নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসম্ভবের আত্মপ্রকাশ :: আপনার ভিতরের বাংলাদেশী চেতনাকে জাগিয়ে তাকে বাস্তবায়ন করার সময় এসেছে বন্ধু!!!

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৫

বাংলাদেশী জাতি আজ মহা দূর্যোগে। এক মহাজাগরণের ধামামা চারিদিকে বাজছে। কান খাড়া করে শুনুন। আজ আমার ভাই বোনের রক্ত দিয়ে রাজনীতিবিদরা খেলছে। তবুও তাদের রক্তস্নান শেষ হচ্ছে না। এ কোন খেলা? এ কোন রাজতীতি? বাংলাদেশের ইতিহাস অনেক বড় গৌরবের। এই জাতির মহান স্বধিনতা যুদ্ধের মতো এতো অল্প সময়ে এতো রক্ত আর কে দিয়েছিল! বিশ্বের বুকে আমরা কেনো মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারি নি? আজকের এই রাজনীতি বিদরা কারা? তারা যদি গণতন্ত্রের মধ্য দিয়েই এসে থাকে তাহলে এতো রক্ত কেনো? এতো এতো রক্ত, মৃত্যু, অঙ্গহানী, প্রাণ যাচ্ছে কোন দাবির জন্য। কি এমন জিনিস আমাদের অর্জনের বাকি আছে যার জন্য আজ আমাদের মতো নিরিহ মানুষদের জীবন দিতে হচ্ছে। আজ স্পষ্ট করে বলার সময় এসেছে স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশে কি কখনও গণতন্ত্র এসেছিলো? নাকি কিছু কিছু পরিবার, দূর্ণীতিবাজ, ঘুষ খোর, চাঁদাবাজ, দালাল, ধর্মের নামে ভন্ডামি, শিক্ষিত চোর ও স্বার্থলোভি ব্যাবসায়ীর বলয়ের মধ্যে গণতন্ত্র বন্দি হয়ে আছে। আজ অনেক প্রতিভাধরদের আবেগের সাথে বলতে শুনি ছাত্র রাজণীতি বন্ধ করা দরকার। এই ছাত্র রাজনীতি দেশকে খেয়েছে! আসলে ছাত্র রাজনীতি কি আদৌ আছে। সেই কবে এই ভন্ড প্রতারকরা আস্তে ধীরে ঠান্ডা মাথায় ছাত্র রাজণীতিকে বন্ধ করে দিয়েছেন তা কি তোমরা খেয়াল করো নি? আজ ছাত্র রাজণীতিতে শুধু রাজণীতি আছে, ছাত্র নেই। আজ আর কেউ তার সন্তান কে রাজনীতিবিদ বানাতে চায় না। তারা চায় তাদের সন্তান ডাক্তার হোক, ব্যারিষ্টার হোক, ইঞ্জিনিয়ার হোক, পাইলট হোক তাহলে ছাত্র রাজনীতির নামে এই মা বাবার অবাধ্য সন্তান কারা? কে তাদের অভিভাবক? তাদের অভিভাবক এই রাজনৈতিক নামের পশুটি। তারা তাদের ব্যবসার জন্য, তাদের ব্যাংক ব্যালেন্স পাওয়ার-ক্ষমতা ভারি করতে কিছু মায়ের বুক থেকে সন্তান কেড়ে নিয়ে চাঁদাবাজ, গুন্ডা, জোচ্চোর, ব্লাকমেইলার বানিয়েছে। তাতে এই অবুঝ বাচ্চাদের দোষ কোথায়? আর এই বাচ্চাদের যারা সেল্টার দিচ্ছে তাদের সেল্টার দেয়ার নামে কিছু খারাপ মানুষ আজ রাজনীতির নাম করে পুরো দেশকে রক্তের হলি খেলায় মাতিয়েছে। আজ মানুষের দেয়া আগুনে মানুষ পুরছে। পুরো জাতি হা হা করে দেখছে। আরে বন্ধু দেশই যদি না বঁচে আপনার সন্তান ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ডক্টরেট, ব্যারিস্টার হয়ে কি করবে? এখনকার ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সরকারী চাকুরীজিবিরা কি ধোয়া তুলশী পাতা? পুরো জাতি আজ নিরব হয়ে বসে আছে। বন্ধু তোমার ভিতরের মানুষটিকে জাগিয়ে তোলো। নয়ন তুলে স্পষ্ট করে দেখো একটি পরিবর্তন আসছে। এই মূহুর্তে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ও সেনাবাহিনী দারুন সংকটে। তারা আজ বিশ্বমায়ের কাছে লজ্জিত। বিশ্বময় যে দেশের সেনাবাহিনী দাপোট দেখায়। যে দেশের সেনাবাহীনি অন্য রাষ্ট্রের নিরাপত্তা দেয় সে বাহিনী আজ কেনো চুপচাপ? তারা কেনো এই কসাইদের মেরে তছনছ করছে না? তারা কি বোঝে না এই মুষ্টিমেয় কিছু কুলংঙ্গারদের মেরে ফেললে দেশ থেকে ময়লা আবর্জনা সরে যাবে। আমাদের তরুন সমাজ অনেক বেশী সম্ভাবনাময়। আজ দেশে ভালোমানের ইন্টারনেট সেবা ও আউটসোর্সিং এর বিশ্ব মার্কেট ধরতে পারলে আমরা একটি ধনী রাষ্ট্রে পরিনত হতে পারতাম। আমরা আদর্শের নামে কোন আদর্শের পথে হাটছি? কোন মৃত্যুক্ষুধা আমাদের এই নিরিহ সুন্দর জাতটিকে টেনে হিছরে কামড়াচ্ছে। আজ রাজনীতি এক অভিশাপের নাম। রাজনীতিবিদদের নামে কাদের আমরা মঞ্চে উঠতে দেখছি? আজ কে কামাল আতাতুর্কের মতো কিংবা ডাঃ মাহতির মোহাম্মদের মতো দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এই যুগ অসীম সম্বাবনার যুগ। আমরা যা দেখেছি কোনো কালের মানুষ এতো অল্প সময়ে এতো পরিবর্তন দেখেনি। তাহলে কিসের এই পরিবর্তনের জন্য দৌড়ানো। একই মোরকে দুটি ভিন্ন দল দেশকে তছনছ করছে। কে বলেছে বাংলায় নেতা নেই? কে বলেছে বাংলায় মানুষ নেই? কে বলছে বাঙালী জাগতে জানে না? আজ দেশাত্ববোধের তলে সবাই আসন গ্রহন করলে দেশ ঠিকই সামনে এগিয়ে চলতে বাধ্য। আজ একটা পরিবর্তন আসছে। অনেক দিনের অনিয়মের পরে নিয়ম আসতে বাধ্য। অনেক ভুলের পরে শুদ্ধ হবেই। মানুষের এই ছোট্ট জীবনের কোনো ত্যাগই বৃথা যায় না। আজ কিসের গণতন্ত্রের নামে আন্দোলন হচ্ছে? গণতন্ত্র কি আমার ভাই বোনের রক্ত? এই নষ্ট রাজনীতিবিদদের অনেক দিনের পাপের ফল আজ পুরো জাতির উপর পড়ছে। আমরা না জাগলে কে আমাদের জাগাবে? গনতন্ত্র কি? একবার ভেবে দেখো বন্ধু গণতন্ত্র আজ কাদের হাতে জিম্মি হয়ে আছে। তুমি