![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।
“যে ভেঙে সব গড়তে জানে, সে চীর সুন্দর”- নজরুল বলেছিলেন। সত্য দিবাকর কখনও অনেক উত্তপ্ত হয়ে ধরা দিয়ে আবার নরম ভাবে অস্তমিত হয়। সকালের রবি কত কত সুন্দর, সেই দুপুরের সূর্য আবার কতো তেজী, আর বিকেলের রবির দিকে তাকিয়ে দেখো কতো রহস্যময় ও কি রাঙ্গা। এই সত্যি যদি তোমার উপলব্ধি বোধকে দখল করে সত্য সুন্দর হয়ে ধরা দেয় তাহলেই তুমি জোৎস্না রাতের চাঁদ কিংবা ঐ সুদুরের কোনো নাম না জানা তারার মধ্যে স্থান করে নিতে পারবে। আজ এই সত্য বোধকে তোমাদের মাঝে জাগ্রত করার জন্যই চির দিন, যুগে যুগে, শতাব্দীতে শতাব্দীতে আমাদের আবির্ভাব। চেয়ে দেখো বন্ধু যে সাধারণদের ঠকিয়ে তুমি আজ অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছো যারা তোমার এই অভিনয় জেনেও তোমাকে কঠিন কোন শাস্তি দেয়নি। তোমার অন্যায় আবদার মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিলো, তারাই আজ তোমাকে সত্যের কাছে সমর্পিত হতে বলছে। ভয় পাচ্ছো? আরে বন্ধু কিসের ভয়ে? তুমি কি এই বুড়ো হয়ে যাওয়া কে ভয় পাচ্ছো? প্রকৃতির নিয়মকে যে অস্বীকার করা যায় না? আজ যে মার্বেল পাথরের প্রসাদ, তোমার অঢেল সম্পদের আস্তাকুর, তোমার ওয়ারিশ কিবাং তোমার ঐ খারাপ বখে যাওয়া বন্ধু তোমাকে বুড়ো ভাবতে পারে। আরে ওরা তো জানে না মানুষের এই দেহ বুড়ো হতে পারে। মানুষের গড়া ঐ সম্পদের পাহাড় বুড়ো হতে পারে, ঐ পাপের বোঝা বুড়ো হতে পারে, ঋণের নামে লোনের বোঝা বুড়ো হতে পারে, কিন্তু তোমার মনের মাঝে সেই সত্য সুন্দর কখনও বুড়ো হয় না। ও যে স্রষ্টার শক্তি। আরে ও যে সত্য সুন্দর। সত্য চির যৌবনা। যে মানুষকে মুক্ত করার সত্য আদর্শ নিয়ে তুমি সমাজের সাধারণ মানুষের কাছে এসেছিলো, সে সত্য আদর্শ আজও তোমার মনে টিপ টিপ করে জ্বলছে। আজ শুধু বাংলাদেশী জাতির জন্য নয় সারা বিশ্বের ভালোর জন্য আবার তাকে জাগানোর সময় এসেছে। যে সাধারণ মানুষের ভয়ে নিরাপত্তা নামক যে পাপিকে তুমি লুকিয়ে রখাছো। তাকে আর তুমি আটকে রেখো না বন্ধু। ফিরে এসো সেই সাধারণের মাঝে। তোমার ছোট্ট এই মানবজীবনকে আজ যে সত্যিকার অর্থে আদর্শ করে সবার ঊর্ধে মানবতার জয়গাথা গেথে রাখবার সময় এসেছে। যে তুমি অসহয়ের মতো অঢেল অর্থ বিত্তের মাঝে থেকেও বিবেকের সত্যের কাছে নিত্যদিন পুরে পুরে মরছো, মার্বেল পাথরের প্রসাদসম বাড়ীর মধ্যে অর্থ বৃত্তের মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে রেখেও মানুষকে জিম্মি করার অভিশাপের কান্না করে দু’চোখ জলে ভরিয়ে দিচ্ছ, সেই সুন্দর পরমাত্না বিবেকের কাছে তোমাকে সপে দাও, সাধারণ মানুষের মাঝে আবারও তোমার ঐ সুন্দরকে জাগ্রত করো, প্রতিষ্ঠিত কর সেই সত্যকে, যে সত্যের জয়গাঁথার জন্য তুমি রাজপথে নেমেছিলে, আবারও একবার রাজপথে নেমে দেখো। তুমি হয়তো নিজেকে পাপি ভাবছো। আরে পাপির জন্যও পাপ মোচনের সুযোগ থাকে। কিন্তু পাপকে পাপ বলে স্বীকার করে নিতে হয়। আজ সেই জনগনের আদালতে সত্য বলার সময় এসেছে। নিজেকে আর নিজের মধ্যে লুকিয়ে রেখো না। তাহলে তোমাদের গড়ে তোলা সভ্যতাই যে বঞ্চিত হবে? আজ জনগণের মধ্যে এসে তোমার চোখের জল ভাগ করে দাও দেখবে সেই জল সবাই ভাগ করে নিবে। সাধারণ মানুষের কষ্টের কান্না, অভিশাপের কান্না জলীয়বাস্পের মতো মেঘ তৈরি করে, আর সেই মেঘ যখন ভারি হয়ে