![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।
২৭ বছরের কম বয়সীদের এই পোস্টটি না পড়ার জন্য অনূরোধ করছি। কোনো মানুষের সাথে প্রতিদিন দেখা হলে তার ছোট খাটো পরিবর্তন চোখে পরে না। আবার অনেকদিন পর একজনকে দেখলে সে আগের চেয়ে রোগা হয়েছে নাকি মোটা হয়েছে বা বিচিত্র রকম পরিবর্তন চোখে পড়ে। ঠিক তেমনি আমাদের অগচরে একটি নতুন জেনারেশন গ্যাপের সৃষ্টি হয়েছে। কেউ অনুভব করতে পারছেন কেউ পারছেন না।
আমি ১৯৮০ইং সাল থেকে ১৯৮৫ইং সালের মধ্যে জন্ম নেয়া মানুষদের কিছু অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করতে চাচ্ছি। বিষেশ করে ১৯৮০ইং সাল থেকে ১৯৮৫ইং সালের মধ্যে জন্ম নেয়া মফস্বল বা শহরের মধ্যবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা মানুষদের উদ্দেশ্যে আলোকপাত করছি। আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি।
শিক্ষাব্যবস্থাঃ
আমাদের সময় বোর্ড স্টান্ড করা অনেক শীক্ষার্থীও সব সাবজেক্টে লেটার মার্কস পেতো না। বিশেষ করে বাংলায় লেটার মার্কস কেরী করা ছিলো অসম্ভব ব্যাপার। কেউ ৩-৪টি সাবজেক্টে লেটার মার্ক পেলে গর্ব করে বলা হতো। আমাদের সময় যে পরিমাণ শীক্ষার্থী স্টার মার্কস পেতো এখন তার কয়েক ডাবল শিক্ষার্থী এ+, গোল্ডেন এ+ পেয়ে থাকে। কি করে সম্ভব এত এত শীক্ষার্থীর প্রতি সাবজেক্টে ৮০ থেকে ৯০ এর উপরে মার্কস পাওয়া। এই অল্প সময়ের ব্যবধানে ছাত্র-ছাত্রী লেখাপড়ায় এত বেশী উন্নতী লাভ করলো। কি ভাবে সম্ভব? না কি এখনকার টিচাররা হাজী মোঃ মহাসিন এর মত অকৃপণ হাতে মার্কস দিচ্ছে?
গান বাজনাঃ
আমরা ব্যান্ডের জগতে দেখেছি আজম খান, অরবীট, হ্যাপি, মাকসুদ (বঙ্গাব্দ), মাইলস (প্রত্যয়, প্রত্যাশা), নোভা (ফজল), আর্ক, খালিদ, রেঁনেসা, চাইম, টিপু, আইউব বাচ্চু(রবিন), সোলসের জনপ্রিয়তা।
এছাড়াও শেখ ইসতিয়াক, তপন চৌধুরী, রবী চৌধুরী, আতাউল ইকবাল, আদনান বাবু, ডলি সান্তনীর গান।
হিন্দি গানের টপ-টেন সময়ের গান। উৎসবের সময় ৮ইঞ্চি ইস্পিকারের সাউন্ড বক্সে ধুম ধাম আওয়াজে গান বাজতো।
আমরা ৩০ থেকে ৮০টাকা দিয়ে অডিও এ্যালবাম কিনতাম। হয়তোবা পুরো এ্যালবামে একটি গান ভালো থাকতো। প্রিয় গান বার বার শুনতাম। বাছাই করে সনি টিডিকে ক্যাসেটে গান রেকর্ড করাতাম।
আর এখন? রিমেক, অস্বাভাবিক গলায় গানের ছড়াছড়ি। গান এখন হাওয়ার মত ফৃ হয়ে গেছে চাইলেই পাওয়া যায়। কিন্তু আমাদের মতো সেই অনূভুতি শক্তি নতুনদের আছে?
টেলিভিশনঃ
আমরা দেখেছি রিমোট বিহীন ১৭ইঞ্চি সাদাকালো ন্যাশনাল টেলিভিশনে মাসে একবার বাংলা ছবি, এক টিভিতে শত শত মানুষ একসাথে। দেখেছি রিমোট বিহীন টিভিতে একটি চ্যানেল যা বিকেল ৫টায় সম্প্রচার শুরু হতো।
আমরা দেখেছি নতুন কুঁড়ি, অন্তরঙ্গ, ইত্যাদি, পরিপ্রেক্ষিত, ছায়াছন্দ ঈদ আনন্দমেলার মতো চমৎকার ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান।
আমরা দেখেছি অয়াময়, সংশপ্তক, কোথাও কেউ নেই, রূপনগর, বারো রকম মানুষ, তথাপীর মতো নাটক।
আমরা দেখেছি ম্যাকগাইভার, থান্ডার ইন প্যারাডাইস, দি এ টিম, ফল গাই, মুভি অব দ্যা উইকের মত বিদেশী সিরিয়াল।
আমরা দেখেছি আলিফ লায়লা, টিপু সুলতান, আকবর দ্যা গ্রেট, সিন্দবাদ, রবীনহুডের মত বাংলায় ডাবিং করা সিরিয়াল।
আমরা টেলিভিশনে যা দেখেছি তা আমাদের অন্তরে স্থায়ী ভাবে গেঁথে আছে। এখনকার জেনারেশন যা দেখে তা কি তাদের অন্তরে গেঁথে থাকবে নাকি শুধুই ৩সেকেন্ডের মাথায় রিমোট দিয়ে চ্যানেল পাল্টানো?
সিনেমা
আমরা দেখেছি ভেজা চোখ, নয়নের আলো, বেদের মেয়ে জোসনা, ত্যাগ, রুবেল, ইলিয়াস কাঞ্চন, সালমান সাহের নিত্য নতুন ছবি।
বিসিআরে দেখেছি মিঠুন, অমিতাভ, ধর্মেন্দ্র, জ্যাকি শ্রফ (তেরে মেহেরবান), শাহারুখ খান (চাহাত, আনজাম, ডর), আমির খান (কেয়ামত সে কেয়ামত), দিব্যা ভারতী, শ্রীদেবী, কাজল, মাধুরী, তাপস পাল, রণজিৎ মল্লিকের দাপট ও প্রতাপের অভিনয়।
রিকশায় মাইক লাগিয়ে সিনেমার প্রচারণার সময় রাস্তা থেকে লিফলেট কুঁড়িয়েছি, সংগ্রহ করেছি ভিউকার্ড, স্কুল পালিয়ে সিনেমায় যাওয়া, পরিবারের সবার সাথে সিনেমায় গিয়েছি।
আজকালের ছেলেপান কি সিনেমার ঐ মজা বুঝতে পারবে?
রেডিওঃ
আমরা জানতাম দুই ব্যান্ডের রেডিওতে বিবিসি শোনা যায়।
আমরা শুনেছি বেবী লজেন্স সংগিত মালা সহ অসংখ্য সিনেমার গান, সাথে মাজহারুল ইসলাম, নাজমুল হোসাইনের পুরুষে গলার উপস্থাপন, গানের মধ্যে ধাঁ ধাঁ, চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার।
এখনকার জেনারেশন কি এফএম শুনে সেই অনুভূতি পায়?
ম্যাগাজিনঃ
আমরা পড়েছি ক্রিয়া জগৎ, টেলিভিশন, অন্যন্যা, আনন্দলোক, অপরাধ জগৎ, যায়যায়দিন, গেদু মিয়ার চিঠি ইত্যাদি ইত্যাদি। ছবি দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়েছি।
এখন কি ইন্টারনেট নামক বিশাল তথ্যভান্ডারও কি সেই সুখ দিতে পারে?
প্রেমঃ
আমরা দেখেছি বাংলার প্রতি মহল্লায় কমপক্ষে একজন পঞ্চাশউর্দ্ধ মানুষ, যিনি প্রেমে ব্যার্থ হয়ে বিয়েই করেন নি। আর আজ প্রেম তেজপাতার মত কমমূলবান হয়ে গেছে কেনো?
আমরা দেখেছি সুন্দর ফুল, পাতা, পাখি খচিত প্যাডে সুন্দর হাতের লেখায় লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেমের চিঠি দেয়া। বেশীরভাগ প্রেমই সফলতায় রূপ নিতো।
আর আজকের জেনারেশন ফেসবুকে হয়তো এমন একজনের সাথে প্রেম করছে যে আদৌ মেয়ে কিনা সন্দেহ আছে। সেই প্রেমের অনুভুতি কি আজ আছে?
খেলাঃ
আমরা খেলেছি কুতকুত, দাঁড়িয়াবান্দা, সাতচারা, ডাংগুলী, ষোলোঘুটি, ফুটবল, পালাপালি, সি-বুড়ি, ইন্টার স্কুল কৃকেট।
আমরা ঘন্টার পর ঘন্টা পুকুরে গোসল করেছি। সাঁতার কেটেছি।
আজকের জেনারেশন কি কম্পিউটারে বন্দুক চালিয়ে গেম খেলে কি বুঝবে ধুলোর মধ্যে যে কতো মজা?
শখঃ
বিদেশী স্টাম্প জমানো, ব্রাজিল, আর্জেনটিনা, মহামাডান-আবহাণীর পতাকা টানানো, বিদেশী পয়সা জমানো, কবুতর পোষা, খরগোশ পোষা, নিজের ফিনিক্স বা হিরো সাইকেলে ঘুরে বেড়ানো, ভাড়ায় সাইকেল চালানো, ঘুড়ি উড়ানো, দুই টাকা কয়েনে মোস্তফা গেম খেলা।
আজকের জেনারেশনের শখ কি?
যাই হোক, লেখার আরো অনেক কিছু আছে। যদি আপনাদের আমার বলা বা না বলার মধ্যে কোনো স্মৃতি মনে পড়ে জানাবেন।
আমি শ্রদ্ধাভরে আমাদের অগ্রজ ভাইদের অর্থাৎ আমাদের আগের প্রজন্মদের উদ্দেশ্যে বলছি। আমরা বড় ভাই, কাকা, মামা, দাদা, নানাদের সম্মান করতে জানি। আজও ধূমপান করলে বড়দের দেখে ফেলে দেই। আমাদের পরবর্তি প্রজন্ম হয়তো আমাদের আপনাদের মুখে সিগারেটের ধোঁয়া ছেড়ে মজা পায়। আপনারা আপনাদের স্বর্ণালী সময়ের কথা লিখে পোস্ট ভরিয়ে দিন। আমরা আপনাদের সম্মান ও শ্রদ্ধা করি। আমার আপনাদের প্রতি দাবি যদি আপনাদের স্বর্ণালী সময় নিয়ে লেখেন দয়া করে এই পোস্টের মন্তব্যের ঘরে তার একটা লিংক দিয়ে দিবেন। আমি জানতে চাই আমার আগের জেনারেশনদের ঐতিহ্য ও ভালোলাগা।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫৪
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: আপনি কি দেখেছেন দূর্গা পূজা, বৈশাখী মেলার আনন্দ?
২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫০
েশখ ইমরান আািজজ বলেছেন: আপনার সাথে আমি একমত
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫৬
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: আমরা কেন যেনো একত্র হতে পারছি না। কেমন যেনো সব জগাখেচুরী হয়ে গেছে।
আপনাকে পেয়ে ভালোলাগছে ভাই।
আমাদের পরবর্তি অনাগত প্রজন্মের কি দশা হবে? কি শিখবে তারা।
৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫০
পাকাচুল বলেছেন: সব মিলে গেল আমার সাথে।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫৮
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: আমাদের প্রধান যে গুণ, আমরা শিষ্টাচার জানি।
আজকালকার ওভার স্মার্ট জেনারেশনের সেই শিষ্টাচার কোথায়?
৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫০
নগত টাকা বলেছেন: Old is Gold
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০৭
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: বিগত এক যুগের ব্যবধানে আমাদের সামাজিক আবয়টা অনেক পাল্টে গেছে।
ধন্যবাদ!!!
৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫১
আমার ইচ্ছে বলেছেন: ভিডিও ভারায় আইনা হিন্দি আর ইংলিশ মুভি দেখা।কাচা আম খাওয়ার লাইগা বিভিন্য ধরনের চাকু বানানু ,স্কুল ফাকি দিয়া সিনেমা দেখা আরও কত ঘটনা...........অনেক কিছু মনে করাইয়া দিলেন।কই গেল সেই দিন গুলি।
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম :#> :#> :#> :#> :#> :#> :#> :#> :#> :#> :#> :#> :#>
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০৮
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: সত্যি ভাই। আপনার কি চারামারি খেলার কথা খেয়াল আছে?
৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫৩
ছোটমির্জা বলেছেন: আহারে, সেই সব দিন!!
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০৯
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: ম্যাচ বক্সের কাগজ, সীগারেটের প্যাকেটের কাগজ জমিয়ে কতো রকমের খেলা।
আর ঐ দিন আসবে না।
৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫৪
িপ্রয়বন্ধু বলেছেন: নষ্টালজিয়াতে ফেলে দিলেন দাদা। এত সুন্দর সুন্দর হাছা কথা এই যুগে মনে করলেন কেমতে। আমি তো ভুইলাই গেছি সেই স্বর্ণালী দিনগুলোর কথা। মনে করায়ে দিলেন। মনে পড়ে ভালো যেমন লাগছে, হারানোর বেদনাতে কষ্টও লাগছে। অসংখ্য ধন্যবাদ।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১২
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: সুখ স্মৃতি কখনও হারায় না।
আর এক বয়সী বন্ধুরা হল তারার মত।
অনেকদিন পর দেখাহলেও দেখবেন মনটা সেই আগের মতই আছে।
আপনাকেও ধন্যবাদ!!!
৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০০
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: পোস্টে বড়সর প্লাস মিঞা ভাই।
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম।
এই পোস্টের জন্য বিশেষ ধন্যবাদ।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১৫
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: আরেফিন ভাই আপনার কি মার্বেল খেলার কথা মনে আছে?
আগামী জেনারেশনের কি হবে? এত বেশী ওভার স্মর্ট কল্পনাতীত।
আপনার জন্য শুভ কামণা!!!
৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১১
মিজভী বাপ্পা বলেছেন: আমি ২৭ এর কম
+++++++++
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১৫
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: কতো কম?
১০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১২
আমার ইচ্ছে বলেছেন: এখনকার পুলাপাইনের ড্রেসাপ দেখলে মেজাজ চরমে উইঠা যায়।নাই ভদ্রতা নাই সম্মান কী অবস্থা
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:২২
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: ড্রেস সব সময়ই একটা ফিউশন মেনে চলে। সাধারণত ২০ বছর পরে পরে ঘুরে ফিরে স্টাইল আসে।
আমরা হালের যে কোর্টটিকে মনে করছি নতুন ডিজাইন দেখা গেছে ঐ কোর্ট নেতাজী সুবাশ চন্দ বসুও গায় দিয়েছেন।
ছেলেদের থেকে মেয়েদের গেটআপে পরিবর্তন বেশী এসেছে। অনেকটা ইন্ডিয়ান ডেইলি সোপের প্রভাব পড়েছে।
আর কিছুদিন পরে মেয়েদের ওড়না জাদুঘরে গিয়ে দেখতে হবে কিনা কে জানে? আর কামিজ শর্ট হতে হতে কোথায় যায় কে বলবে?
এজন্য অভিভাবকদের দূর্বলতা ও আমাদের মৌনতাও কম দায়ী নই। আপনি যদি আপনার বোন কে ঠিক করতে পারেন আর আমি যদি আমার বোনকে ঠিক করতে পারি তাহলে একটা পরিবর্তন সম্ভব।
সাথে মিডিয়ারও ভুমিকা রাখতে হবে কিন্তু মিডিয়াইতো নষ্ট হয়ে গেছে।
ধন্যবাদ!!!
১১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১৩
অচিন্ত্য বলেছেন:
জেনারেশন গ্যাপ বিষয়টি সম্ভবত সব কালের জন্যই সত্য। হারিয়ে যাওয়া মূল্যবোধের জন্য হাহাকার তিরিশের দশকের সময়কার একটি মূল্যবান সেন্টিমেন্ট যা কথিত 'মডার্নিজম' এর মূল সুর। কিন্তু তার পরের যুগটি, যাকে 'পোস্ট মডার্নিজম' এর যুগ বলে অভিহিত করা হয়, ঠিক তার বিপরীত বৈশিষ্ট্যে বিশিষ্ট। এখানে পরিবর্তনকে স্বাগত জানানোর চল।
প্রজন্ম ব্যবধান কাউকে ব্যথিত করে, আবার কাউকে করে না। দ্বিতীয় দলের এক অনন্য মানুষের কাছাকাছি থাকার ভাগ্য আমার হয়েছিল। আমার স্যার কবি মোঃ রফিক। তিনি সত্তরের উপর বয়সেও আমাদের সাথে প্রতি সন্ধ্যায় প্রাণ খুলে আড্ডা দিতেন। আমাদের বলতেন, "আমরা যা পারিনি, তোমরাই তা পারবে।" তার মধ্যে আমি প্রজন্ম ব্যবধানের কোন বেদনা কখনো দেখিনি। তিনি এটাকে কালের স্বাভাবিক ধর্ম বলেই মনে করেছেন। আর প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে অভিজ্ঞতা প্রবাহে সচেষ্ট ছিলেন। আজ স্যারের কথা খুব মনে পড়ে।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:২৯
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: আপনার কবি মোঃ রফিক স্যারের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। তিনি যা বলেছেন তা নজরুলেন "যৌবনের গান" প্রবন্ধের মর্মকথা।
কিন্তু দুঃখ কি জানেন বিগত এক যুগে যে পরিবর্তনটা হয়েছে তা মোটেও আদর্শিক না।
জার ভিতরে স্মার্টনেস নাই। সে কিভাবে অন্য কালচারের পোষাক আশাক চালচলন নকল করে স্মার্ট হয়ে উঠবে?
মনের ভিতরের পরিবর্তনটা আসল। এখনকার ছেলেপান খুব সহযে সব কিছু পেতে চায়।
ইনডেক্স মুখুস্ত করা থাকলে কাজ কি বলুন যদি গভিরের বিষয় না জানে।
এই জেনারেশনের কাছে আপনাকেও একজন মোঃ রফিক স্যার হয়ে উঠতে হবে। তাহলে আমরা আমাদের জৈত্যি দিয়ে ওদের ভুল ভাঙাতে পারবো।
১২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১৬
ইউনিকর্নের পুনর্জন্ম বলেছেন: সহজলভ্যতা অনাবিল দুরন্তপনাকে ধীরে ধীরে গিলে খেয়েছে । এ যেন কমলালেবুর বদলে ভিটামিন সি ট্যাবলেট খাওয়ার মত ।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩২
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: ঠিক তাই। ফিফা ফুটবল গেম খেলে আর বার্সিলনার খেলা দেখে কি কখনই পাওয়া যাবে আসল ফুটবল খেলার স্বাদ?
পানিতে না নেমে কি সাঁতার শেখা যায়?
ধন্যবাদ!!!
১৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১৯
মোঃ কুদরত-ই-খুদা বলেছেন: সেই সময়ের আরেকটি ঘটনার কথা মনে পরে...তখন এস.এস.সি বা এইচ.এস.সি. পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে দূর দূরান্ত থেকে আত্মীয় স্বজন বাসায় আসতেন...পুরো মাস ব্যাপী তাদের সঙ্গ পাওয়াটা আমাদের মত উঠতি বয়সী কিশোরদের কাছে অত্যন্ত আনন্দ দায়ক ছিল...আসলে চলে যাওয়া সময় সবার কাছেই স্বর্ণালী সময়...হারিয়ে ফেলা সেই সময় খুঁজতে গেলে বুকের গহীনে হাহাকার ছাড়া অন্য কোন কিছু খুঁজে পাই না...আপনার লেখা পড়ে সেই হারানো দিনের কথাগুলো মনে পরে গেল...ধন্যবাদ সুন্দর করে বিষয়টা উপস্থাপন করার জন্য...ভাল থাকবেন...!!!
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৫
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: আপনার স্মৃতিগাঁথা শুনে আমারও আমার আত্মিয়দের আগমন কিংবা তাদের কাছে বেড়াতে যাবার কথা খুব করে মনে পড়ছে।
সত্যিই সেই দিন আর ফিরবে না।
চাওয়া কম ছিলো পাওয়া ছিলো অনেক বেশী
আপনার জন্য শুভ কামনা!!!
১৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:২৪
আমার ইচ্ছে বলেছেন: কমেন্টস পরতে পড়তে ইমুশনাল হইয়া গেছি।চুখে পানি আইসা গেল
বিদেশে থাকিত অল্পতেই আবেগে পেয়ে বসে।ভাল থাকবেন সবাই।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৮
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: ভাই সেই টান সেই মায়া। সেই দরজার আলিশার সামনে সুন্দর কাগজি ফুলের গাছ বেয়ে ওঠা।
চৌচালা টিনের ঘর। কতো শান্তির দিনগুলো ছিলো।
আজ দেশ বিদেশ প্রায় এক হয়ে গেছে।
প্রবাসে থাকার একাকিত্ব আমি বুঝি।
দোয়া রইল। ভালোথাকবেন।
১৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:২৬
হাহাকার বলেছেন: ভাই আফসোস তুমল আফসোস,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, আমি আজ বলতে গেলে ২০০০ সালের পর থেকে গান শুনি না। শুনতে ইচ্ছেও করে না! কোথাও গেল সেসব দিন। তবে আমার মনে হয়, বর্তমান যে তথ্য প্রযুক্তি তা আমাদের বর্তমান প্রজন্ম অনেক আগে ভাগেই পেয়েছে, যার কদর তারা বুঝতে পারছে না। যার ফলে হচ্ছে অপব্যবহার অপসংস্কৃতি। চালিয়ে যান। আমাদের কথা শুনলে বর্তমান প্রজন্ম আমাদের বলে মধ্য যুগীয়। আনকালচারর্ড ইত্যাদি... আপনি যদি বলেন যে, আমাদের সময় আসিফ, এসডি রুবেল, মনির খাঁন নচিকেতা ইত্যাদি শিল্পির গান আমাদের ভালো লাগত ওরা হাঁ করে তাকিয়ে থাকে, ওরাও শিল্পি ছিল নাকি....... আফসোস তমুল আফসোস....
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৪৬
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: তোমার কোনো দোষ নেই নিয়ে মনির খান এলেন। একটা গান ছিলো "প্রতিদিন দেখা হতো শতবা..........."
এস, ডি রুবেলের "হঠাৎ একদিন দেখলাম। সাজানো পালকি চড়ে......"
আসিফের "এত কষ্ট মেনে নেয়া যায় না..."
পলাশের "ও প্রিয়জন বড় আয়জন করে দুঃখ দেবার কি ছিলো প্রয়জন"
কতবার যে শুনেছি তা বলতে পারবো না।
আসলেই আপনি ভালই বলেছেন আমরা খুব তাড়াতাড়ি জেনারেশন জ্ঞাপের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়েছি।
ভেঙে পরবেন না ভাই। ওরা ছোটো। আমাদের মতো এত বাস্তবতা দেখেনি। আমাদের দ্বায়ীত্ব ওদের ভালর দিকে নিয়ে যাওয়া।
এজন্য আমাদের জেনারেশন ও আমাদের আগের প্রজন্মের একতাবদ্ধ হতে হবে।
১৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩০
রিফাত হোসেন বলেছেন: একটা কথা বলি উপরের প্রত্যেক ব্যাপারের সাথেই আমার মিল রয়েছে কিন্তু আধুনিক রূপের সাথেও কিভাবে কিভাবে যেন মিলে গিয়েছি !
হয়ত সময়ের শ্রোতে ভেসে গিয়েছি !
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫৪
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: আপনার কাছে যেটা বর্তমান সেট অতীত বিজারীতই।
বর্তমানের ছেলেপানদের শিষ্টাচার খুব কম। আপনার মধ্যে আছে।
ধন্যবাদ!!!
১৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৮
আজাইরা িচল্লাই না বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমাদের প্রধান যে গুণ, আমরা শিষ্টাচার জানি।
আজকালকার ওভার স্মার্ট জেনারেশনের সেই শিষ্টাচার কোথায়?
দুঃখ জনক হলেও সত্যি কথা।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:০৩
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: জ্বী ভাই!!!
এই সত্যিটাকে মেনে না নেওয়া ছাড়া আর কি উপায় বলুন?
১৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫০
আর.হক বলেছেন: ২৭ এ পা দিছি
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:০৯
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: ২৭ বছর শুনে একটা কথা মনে পড়ে গেলো।
১৯৯৬ইং সালে ৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে বিটিভির ছবি দেখতে ছিলাম। বিটিভির ৫টার খবরে শুনলাম সালমান সাহ্ মারা গেছে ২৭ বছর বয়সে।
তারপর কিছুদিন পরে "সত্যের মৃত্যু নেই" সিনেমাটি মুক্তি পায়। ছবিটিতে সালমান একটা টুপিওয়ালা জামা গায় দিয়েছিলো। ঐ স্টাইলের শার্ট তখন ঢাকা থেকে আনিয়ে গায়ে পড়েছিলাম।
১৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫৪
পড়শী বলেছেন: মনে করতাম ব্লগে বুঝি আন্ডা-বাচ্চাই বেশি। এখন তো দেখি আন্ডা-বাচ্চা ছাড়াও কিছু আছে।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:১২
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: ব্লগে আমাদের প্রজন্ম ও আমাদের পূর্বকার প্রজন্মের একতা হলে কেমন হয়?
আমরা যদি ছোটদের শিষ্টাচার, আদর্শ না শিখাই তাহলে আমরাই দ্বায়ী থাকবো।
২০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫৭
সাইফাই বলেছেন: খুব ভালো লাগলো | ৮২ তে জন্ম আমার .. বেশির ভাগই মিলে গেছে | পুরানো সৃতি তে ফিরে গিয়েছিলাম কিছু সময় এর জন্য | ঈদ এর দিন সেলামি পেলে তো কথায় নাই .. সোজা ভিডিও গেমস এর দোকানে ২ টাকায় মোস্তফা খেলা | প্রজাপতি মেচ এর খোলস দিয়ে চান - পট খেলতাম | লাটিম মাটিতে না ফেলে হাত এর তালুতে নিয়া ঘুরানো .. কি সব দিন ! তবে যেই জিনিস তা সব থেকে ভালো লাগে .. শিষ্টাচার, আদব কায়দা এখনো আকড়ে ধরে আছি যা এখনকার ছেলে মেয়ের মধ্যে অনেক অভাব | মাঝে মাঝে বর্তমান সময় এর ছেলে মেয়েদের দেখলে ভাবি .. আহা! যদি ওদের মত চলতে পারতাম, পরক্ষনেই আবার ভাবি .. এইভাবেই তো ভালো আছি এবং এভাবেই কাটাতে চাই : )
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:১৮
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: আপনার আমার বয়স হয়তোবা কয়েক মাসের ব্যবধান হবে।
এখনকার ছেলেপানরা উপরেই অধুনিক ভিতরের আধুনিকতা যে কি জিনিস তা বোঝে না।
ওদের এই ভুল ভাঙবে কবে?
আপনার মনে আছে রিকশা সাইকেলের স্পোক দিয়ে এক প্রকার বাজি বানানো হতো। মধ্যে বারুদ দিয়ে, টাক দিলে জোরে আওয়াজ হতো।
টিনের পিস্তল ছিলো। লাল কাগজে বারুদ দেয়া থাকতো। ট্রিগার চাপলে আওয়াজ হতো।
মনে আছে টিনের একপদের লঞ্চ ছিলো। ভিতরে তেল ভরে আগুন দিলে পট পট আওয়াজ করে পানিতে চলতো?
এখন আর এগুলো দেখা যায় না।
শুভকামনা রইল।
২১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:০২
যান্ত্রিক উন্মাদ ১২৬ বলেছেন: হুমমম...
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:২৭
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন:
শত কাঁদিলেও ফিরিবে না সে শুভ লগনের বেলা (নজরুল ইসলাম)
২২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:০৭
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: মার্বেল খেলার কথা মনে আছে মানে, মোটাতাজা একটারে বানাইতাম ডাইগ - ঐটা দিয়ে হিট দিতাম।
বিভিন্ন ম্যাচ বাক্সের দুই পাশের কাগজ নিয়ে ভাঙ্গা মাটির পাতিলের একটা ছোট অংশ নিয়ে একটা খেলা ছিলো তো। আর খেজুরের পাতা দিয়ে ঘুর্ণী বানাইতাম, কলা গাছের ভেলা বানাইতাম।
বকন গাছের গোটা দিয়ে মাটিতে কয়টা ছোট গর্ত করে গাতগাত খেলেছেন নাকি?
আশে পাশের ছেলে মেয়ে মিলে দাঁড়িয়া বাঁধা, বম বাস্টিং, বল না থাকলে জাম্বুরা দিয়ে বল খেলা, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, চিচিং চা আর গোল্লাছুট খেলছি খুব।
আরেকেটা বিষয় ছিল - কলা গাছে ঘুষি মেরে পরীক্ষা করা কার হাত কত শক্ত।
আহারে স্কুলে কাঁচা কঞ্চির বাড়ির কথাও মনে পড়ে গেলো। :!>
গায়ক ইশতিয়াককে মিস করি। দারুণ সুন্দর গাইতো।
আপনে ভাই নস্টালজিক বানায়ে দিলেন।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৩৬
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: ভাঙা হারি দিয়ে যে খেলাটার কথা বললেন ওটাকে আমরা বলতাম চারামারি।
তখন ৭ ঘোরা ম্যাচ বেশি পাওয়া যেতো বলে। ওর কাগজের দাম কম ছিলো। অন্যরকম ছবিওয়ালা ম্যাচের দাম ছিলো বেশী।
আপনার মনে আছে রিকশা সাইকেলের স্পোক দিয়ে এক প্রকার বাজি বানানো হতো। মধ্যে বারুদ দিয়ে, টাক দিলে জোরে আওয়াজ হতো।
টিনের পিস্তল ছিলো। লাল কাগজে বারুদ দেয়া থাকতো। ট্রিগার চাপলে আওয়াজ হতো।
মনে আছে টিনের একপদের লঞ্চ ছিলো। ভিতরে তেল ভরে আগুন দিলে পট পট আওয়াজ করে পানিতে চলতো?
শব-ই-বরাতের সন্ধ্যায় তারাবাতি কিনে আনা।
হাজার পাওয়ারের এক প্রকার রং ছিলো। মিছমিছে কালো। একটু দিলেই পুরো পানি লাল হয়ে যেতো।
হাতের উপর হাত রেখে লাফানো।
আর পাঠকাটির বিড়ি খেয়ে একবার ভিষন বকাঝকা শুনেছিলাম।
আর একটা কথা বলতে লজ্জা লাগছে। তারপরও বলছি। রাজা কন্ডম দিয়ে বেলুন ফুলানো। তখন জানতাম না রাজা কনডমের কাজ কি।
এখনকার ছেলেপান খুব অল্প-বয়সেই ইচরেপাকা।
২৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:১৪
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: বাংলা ফাইভ সিগারেট, আবাহানী মোহামেডান ফুটবল, শারজায় ইন্ডিয়া পাকিস্তান ক্রিকেট যুদ্ধ, আমার হিরো ইমপ্যাক্ট সাইকেল, ম্যাক্স জিন্স, কামাচি কেডস, টমি হিলফিগার টি শার্ট, ন্যশনাল ডেকসেট এ ক্যাসেট এর গান, মনিহার হলে ফ্রি পাস এ বাংলা সিনেমা , ফুনাই ভি সি পি তে হিন্দি সিনেমা,সেকেন্ড ডিভিশন , ইন্টার স্কুল ক্রিকেট, শীতের রাতে ব্যাডমিন্টন, বন্ধুর দুলাভাই এর সিডিআই দিয়ে মোটোরসাইকেল চালানো শিখা তার পর এলাকার এক এস আই বড়ভাইয়ের মাধ্যমে অকশনে মাত্র ১২০০০ টাকা দিয়ে কাগজ ছাড়া মোটর সাইকেল (ব্রান্ড নিউ সুজুকি সামুরাই)কিনে বাসায় না রেখে বন্ধুর আবাসিক হোটেলে রাখা, ৪৫ টাকা দামের বাকলার বিয়ার, শবে বরাত, ঈদ , পুজোয় বাজী ফোটানো, বিয়ে বাড়ীতে রং খেলা সব যেন স্বপ্নের মতো মনে হয়।
বাশী তো আগের মতো বাজে না, মন আমার তেমন কেন সাজে না?
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৪৫
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: আপনি আমার খুব প্রিয় একটা জিনিস মনে করিয়ে দিলেন। বাংলা ৫৫৫ সিগারেটের স্বাদ আর কোনো সিগারেটে পাই না। কিছুদিন আগে বিদেশীটা খেয়ে দেখলাম আগের মতো স্বাদ নাই।
আমার একটা এভোন সাইকেল ছিলো। ক্লাস ছাড়া ৫০ হোন্ডা চালিয়েছি। পরে হির স্পেলেন্ডার দিয়ে। ১৫০০০-২০০০০টাকার মধ্যে ইন্ডিয়া হয়ে যশোর দিয়ে বাইক আসতো।
স্কটিশ টাইগার, হ্যানিক্যান, ফস্টার কিনতাম ৬০টাকায়, ভেরন্স ৭০টাকা (ভয়ে ভয়ে)।
আরো কতো কি।
কেসিওর একটা ক্যালকুলেটর ঘরি ছিলো। সবাই টিপে দেখতো আর অবাক হতো।
এখন হয়তো হ্যালিকাপ্টারে ঘুরলেও মানুষ এতো অবাক হবে না।
ভালোলাগার মানুষটার বাড়ির সামনে দিয়ে স্টাইল করে বাইকে ঘোরা। পিছু নেয়া।
ভাই আর আসবে না সেই দিন।
২৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:১৫
শাহ মো. আরিফুল আবেদ বলেছেন:
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৪৭
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন:
একসময় গোঁফওয়ালা মানুষদের কেমন যেনো লাগতো। আর এখন কতো বন্ধুর ঘন গোঁফ কিন্তু মনটা আগের মতই।
ধন্যবাদ!!!
২৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:১৭
কথক পলাশ বলেছেন: মোবাইল ফোন ছাড়া মফস্বল থেকে ঢাকায় এসে পূর্বের চিঠিতে লিখা সময় অনুযায়ী বন্ধুর সাথে দেখা করতাম।
দূরের বন্ধুদের চিঠি লিখে তার জবাবের আশায় পোস্ট অফিসে ধর্ণা দিতাম দিনে কয়েকবার।
বন্ধুরা মিলে চাঁদা দিয়ে ভিসিআর ভাড়া করে সিনেমা দেখতাম অমরসঙ্গী, আক্রোশ, ভেজা চোখ।
৮টার খবর শোনার জন্য কান পেতে রাখতাম।
ঘড়ির সময় মেলাতাম খবরের সময় অনুযায়ী।
রেডিও তে শুনতাম গানের ডালি, অনুরোধের আসর আর নিশুতি।
ছেলেবেলা নিয়ে অনেক পোস্ট দিয়েছি বলে লিঙ্ক দিয়ে আপনাকে বিব্রত করলাম না। আমার ব্লগের প্রথম কয়েকটা পোস্ট আর সর্বশেষ পোস্ট পড়লেই বুঝতে পারবেন।
আপনার পোস্টের সাথে সব ঘটনাই মিলে গেলো।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৫২
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: আমার কয়েকজনের সাথে পত্রমিতালী ছিলো। একটা চিঠি অনেকবার পরতাম।
এসএমএস, চ্যাট, মেইলের প্রতিক্রিয়া কতক্ষণ থাকে? আর সেই আবেগ।
৮টার খবরের আগে সাবিনা ইয়াসমিন কে দেখাতো। খবর কখন শেষ হবে সেই আশায় থাকতাম। আসমা আহমেদ নামে একজন সংবাদ পাঠক ছিলেন। তখনকার বিটিভির প্রোগ্রাম উপস্থাপক গুলো সবার চেনা। ১০টার সংবাদ মানে চরম বিরক্তি।
আপনার লেখার লিংক দিলে ভালো হয়। আমার পড়তে ইচ্ছে হচ্ছে।
২৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:২৩
রুদ্রাক্ষী বলেছেন: হারিয়ে গিয়েছিলাম আপনার লেখায়..................।বলেন নি গল্পের বই আর কমিকস পড়ার কথা তিন গোয়েন্দা বা নন্টে ফন্টের কথা। সন্ধ্যা বেলায় পড়তে বসার কথা..........,ভিউ কার্ড জমানোর কথা, জানিনা হয়ত তখন আকাশ সংস্কৃতি ছিলোনা কম্পিউটার ছিলোনা .............।তাই হয়ত মানুষে মানুষে হৃদ্যতা বেশী ছিলো ।বন্ধুদের বাসায় যাবার চল ছিলো এখনকার মত মোবাইলে বা ফেসবুকে হাই হ্যালোর চল ছিলোনা।বাইরে খাবার বলতে বরজোড় গলির মোড়ের সিন্গারা.......................।তখন এত জান্কফুডের দোকান ও ছিলো না ..................বড় বেশী জেনারেশন গ্যাপ হয়ে গেল।তবুও মনে হয় সেসময়টা ভালো ছিলো ।এ বড় অস্হির সময় কেমন জানি লাগে এই জেনেরেশনকে দেখলে...................। না আছে কিছু জানার আগ্রহ না আছে নিজস্ব মূল্যবোধ বোঝার মানসিকতা.................।কেমন জানি খাপ ছাড়া সবই আছে হাতের মুঠোয় কিন্তু জানার আগ্রহ নেই.....................।
অনেক ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে পোস্টের সাথে পুরোপুরি একমত। +++++++++++++++++++++
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৫৭
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: আমি বেশী পড়েছি চাচা চৌধুরীর কমিকস, ওয়েস্ট্রান, মাসুদ রানা কি যে উম্মাদনা।
দেখলেন সামান্য কয়েকদিনের ব্যবধানে কতো বেশী গ্যাপ সৃষ্টি হয়েছে।
ডিপ ফ্রিজ ভরে যেতো অন্যদের অত্যাচারে। ঠান্ডা পানি খাবার জন্য মানুষ আসতো। আজ সব আছে কিন্তু সেই আনন্দ নেই।
২৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৩২
আমার ইচ্ছে বলেছেন: টাকায় ঠিকানা লেখা এবং কুন টাকায় ঠিকানা পেলে সেই ঠিকানায় চিঠি দিয়ে পত্র মিতালি করা ।তেমন ১টা পত্র মিতালি(বন্ধুত্ব) করছিলাম তখন অস্টম শ্রেনীতে পরি।অইছেলের নাম ছিল গুলাম মুস্তফা অর হাতের লেখা ছিল মুক্তার দানার মত সোন্দর।ফ্যামিলির সব কিছু শেয়ার করতাম।কত আপনত্ব ছিল।জানিনা সে এখন কোথায় দোআ করি যেন অবশ্যই ভাল থাকে
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:০১
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: আমার বেশ কয়েকজন পত্রমিতালী বন্ধু ছিলো। একজনকে পুরোনো ঠিকানায় অনেক কষ্টে গতবছর খুঁজে পেয়েছি। গৃহিণী। ঐ একজনের ঠিকানাই পেয়েছিলাম স্টিলের আলমারীর পিছনের ফাঁকে।
অন্যদের আর পাওয়া হবে কি না কে জানে।
এক ক্লাস থেকে অন্য ক্লাসে পাড়ি দেবার এক বছরকে কতো বড় মনে হতো। এখন বছর কাটে চোখের নিমিষে।
২৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৩৩
মাস্টার বলেছেন: নস্টালজিক করে দেয়ায় পোস্টে কইষা মাইনাস
আহা! সেইসব কি দিন ছিলো!! পুকুর থেকে কচুরিপানা উঠিয়ে কত কিছু বানাতাম!! সেগুলো আবার কাগজের বিনিময়ে এলাকার পোলাপানদের কাছে বিক্রী করতাম।
পেয়ারা গাছের ডাল কেটে পিস্তল বানাইছিলাম একটা। তীর ধনুক এবং তলোয়ার বানিয়ে খেলতাম
হুর্... যাইগা, রান্না করি
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:০৫
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: কচুরিপানার মধ্যে শলা ঢুকিয়ে দোতলা লঞ্চ বানাতাম। ব্লেডে যে কতবার আঙ্গুল কেটে গেছে। আর বকুনীর পর বকুনী খেতাম।
গুল্টিবাশ ছিলো। বন্ধুদের মাঝে কতরকম প্রতিযোগীতা।
আজ সেই বন্ধুরা কেউ প্রশাসনে, কেউ ব্যবসায়ী, কেই ডাক্তার, কেউ মুদির দোকানী এমনকি একজন কসাই আর একজন অটোচালক হয়েছে। দেখা হলে বন্ধুত্ব আগের মতই।
সবই সময়ের ব্যাপার ভাই!!!
২৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৪১
একুশে২১ বলেছেন: আমার বয়স ২৩ বছর ৭ মাস। দুঃখিত আপনার কথা রাখতে পারলাম্না। আসলে লোভ সাম্লাতে পারিনি। যাই হোক আপনার লেখা পড়ে খুব মন খারাপ হয়ে গেল কারন আমারও পুরোনো দিনগুলোর কথা খুব মনে পড়ে। যে সকল খেলা ,গান,টিভি অনুষ্ঠানের এর কথা লিখেছেন তা আমিও দেখেছি।
আপনার কথাগুলোর আমি সাথে প্রায় পুরটাই একমত। যেমন ধরেন "আজকে তোমার কথা খুব মনে পরছে সুজানা(যে কোনো একটা নাম)" এর জায়গায় "তোমাকে খুব মিস করছি জান(সুজানা বাদ!)"। এই যে পরিবর্তন এটা দেখতে খুব সাধারন মনে হলেও তা খুব ভয়ানক আর আবেগের দিক থেকে তো প্রথমটার সাথে দ্বিতীয়টার কোনো তুলনাই হয়না।
তবে একটা কথা একদম খাঁটি বলেছেন তা হোলো এখনকার তরুণতরুণীদের শিষ্টাচার আর ধৈর্য নাই বললেই চলে। আমি আমার বড় দুই ভাই কে দেখেছি তারা কিভাবে সময়গুলো কাটিয়েছে আবার এখনকার ১৬ বা ১৭ বছর বয়সের ছেলেমেয়েদেরও দেখছি তারা কি করে সময় কাটাচ্ছে। আমার বড় ভাইয়ের বয়স এখন ৩৩ আর মেজ ভাইয়ের ৩০। আর আমরা ছেলেরা ওই সময় খেলা নিয়ে এতো মজে থাকতাম যে আমাদের মধ্যে মেয়েদের নিয়ে নোংরামি করার কথা মাথাতেই আসতোনা আর এখনকার তরুণদের কি হাল তা আপনি আশা করি ভালই জানেন। যা হোক আক্ষেপ থেকে অনেক কথাই লিখা যায় কিন্তু তাতে মন্তব্য বড় হয়ে যাবে।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:১২
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: একদম সত্যি কথা। তবে জান শব্দটা আগেও প্রচলিত ছিলো।
আগে রুমালে সেলাই করে লিখে দিতো ভুলনা আমায়। এখন তো এম্বুটরী।
আমাদের আচরণ কেমন যেনো মেকি হয়ে যাচ্ছে। সামনে আর কি কি দেখতে হয় কে জানে?
ধন্যবাদ ভাই কালের স্রোতে যারা গাঁ ভাষায় তারা বোঝে না আধুনিকতা, স্মার্টনেস, স্টাইল ভিতর থেকে আসে।
মাইকেল জ্যাকসন যে স্পেশাল স্পেশাল ড্রেস গুলো পড়তেন ওগুলো কখনও পুরোনো হবে না। এটা তার স্বকীয়তা। তার গুণকে মানুষ চিরকাল মনে রাখবে। দোষ ত্রুটি ভুলে যাবে।
এখনকার যুগে একদম নিন্মবিত্ত্ব পরিবারের ছেলে মেয়েদের পোষাক দেখলেও দুঃখ লাগে।
এত দ্রুত এত বড় পরিবর্তন?
৩০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৫৪
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: আর একটা ব্যপার খুব মিস করি। তখন পাখি শিকারের ব্যাপারে এত সচেতনতা ছিলনা। আমি আমার নানার সাথে নানার ভেসপায় চড়ে শীতকলে কোনো কোন ছুটির দিনে গ্রামের দিকে বিল বা নদীর ধারে পাখি শিকার করতে যেতাম। নানার টুটুবোর রাইফেল আর সিংগেল ব্যারেল গ্রিনার বন্দুক দিয়ে বক, বালিহাস মেরে বাসায় আসতে অন্ধকার হয়ে যেত। নানার পিছনে বসে জোনাকি পোকা দেখতে দেখতে ফিরতাম।
নানা এখন আর ভেসপা চালাতে পারে না। আমার খালাতো মামাত ছোট ভাইবোনরা কোনদিন এই মজা পাবে না।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:১৫
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: ভেসপায় একটা ঝামেলা ছিলো পেস্ট্রোল মবিল মিক্সড করে চালানো।
আমারও শীকারের নেসা ছিলো। তবে হাত ভালো ছিলো না। ২০টা সুট করলে একটা হয়তো লাগতো। এক বাটা এয়ারগানের গুলি কিনতাম ১৫টাকায়।
হায়রে সেই দিন।
৩১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:১৩
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: রিকশা সাইকেলের স্পোক, টিনের পিস্তল, পাঠকাটির বিড়ি, রাজা কন্ডম - মিলে গেছে।
কাঠ-টিনের বন্দুকও তো ছিল, আমের ছোট গোটারে গুলি বানাইতাম। ৪-৫ হাত দূরে গিয়ে লাগতো গুলি।
রাজা কন্ডম দিয়ে জাম্বুরা বানাইতাম, ঐটার মধ্যে পানি দিতাম। বছরে দুইটা মেলা হতো, কতো কিছু যে কিনতাম। ৪০০-৫০০ টাকা হলে জীনিস কিনে শেষ করা যেতনা।
আমার ভাগ্নে এখন মেলায় যায়, এইবার ৮ হাজার টাকা দিয়ে দুইটা হেলিকপ্টার কিনছে। দুইদিন পরেই ঠুস; একটা উইড়া চইলা গেছে, আরেকটা নষ্ট হইছে দুই দিন পর।
আহারে আমার রিকশা সাইকেলের স্পোক, টিনের পিস্তল, পাঠকাটির বিড়ি, রাজা কন্ডম.......
:!> :!>
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:২২
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: কিছু বন্ধু ছিলো যারা মেলায় চুরি করার ওস্তাদ। কিভাবে যে ফৃ এতো জিনিস নিয়ে আসতো আজও ভাবলে অবাক লাগে।
গুল্টিবাশের জন্য গুলি বানাতাম মাটির গোল্লাকরে চুলোয় দিয়ে।
ঘুরির সুতা মেজেছেন? কাচের গুরো, বাসি ভাত ইত্যাদি দিয়ে?
আমার মনে হয় আমাদের জেনারেশনের মতো এত দ্রুত সমাজের এত পরিবর্তন অন্য কোনো জেনারেশন দেখে নি।
৩২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:১৭
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: বাঁশের মাথা কেটে পিচকারি আর একটা গাছের ছোট গোলগোল ফল দিয়ে পিচকারির মত করে বন্দুক বানানো যেত - বানাইছেন কখনো? ঐ দুইটা জোস ছিলো।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:২৭
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: অস্পষ্ট ভাবে মনে পড়ছে। হয়তো কিছুক্ষন পর মনে পরে যাবে। হ্যাঁ মনে পড়েছে বাঁশের কঞ্চির মাথা কেটে তার মধ্যে ফলটি দিতাম। ফল ও ফলগাছের পাতাগুলোর কথা মনে পড়ছে কিন্তু নাম মনে পড়ে না।
গ্যসলাইটে গ্যাস ভরার জন্য গ্যাসের বাটার মাথা কেঁটে, সুইয়ের মাথায় বসিয়ে লাটিমের চল উঠেছিলো ক'দিন। মনে আছে?
৩৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:২০
লালকালো বলেছেন: আপনি বয়স সীমা দিয়েছেন, আমি তার আরো পনের বছরের বড়.. মুক্তিযুদ্ধের বছরের প্রজন্ম ।
জন্ম ছিল গ্রামে, বলতে গেল অজ পাড়া গা। বিদ্যুৎ ছিল না, হারিকেন জ্বালিইয়ে মাদুর বিছিয়ে তিন-চার ভাই পড়তে বসতাম। যেঁ স্কুলে প্রাইমারি তে পড়তাম, তাতে ছিল তিন টি কক্ষ , এক টার অর্ধেকের ঊপর আবার টিন ছিল না, যে অংশে টিন ছিল, সেখানে স্যার রা বস্তেন, একটা বড় রুমে ক্লাস ওয়ান থেকে ফোর পর্যন্ত বসত, অন্য ক্লাসে ক্লাস ফাইভ। তবে স্কুলে মাঠ ছিল। মাঠের সামনে তুলসি গংগা নদী।
দাড়িয়া বান্ধা , হাডুডু সাথে খেলতাম ফুটবল। তবে ফুটবল বানানো হতো ছেড়া পলিথিন যোগাড় করে তা গোল করে বাধা হতো।
বাসায় মাছ-মাংস কিনা হতো খুব কমই। আশে পাশের নদি-পুকুরে আধা ঘন্টা জাল ফেললে একদিনের তরকারির সমান মাছ পাওয়া যেত। বন্যার সময় ছিপ ডিয়ে মাছ ধরা, বন্যা নেমে গেলে নদীতে বুয়াত নামত (আশ-পাশের গ্রামের অসংখ্য মানুষ একোই সাথে নদীতে নামত মাছ ধরতে, সে এক দেখার মত দৃশ্য)। বন্যা নেমে গেলে খাল-বিল সেচে মাচ ধরতাম আমার বন্ধু আইজারের সাথে (বেচারা আইজার মারা গেছে অনেক দিন হলও)। গোশ্ত জুটত কোন গেস্ট আসলে কিম্বা বাসায় পোষা কোন মুরগি অসুখ হলে ..