দেশ নিয়ে ভাবছো? তাহলে তোমার পাশের অত্যাচারি মানুষটির অত্যাচার বন্ধ করা নিয়ে ভাবো দেশ জাগবেই। সাধারণ মানুষের অসাধারণ হয়ে ওঠার নামই গণতন্ত্র। এই অসৎ লোকদের ক্ষমতার দন্দ আর যাই হোক গণতন্ত্র নয়। এখন আর সেই বক্তব্যের যুগ নেই। এখন আর সেই পুরোনো সিস্টেম নেই। নতুন এসেছে। এই আগমনকে প্রাণভরে মেনে নিতে না পারলে আসোল গণতন্ত্র আসবে না। এখন আর কাগজের বইয়ের যুগ নেই। তাই আমার এই কথাটিকে তোমরা যে যেভাবে পারো শেয়ার করে দিয়ো। মৃত্যুর ভয় আমি করি না। যুগস্রষ্টারা কখনও মৃত্যু ভয়ে আতঙ্কিত নয়। আমরা যুগে আসি। এই আগুন নিয়ে খেলা আমাদের বন্ধ করতে হবে। আসো আমরা সব সাধারণ মানুষ জেগে উঠি। কে হিন্দু? কে মুসলমান? কে উপজাতি? আমরা সবাই গর্বিত বাঙালী। এই মুষ্টিমেয় কিছু দূর্ণীতিগ্রস্ত মানুষের জন্য বাংলাদেশ উল্টো পথে হাটবে। অনেক সাধারণ মিলে অসাধারণ হয়। আর সেই অসাধণকে বরণ করে নেবার সময় এসেছে। বাংলাদেশের কয় জন মানুষ মন প্রাণ দিয়ে পলিটিক্যাল পার্টি করে। এই যুগ তথ্য প্রযুক্তির। অন্য সময় হলে হয়তো দ্রুত খবর ছরাতো না। এই যুগ ইন্টারনেটের অবাধ তথ্য প্রবাহের। জীবনের সময় বড্ড কম। অনেক কাজ বাকি পড়ে আছে। একজন একজন করে সবাই জেগে উঠলে পুরো জাতি আজ উন্নত হতে বাধ্য। চেয়ে দেখো গ্রাম গঞ্জের মানুষও আজ কতো সচেতন। যে টাকা দিয়ে আমরা রাজনীতির নামে দূর্ণীতিতে দেশ ভারি হচ্ছে। সেই দেশে ঐ টাকা দিয়ে অনেক গুলো পদ্মা সেতু ও ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেয়া সম্ভব। এই দায়িত্ব আজ আমাদের কাধে তুলে নিতে হবে। জন্ম যখন হয়েছে মৃত্যু হবেই। মৃত্যু নামের পরম বন্ধুটি কোনোদিন বেঈমাণী করে না। আমরা স্বাভাবিক মৃত্যু চাই। আমার মা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। তিনি প্রতিদিন বরিশাল থেকে ঝালকাঠী ১৬ কিলোমিটার পথ বাসে করে যাতায়াত করেন। আমি সকালে আমার মায়ের নামে গড়া মেরী কম্পিউটার্স নামের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে চলে আসি। গত পরশু মা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝালকাঠী স্কুলে গিয়েছেন। মায়ের মোবাইল বন্ধ দেখে আমি কান্নায় ভেঙে পড়েছি। কিসের জন্য এই কান্না? কে সরকার প্রধান হবেন তা আমার জানার দরকার নেই। রাষ্ট্র আমার মা কে কি ভাবে নিরাপত্তা দিবে তা জানার অধিকার আমার আছে। আমি টাকা পয়সা হারালে পাবো। গরিব থাকলে ধনী হতে পারবো। খারাপ থাকলে ভালো হতে পারবো কিন্তু ঐ ভন্ডদের কারণে আমার মায়ের কিছু হলে তাকে কি আর কোনোদিন পাবো। দেশের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে পড়েছে। জন প্রশাসন ভেঙ্গে পড়েছে। তবুও এই ভন্ডদের রক্তের নদীতে সাঁতার দেবার বাসনা কমেনি। জাতির পিতা কে আমি জানতে চাই না। আমার পিতাকে আমি ভালো অবস্থায় দেখতে চাই। আমার বাবার চিকিৎসার ব্যয়ভার আমার বাংলা মায়ের নিতে হবে। কিভাবে নিবে এতো যুক্তি তর্ক আমি মানতে রাজি না। আসুন বন্ধু সকলে ঐ দলের নামে ধান্ধাবাজির বেড়াজাল থেকে বেড় হয়ে আসি। আমার লেখায় কোনো ভুল হলে আমাকে আপনারা ক্ষমা করে দিবেন। বিশ্বাস করুন কোনো নীতি নির্ধারক হতে আমি এই বসুন্ধরায় আসি নি। আমি এসেছি শুধু একটি স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে। আসুন আমরা সবাই মিলে দেশকে সামনে তুলে নিয়ে যাই। আমার দেশের রিকশাওয়ালা লুঙ্গীওয়ালা হকার দূর্ণীতি করে না। বরং ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যারিষ্টার- ডক্টরেটগণ চুরি করেন। আজ দ্রব্য মূল্যের এতো দাম কেনো? মুন্সিগঞ্জে আলু পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নিরীহ চাষী মাথায় হাত দিয়ে কাঁদছে। আর শহরের মানুষ জীবন আতঙ্ক নিয়ে ১০০ টাকা দরে আলু কিনে খাচ্ছে। গোটা সমাজের একটি পরিবর্তন হয়েছে। এই পুরাতন পঁচা রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা আইন দিয়ে এই তরুনদের নষ্ট হতে দেয়া যাবে না। আমরা এমন একটি জেনারেশন উপহার দিতে চাই যারা গর্ব ভরে বিশ্বের বুকে রাজটিকা এঁকে দিতে পারে। আসুন আমরা এই নষ্ট প্রতারক পলিটিশিয়ানদের সরিয়ে দেই। আপনার আমার মধ্যে যে পরম সত্য লুকিয়ে আছে তাকে জাগিয়ে তুলুন দেখবেন আমরা সবাই শৃঙ্খল মুক্ত হচ্ছি। আসুন আমরা সবাই ওদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করি। কিসের এতো অভাব। বাংলার মানুষের কি আজ পেটে খাবার নাই? পরনে কাপর নাই? তাহলে কেনো এই জ্বালাও পোরাও? সবাই যেনো ঘুমিয়ে আছে। যে দেশে বিবেকানন্দ, নজরুল, সুবাস চন্দ্র এসেছিলেন সেই দেশের মানুষ কেনো এতো অসহায় থাকবে? অন্ধকারের পর আলো আসবেই। অনেক দুঃখের পরে সুখ আসবেই। অনেক দূর্ণীতির পর সুনীতি আসবেই। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবেই। বাংলাদেশের মানুষের মেধা আছে। আর মেধা দিয়ে বাংলাদেশ একসময় ধনী রাস্ট্রে পরিনত হতে বাধ্য।



