবাইকে জিজ্ঞেস করার পর হতাশ হয়েই তালা ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত নিলো মুবিদ ।
হাতুর খুঁজতে পাশের ফ্ল্যাটে গেলে শুনে পরশু প্রলয় দ্যা’র তিনজন বন্ধু আসেন ।
তাদের সাথেই নাকি বের হয়ে যায় প্রলয় দ্যা ।
হাতুর দিয়ে তালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুঁকতেই কি এক বিশ্রী গন্ধ পায় মুবিদ ।
গন্ধ উপেক্ষা করেই নিম্মিকে নিয়ে ছাঁদে চলে গেলো মুবিদ ।
পানি বদলে একটু মুক্ত বাতাসে ঘুরতে নিয়ে যাবে বলে নিম্মিকে ।
পরিষ্কার পানি, মুক্ত বাতাস আর খাবার পেয়ে আবারো আগের মতো লেজ নাচিয়ে সাঁতার কাটতে শুরু করলো নিম্মি ।
নিম্মিকে ঘরে রেখে বাড়ি যাওয়ার প্রস্তুতি নিবে ভাবলো মুবিদ।
কিন্তু যদি প্রলয় দ্যা জলদি না ফিরে তাহলে কি হবে নিম্মির ?
গ্রামে নিয়ে যাবে কি না জানতে আবারও প্রলয় দ্যা’কে ফোন দিলে-
পানির ট্যাঙ্কের পিছন থেকে শব্দ পায় মুবিদ প্রলয় দ্যা’র ফোনের ।
দেখতে গিয়ে পুরো শরীর শীতল হয়ে গেলো মুবিদের ।
প্রলয় দ্যা’র নিথর দেহ পরে আছে অর্ধনগ্ন অবস্থায় ।
শরীরে অনেক গুলো কাঁটার দাগ ।
কেউ যেন সময় নিয়ে নিজের শিল্পকলা প্রদর্শন করেছে প্রলয় দ্যা’র নগ্ন শরীরে।
কিছু সময়ের অন্তরেই সবাই হাজির হয়ে গেল ছাঁদে ।
তবে কি পরশু যারা এসেছিল তারা নাকি অন্য কেউ ?
পুলিশ হাজির হল আধাঘণ্টা পর । চারদিন কেউ বাসা ছেঁড়ে যেতে পারবে না এমন প্রজ্ঞাপন জারি করলো পুলিশ ।
বাড়ি যেতে পারছি না বোধটা কাজই করছিলো না মুবিদের – হুট করে কি থেকে কি হলো ! কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছিল না মুবিদ । প্রলয় দ্যা কারও সাথে ঝগড়াও করতো না ।
প্রলয় দ্যা’র মৃত্যুটা অনেক স্তব্ধ করে দিয়ে ছিল সবাইকে ।
চারদিন পর বাসার কাউকে সন্দেহভাজন মনে না হওয়ায় সবাইকে বাড়ি যাওয়ার অনুমতি দিলো পুলিশ ।
কিন্তু বাড়িতে গিয়েও স্থির করতে পারছিল না মুবিদ নিজেকে ।
অন্যান্য পর্ব সমূহ
২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৫২
মোঃ আসিফ ইকবাল রুমি বলেছেন: খুবই আজিব ভাই, আমার তো মনে হয় মাত্রাতিরিক্ত সিগারেট খেয়ে দোকানের বকেয়া টাকা পরিশোধ না করায় কোনো দোকানদারই কাজটা করছে
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: আজিব ব্যাপার।