শীতের সকালে গায়ে চাদর বেধে দিতেন আম্মা...।কোচায় মুড়ি আর খেজুরের গুড়। বাসার সামনের সকালের ওম রোদে বসে সেঈ মুড়ি খাওয়া আর ছেলেডের মারবেল খেলা দেখা...এক স্বর্গীয় অনুভুতি!!
এমঅন এক সময়ের কথা মনে করিয়ে দিলেন, লিখা তো আর শেষ করতে পারে না.।.।।তবুও আপাট্ট শেষ করছি।
আপনার সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:৩৮
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: মনে পড়ছে জাম্বুরা দিয়ে ফুটবল খেলেছি।
ছেড়া পলিথিনের বল দেখিনি।
বুড়ো দের জ্বাল বুনতে দেখেছি। হোক্কা খেতে দেখেছি।
আপনার গুরুজন আপনাদের কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার ও জানার আছে।
আশাকরি আরও শেয়ার করবেন। দরকার বোধে পোস্ট দিবেন।
বাবার কাছে শুনেছি আগে বাবারা ছেলেদের বিভিন্ন বিষয় ওছিয়ত করে যেতেন। ছেলেরাও কথা রাখতো। বর্তমানে আমি এমন দেখেছি ছেলেরা একটু শিক্ষিত হয়ে বাবার মুখের উপর বলছে "চুপ থাকো। তুমি কি বোঝ?"
এই সময়ের ছেলেপানদের জন্য আমাদের কিছু করতে হবে। ওরা ভুল পথে পা বাড়াচ্ছে?
অনাগত ভবিশ্যতের কথা ভেবে আপনাদের প্রজন্ম আমাদের প্রজন্মকে একযোগে কাজ করতে হবে।
৩৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:৩৯
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: খেলাধুলা আর প্রেম সংক্রান্ত কারণে পাড়ার বড়ভাইরা চেইন আলা বুট পরে রামদা, হকিষ্টিক, চাইনিজ কুড়াল, সেভেন গিয়ার চাকু নিয়ে আরেকপাড়ার সাথে মারামারি করতো। খাকি পোষাক পরা পুলিশ থ্রি নট থ্রি রাইফেল নিয়ে বাশী বাজিয়ে ওদেরকে ধাও্য়া করতো।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:৪৮
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: আপনার সাথে আমার জীবনের অনেক মিল।
এছাড়াও খুর, টিপ চাকু(দু'পাশে অনেক ধারালো), উঠতি বয়সে ঘরে ব্রুসলীর একটা ছবি থাকতো।
সেলুনে গেলে দেখা যেতো নানা রকম ছবি।
জিন্স প্যান্ট, বেল্টের সাথে ওয়াকম্যান, কানে হেডফোন এগুলো ছিলো ফ্যাশন।
পুলিশের একটি স্টিলের বাঁশি থাকতো। পুলিশ মানে মারাত্নক কিছু। এখন তো পানি ভাত।
রুনা লায়লা হাতাকাটা ব্লাউজ পরে বিটিভিতে গান গাইতেন। মানুষের সেকি আগ্রহ!!!
৩৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:৪২
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: হায় হায় আপ্নেতো সবাইরে একদম ইমোশনাল করে দিছেন দেখা যায়! ঘুড়ি উড়ানো, সাঁতার কাটা, ফুটবল খেলা, বরশি দিয়ে মাছ ধরা, গুলতি দিয়ে বা ফাঁদ পেতে পাখি ধরা, একটা পাকা ফলের জন্য গাছের মগডালে উঠা, বাইসাইকেলে চেপে বন্ধুদের সাথে দূর দুরান্তে চলে যাওয়া, স্কুল পালিয়ে সিনেমা দেখতে যাওয়া, স্যারেদের প্যাদানী তো নিয়মিত ঘটনা ছিল সেই মার এখনকার স্কুল পড়ুয়ারা চিন্তাও করতে পারবেনা। আরো কত কি !!
+ + + + + + + + +
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:৫১
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: আপনার কি মনে আছে হাতে এসিড দিয়ে প্রেমিকের নামের প্রথম অক্ষর লিখতেন?
আজ আসলেই ঐ দিনগুলোর মাঝে হারিয়ে গেছি। এই দিনগুলো আর আসবে না ভাই।
৩৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:৪৫
বিদ্রোহী ভাস্কর বলেছেন: 20 bochorer niche jara tader ashte nished koren.
৩৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:৪৫
বিদ্রোহী ভাস্কর বলেছেন: 20 bochorer niche jara tader ashte nished koren.
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:৫৩
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: হ্যাঁ। তারা এই পোস্টে খুব সম্ভবত মজা পাবে না।
তাদের মজা হয়তো আমরা বুঝি না।
৩৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:৫৬
হিবিজিবি বলেছেন: আপনার সাথে তো সবি মিলে গেল! স্মৃতিচারণ মুলক আমার একটা লিখা আছে দেখতে পারেন!
যে গান গুলোর প্রতি এখনও এক অদ্ভুত টান অনুভব করি
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:০৯
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: আপনার পোস্টটি দেখে খুব ভালো লাগলো এবং প্রিয়তে রাখলাম!!!
কয়েকটি গানের কথা বলছি কালেকশনে থাকলে পোস্ট দিয়েনঃ
তোমার পত্র এসে পুছলো যখন, তাতে আমন্ত্রিত আমি অতিথী-(আতাউল ইকবাল)
সূচনা কেমন আছো কোথায় আছো জানিনা---
বেদনার সবটুকু আমাকে দিয়ে---রবী চৌধুরী
রিমঝিম রিমঝিম বৃষ্টি যখন পড়ে রে..---
একটি মনের দাম দিতে গিয়ে, জীবন চলার পথটা হারিয়ে---
বকুলতলায় ফুল কুড়োতে আসতে তুমি মৌ, পুতুল খেলার ছলে আমার সাঁজতে তুমি বৌ--- মনি কিশোর
কখনও জানতে চেও না, কি আমার সুখ, কি আমার বেদনা----আদনান বাবু
৩৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:১৮
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: হুম, মাঠে একধরনের গাছের পাতা পাওয়া যায় সাধারণত পতিত ধানি জমিতে হয়। সেই পাতা সামান্য কচলিয়ে কিছুক্ষণ চামড়ায় লাগিয়ে রাখলে চামড়া পুড়ে যায়। সেটাকে আমরা বলতাম এসিড পাতা। আমার এক ফ্রেন্ড একবার সেই পাতা দিয়ে হাতে তার নিজের নামের প্রথম অক্ষর লিখে স্যারের কাছে ব্যাপক প্যাদানী খেয়েছিল। তবে প্রেম ঘটিত ব্যাপার কলেজে ২/১ জনকে দেখেছি ব্লেড দিয়ে হাত কাটতে, এসিড দেখিনি।
একটা গল্প বলি, একবার এক মুরুব্বী আমার কয়েকজন বন্ধুকে খুব ঝাড়ি দিয়েছে। তাদের তো মেজাজ খারাপ। কি করা যায়, সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিল তার গোয়ালে তো অনেক গরু ছাগল আছে সেখান থেকে একটা ছাগল চুরি করে জবাই করে সবাই খাব। উঠতি বয়সের ক্রেজ বোঝেনই তো। বেশ, কয়েকজন হেব্বী পরিকল্পনা করে গেছে। আমরা কয়েকজন যাদের সাহস কম তাদের দায়িত্ব পড়েছে মশলা পাতি হাড়ি পাতিল এসব ম্যানেজ করার। যাইহোক, আমরা মোটামুটি আমাদের দায়িত্ব শেষ করে রেখেছি (অবশ্যই গোপন স্থানে এবং রাতের বেলায়) এদিকে যারা ছাগল চুরি করতে গিয়েছে তারা অন্ধকারে গোয়াল ঘরে মোটামুটি আন্দাজ করে বড় সাইজের ছাগলটাই বের করে এনেছে। মোটামুটি টেকনিক্যালি কাজটা সেরেছে কিন্তু সমস্যা হয়েছে যে বেশ অনেকদুর আনার পর দেখে তারা ছাগলের বদলে একটা বাছুর ধরে এনেছে। পরে কি আর করা, সেই মাঝরাতে এক উদার সিনিয়র ভাইকে ডেকে তুলে নাম প্রকাশ না করে সেই বাছুর ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করি। সব্বাই তো ভীষণ রাগ, এই তোরা বাছুর আনলি ক্যান! ওরা বলে, ভাবলাম নিবই যখন তাহলে বড় একটা খাসা ছাগলই নেই এই ভেবে এনেছিলাম, এনে দেখি বাছুর।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:৩১
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: আপনার উঠটি জীবনের গল্পশুনে বেশ মজা পেয়েছি।
আমি তখন নাইনে পড়ি। কোনো এক শুক্রবার এয়ারগান ও এক বন্ধুকে নিয়ে শীকার করতে শহর থেকে ৪-৫কিলো দুরের একটা গ্রামে যাই। কয়েকটি বক দেখেছিলাম সুট মিস হয়েছে। একটা মাছরাঙা মারতে গিয়ে সুট মিস। আরও খুঁজতে ছিলাম কিন্তু ব্যার্থ। প্রায় সন্ধা ঘনিয়ে এসেছে। বাসায় যেতে হবে। তখন সন্ধ্যার পর যে বাসায় ফেরা সম্ভব সেটা ছিলো কল্পনাতীত।
যাই হোক, ফেরার সময় খালে কয়েকটা হাঁস দেখি। বন্ধুকে বললাম কিছু্ই পেলাম না যখন একটা হাঁস নিয়ে যাই। সুট করলাম। হাসের পিঠে গুলি লাগলো।
এরমধ্যে বিশাল হৈ চৈ। আমাদের অনেক মানুষ ধাওয়া করলো। আমি কোনমতে খালে লাফ দিয়ে একটা ট্রলারে আশ্রয় নেই। ট্রলারটি বাঁধা ছিলো। টলারের লোক আমাকে পিছনের টয়লেটে লুকিয়ে রাখে। আর আমার বন্ধুকে গ্রামের লোকজন বেঁধে রাখে। পরে বাসায় ফিরি। রাতে গ্রামের লোকজন আমার বাসায় আসে। আব্বু জোড় করে তাদের ৫০টাকা দিয়ে দেয়।
তবে বকুনি খেয়েছিলাম ভীষন।
৪০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:২১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভীষন নষ্টালজিক অনুভব করছি। ইচ্ছে করছে সেই পূরানো দিন গুলোতে ফিরে যেতে।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:৩২
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: সত্যি ভাই!!!