2

দেখো সাধারণ মানুষ আজ অসাধারণ ভাবে জেগে উঠেছে!!!

আমারা যারা সাধারণ মানুষ। আপনারা কেনো বুঝছেন না আমাদের নিয়ে ঐ ভন্ড রাজনৈতিকগণ খেলছেন। তাদের ঐ রক্তের হলি খেলা আজ আমাদের শহর বন্দর গ্রাম রাঙিয়েছে। ঐ নষ্ট রাজনীতি ও দুর্ণীতির কারণে অনেক দিনে জমে যাওয়া ক্ষোভের কালোমেঘ আজ বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ছে। জন প্রশাসন ভেঙে পড়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সরাসরি ক্ষমতা গ্রহণ করতে পারছেন না। কারণ বিশ্বে আমাদের অকুতভয় অনেক সেনা সদস্য কর্মরত আছে। সেনাবাহিনী সরাসরি ক্ষমতা গ্রহন করলে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশী নাগরিকদের অসুবিধা হতে পারে। তাই সেনাবাহিনীকে প্রতিটি পদক্ষেপ চিন্তা ভাবনা করে নিতে হচ্ছে। পর পর কয়েকটি ধাপে খারাপ মানুষদের শেষ করে দেয়া হচ্ছে। প্রথম এলো অপারেশন ক্লিন হার্ট, তারপর ক্রোস ফায়ার, তারপর মঈন ইউ. সমর্থিত ফকরুদ্দীন স্যার। ফররুদ্দীন স্যারের মধ্যমে জনগণকে বোঝানো হয়েছে কেউ আইনের ঊর্ধে নয়। বিদেশে বাংলাদেশী সোনার মানুষরা কষ্ট করে টাকা ইনকাম করে দেশের অর্থণীতিকে সমৃদ্ধ করে চলছে। সাধারণ মানুষ ট্যাক্স, ভ্যাট দিচ্ছে তার সাথে প্রতিনিয়ত অতিরিক্ত যুক্ত হচ্ছে ঘুষ। সাধারণ পণ্য সিন্ডিকেট করে বিক্রি হচ্ছে। সমাজে আজ স্পষ্ট দুটি শ্রেণী তৈরি হয়েছে। এক শ্রেনীতে আছে সাধারণ মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত্ব মানুষ অন্য দিকে আছে মুষ্টিমেয় কিছু রাজনৈতিক দূর্নিতীগ্রস্থ ব্যাসায়ী আমলা। কিন্তু এই মুষ্টিমেয় এই শয়তানরা তাদের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে আজ গন্ডগোল পাকাচ্ছে তার খেসারত দিতে হচ্ছে এই সাধারণ মানুষকে। আমরা যারা সাধারণ মানুষ আজ তারা কাকে নেতা হিসেবে মেনে নিচ্ছি? এই রক্ত চোষা জোঁকদের? যারা গরিব মজুরের রক্তকে মদ বানিয়ে পান করে বিভিন্ন দেশী বেশ্যাদের নিয়ে খেলায় মেতে থাকে। এই মানুষ নামের শয়তানদের হাতের পুতুল হতে কি আমারা এই পৃথিবীতে এসেছি। তাদের ভয় পেলে চলবে না। মৃত্যু হবার আগেই নিজের মনের আকুল চেতনার মৃত্যু হলে তাকে কে বাঁচাবে? বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যে অনেক ত্যাগী বীর আছেন। যারা অন্যদেশে তাদের অবদানকে চির অম্লান করে রেখেছেন। আমাদের সেনাবাহিনীর অবদানের কথা ঐ সব আফ্রিকার সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের কে জিজ্ঞাস করলে তারা তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশে একটুও কার্পন্য করে না। আর সেই সেনা সৈনিকদের পরিবার পরিজন বাবা দাদা যে বাংলাদেশে বাস করে তাদের কেনো এই করুন দশা হবে। তাদের নিরাপত্তা আজ চরম হুমকিতে। আজ সেনাবাহিনী কিছু না করতে পারলে তারা বিমান বন্দর দখল করে তাদের সৈন্য সামন্ত নিয়ে চলে যাক আফ্রিকার দেশে। সেখানে গিয়ে কৃষি বিজ্ঞানীর কাজ করুন। পারবেন না। কারন তারা আমাদের মতো রক্ত মাংসের মানুষ। তারাও ট্যাক্স ভ্যাট দেন। তাদেরও পরিবার পরিজন আছেন। আমাদের মাঝে কি ঐ নোংড়া মানুষগুলো ছাড়া আর কোনো নেতা নেত্রী নেই? নাকি সেই দ্বার অনেকদিন ধরে মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ বন্ধ করে রেখেছে। আসুন আমরা সবাই মিলে এক হই। বাংলাদেশের পতাকার দিকে একবার তাকান। কাদের দখলে ঐ রক্তে অর্জন করা পতাকা? আমরা সাধারণ যখন অসাধারণ একটি স্বাধীনতার ইতিহাস রচনা করতে পেরেছি সেই আমরাই আমাদের নিজের মনের ভিতরের লুকায়িত নেতাটিকে বের করে বিশ্বে মাথা উচু করে উন্নত জাতিতে পরিনত হতে পারবো। বিশ্বের সেরা জাতি আমরা আমাদের পূর্ব পুরুষদের অনেক ভুলের মাশুল আমরা দিয়েছি। তাদের অনেক ঋণ আমাদের শোধ করতে হবে। সেই শোধ করা যদি আমার রক্তের মাধ্যমে হয় তাতেও ভয় নেই। সেই চেতনা নিয়ে সবাইকে নিজ নিজ জায়গায় থেকে কাজ করতে হবে। আর আমাদের পাশে থাকবে আমাদের গর্বিত সামরিক আধা সামরিক বাহিনী। কারন তাঁরা আমাদেরই মতো ঐ মুষ্টিমেয়দের হাতের খেলনা পুতলে পরিনত হয়ে ছে। এ যেনো অনেকদিনের মরিচা পরা কোনো শক্ত ইস্পাত। আসুন আমরা আমাদের মনের ইস্পাতকে জাগিয়ে তাকে শক্তিতে পরিনত করে সামনের দিন গুলো রাঙিয়ে তুলে সুখ সমৃদ্ধিতে। আমরা জেগে উঠবোই। আমাদের কেই আটকে রাখতে পারবে না। কারণ জীবন একটাই। একবার ব্যবহার করা যায় এই জীবন। সেই জীবন যদি সত্য ও সুন্দরকে প্রতিষ্ঠিত করবার জন্য দান করে দিতে হয় সেটাই হবে সুখের মরন। যারা নিজেরা ভালোভাবে বাঁচতে জানে না তারা কিভাবে একটি জাতিকে বাঁচাবে?



অনেক দিন ধরে তৃতীয় শক্তি নামে একটি শক্তির জাগরনের কথা মিডিয়ায় বেশ জোরেশোরেই উচ্চারিত হয়ে আসছে। সেই তৃতীয় শক্তি আসলে কে? সেনাবাহিনী? সেনাবাহিনী জনগনের টাকায় বেতন নিচ্ছে। সকল সেনাবাহিনীর মালিক দেশের সকল জনগন। আজ আমরা যাকে তাকে তৃতীয় শক্তি ভেবে ভুল করছি। ধরুন আপনি কোনো দল করেন না। এবং এটি বেশ জোড়েশোড়েই উচ্চারণ করেন। কিন্তু কথাটি যদি এভাবে হয়, “আমি কোন দলকেই পছন্দ করি না”। হ্যাঁ সত্যি সত্যি পছন্দ করেন কয়জন? মনের সত্যিকে মুখে বলতে কি দোষ? আমরা যে একটি বৃহৎ শিক্ষিত সমাজ সৃষ্টি হয়েছি কিসের জন্য? সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান অবশ্যই ইতিহাসের স্বাক্ষী। তিনিই প্রথম বাংলার নিরিহ মানুষকে জানিয়েছিলেন তৎকালীন পাকিস্তান আর্মিতে কাজ করা বাংলাদেশী সামরিক বাহিনীর সেনা যারা এই বাংলায় আছেন তারা জন সাধারণের পক্ষে কাজ করবেন। আর এই যে, জনগণকে মেজর জিয়া রেডিও সেন্টার দখল করে ঘোষনা দিয়েছিলেন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কথা, সেই জনগনকে তৈরী করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সহ শের এ বাংলা এ কে ফজলুল হক, মাওলানা ভাষানী, সোহরাওয়ার্দী প্রমুখ নেতারা। তাহলে আজকের যে খালেদা জিয়া বা শেখ হাসিনা তারা কারা? কোথা থেকে এলেন? একজন হলেন এক প্রভাবশালী প্রতিভাধর ত্যাগী বীর জিয়াউর রহমানের স্ত্রী আর অন্যজন হলেন এক বিশাল বড় নেতা শেখ মুজিবর রহমানের মেয়ে। যিনি তার আপন ২ ভাইয়ের বিয়ের সময়ে বিদেশে ছিলেন। এখন আমার প্রশ্ন নেতার স্ত্রী কি নেতা হয়? নেতার মেয়ে কি নেতা হয়? তাহলে এরা কারা? এরা হলেন বিশ্ববাজার দখলকারী ব্যাক্তির বাংলাদেশী বাজার থেকে মুনাফা তুলে নেয়ার জন্য কিছু সংখ্যক ব্যবসায়ীর সরাসরি দালাল। সরকারী আর বিরোধী দল নয় তারা সবাই রাজনীতির নাম করে, গণতন্ত্রের নাম করে ব্যবসা করে যাচ্ছে। তাদের সোর্স অব ইনকাম কি? কি এমন কাজ করেন তারা যে এমন বিলাস বহুল জীবন যাপন করছেন? জিয়াউর রহমান কিংবা শেখ মুজিবের আদর্শ বলতে কোনো কথা নেই। আসল কথা মানবতা। সবার আগে মানবতা। সকল ধর্মেই তাওহিদ অর্থাৎ একাত্ববাদে বিশ্বাস করা সবার আগে কর্তব্য। যুগের সাথে আদর্শের পরিবর্তন ঘটে। শুধুমাত্র স্রষ্টা প্রকৃতি ও মানুষ সৃষ্টি করেছেন তাতে বিন্দু পরিমান সন্দেহ নেই। আর প্রকৃতিই সত্যিকারের সচ্ছল। প্রকৃতির কোনো প্রাণী যেমন হাতি, ঘোড়া, বাঘ, সিংহ এমনকি একটি সাপকেও স্রষ্টা তার রিজিক থেকে বঞ্চিত করেন নি। কিন্তু মানুষ যখন স্রষ্টাকে ভুলে নিজের ভাগ্য নিজে নির্ধারণ করতে চায় তখন সমাজের অধঃপতন ঘটে। যেমন করে আগে ঘটেছিলো। যে সময় স্যার সৈয়দ আহমেদ, সৈয়দ আমির আলী, মীর মোশাররফ হোসেনের মতো নেতাদের কথায় এই মাটি কাঁপতো। তৎকালীন মুসলিম সমাজের নেতা ছিলেন তারা। তাদের কথা মানুষ মনে রাখে নি। কিন্তু ঠিক সেই সময় লালন ফকির নামের এক মুসাফির নিজ উদ্যোগে গান লিখেছিলেন যা আজ সবার সম্পদ রূপে পরিগনিত হচ্ছে। কারণ নেতারা ছিলেন সার্থ অন্বেষী, কুচক্রী, দুষ্ট ও মোনাফেক। কিন্তু লালন নিজে একটি আদর্শের জন্ম দেন। ঠিক সেইভাবে বর্তমান সময়ও আমাদের অনেক মেধা পচে গলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দেখার কেউ নেই। সবাই সবার স্বার্থ নিয়ে ব্যাস্ত। বন্ধু এই ভার্চুয়াল জগত থেকে কিছুক্ষণের জন্য বেড় হয়ে আসল জগতে পা রাখুন দেখবেন আমরা ঐ স্বার্থ অন্বেষীদের ঠিকই উচিৎ শিক্ষা দিতে পারবো।