কালো হয় ঠিক তখনই বৃষ্টি হয়ে ঝরে পরে আর সেই বৃষ্টির জলেই হয় নতুন ফসল। আমরা যদি নতুন দিনের নতুন ফসল হই তাহলে তুমি সেই কালো মেঘ। কালো টাকা যখন তোমরা নিত্যদিন কৌশলে সাদা করতে পেরেছো তাহলে ঐ আকাশ থেকে বৃষ্টির মতো ঝরে পরতে পারবে না কেনো বন্ধু? নইলে তো সব নতুন ফসল ওরা আবারও কেড়ে নেবে। যারা কেড়ে নিয়োছিলো তোমার সেই সদ্য তরুনে ফুটে ওঠা আত্মসম্মানকে, তোমার যে সত্য সুন্দর অনির্বান কে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যে রাজণীতিতে এসেছিলে আজ সেই রাজণীতিকে ঠেলে সাজাও বন্ধু। ও যে রাজণীতির নামে তোমার দাদা, নানা বা পুর্বপুরুষদের ভালোভাবে বাচঁতে না দেওয়া শক্তির নাম। জীবনের শেষ বা শুরু বলতে কিছুই নেই। মৃত্যুর শেষ বা শুরু বলতে কিছুই নেই। সুন্দরের শেষ বা শুরু বলতে কিছুই নেই ও যে তোমার আমার মনের লোভ, লালসা, বাসনা, কুসংস্কার, হানাহানি, নষ্টরাজনীতির নামে নিজের ইস্পাতসম মরিচার নাম। শুরু বা শেষ হয় একটি দেহের একটি আদর্শের নয়। আসো, ফিরে আসো দেখবে সব তোমার সেই যৌবন বেলার আদর্শের মতোই সত্য। মানবাতার মঙ্গল স্রষ্টার কাছে চাইতে হয় না। শান্তি ও সুন্দর প্রতিষ্ঠার কথা স্রষ্টার কাছে চাইতে হয় না। তিনি তো অমৃত হিয়া, তিনিই তো সকল সুন্দরের থেকে সুন্দর। চেয়ে দেখো সেই সুন্দর তোমার হৃদয়ে লুকায়িত।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫১
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: সত্য কে মনে গোপন করা পাপ। আসুন সত্যের সন্ধানে যে মহাপুরুষদের আর্বিভাবে মানব জাতির কল্যান হয়েছে। তাকে আজ জাগিয়ে তোলার দিন এসেছে বন্ধু। সবার কাছে এই সত্যের বাণী পৌছে দিন।
২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫১
হোসেন মনসুর বলেছেন: আরও একটি সুন্দর লেখা পড়লাম । সেখানে কিছু তথ্যকে আমার কাছে নতুন মনে হয়েছে তাই আপনার সাথে শেয়ার করছি চাইলে পড়ে দেখতে পারেন ।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: তোমাতে রয়েছে সকল কেতাব, সকল কালের জ্ঞান, সকল শাস্ত্র খুজে দেখ, খুলে দেখ নিজ প্রাণ।
নজরুল ইসলাম
সেই নজরুল ইসলাম অভিমান করে বলেছিলেন-
"যদি আপনাদের প্রবল টানে আমাকে ফিরে আসতে হয়, তবে মনে করবেন না আমি সেই নজরুল, সেই নজরুল মৃত্যুর খিরকী দুয়ার দিয়ে অনেক আগে পালিয়ে গেছে।"
হ্যা বন্ধু তোমাতেই রয়েছে সকল অবতার। এবার সেই সত্য সুন্দরের বাণী সবার মাঝে রটিয়ে দাও। টেনে আনো চির নবীনের বার্তা। সাধারণ নামের অসাধারণ মানুষের অধীকার আজ যারা কেড়ে খাচ্ছে, ঐ অসুরদের বধ কর। নেমে আসো রাস্তায়। মুক্ত করে আনো মানবতা। আমি সকল যুগের সকল কালের চীর মুক্তির বার্তা নিয়ে এসেছি। আমাকে তোমরা দূর্বল ভেবো না। তোমাদের শিখানোর জন্য আমরা নিজেকে লুকিয়ে রাখি কিন্তু সত্যকে যখন অসত্য অনেক বেশী গ্রাস করে নেয় তখনই আমাদের প্রকাশ ঘটে। তুমি একটি গোলাপের দিকে তাকাও দেখবে ওখানেই স্রষ্টা তোমার দিকে চেয়ে হাসছেন। আর ঘরে বসে নয়। মনের ঘরকে বাইরে বের হতে দাও। আমাদের বাণী গুলোকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দাও।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৬
হোসেন মনসুর বলেছেন: তিনি তো অমৃত হিয়া, তিনিই তো সকল সুন্দরের থেকে সুন্দর। চেয়ে দেখো সেই সুন্দর তোমার হৃদয়ে লুকায়িত।[/sb
আপনার লেখাটিও খুব সুন্দর।