এখন উঠতেও ইচ্ছে হচ্ছে না।
সেই দিনগুলোর কথা খুব বেশী মনে পড়ছে।
৪১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:৩০
বুনো বলেছেন: ঈশ! সবাই তো সবকিছুই বলে ফেলেছে। কোনটা করি নাই!! ঢাকা শহরের মিরপুরের বিলের পাড়ে জন্ম, দুপুর বেলায় রাস্তা খা খা করত। এলাকার মাঠে এক দেড়শ পোলাপান এক সাথে ঘুড়ি উড়াইতাম, এখন মনে হয় ঢাকার আকাশে কোন ঘুড়ি উড়েনা।
টিভি ছিল, কিন্তু ভিসিপি ছিল না। যে বাসায় ছিল সেই বাসায় খালাম্মাদের কোণায় বসে গীতমালা দেখতাম, ক্লাস টু'তে উঠার সময়ই শিখছিলাম কিভাবে ছবি খারাপ দেখা গেলে থুতু দিয়া হেড ক্লিয়ার করা লাগে। পিকনিকের গাড়ি যখন মাইকে হিন্দি গান বাজাইয়া যাইত সেইরকম মজা লাগত।
নতুন জেনারেশনের শিষ্টাচারের কথা কিছু বলবো না, কারণ সময়টাই অনেক খারাপ হয়ে গেছে। আর গোটা সমাজই এখন আক্রান্ত অবক্ষয়ের দ্বারা।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:৪২
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: ভাই জুনিয়র সিনিয়র নিয়ে দারুন হট্টগোল হতো। একই ক্লাসে পড়ুয়া কেউ সিনিয়র কেউ জুনিয়র হতো। শুধু বাহুশক্তি আর মাস্তানী একটা ভাবের জন্য।
তবে ঢাকার স্থানীরা আচার অনুষ্ঠানে জুনিয়র সিনিয়ররা যেমন এক রাতের জন্য ফৃ হয়ে যায়। আবার মহল্লায় চলার সময় বড় ভাইদের এখনও সম্মান করে। বড় ভাইরাও আবার সেইরকম।
আমি আপনাদের ১০ নম্বরে ১৯৯৯তে ছিলাম। তখন কচি ভাইয়ের খুব প্রতাপ। শরীরে অন্যরকম আমেজ।
সমস্যা হল ফরেনার (নতুন বাড়ী করে স্থানীয় বা ভারাটিয়া) দের নিয়ে। ওরা অনেক কিছুই বোঝে না।
আর এখনকার পোলাপানের কথা আর কি বলবো। মুখে খারাপ কথা চলে আসে............।
৪২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:১২
মুন্তাসীর আর রাহী বলেছেন: মাত্র ২০ হয়ে পোস্টে ঢোকার জন্য দুঃখিত। ছোটবেলা থেকে ক্লাস সিক্স পর্যন্ত গ্রামে ছিলাম (এখনো থাকি ছুটিতে গেলে)। তাই আপনি যেগুলা বললেন সব না হলেও বেশিরভাগের সাথেই পরিচিত ...
পোস্টটি খুব ভালো লেগেছে, ছোটবেলার অনেক স্মৃতি মনে পরে গেলো। বিশেষ করে আলিফ লায়লা,স্পেল বাইন্ডার, রবিনহুড,ম্যকগাইভার এগুলা ২০ ইঞ্চি সাদাকালো ব্যটারি চালিত টিভিতে দেখার জন্য দিনের শুরু থেকেই অপেক্ষা করে থাকতাম...
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:১৬
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: এগুলোকে মনে লালন করে রাখুন।
প্রযুক্তি যে মানুষের আবেগ বাড়াতে সক্ষম তা আমি মানি না।
আসুন আমরা একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ উপহার দেই।
ধন্যবাদ!!!
৪৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:১৭
অ তে আজগর বলেছেন:
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১৮
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: আসলেই আর ফিরবেনা সেই দিনগুলি!!!
৪৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৬:০০
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: উঠতি বয়সে ঘরে ব্রুসলীর একটা ছবি থাকতো
যারা বিম্পি করতো ওরা জিয়ার মাটি কোপানো ছবিটা টানাইতো।
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: এসিড পাতা। - মনে পড়ছে। আরেকটা কঠিন এক পাতা ছিল চুতরার পাতা। এখনকার বেয়াদব পোলাপাইনদের চুতরার পাতা দিয়ে বাইরানো দরকার।
প্লাস্টকের লাটিমই তো বের হয়েছিলো, রশি লাগানো থাকতো। আমার ২টা কাঠের লাটিম ছিল। আর শহর থেকে ইয়ো ইয়ো কিনেছিলাম ৩-৪টা।
উপরে মানিক ব্রো কিছু কন না কে?
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৫৫
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: ইকোনো বলপেন কেটে টুকরো টুকরো করে।
ভাঙা বালবের মধ্যে দিয়ে । পেপার ওয়েট বানিয়েছেন?
৪৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৭:৩৬
শামীম আরা সনি বলেছেন: এখানেতো এমন কিসু কথা নাই যে ২৭ এর নিচে হলে পড়া যাবেনা
আমিতো পড়ে ফেললাম
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৫৬
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: এটাই তো আপনাদের সমস্যা বড়দের কথা শোনেন না।
এটা আমাদের ব্যর্থতা
৪৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:৪৬
রানা িসরাজুল বলেছেন: আপনার সাথে তো সবি মিলে গেল
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:০১
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই!!!
৪৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:১৮
কথক পলাশ বলেছেন: লিঙ্ক দিলাম ভাই। এই পোস্টেই বাকিগুলোর লিঙ্ক পাবেন। শেষে দেয়া আছে।
পূর্বাপর
টিভি ঘোষক-ঘোষিকাদের কথাও মনে আছে। মাসুদ আহমেদ, বেবী, রামেন্দু মজুমদার, ইসমাইল হোসেন।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:০৪
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: পড়েছি ভালোলাগলো এবং প্রিয়তে রাখলাম।
হ্যাঁ মনে আছে।
কায়সার..........বা এই রকম নামের একজন ছিলেন। উনি খুব জনপ্রিয় ছিলেন।
৪৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৩৯
'একলা শালিক' বলেছেন: পড়তে পড়তে কখন চোখে পানি আইসা গেল বুঝতেও পারি নাই... বুকে আয় ভাই। (অতি আপন ভেবে তুই করে বলা, খারাপ অর্থে নেবেন না দয়া করে)
বয়সটা হঠাৎ বেশরমভাবে বেড়ে গেছে, কিন্তু পুরনো অনেক নস্টালজিয়াই এখনো রয়ে গেছে, বার বার করতে চেষ্টা করি পুরনো ভালো লাগা গুলো (ভিডিও গেম, ম্যাকগাইভার, হারকিউলিস...), চমৎকার পোস্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:০৬
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: আপনার তুই করে বলাতে ভালোলাগছে।
এখন তুই শব্দটা খুব কম শুনতে পাই। বন্ধুবান্ধব সব প্রোফেশনে ঢুকে গেছি। আপনার মতো বন্ধু পেয়ে ভালো লাগছে।
৪৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৪৪
মোহাম্মদ তারেক হোসাইন বলেছেন: আপনি কি দেখেছেন দূর্গা পূজা, বৈশাখী মেলার আনন্দ?হ
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১৭
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: দেখিনি মানে?
দূর্গা পূজোয় গায়ে রং মেখে প্রতিমার সাথে সাথে ঘুরেছি দশমীর দিনে।
লক্ষি পূজোর প্রসাদ খেতে কত বাড়িতে যেতাম!!!
১৪০০ বঙ্গাব্দে মাকসুদের মেলায় যায়রে..।
বাপ্পি লাহিরীর বন্ধু আমার ভীষন করে মনে পড়ছে।
তারপর মেলায় লটারীতে একটি লাক্স সাবান জিতেছিলাম।
৫০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৫২
আসফি আজাদ বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার মনে আছে রিকশা সাইকেলের স্পোক দিয়ে এক প্রকার বাজি বানানো হতো। মধ্যে বারুদ দিয়ে, টাক দিলে জোরে আওয়াজ হতো।
টিনের পিস্তল ছিলো। লাল কাগজে বারুদ দেয়া থাকতো। ট্রিগার চাপলে আওয়াজ হতো।
মনে আছে টিনের একপদের লঞ্চ ছিলো। ভিতরে তেল ভরে আগুন দিলে পট পট আওয়াজ করে পানিতে চলতো?
sob mone ase...tiner sei lunch ami ekhono mone mone khuji...amar meyederke seidin tara batti dekhilam, desher fele aasa tara batti ami bideshe peye meyeder caite beshi khushi...
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:২১
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: এসব হারিয়ে গেছে ভাই। আমিও খুঁজি।
৫১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:০৫
দেশী মামা বলেছেন: @ লেখক
১৮ নং কমেন্টের উত্তরে বলছেন - " তারপর কিছুদিন পরে "সত্যের মৃত্যু নেই" সিনেমাটি মুক্তি পায়। "
এই ছবিটি ৬ই সেপ্টেম্বর ই মুক্তি পাইছিল
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:২২
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: আমাদের এলাকার হলে ছবিটি কিছুদিন পর এসেছিলো। তাই ভুলে গেছি।
ভুলে যাওয়াই স্বাভাবিক!!!
ধন্যবাদ!!!
৫২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৩৪
অয়োময় বলেছেন: পুরোনো স্মৃতিগুলো যেনো অাবার চোখের সামনে ভেসে উঠল।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০৭
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: এ স্মৃতি স্থায়ী।
কখনও হারাবার নয়!!!
৫৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:০২
চলতি নিয়ম বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন +++ সব গুলোই মিলে গেছে।
মার্বেল খেলার কথা কই?
সাতরে নদী পাড়ি দেয়া? পানিতে ছোয়াছুই খেলা, দুবদিয়ে নদী/পুকুরের তলা থেকে মাটি তোলা?
কে-২, সিজার সিগারেটের প্যাকেট দিয়ে চারা খেলা?
খেজুরের পাতা দিয়ে চরকি বানিয়ে খেজুরের কাটা দিয়ে বাতাসে ঘুরানো?
নারিকেলের পাতার ঘড়ি, চশমা বানানো?
কলাপাতার/ নারিকেলের পাতার/ আমের আটি দিয়ে বাশি বানানো ?
ঘুরি ওড়ানো আর কাটাকাটি খেলা?
১ টাকায় ৪ টা দুধ মালাই !!
ছিপ দিয়ে মাছ ধরা!! আর আসার মাসের প্রথম বৃষ্টিতে যখন পুকুরের কইমাছ ডাঙায় উঠে আসত (যারা দেখেনি তাদেরকে বিশ্বাস করানো যাবে না )
বিটিভিতে সিনেমার মাঝে কয়টা এড দিবে সেটা মুখস্থ থাকত !!
দুপুর ১ টার পরে রেডিও নিয়ে কারাকারি লেগেযেত।
বছরে ১/২ বার স্কুল মাঠে বায়েস্কোপ দেখা (এখন বুঝি সেটা ছিলো পরিবার পরিকল্পনার প্রমোশনাল!!!)
কলেজের ক্লাস ফাকিদিয়ে সালমান শাহ র ছিনেমা দেখা।
হাডুডু খেলার কি যেনো একটা আঞ্চলিক নাম ছিলো, এখন মনেকরতে পারছি না।
গাছ থেকে কাচা পাকা হরেক রকমের ফল পেরে / চুরি! করে খাওয়া !!
আরো কতশত স্মৃতি যা নতুন প্রজন্ম মিস করছে।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১০
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: হুঁ সবই মিলে গেছে!!!
সিনেমার মঝখানে খুব সম্ভবত ৪০টি এড দিতো।
আর বরশি দিয়ে আমি মাছ ধরতে পারতাম না। অন্যরা ধরত আমি দেখতাম।
৫৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:২০
এলোমেলো রকস বলেছেন: তিন গোয়েন্দার নতুন বইয়ের জন্য মাসের শেষ দিনগুলোতে ছটফট করতে থাকা। বনজভির অডিও ক্যাসেট কেনার জন্য বাংলাবাজার থেকে স্টেডিয়াম মার্কেটে হেটে যাওয়া,
এই প্রজন্ম বই পড়ার কথা ভুলেই গেছে...ধন্যবাদ নস্টালজিক করে দেয়ার জন্য।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১২
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: রহস্য পত্রিকার অপেক্ষায় থাকতাম। রহস্য পত্রিকায় কিছু যৌন সমস্যার সমাধান দেয়া হতো। পড়তে বেশ ভালো লাগতো।
৫৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:২৮
রুদ্রনীল আর নীলকষ্ট বলেছেন: আমি ২৫ হয়ে পরে ফেললাম। কিন্তু আপনার বর্ণিত অভিজ্ঞতার অনেকখানিই দেখেছি। খুব দুঃখ হয় যখন গ্রমে গিয়ে দেখি ধানের দিনে ছোট ছেলেরা গুড্ডি উড়ায় না, গোল্লাছুট খেলে না। ভাল লিখেছেন, ভাল লাগলো +++++++++++++++
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:১২
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: সত্যি ভাই আফসুস হয়!!!
৫৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৩৯
মুর্তজা হাসান খালিদ বলেছেন: আহা ! সেই সব দিনগুলি ! সোনালী সময়গুলি
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:১৩
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: আর ফিরবে না সেই সুখের দিন!!!
৫৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৪৭
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: সোজ্জা প্রিয় পোষ্টে। ৮০ এর জেনারেশন এখন পর্যন্ত প্রযুক্তিগত রূপান্তরের সবচেয়ে বৈচিত্রময় পর্বের মধ্যে দিয়ে গেছে। এমনটা ঘটেছে রাজনীতি, সংস্কৃতি, সামাজিক পরিসরেও।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:১৬
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: আমার মনের কথাটি আপনি বলে দিয়েছেন। এটাই সত্য!!!