আজ বাংলাদেশ বিশ্বের বিত্তশালী ধনী দেশ সমূহের মার্কেটে রূপান্তরিত হয়েছে। আজ সমাজ অধপতনে যাবে কেনো? আমরা কি পণ্য উৎপাদন করতে পরি না? একটি নতুন আইডিয়া গোটা সমাজকে পাল্টে দিতে পারে। তার প্রমাণ বিশ্বনেতাদের জীবনী। আপনার আমার মতো তরুন বয়সে বিশ্বের অনেক নেতাই সাধারণ ছিলেন পরবর্তিতে তারা তাদের নিজ নিজ আসন পাকা পোক্ত করেছেন। আজ বড় দুঃখের সাথে বলতে হয় বাংলার বিশাল এক জনগোষ্ঠী শিক্ষিত যুব সমাজ যারা সংসারের সম্পদের বদলে আপদ বলে বিবেচিত হচ্ছে। এদেরকে বের করে নিয়ে আসতে হবে। এদেরকে চাকুরী দেয়া রাষ্ট্রের কাজ বা ব্যবসার পথ দেখানো সরকারের কাজ। হিন্দু মুসলমানের মধ্যে অনেক সমাজ সংস্কারক এসেছেন আমরা তাদের মূল্যায়ন করিনি। তাদের আদর্শ থেকে আমরা বিচ্যুত হয়ে গেছি। সমকাল নজরুল কিংবা বিবেকান্দকে মেনে নিতে পারে নি কিন্তু মহাকাল তাদের স্মরণ করছে। কিন্তু তাদের আদর্শ বাস্তবায়ন হয় নি। সত্য যে একবারে প্রতিষ্ঠিত হবে এমন কোনো কথা নেই কিন্তু সত্যের জয় হবেই। যদি এমন একটি সমাজ ব্যবস্থা আমরা সবাই মিলে উপহার দিতাম। যেখানে কিছু কিছু ব্যপার উপস্থাপন করা যায়ঃ এগুলোকে দাবি বললেও ভুল হবে না।

১। বাংলাদেশে ব্যবসা করে এমন প্রতিষ্ঠান যেমন মোবাইল অপারেটর, তামাক জাত দ্রব্য, কিংবা ভোগ্য পন্য বিক্রেতা বিদেশী কোম্পানী বাংলাদেশকে তাদের লাভের ৮০% দিয়ে দিবে যা দিয়ে দেশের উন্নয়ন হবে।

২। লীজ বা ঠিকাদারির নামে কোনো প্রকার রাজনৈতিক চাঁদাবাজি চলবে না। সবাই হবে একটি সরকার ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে। তরুন মেধাবীরা এই সমাজে ঠাঁই পাবে। দালান-কোঠা, ব্রিজ সহ সকল স্থাপনা হবে মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী ও প্লান অনুযায়ী।

৩। দেশে কেউ বাড়িওয়ালা কেউ ভাড়াটিয়া। দুটি পক্ষ ভাড়াটিয়া বলে কোনো কথা থাকবে না। ৪০ বছরের সহজ কিস্তিতে সবাই কমপক্ষে একটি ফ্লাটের মালিক হবে। ৪০ বছর হিসেব করে প্রতি বছর থেকে প্রতি মাস হিসাব করে সহজ কিস্তিতে বাড়ীওয়ালার টাকা পরিশোধ হবে। তাতে করে সমাজের শ্রেণী বিভাদ কমবে। সেই সাথে আত্মবিশ্বাসও বাড়বে।

৪। সরকারী তত্তাবধায়নে বিদেশী আউটসোর্সিং এর কাজ আসবে। তারা তরুনদের টাকা ইনকামের ব্যবস্থা করে দিবে।

৫। সবাই রেশন সুবিধা পাবে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সরকার একটি ব্যবস্থা করে দিবে। তা শুধু সামরিক বাহিনী বা আধা সামরিক বাহিনী নয় আমার দেশের সাধারণ মানুষ সবাইকে রেশন ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।

৬। সরকারী দায়িত্বে সবার চাকুরীর বিধান করতে হবে। সবার রিটার্ডমেন্ট এর ব্যবস্থা সরকার করবে। বেকাররা বেকার ভাতা পাবে। বয়স্করা বয়স্ক ভাতা পাবে। বিয়ের খরচ দিবে সরকার। সরকার চিকিৎসা ভাতা দেবে। দেশে বিনিয়োগ কারী সব ব্যবসায়ী থেকে একটি যুক্তিযুক্ত ট্যাক্স নির্ধরণ করলে সেই খাত থেকে এই খরচ মিটানো সম্ভব হবে।

৭। বুড়িগঙ্গা নদীকে দঃ কোরিয়ার সিওলের আদলে গড়ে তুলতে হবে। যাতে করে বুড়িগঙ্গাও বাঁচে মানুষও বাঁচে।

৮। পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করতে হবে। ঢাকার সাথে দক্ষিন অঞ্চলের সংযোগ নয় বরং দক্ষিণ অঞ্চলের সাথে ঢাকার করার জন্য পদ্মা সেতু হবেই।

৯। সকল বেসরকারী হাইস্কুল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কে সরকারি করতে হবে।

আসুন বন্ধু সবাই মিলে ঐক্য গড়ে তুলি। সবাই আমার লেখাটি সবার মাঝে বিতরণ করে দিন। যাতে করে সবাই একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যেতে পারি। মৃত্যুর পরোওয়া করলে হবে না। আপনার মনের ভিতরে যে শিখা অনির্বান জ্বলছে, আপনার হৃদয়ে যে স্মৃতিসৌধ গড়ে উঠেছে তাতে ফুল দিন। ঐ সব ইট পাথরের স্মৃতিসৌধ ও শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে আর শহীদদের আত্মায় কষ্ট দিবেন না। আন্দোলন চলবেই। সবাই মিলে এক হলে আমাদের কেউ রুখতে পারবে না। বাংলাদেশের মেধা আছে। মেধাকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। বাংলার মানুষ এখন অনেক সচেতন।



3

আজ জেগে ওঠার সময় এসেছে :: আপনার ভিতরেই লুকিয়ে আছে সেই অসম্ভব :: মুক্ত করুন জাতিকে!!!

জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতিনিধি অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর সাহেবের তোড়জোড় ও দৌড়াদৌড়ি দেখে আমার সেই বৃটিশ ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানীর সেই লর্ড ক্লাইভ এর কথা মনে পড়ছে। সেই দিন কি আর এখন আছে বন্ধু!!! বাংলাদেশের একটি মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত, শিক্ষিত সমাজ গড়ে উঠেছে। সেই সাথে অর্ধশিক্ষিত বা সামান্য অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন সাধারণ মানুষকেও এখন কোনো কিছু বুঝিয়ে বললে কিছু না করতে পারলেও অন্তত বোঝে। শুধুমাত্র কিছু রাজনৈতিক নামের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের জন্য এতো এতো মানুষ দূর্ভোগ পোহাবে কেনো? সেই বৃটিশরা কৌশলে আমাদের রক্ত চুষে আজ পর্যন্ত তাদের সাম্রাজ্য ধরে রেখেছে। আগে ওরা ওপেনে করেছে আজ করছে গোপনে। এই জন্যই তো এই গোপন বৈঠক। জেগে ওঠেন বন্ধু। আপনাদের ঘুম ভাঙ্গাতে যুগে যুগে অনেক মহাপুরুষ এসেছেন। আমরা তাদের বুঝিনি। আমাদের দেয়ালে কিংবা কম্পিউটারের কোনো ফোল্ডারে আজ নজরুলের ছবি আছে। রমজানের ঈদে কিংবা কোনো হামদ নাত প্রতিযোগীতায় নজরুলের গান বানী আওড়ানো বেজে উঠছে। কিন্তু আওয়াজ এতো কম কেনো বন্ধু? নজরুলের নামে এভিনিউ হয়েছে। সেই এভিনিউ আজ বাংলাদেশের নিরিহ মানুষের রক্তে রঞ্জিত কেনো বন্ধু? তাহলে তার গান কিংবা তার রচিত লেখা দিয়ে আজ শিঙ্গারার ঠোঙ্গা বানানো হচ্ছে। তাহলে তার প্রেরনা কোথায়। নজরুলকে দিয়ে নজরুলের আদর্শকে বুঝতে হবে। নজরুলের বানী গানে তার লেখনীতে শুধু বাংলাদেশী সব কালের সব জাতির জন্য একটি সুন্দর গাইড লাইন লুকিয়ে আছে। আর এই মহাকালের মহা চেতনা তোমার আপনার হৃদয়ে লুকিয়ে আছে। জ্ঞাণ শক্তি দিয়ে তাকে জাগ্রত করুন। দেখবেন সব ঝকঝকে পরিষ্কার হয়ে চোখের সামনে ভেসে উঠবে। সেই বাঁধন হারা বাধনে সবাই সেই অসীম আত্মার পরম সাধ পাবেন। আসুন আমরা জাগ্রত হই। আমাদের অধীকার অন্য কেউ এনে দিবে কেনো। অন্য কেউ আপনার মুখে খাবার তুলে দিবে। আপানার হাত দিয়ে আপনি খাবার তুলে খান। দেখবেন সেই খাবার আর যাই হোক বি-স্বাদ হবে না। নজরুল আমাদের হাতুরি সাবোল চালাতে বলেছিলেন। আজ আপনারা আপনার হাতের নিচের মাউস কিবোর্ড ছেড়ে কিছুক্ষণের জন্য দু’হাত উচু করে ঐ রাজণৈতিক নামের অভিনেতাদের বুঝিয়ে দিন আমরা আজও আছি। আমাদের মহান পূর্বপুরুষদের সরলতার সুযোগ নিয়ে তাদের জিম্মি করার ফল ভালো হবে না। আপনি যদি না জাগেন, আপনি যদি সত্যকে সত্য আর মিথ্যাকে মিথ্যা স্পষ্ট করে বলতে না পারেন তাহলে অন্য একজন কিভাবে বলবে বন্ধু? আজ সুযোগ এসেছে সেই সুযোগকে কাজে লাগান। আমার হাতে লাঠি নিতে পারছি না। তাই আমি আমার লেখা দিয়ে আপনাদের জাগাবার অবিরত চেষ্টা করে চলেছি। যার হাতে প্রশাসনের লাঠি আছে যার গায়ে বাংলা মায়ের মাটির গন্ধ আছে তিনি তার প্রশাসনের লাঠি সুশাসনের জন্য চালান। দেখবেন সেই অধরা সূর্য আপার হাতের মুঠোয়। আজ কেউ নেতা নয় সবাই আমরা কর্মী। সবাই যার যার বিবেকর কাছে নিজেকে তুলে দিয়ে তুলে নিই সেই মহান দায়িত্ব। বুঝিয়ে দিন কোনো আই ওয়াসে আর কাজ হবে না। কেউ এই জাতটাকে আটকে রাখতে পারবে না। বাংলার আকাশ হবে কলঙ্ক মুক্ত। টাকার গায়ে আমাদের প্রকৃত গুণী জনদের ছবি থাকবে। কারও পারিবারিক খুনের বদলার জন্য পুরো জাতি জিম্মি হতে পারবে না। শুধু ভেবে দেখলে চলবে না বরং এক্সিকিউশন করার সময় এসেছে পুরো জাতি মুক্ত হবে কি করে? আপনি আপনার নব সংগীত দিয়ে নেমে আসুন রাস্তায় দেখবেন আপনার সংগীত ঐ হ্যামিলনের বাঁশিওয়াদের মতো করে টেনে নিয়ে ইদুঁরের মতো ওই মানুষ নামের মূর্তিদের সমূদ্রে ফেলে দেবে কিন্তু আপনার বাচ্চা হারিয়ে যাবার ভয় থাকবে না। এই জাতির আজ অনেক কালের অনেক ঋণ শোধ করার সময় এসেছে। আমরা চাই না আর কোনো বুদ্ধিজীবি শহীদ হোক, আর কোনো বুদ্ধিজীবি টাকার কাছে নিজের ব্যক্তিত্বকে বিসর্জন দিক। আসুন সব সাধারণ অসাধারনের রূপ ধারণ করি। গোল্ডলিফের প্যাকেটে এ কার ছবি দেখতে দেখতে আপনার আমার হৃদয় নিস্তেজ হয়ে গেছে ঐ প্যাকেট ছেড়ে দিয়ে আসুন বাংলাদেশী পন্যের পসরা সাজিয়ে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করে তুলে ধরি। ঘরের মহিলাদের বলছি আপনারা এবার টিভির রিমোট হাত থেকে ছুড়ে ফেলে, স্টার জলসা নামের মায়া জালে বন্দি না হয়ে নেমে আসুন রাস্তায়।

ফিরিয়ে আনুন সুশাসন।



5

ওদের তৈরী করা জেলে ওরাই নিরাপত্তা নিচ্ছে। মানবতার নিরাপত্তা কে দেবে বন্ধু?

আমরা আজ বড্ড অসহায়। কিছু মানুষের কাছে আজ জিম্মি ও বন্দি। তিলে তিলে শেষ হয়ে যাচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষ। সব কিছু ভেজালে ভরা। আর ঘুমিয়ে থেকো না। দেশের জনসাধারণ এখন বড় দুঃসময়ে দিন কাটাচ্ছে। নিরাপত্তা হিনতায় ভুগছে দেশে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর তিলে তিলে গড়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আর প্রশাসন নামের কিছু সাজানো চরিত্রের দাসরা তা চেয়ে চেয়ে দেখছেন। হে বিচারপতি এই বাংলায় যদি প্রকৃত মানুষই না থাকে তুমি বিচার করবে কার? আজ মানবতার কান্না কি তোমার হৃদয়কে নাড়া দেয় না।

ঐ গার্মেট শ্রমিকদের কর্মস্থল জ্বলে পুরে ছাড়খার হওয়াকে তুমি কি ভাবে সহ্য করো? আরে ও তো গামেন্ট নয় বাংলাদেশের ভাগ্য পুড়ছে। হে বাংলার হিন্দু তোমরা এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছো না কেনো? দেখো, দেখো তোমার বাংলা মায়ের সিঁদুর বাংলার সাধারণ মানুষের রক্তে আরও টকটকে লাল হয়ে উঠছে। সেই সিঁদুরের দাম কি তোমরা দিবে না? দেখ রাজনৈতিক নেতা নামের জাতির কলংকরা আজ নিজেরা নিজেদের গ্রেফতার করে প্রটেকশন নিচ্ছে। ভেঙ্গে ফেলো ঐ জেলের তালা, যে জেল সব সয়তানদের নিরাপদ স্থান হয়ে উঠেছে। সাধারণ চোর, ছিনতাই কারী, সন্ত্রাসী দের যারা সৃষ্টি করেছে তাদের জন্য বানানো ঘরেই তারা আশ্রয় যাচছে। তোমরা কেনো এই সহজ অভিনয় বুঝতে পারছো না। কেনো বুঝতে পারছো না ওরা তোমার রক্ত চোষা পয়সায় ঐ কারাগার বানিয়েছিলো। তোমাদের নিরাপত্তা দেবার কথা বলে তারা আজ গণজোয়ারকে ভয় পেয়ে, তাদের ব্যাংক, ব্যালেন্স, বাড়ী, গাড়ী সহকারে নিরাপত্তাও নিশ্চিত করেছে। শেয়ার বাজারের কৃত্রিম ছক তৈরি করে তোমাদের আবারও দাস বানিয়ে রেখেছে। ভেঙ্গে ফেল এই অদৃশ্য হাতের শিকল। মাথা উচু করে দাঁড়াও। দেখো ক্ষমতার ঊষালগ্নে যে নেতারূপী সাবেক সেনাসাশক তার আপন ভাগ্নের রক্তের উপর পাড়া দিয়েছিলো তিনি আজ এদিক সেদিক দৌড়িয়ে মানুষের রাজনৈতিক বিনোদন দিয়ে যাচ্ছে। আর বলি হচ্ছে তোমার আমার স্বজন। স্বজন হারাবার জ্বালা কতোখানি তা যিনি স্বজন হারিয়েছেন শুধুমাত্র তিনিই বুঝবেন। প্রিয় মানুষকে হারানোর ব্যথা অনেক। আজ লক্ষ তরুন তার প্রাণের চেয়েও প্রিয় প্রেমিকাকে জলাঞ্জলী দিয়ে তার জীবনকে অভিষাপে নিয়ে গেছে শুধু মাত্র অর্থনীতির নাম করে ঐ রাজনীতিবিদদের লুটে পুটে ভাগ করে খাবার জন্য। আজ একটু স্থানের জন্য সাধারণ মানুষ কাঁদে আর রাজনীতিকরা মসনদে বসে সবকিছু নিয়ন্ত্রন করছে। জেগে ওঠো বন্ধু। তোমাদের হৃদয়ের মাঝে তোমার যে সুন্দর সত্য নেতা ঘুমিয়ে আছে তাকে জাগ্রত করো। দেখবে হৃদয়ের সব সমাধান খুলে যাবে। নইলে আবার বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে সেই সময়ের ম্যুল্য আর গরু রচনা পড়। সময়ের মুল্য, শৃঙ্খলা, জীবনের লক্ষ্য তোমাদের কেনো পড়ানো হয়েছিল? তোমার গায়ে দামি স্যুট পড়ানোর জন্য লেখাপড়া শিখানো হয় নি। তোমার অধিকার বঞ্চিত শিক্ষক, মা, বাবাদের পয়সা যারা লুটেপুটে খায় তাদের শায়েস্তা করাবার জন্যই শিক্ষাকে কাজে লাগাও। আর বসে থেকো না বন্ধু। এমন মৃত্যু জরা ক্ষুধা দেখে হৃদয় যে আর তর সইছে না। খুলে দাও ওদের মুখোশ। মিডিয়াকে ওদের হাত থেকে মুক্তকরে নিয়ে এসো। ও যে তোমাদেরি সম্পদ!!!



6

তৃতীয় শক্তির জাগরণ:: এসো সবাই মিলে দেশ গড়ি।

কৃতজ্ঞতা জানাই সামহোয়য়্যার ব্লগকে যার কারণে এই মুক্ত স্বাধিন প্লাটফরমে নিজেদের চিন্তা চেতনাকে শেয়ার করতে পারছি। এটা একটি ওয়েব সাইট। যেখানে সবাই যার যার মনের কথা, বা মনের আকাংক্ষা প্রকাশ করতে পারছে। এ যেনো এক মুক্ত স্বাধীন মঞ্চ। ইন্টারনেটের যুগ এসেছে। কোন দেশ ইন্টারনেট আবিস্কার করেছে তা বড় কথা নয় বরং অনেক মানুষের সমন্বয়ে আজ এই ইন্টারনেট ভুবন রাঙিয়েছে। এটা কোনো দেশের একক কৃতিত্ব বললে ভুল হবে। আপনাকে বুঝতে হবে এই ইন্টারনেট মানুষ আবিষ্কার করেছে। সব কৃতিত্ব মানুষের। মানুষ মানুষকে পণ্য করছে আমরা গানে শুনেছি কিন্তি বুঝতে পারি নি কিভাবে, তাই না? এখন বোঝার সময় এসেছে। মানুষ নিজের প্রয়োজনে চাকু আবিস্কার করেছে। সেই চাকু দিয়ে মানুষ মানুষকে ধ্বংস করছে। এখান কথা হল ইন্টারনেট একটি মাধ্যম যা আজও অনেকটা স্বাধীন মিডিয়া। কিন্তু বাস্তব মিডিয়ার কুফল আজ আপনাদের চোখের সামনে। শুধু মাত্র কিছু ব্যাক্তি ক্ষমতার নাম করে আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ফেলেছে। ওরা বুঝছে না যে আমরা ঐ কুশিলবদের চিনে ফেলেছি। এ সেই টিপ সহি দেবার যুগ না। যে সাধারণ জনগনের কাছ থেকে সামান্য একটি বুড়ো আঙ্গুলের কালি লাগিয়ে সব কিছু লিখে নিয়ে আমাদের উপর শাসনের নামে অত্যাচার করবে। সাধারণ মানুষ আজ অনেক বেশী বলিয়ান তারা বুঝতে শিখেছে। সমস্ত প্রিন্ট ও টিভি মিডিয়া ওদের দখলে। ওরা যা দেখাচ্ছে আমরা শুনছি, ওরা যা বোঝাচ্ছে আমরা বুঝছি, ওরা যা জানাচ্ছে আমরা জানছি। এ কেমন কথা আমাদের ভাগ্য লেখবার ওরা কারা? আমাদের ভাগ্য স্রোষ্টা লিখে রেখেছেন। যিনি সত্য কথা বলেন তার মৃত্যু আছে কিন্তু সত্যের কখনও মৃত্য নেই। সত্য সত্যই। জ্ঞাণীর মৃত্যু আছে কিন্তু জ্ঞানকে কে মারবে বন্ধু? ওরে জ্ঞান যে স্রষ্টার সৃষ্টি, ওরে সত্য যে স্রষ্টার সৃষ্টি, মানব সৃষ্ট কোনো ধ্যান জ্ঞান দিয়ে একে মাপা যাবে না। আজ প্রযুক্তির উন্নতি ঘটেছে কিন্তু মন থেকে শান্তি উঠে গেছে। শান্তি থাকতো যদি আমাদের কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রাষ্ট্র নিত। আমাদের বঞ্চিত করে ওরা ঠিকই ভালো আছে। নিজেকে দুর্বল ভাবছো কেনো বন্ধু? তোমার হাতেই তো তোমার পথ খোলা আছে। আজ হৃদয়ের সকল বাঁধ ভেঙ্গে দাও। তুমি যদি একজন চ্যানেলের ক্যামেরাম্যান হও তাহলে তুমি যে চ্যানেলে চাকুরী কর সেই চ্যানেলের মালিকের কথা না শুনে নিজের চোখের সামনের সত্যকে জনগনের সামনে নিয়ে আসো। মানুষ তোমাকে ঠিকই মেনে নিবে। তুমি যদি পত্রিকার সম্পাদক হও ভেঙ্গে ফেল সেই মালিক নামের জানোয়ারের কাচ দিয়ে ঘেরা দেয়াল। তুমি যদি সেনাবাহিনির প্রধান হও তোমার অবস্থানে তুমি ঠিক থাকো। দেখবে এই দেশ ঠিক হয়ে গেছে। বন্ধুগণ মিডিয়া আজ রাজনৈতিক নেতা নামের ঐ তথাকথিত সুবিধাবাদি মানুষের হাতে বন্দি। তাকে মুক্ত করা তোমার আমার সকলের দায়িত্ব। বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার প্রেস ক্লাব ঘেরাও করে ফেলো আমাদের মনের কথা প্রিন্ট হলে সেই পেপার সবার মাঝে বিলিয়ে দিও। দেশের একজন পেপারওয়ালা হকারেরও অনেক দায়িত্ব। তুমি মানুষের দারে যে সত্য পৌছে দাও। কিন্তু দেখো আমাদের টাকায় ওরা বড় বড় বিলাশবহুল গাড়ীতে চলে। যে চিরসত্য তোমার হৃদয়ে আছে তাকে সবার সামনে মেলে ধর। তোমার হাতে গিটার থাকলে তাতে সত্যের সুর বাজাও। আঘাত না করলে ঐ গিটার বাজবে বন্ধু। তাই এই পুরোনো সিস্টেম ভেঙ্গে দাও। তোমার মনের সত্যিটাকে সবার মাঝে প্রকাশ করো দেখবে জনগন তোমাকে ঠিকই মেনে নিবে। তোমাদের কথা বলতে গিয়ে আমার যদি মৃত্যুও হয় তাতে অন্তত সত্যের মৃত্যু হবে না। আমার উপর গোয়েন্দা গিরি বাড়ছে। আমি তোমাদের জাগাতে এসেছি বন্ধু। আগে এই গুলো বলার সুযোগ পাই নি। আজ সকল বাঁধ ভেঙে গেছে। আমি একসময় টেকটিউনস নামের ট্যাকনিক্যাল ব্লগ সাইটে লিখে সামান্য পরিচিত হতে চেয়েছি। কতটা পেরেছি তোমরাই ভালো জানো। আমাকে তোমরা হাজার গালি দাও তবু্ও তোমাদের গান গেয়ে যাবো আমি। আমার লেখনী তোমাদের মনে আঘাত দিলে আমায় ক্ষমা করে দিও। বিশ্বাস করো আমি তোমাদের নেতা হতে আসি নি, আমি তোমাদের অধিকার আদায় করতে এসেছি। এজন্যই আমার আদম্য পথ চলা। তোমার পাশে একটি প্রিন্টার থাকলে তাতে আমার লেখাটি প্রিন্ট করে সাধারণ মানুষকে পড়তে দাও। তোমার কারণে যদি ১টি মানুষও সচেতন হতে পারে তাহলে পুরো জাতিই সচেতন হবে। ঐ এয়ারপোর্টে আগুন দিয়ে দাও। ঐ এয়ারপোর্ট জনগণের সম্পদের নামে ওরা দখল করে রেখেছে। আর আমাদের কৃষক, শিক্ষক, সাধারন পুলিশ, আর্মি দের তরুন ছেলে সন্তান দিয়ে এগুলোকে পাহারা দিচ্ছে। আসো আমরা সবাই মিলে সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করি। আমাদের অধীকার আমরা আদায় করে নি। ঐ আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখো কবি নজরুল, রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিবেকানন্দ, সূর্যসেন, শের এ বাংলা, সরওয়ারর্দী, নেতাজী সুবাস চন্দ্র বসু, বঙ্গবন্ধু, বীর উত্তম জিয়াউর রহমান, জাহানারা ইমাম, কর্নেল তাহের, সিরাজ শিকদার প্রমূখ নেতার আত্মা আজ আকাশের তারা হয়ে তোমাকে আদেশ করছে সত্যকে প্রতিষ্ঠা করতে। এয়ারপোর্ট যদি জনগনের সম্পদ হতো তবে আমাদের সবার অধীকার থাকতো ঐ প্লেনে চরার। নেতা নেত্রীরা কার টাকায় প্লেনে চলছে যিনি জমি বিক্রি করে তার সন্তানকে বিদেশে পাঠাতে গিয়ে টাকাও গেছে ছেলেও বখাটে হয়ে গেছে। ঐ বাপের দায়িত্ব কে নেবে বন্ধু? এ যে অনেক দিনে পাপ। আমার মনের কথা লেখার মাঝে তোমাদের কাছে তুলে দিলাম। তোমরাই পারো এই অদৃশ্য শিকল ভাঙতে। আজ তোমার টাকা দিয়ে নেতা নেত্রীরা নিত্য নাটক রচনা করছে আর সেই নাটকের একটি কমেডি টাইপের ক্যারেক্টারের টেনিস বলের মতো বাড়ি খাওয়াকে কেন্দ্র করে তোমরা তোমাদের জীবনের মূল্যবান সময় মিডিয়ার পিছনে নষ্ট করছো। এসো সবাই এক হই। আজ সবাই নেতা। এই দেশ তোমার আমার সবাই। ফুটবলে আজ বাংলাদেশ বিশ্বকাপে থাকার কথা? কিন্তু ঐ নোংড়া পলিটিক্সের জালে ফুটবল ধ্বংস এক কংকালে পরিনত হয়ে ছোট দেশের সাথেও আমরা হারছি। এ কেমন কথা? আর চুপ চাপ বসে থেকো না বন্ধু এ দেশ তোমার দেশ। এই দেশ আসলে গরিব না। আমাদের গরিব করে রখা হয়েছে। এসো সবাই মিলে সংগবদ্ধ আন্দোলন শুরু করি। কোন দল তা বড় কথা নয়। দলের চেয়ে আমার মা বড়। আমার মা, বাবা, বোনের জীবনের নিরাপত্তা থাকবে না, আর ওরা আমাদের সম্পদে স্বর্গসম বাড়ীতে থাকবে। পাঠ্য পুস্তকে নজরুলের “যৌবনের গান” প্রবন্ধটি সংক্ষেপিত আকারে পড়ানো হয় কোনো? কোথায় সেই সত্যি কারের প্রবন্ধ? কোথায় সেই চেতনা। আমাদের জানতে না দিলে জানবো কিভাবে। তোমার ভিতরের মানুষটাকে আজ জাগিয়ে তোলো বন্ধু। দেখবে সব ঠিক হয়ে গেছে।