৫৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৫৬
তাসিম বলেছেন: ভাল লিখেছেন, ভাল লাগল। প্রিয় পোষ্টে।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:১৬
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: ধন্যবাদ!!!
৫৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:১৫
ভাঙ্গা হৃদয় বলেছেন: চিপা দিয়া বাবার পকেট মেরে ভিডিও গেম খেলা...
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:১৯
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: আমার এক বন্ধু ক্লাস সেভেনে থাকতে ১৬০০ টাকা চুরি করে গেমের পিছনে উড়িয়েছে।
ও সবসময় হান্নাকে নিয়ে খেলতো।। ও এখন পাইলট!!!
৬০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৪২
হাবিব০৪২০০২ বলেছেন: লেখককে অনেক ধন্যবাদ একটা সুন্দর বিষয় উপস্হাপন করার জন্য।
আমি কানের গোর দিয়ে বাদ পড়ে গেলাম, জন্ম '৮৬ তে। ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি মন্তব্য করার জন্য-
জেনারেশন টু জেনারেশন মন-মানসিকতায় ভিন্নতা দেখা দিবেই। আমরা বড়দের সম্মান ও শ্রদ্ধা করলেও তাদের বিশেষ করে আমার বাপের প্রজন্মের লোকদের অনেক নিয়ম-কানুন, আচার-আচরন ভাল লাগে নি। যেমন- কোন ফাংশনে জুনিয়ররাই শুধু কাজ করছে আর সিনিয়ররা পায়ের উপর পা তুলে বিড়ি ফুঁকাচ্ছে। সিনিয়র হইছ বইলা তুমি জুনিয়রের সামনে মজা করবা আর জুনিয়ররা সেটা দেখে শুধু হা-হুতাশ করবে। হঠাৎ করে সামনে দিয়ে সিনিয়র কাউকে যেতে দেখে পয়সা দিয়ে কেনা সিগারেট ফেলে দিতে হবে। সিনিয়ররা প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে পারলেও জুনিয়ররা যদি প্রেমিকাকে নিয়ে তাদের সামনে দিয়ে যায় তাহলেই যত আপত্তি।
এখন আর এটা নেই এখন সিনিয়র জুনিয়র সমান সমান। এগুলো যুগের চাহিদা, এগুলো মেনে নিয়েই তাদের সাথে মিশতে হবে, ভাল কিছু শেখাতে হবে। যদি তা না করে আমরা তাদেরকে এড়িয়ে চলি তাহলে তারা ভাল কিছু কার কাছ থেকে শিখবে?
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:১৯
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: ভাই আমার থেকে যিনি বড়। ধরুন একজনের বয়স ৫০ কিন্তু লেখাপড়ায় কম। আর আপনি শিক্ষিত কিন্তু বাস্তব অভিজ্ঞতায় তার সমকক্ষ হতে পারবেন না।
বড়দের কাছে শেখার অনেক কিছু আছে।
জুনিয়ার সিনিয়ার সমান সমান হলে তাহলে তো বাপ ছেলের অভিজ্ঞতা সমান। এটা অসম্ভব!!!
৬১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৫০
হাবিব০৪২০০২ বলেছেন: একটা খেলা আমরা খেলতাম- টুকপলান্তি
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:২১
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: নামটি নতুন শুনলাম। এমনও হতে পারে এই খেলাটিই হয়তো খেলেছি কিন্তু আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় এটার নাম অন্য ছিলো।
খেলাটির একটু বিবরণ দিলে ভালো হতো।
ধন্যবাদ!!!
৬২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:২৪
ঘুির্নঝড় বলেছেন: নারিকেল পাতা দিয়ে ঘড়ি পরেছি।গান শিখেছি।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:২৫
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: ঘড়ি, চশমা, আংটি আরও কত কি?
নারিকেল পতায় বসে অন্যকে টিয়ে টানিয়েছি, গাড়ি গাড়ি খেলা।
৬৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:০৪
টিকলু বলেছেন: আমি সেই দিনে ফিরতে চাই...অবাক করে দিলেন...পুরাই নষ্টালজিয়া
ফাইভে বৃত্তি পাইছিলাম...পুরো এলাকা আমারে নিয়া আলাপ জমাইছিলো...
মেট্রিকে ২টা লেটার পাইছিলাম...সবাই খুশি হইছিল...
২ ব্র্যান্ডের রেডিও...জেমস,মাকসুদের গান এখনো মনে বাজে...
ভালো লাগা থাকলো...
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৩৭
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: আহারে মাকসুদ ভাইয়ের যে জনপ্রিয়তা ছিলো।
মাকসুদ মানে ক্রেজ। রহমান বয়াতিকে নিয়ে ফিটব্যাক একটা গান করেছিলো।
বাংলাদেশ গানটাও অনেক সুন্দর ছিলো।
৬৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:০৪
টিকলু বলেছেন: আমি সেই দিনে ফিরতে চাই...অবাক করে দিলেন...পুরাই নষ্টালজিয়া
ফাইভে বৃত্তি পাইছিলাম...পুরো এলাকা আমারে নিয়া আলাপ জমাইছিলো...
মেট্রিকে(১৯৯৯) ২টা লেটার পাইছিলাম...সবাই খুশি হইছিল...
২ ব্র্যান্ডের রেডিও...জেমস,মাকসুদের গান এখনো মনে বাজে...
ভালো লাগা থাকলো...
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৩৯
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: ট্যালেন্ট ফুল, সেকেন্ড গ্রেড বৃত্তি পরীক্ষা।
কেউ স্টান্ড করলে পেপার পত্রিকায় বাবা মা সহ ছবি।
৬৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:০৩
কারা বন্দি বলেছেন: ঠিক কোন স্মৃতি মনে পড়ে চোখ দুটি ভিজে উঠলো মনে করতে পারছি না। আর ৪ দিনের মধ্যে ২৮ হব।
আসলেই আমরা এখন আর তাল মিলাতে পারছি না। ক্যামন যানি জগতটাকে অনেক দুরের মনে হয়।
কই আমাদের বড়দের সাথে তো আমাদের এত জেনারেশন গ্যাপ নেই। আমরা কেন আমাদের ছোটদের সাথে কিছুতেই তাল মিলাতে পারি না। যতবার চেয়েছি ততবার তালগোল পাকিয়ে ফেলেছি।
নিজেকে কেমন অসংলগ্ন লাগে। মনে হয় আমি অন্য কোন দুর দেশের নয়ত দুর গ্রহের বাসিন্দা।
চিতকার করে কাদতে ইচ্ছে করে মাঝে মাঝে। কি করব, কার কাছে যাব- কে মিলিয়ে দেবে এত্ত বড় জেনারেশন গ্যাপ....!!!
জন্মালাম কোন পরিবেশে, উন্মাতাল কৈশর কাটালাম কোন পরিবেশে ............................. আর এখন এসে পরলাম এ কোন আজব দুনিয়ায়???
লেখক- বলতে পারেন ক্যান এমন হল??? আপনার কিছে কি কোন যুক্তি আছে? আমার আসলেই খুব জানতে ইচ্ছে করে।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর লেখার জন্য.....অনেকদিন পর একটু সময়ের জন্য হলেও তো হারিয়ে গিয়েছিলাম সেই দিনগুলিতে-----------------------শুধুই আমাদের দিন- আমাদের মত করে।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৪৬
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: ব্যাপারটা এতো দ্রুত ঘটছে যে মন খুলে খেয়াল করাই হয়নি।
আমিও ভাবলে খুব দুঃখ পাই।
আমরা কি বুড়ো হয়ে যাচ্ছি?
মূল্যহীন হয়ে যাচ্ছি?
মোটেও না। আমরা গর্বিত প্রজন্ম!!!
৬৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৪১
আমি ইহতিব বলেছেন: কলেজে পড়ার সময় একটা নেশা ছিলো আমার টিফিনের টাকা জমিয়ে অডিও ক্যাসেট বা তিন গোয়েন্দা বা কুয়াশা সিরিজের বই কেনা। আর প্রতিদিন ছোট বোনটার জন্য কোন না কোন চকলেট নিয়ে যেতাম যা ও এখন খুব মিস করে।
আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন ছিলো শিষ্টাচার, এখনকার ছেলেমেয়েদের ভাব দেখলে মনে হয় অন্যকে সম্মান দিতে তাদের অনেক কস্ট হয়।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৪৭
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই।
ভাই বোন ও কাজিনদের জন্য কি যে মায়া।
এখন মোবাইল যোগাযোগ!!!!
সেই উম্মদনা কোথায়?
৬৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫০
ভাঙ্গা হৃদয় বলেছেন: আর একটা জিনিস মনে পড়ে হজমিতে হজমিওয়ালা আগুন জ্বালাইয়া বেচত দুই টাকা দিয়া।কটকটি খাইতাম গ্লাস বেইচা।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৪৯
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: ঐ ফেরিওয়ালাদের ডাকটা খুব সুন্দর ছিলো।
আছে হারি, পাতিল, লোহার কড়াই...........।
ভাঙা কাঁচ টিনের বিনিময়ে কটকটি।
গেঁথে আছে স্মৃতিতে!!!
৬৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:০৯
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: কোকাকোলা কম্পানির ইয়ো ইয়ো আর ফ্রিজবি র কথা মনে আছে? বোতলের ক্যাপের নম্বর মিলিয়ে নিতে হতো। আর পেপসির জেনারেশন নেক্সট টি শার্ট। সেই জেনারেশন এখন ওল্ড জেনারেশন। তখন আমরা ছিলাম আজকালকার ছেলেপেলে!
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৫২
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: ইলিয়াস কাঞ্চনের ছবি সংবলিত স্টার সীগারেটের এ্যাড দোকানে দোকানে শোভা পেতো। সুলতাণী, কারিকর, আকিজ বিড়ির পোস্টার দেখা যেতো।
ইও ইও নিয়ে কত কলা কৌশল। আসলের চেয়ে নকল ইওইও বেশি চলছে। আমি অনেক ভাবে ইওইও নিয়ে খেলতে পারতাম।
শবনাজ নাঈমের চাঁদনী সিনেমার ছবি সংবলিত বলগাম ১টাকা করে কিনতাম।
৬৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৫১
গুল্টু বলেছেন: ১৫-০৬-১৯৮৩ । আপনার লেখা পড়ে হাতের লোম দাড়ায়া গেল।ধন্যবাদ আপনার সুন্দর লেখার জন্য।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৫৩
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: সত্যি ভাই মনটা পড়ে আছে সেই সময়ে।
হাসি আনন্দের দিন বুঝি আর ফিরবে না।
৭০| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:১৯
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: এরোপ্লেন আর ডানলপ টেনিস বল, ৫ নাম্বার ডিয়ার / মিকাশা ফুটবল। মিডস, নিউবেরী ক্রিকেট ব্যাট। ভান্স ব্যাডমিন্টন র্যাকেট এখন কি পাওয়া যায়? নাকি সব ফালতু চাইনিজ প্রোডাক্টে বাজার ভরা।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৪১
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: ডানলপ বলগুলো দারুন ছিলো।
এই ব্রান্ডগুলির নাম এখন ক'জন জানে?
আমি জিপ্পু লাইটার কিনেছিলাম ১৬০০টাকায়, ফুয়েল ১২০।
এখন নাকি ১০০টাকায় জিপ্পু পাওয়া যায়।
প্রথম যখন লেজার লাইট বেড় হয়। কিনেছি ২০০০টাকায়। সিনেমাহলে গিয়ে পর্দায় লেজার মেরেছি। কেউ ধরতে পারে নি।
এখন অনেক কিছুরই মান কমে গেছে।
৭১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:২৪
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: ওরে আসল জীনিসের কথা তো বলতে ভুলে গেছি - বায়োস্কোপ দেখছেন কে কে? সাবানা, রাজ্জাক, ববিতার ছবি থাকতো; বায়োস্কোপের ফোটো দিয়ে দেখতে হইতো। বায়োস্কোপ ওয়ালা চাচা ছন্দ করে বলতে থাকতো - আইসা গেলো ববিতা....।
লাঠি খেলা আসতো, গ্রামে গ্রামে যেয়ে লাঠিয়ালরা খেলা দেখাতো। যাদুকররা আসতো - চাকু খেলা, মাথা কেটে ফেলতো, বালু দিয়ে মুড়ি বানাইতো রে.....।
হাওয়াই পিঠা ছিল টাকায় ৪টা, কটকটি ছিল ভাঙ্গাচুরা জীনিসের বিনিময়ে, আইসক্রিম ছিল টাকায় ৪টা আর ১টা, গুলগুলি ছিল টাকায় ১০টা, আখ ছিল ১টাকা, ২টাকা বা ৫টাকা। আরো ছিলো বাদামটানা, বাতাসা, কালারফুল টিকটিকির ডিম প্রভৃতি।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৪২
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: বায়েস্কোপ একবার দেখেছি ছোট বেলায়।
যাত্রাও একবার।
সার্কাস বহুবার।
৭২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৩১
হাসান মাহবুব বলেছেন: কত কী বলতে মন চাইছে! থৈ পাচ্ছিনা। আবেগাক্রান্ত হলাম। আমাদের জেনারেশনই সেরা। আই মিন ইট! আমাদের সময়ে আবেগ-ভালোবাসা-অনুভূতির সাথে আনন্দদায়ক প্রযুক্তির এক অসাধারণ মেলবন্ধন ছিলো।
অসাধারণ একটি লেখা।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৪৪
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: অবশ্যই আমাদের জেনারেশনই সেরা। আমাদের মতো এত দ্রুত এত পরিবর্তন অন্য কোনো জেনারেশন দেখেনি।
হয়তো দেখবেও না।
৭৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:০১
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: কাজলের কৌতুক মনে আছে?
আমি নতুন জা মা ই, লা জে মরে যাই
আমি নতুন জামাই লাজে মরে যাই বউ এর মিজাজ মিলিটারি
আর যাবোনা শশুর বাড়ী, আর যাবোনা রে।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:১০
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: মনে আছে। কাজলের একটা গান ছিলো- "চন্দ্রঘোনা ফেনী ঈশ্বরদী টাঙ্গাইল.............." এরকম।
ত্রিরত্নের ক্ষ্যাপা, গ্যাস্টিক এ্যালবাম গুলোর কথা খেয়াল আছে?
(চারু, আশরাফ বাবু)
চলছে যত বিনোদনের খবর এখন..
হরি হয়রান গফুরের বেহুদা প্যানপ্যানানী খুব ভালো চলে টিপু সুলতান।
হেলাল আর শামিমের ইঁদুর বিড়াল খেলা..............
বাথরুমে............।
তারপর খালেদ খানের ডায়ালোগ "ছিঃ ছিঃ ছিঃ তুমি এতো খারাপ........।"
৭৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৩৫
সাগর চক্রবতী বলেছেন: বাথরুমে.গান টার ডাওনলোড লিন্ক দিতে পারবেন?
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:১১
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: আমিও খুঁজছি। আশরাফ বাবুর সব এ্যালবামই খুঁজছি।
কারও কাছে থাকলে শেয়ার করার অনূরোধ লইলো।
ধন্যবাদ!!!
৭৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:১৫
তুষার কাব্য বলেছেন: পুরোনো স্মৃতিগুলো যেনো অবার চোখের সামনে ভেসে উঠল।
অসাধারণ একটি লেখা। +++
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৩৪
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: ধন্যবাদ!!!
৭৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:২২
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: লিচুর বিচি দু'ভাগ করে নিচের অংশের মধ্য একটি শলাকা ভরে লাটিম বানিয়েছেন কখনও?
৭৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৬
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: লিচুর বিচির লাটিম আমি দেখছি কিন্তু নিজে বানাইনি। কাঠ আর পেরেকের তৈরি সাধারণ লাটিম আমার ছিল। আমি মাটি থেকে ঘুরন্ত লাটিম তুলে হাতের তালুতে রাখতে পারতাম।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৫৫
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: আমি হাতে নিতে পারতাম না।
আর গাছে উঠতে পারতাম না। অনেক কষ্ট করে ছোট বেলায় একবার কলাগাছে উঠেছিলাম।
ভাই আপনি আমার বন্ধু হবেন?
৭৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:২৯
rasel246 বলেছেন: ভাল লাগল আপনার পোস্ট পড়ে। সেই দিনের কথা গুলো মনে পড়ে গেলো নতুন করে। ১০ টাকা হাতে পেলে ৭ দিনেও শেষ করতে কষ্ট হত। ভাল থাকবেন এবং ভাল লাগা দিয়ে গেলাম।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৩৪
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: ১০টাকার লাল নোট..
১টাকায় তিন হরিন।
আপনার কি মনে আছে যখন দুই টাকার নোট প্রথম বাজারে এলো সেই সময়ের কথা?
৭৯| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:৫৮
কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: ভাইরে কি মনে করায়া দিলেন। আপনার লেখার সবগুলা টিভি অনুষ্ঠানের নিয়মিত দর্শক ছিলাম আমি। খাটের নিচে শুইয়া শুইয়া প্রোগ্রাম দেকতাম কারণ উপ্রে আব্বু বসা থাকত। জানিনা কোন কারণে জানি রেভেন নামে একটা সিরিয়াল ছিলো ঐডা ছিলো আমার সবচাইতে প্রিয়।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৩০
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: জ্বী পোস্টটি দেবার পরে রেভেন সিরিয়ালটির কথা মনে পড়েছে। পরে আর যুক্ত করে দেওয়া হয় নি। মনে করিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ।
হুঁ ভাই সব মনে আছে।
মিস্টেরিয়াস আইল্যান্ডের কথা মনে আছে?
৮০| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৪৩
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: আমিও গাছে উঠতে পারতামনা, কিন্তু আমার দাদা বাড়ীর ছাদ থেকে সুপারি গাছ বেয়ে নিচে নামতাম। দাদা বাড়িটা পুরানো আমলের বিল্ডিং ছিল, দুই তলা হলেও অনেক উচু। তাই গাছ বেয়ে নামতে যেয়ে আমার বুক ছুলে যেত। হাত দিয়ে গাছ জড়িয়ে ধরে সড়সড় করে নেমে যেতাম। এখন ঐ ধরণের বিল্ডং গুলো বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।
আপনার এই সুন্দর পোষ্ট টা বারবার পড়তে যেয়ে আমি আপনার বন্ধু হয়ে গিয়েছি।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৪৯
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: ধন্যবাদ বন্ধু!!!
৮১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৫২
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: দুইটাকার নোট টা প্রথম যেইদিন্ হাতে পাই সেদিনের কথা আমার স্পষ্ট মনে আছে। আমি তখন ক্লাশ ফোর এ পড়ি। ঐ দিনের কথা মনে থাকার কারণ হলো তার আগের দিন আমার বাবার খুব কাছের একজন বন্ধু নিজবাড়িতে আততায়ীর গুলিতে নিহত হয়েছিলেন।
আমি কিছুদিন আগে জানতে পারলাম দুইটাকার ঐ নোট টার ডিজাইনার যশোরের একজন লোক। আমার বাড়ি যশোর।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৫৯
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: অল্প বয়সে বাবাকে হারিয়েছেন শুনে খারাপ লাগছে।
২ টাকার নোট যখন বেড়য় আমিও তখন খুবসম্ভবত ফোরে পড়ি।
১টাকার কয়েন বেড়োনোর পরে অনেক গুলো কয়েন সংগ্রহ করেছিলাম।
৮২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:০৬
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: আপনি ভাই ভুল বুঝেছেন। আমার বাবা না, উনার একজন বন্ধু নিহত হয়েছিলেন ঐদিন।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:১২
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: আমি খুব দুঃখিত ভাই!!!
তাড়াতাড়ি পরতে গিয়ে....................
প্লিজ আমার কথায় কষ্ট নিবেন না।
৮৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪০
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: কোন অসুবিধা নেই ভাই। আমরা যারা ঐ সময়ের প্রজন্ম তাদের সবার জন্য আপনার এই পোষ্ট টা যেন একই মোহনায় এসে মিলে যাওয়ার একটা উপলক্ষ্য। আপনি যে এত কষ্ট করে সবার কমেন্টের উত্তর দিয়ে যাচ্ছেন এইটা খুবি এপ্রিসিয়েট করার মতো একটা ব্যাপার। আপনি পুরো একটা প্রজন্ম কে এক যায়গায় এনে দাড় করিয়েছেন।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫৯
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: পড়ালেখা শেষ হলো অনেক দিন। এখন ব্যস্ততা ভরা জীবন। সাথে যোগ হয়েছে কর্তব্যবোধ।
আমরা যারা উচ্চ মধ্যবিত্ত ফ্যামিলিতে শৈশব পার করেছি তাদের জীবনটা এমনই ছিলো।
আমি আমার ব্যক্তিগত মানুষিক প্রশান্তির জন্যই এই পোষ্টটিতে এতো আবেগঘন মন্তব্যের উত্তর দিচ্ছি।
এখন হয়তো হাতে টাকা আছে কিন্তু সেই সময়ের আব্বু, আম্মু, মামা, নানীর দেয়া একটি লাল দশ টাকার দাম এখনকার সব টাকা দিয়েও হয়তো শোধ করার মতো না। তখন ঐ দশটি টাকা খরচ করে অনেক আনন্দ পেতাম। এখন পাই না।
ভাই আমার কিছু বন্ধু আছে যাদ আমার সাথে কৈশরে ছিলো প্রচন্ড সম্ভাবনাময় ও সবকিছু মাতিয়ে দিতো।
সময়ের দৌড়ে আজ অনেকে কথা বলতেও কিছুটা দ্বিধাবোধ করে। মাংস কিনতে গেলাম কসাই বন্ধুটি কেমন করে যেনো তাকায়। এটা ওর মনের দুর্বলতা। আমি কিন্তু কে কি হল তা মানি না বন্ধু মানে বন্ধু।
তারপরও দেখেন আজ সময়ের ব্যবধানে কতো কতো নতুন পরিচিত লোক মিলেছে। এটাই স্বাভাবিক সেইম ক্লাসের লোকজনের সাথেই সামাজিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
কিন্তু ওদের দেয়া শৈশবের আনন্দ আমরা ক'জন মনে রাখি। সেই প্রতিবেশীর গরিব ছেলেটি যার সাথে একসাথে সাঁতার কেঁটেছি কিন্তু আজ?
জন কিটসের একটি কথা মনে পড়ে গেল- How sad, how bad and how mad it was. But it was sweet.
৮৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৪
কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: জ্বী মিষ্টিরয়াস আইল্যান্ডের জোয়ানা পেনক্রাফট (নায়িকা চরিত্র) এর নাম অনুসারে আমার এক ভাগ্নির নাম জুয়ানা।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৪৭
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: অনেক আকর্ষনীয় ছিলো পর্বগুলো
৮৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০২
সর্ট সার্কিট বলেছেন: অনেক পড়ে পরলাম। পুরোনো কথা মনে করিয়ে দিলেন।
আগে জেনারেশন গ্যাপটা অনেক পরে পরে আসতো, কিন্তু ২০০০-এর পর খুব তাড়াতাড়ি এসেছে।
জেনারেশন গ্যাপটা আগে দাদার সাথে নাতির হত। কিন্তু এইবার আমাদের মধ্যে বড় ভাই এর সাথে ছোট ভাই এর গ্যাপ হয়ে গেছে।
আমার ৮৫-এ জন্ম, আমার কৈশোর কেটেছে এনালগ সিস্টেমে। আর আমার ভাইয়ের ডিজিটাল সিস্টেমে।
আমি মোস্তফা খেলছি মোড়ের দোকানে, ভাই খেলে পিসিতে,
নির্মাণ স্কুল ক্রিকেট নিয়ে স্কুলে স্কুলে মারামারি করেছি, আর উনি IPL খেলে গলা ফাটায়।
আমরা মেয়েদের বেলায় কত সেনসেটিভ ছিলাম, আর উনারা কত অবলিলায় মেয়েদের কথা বলে।
যাই হোক আপনার সাথে সহমত।
পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কি রে হায়
ও সেই চোখের দেখা, প্রাণের কথা, সে কি ভোলা যায়
আয় আর-একটিবার আয় রে সখা, প্রাণের মাঝে আয়
মোরা সুখের দুখের কথা কব, প্রাণ জুড়াবে তায়।
১৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: ধন্যবাদ!!!
৮৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১১
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: পুরানো দিনের কথা মনে হলেই এই পোষ্ট আর কমেন্ট গুলো এসে পড়ে যাই।
৮৭| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০৮
কাওছার ঠাকুরগাঁও বলেছেন: ভাই আমাকে কাঁদাতে পারলেন। অনেক দিন কাঁদিনা, সৃত্মির কোঁঠাটা যে এখনও রঙ্গীন হয়ে আছে দিন গুলো
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪৮
"টুটুল" বলেছেন: দুঃখিত ২৪ হয়ে আপনার লেখা পরে ফেললাম। কিন্তু আপনার বর্ণিত অভিজ্ঞতার ৯০ ভাগই আমি দেখেছি। ভাল লিখেছেন, ভাল লাগলো