বাংলাদেশে কেনো বৃটিশ আইন বলবৎ থাকবে? বাংলাদেশের ছেলেরা কি বৃটেনে গিয়ে আদালত চালাবে? বাংলাদেশের জন্য বাংলাদেশে ব্যারিষ্টারি থাকবে। ঐ ব্যারিষ্টার নামের বিদেশী দোসরদের আগে বিচার করুন। তাই তো সলিল চৌধুরী গেয়েছিলেন “বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা আজ জেগেছে এই জনতা।” ক্ষুদিরামের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। ক্ষুদিরাম শুধুমাত্র কোনো ইংরেজের গায়ে আক্রমন করেনি। ক্ষুদিরাম চেয়েছিলেন পুরো একটি জাতিকে ভালোভাবে বাঁচানোর জন্য জীবন একটি বিশেষ শ্রেণীকে সমাজ থেকে তুলে দিতে। আজও সেই শ্রেণী তোমার আমার রক্ত চুষে খাচ্ছে বন্ধু!!! ওরা ধরা ছোয়ার এতো বাইরে চলে গেছে যে দেখা করতেও এপার্টমেন্ট লাগে। হায়রে অভাগা জাতি। আজ জাগার সময় এসেছে জাগো।







7

সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করার দিন এসেছে : : হৃদয়ের সত্য গোলাপের সুঘ্রান সবার মাঝে ছড়িয়ে দাও।

চেয়ে দেখো আকাশে আজ নতুন জাতীয় পতাকার ভিতরের রক্তলাল সূর্যে মতো করে জেগে উঠেছে। রঙ্গীন ঘোর দিয়ে যারা আমাদের নিজের দিবাকরকে সান বানিয়ে রেখেছিলো তারা আজ চিন্তিত। কিন্তু আমাদের মাথার উপর যে নজরুলের হৃদয় দিয়ে সম্মান করা কবিন্দ্র রবিন্দ্রনাথ নামের চীর সত্য “রবি”কে পুস্তকে কিংবা কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কোনো রাজনৈতিক দলভুক্ত দালালদের বক্তৃতার মধ্যে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছিলো। যিনি লিখেছিলেন সভ্যতার সংকট। সেই পরম রবির আদর্শই আজ তোমার আমার ও জনসাধারনের হিয়ায় বিষের বাঁশীর মতো বেজে উঠছে। তাতে আজ একটি মাত্র সুর বেজে উঠছে এই আধুনিক ও নতুন ভার্সনের আবুজাহেল, রাবন দের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সময় এসেছে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ), ইমাম হোসাইন, মুসা, মুসলিম জাতির পিতা যে আবু জাহেল, এয়াজিদ, ফেরাউন, নমরুদ লাঞ্চনা ও খেলার পাত্র মনে করে ছিলেনছিলে। আমাদের প্রিয় নবী মোহাম্মদ (সঃ) কে তৎকালীন সমাজ পাগল ভেবে গায়ে পাথর মেরে ছিলো। ইমাম হাসানের সত্য ও ন্যায্য ধৈর্যের কাছে আজও এই নিখিল বিশ্বের সকল সৃষ্টিকে খেলনার মতো মনে হয়। তারা যে ঈশ্বর প্রেরীত বানী নিয়ে এসেছিলো তারা যে মানবতার ঊর্ধে যে পরম পিতা ঈশ্বরের স্থান তারই প্রমাণ দেখিয়েছেন। আজ নিখিল বিশ্ব তাদের মেনে নিয়েছেন। রাবনের মায়াবি জাল ফেলে সিতার পিছনে সোনার হরিণ লাগিয়ে যে রাম কে রাবন পারিবারিক বলয়ে আবদ্ধ করে রাখতে চেয়েছিলো। সেই রাম যে রাবনের এতো বড় সম্রাজ্য ভেঙ্গে দেবার জন্য জন্মেছিলো তা রাবন ঐ সিংহাসনে বসে বোঝে নি। আজ এই রাজনৈতিক নামের আবুজাহেল ও রাবন এর সাম্রাজ্য ভেঙে দেবার সময় এসেছে। ভেঙ্গে দাও ঐ রাজনৈতিকদের অট্টালিকা সম বাড়ী। যা ওরা শুধু তোমাকে আমাকে ধোকা দিয়ে নয় তার সাথে তোমার আমার পিতা, পিতামহদের রক্ত চুষে গড়ে তুলেছিলো। আজ কাকে তুমি রিকশাওয়ালা, মজুর, শ্রমিক বা চাষি বলে এরিয়ে যাচ্ছো? আরে বন্ধু তাকিয়ে দেখো তোমার আমার এক দু’পুরুষ আগের মানুষদের প্রতিচ্ছবি এই সাধারণ। তাদের ঋণের জালে বন্দি করে, জমিজমা সংক্রান্ত বিবাদ ও দেওয়ানী ও ফোজদারী মামলার নাম করে যে উকিল ব্যরিষ্টার, ম্যাজিষ্ট্রেটরা, জজ, বিচারপতি, রাজনৈতিক নামের সুবিধাভোগীদের ঐ রক্তে গড়া সম্পদের প্রতিটি সম্পদের হিসাব আজ সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। বাংলার প্রশাসন, বাংলার আর্মি, বাংলার আধাসমরিক বাহিনী তথাকথিত রাজনৈতিক মদদপুষ্ট বুদ্ধিজীবি নামের পরজীবীদের আজ জনগণের কাঠগোড়ায় এসে জবাব দিতে হবে। বন্ধু এই সাধারণ মানুষের রক্ত দেখে আর যে নিজেকে ধরে রাখতে পারছি না। মনে পরছে তোমার আমার নানা নানীদের কথা। এতো তাড়তাড়ি কিভাবে ভুলে গেলে সবকিছু। রাজনৈতিক জনপ্রসাসন ও সামরিক বাহিনীকে আমি স্পষ্ট ভাবে বলে দিতে চাই তোমাদের যখন এতো রক্ত ঝড়াবাড় ইচ্ছে। আমাকে মারো কিন্তু সাধারন মানুষকে আর মেরো না। ওরা যে তোমার আমার পূর্বপুরুষদের প্রতিচ্ছবি। ওরা যে নিস্পাপ!!! বন্ধু!!! এই জীবন এই শরীর আমায় আল্লাহ্ দিয়েছে। হয়তো তোমরা আমার শরিরকে ছিন্ন ভিন্ন করে দিতে পারবে কিন্তু আমার হৃদয়ে জ্বলে ওঠা যে সত্য সুন্দর পরমআত্মা বিরাজ করছে, যে নীতি আমার মাঝে বিরাজিত, যে আদর্শকে আমি লালন পালন করে আজ তোমাদের সামনে তুলে ধরেছি তাকে তোমরা কিভাবে ছিন্ন ভিন্ন করবে। ও যে সত্য? ও যে চিরশান্তির প্রতিরূপ, ও যে তোমার আমার সকলের মাঝে লুকায়িত সত্য। তাকে আজ জাগ্রত করার সময় এসেছে। আর বসে থেকো না। এবার জেগে ওঠো। তোমরা কেনো বুঝছো না। আর একবার বাঙালী সচেতন হলে এ বিশ্ব ভিসা মুক্ত হবে। বাংলার মানুষ বুঝিয়ে দেবে পাসপোর্ট ভিসার নামে পৃথিবীকে ভাগ করা হয়নি। হয়েছে শুধু কিছু শ্রেণীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। আসো এ চির সত্য সুন্দরকে সবার মাঝে জাগ্রত করি। মানবতা ও মুক্তির বানীকে তোমরা ছড়িয়ে দাও। তোমার ভিতরের শক্তিকে তোমরা তোমার পথ চলার প্রেরণা করে সবার মাঝে ছড়িয়ে দাও। আমরা যে বিশ্ব মায়ের সন্তান। আর বিশ্বমাকে যারা চালাচ্ছেন তারা আমার বাংলা মায়ের অধিকার হরন করে তাকে গরীব সাজিয়ে রেখেছে। তোমার মায়ের মুখের দিকে একবার তাকাও। তোমার বাবার জীবন সংগ্রামে বেঁচে থাকাকে একবার কল্পনা করো, দেখবে তোমার হৃদয় এমনিতেই গোলাপের মতো প্রষ্পুঠিত হবে। আর তোমার সেই গোলাপের সুঘ্রাণ ছড়িয়ে যাবে সবার মাঝে। গোলাপ আর সত্য দুটুই যে স্রষ্টার সৃষ্টি। সেই সত্য গোলাপ তোমার হৃদয় নাড়া দিবেই।

জাগাও সেই সুন্দরকে। অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলো। মানুষের মাঝে ফিরে এসো সত্যসুন্দর হয়ে।

“যে ভেঙে সব গড়তে জানে, সে চীর সুন্দর”- নজরুল বলেছিলেন। সত্য দিবাকর কখনও অনেক উত্তপ্ত হয়ে ধরা দিয়ে আবার নরম ভাবে অস্তমিত হয়। সকালের রবি কত কত সুন্দর, সেই দুপুরের সূর্য আবার কতো তেজী, আর বিকেলের রবির দিকে তাকিয়ে দেখো কতো রহস্যময় ও কি রাঙ্গা। এই সত্যি যদি তোমার উপলব্ধি বোধকে দখল করে সত্য সুন্দর হয়ে ধরা দেয় তাহলেই তুমি জোৎস্না রাতের চাঁদ কিংবা ঐ সুদুরের কোনো নাম না জানা তারার মধ্যে স্থান করে নিতে পারবে। আজ এই সত্য বোধকে তোমাদের মাঝে জাগ্রত করার জন্যই চির দিন, যুগে যুগে, শতাব্দীতে শতাব্দীতে আমাদের আবির্ভাব। চেয়ে দেখো বন্ধু যে সাধারণদের ঠকিয়ে তুমি আজ অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছো যারা তোমার এই অভিনয় জেনেও তোমাকে কঠিন কোন শাস্তি দেয়নি। তোমার অন্যায় আবদার মেনে নিতে বাধ্য দেখে ছিল, তারাই আজ তোমাকে সত্যের কাছে সমর্পিত হতে বলছে। ভয় পাচ্ছো? আরে বন্ধু কিসের ভয়ে? তুমি কি এই বুড়ো হয়ে যাওয়া কে ভয় পাচ্ছো? প্রকৃতির নিয়মকে যে অস্বীকার করা যায় না? আজ যে মার্বেল পাথরের প্রসাদ, তোমার অঢেল সম্পদের আস্তাকুর, তোমার ওয়ারিশ কিবাং তোমার ঐ খারাপ বখে যাওয়া বন্ধু তোমাকে বুড়ো ভাবতে পারে। আরে ওরা তো জানে না মানুষের এই দেহ বুড়ো হতে পারে। মানুষের গড়া ঐ সম্পদের পাহাড় বুড়ো হতে পারে, ঐ পাপের বোঝা বুড়ো হতে পারে, ঋণের নামে লোনের বোঝা বুড়ো হতে পারে, কিন্তু তোমার মনের মাঝে সেই সত্য সুন্দর কখনও বুড়ো হয় না। ও যে স্রষ্টার শক্তি। আরে ও যে সত্য সুন্দর। সত্য চির যৌবনা। যে মানুষকে মুক্ত করার সত্য আদর্শ নিয়ে তুমি সমাজের সাধারণ মানুষের কাছে এসেছিলো, সে সত্য আদর্শ আজও তোমার মনে টিপ টিপ করে জ্বলছে। আজ শুধু বাংলাদেশী জাতির জন্য নয় সারা বিশ্বের ভালোর জন্য আবার তাকে জাগানোর সময় এসেছে। যে সাধারণ মানুষের ভয়ে নিরাপত্তা নামক যে পাপিকে তুমি লুকিয়ে রখাছো। তাকে আর তুমি আটকে রেখো না বন্ধু। ফিরে এসো সেই সাধারণের মাঝে। তোমার ছোট্ট এই মানবজীবনকে আজ যে সত্যিকার অর্থে আদর্শ করে সবার ঊর্ধে মানবতার জয়গাথা গেথে রাখবার সময় এসেছে। যে তুমি অসহয়ের মতো অঢেল অর্থ বিত্তের মাঝে থেকেও বিবেকের সত্যের কাছে নিত্যদিন পুরে পুরে মরছো, মার্বেল পাথরের প্রসাদসম বাড়ীর মধ্যে অর্থ বৃত্তের মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে রেখেও মানুষকে জিম্মি করার অভিশাপের কান্না করে দু’চোখ জলে ভরিয়ে দিচ্ছ, সেই সুন্দর পরমাত্না বিবেকের কাছে তোমাকে সপে দাও, সাধারণ মানুষের মাঝে আবারও তোমার ঐ সুন্দরকে জাগ্রত করো, প্রতিষ্ঠিত কর সেই সত্যকে, যে সত্যের জয়গাঁথার জন্য তুমি রাজপথে নেমেছিলে, আবারও একবার রাজপথে নেমে দেখো। তুমি হয়তো নিজেকে পাপি ভাবছো। আরে পাপির জন্যও পাপ মোচনের সুযোগ থাকে। কিন্তু পাপকে পাপ বলে স্বীকার করে নিতে হয়। আজ সেই জনগনের আদালতে সত্য বলার সময় এসেছে। নিজেকে আর নিজের মধ্যে লুকিয়ে রেখো না। তাহলে তোমাদের গড়ে তোলা সভ্যতাই যে বঞ্চিত হবে? আজ জনগণের মধ্যে এসে তোমার চোখের জল ভাগ করে দাও দেখবে সেই জল সবাই ভাগ করে নিবে। সাধারণ মানুষের কষ্টের কান্না, অভিশাপের কান্না জলীয়বাস্পের মতো মেঘ তৈরি করে, আর সেই মেঘ যখন ভারি হয়ে কালো হয় ঠিক তখনই বৃষ্টি হয়ে ঝরে পরে আর সেই বৃষ্টির জলেই হয় নতুন ফসল। আমরা যদি নতুন দিনের নতুন ফসল হই তাহলে তুমি সেই কালো মেঘ। কালো টাকা যখন তোমরা নিত্যদিন কৌশলে সাদা করতে পেরেছো তাহলে ঐ আকাশ থেকে বৃষ্টির মতো ঝরে পরতে পারবে না কেনো বন্ধু? নইলে তো সব নতুন ফসল ওরা আবারও কেড়ে নেবে। যারা কেড়ে নিয়োছিলো তোমার সেই সদ্য তরুনে ফুটে ওঠা আত্মসম্মানকে, তোমার যে সত্য সুন্দর অনির্বান কে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যে রাজণীতিতে এসেছিলে আজ সেই রাজণীতিকে ঠেলে সাজাও বন্ধু। ও যে রাজণীতির নামে তোমার দাদা, নানা বা পুর্বপুরুষদের ভালোভাবে বাচঁতে না দেওয়া শক্তির নাম। জীবনের শেষ বা শুরু বলতে কিছুই নেই। মৃত্যুর শেষ বা শুরু বলতে কিছুই নেই। সুন্দরের শেষ বা শুরু বলতে কিছুই নেই ও যে তোমার আমার মনের লোভ, লালসা, বাসনা, কুসংস্কার, হানাহানি, নষ্টরাজনীতির নামে নিজের ইস্পাতসম মরিচার নাম। শুরু বা শেষ হয় একটি দেহের একটি আদর্শের নয়। আসো, ফিরে আসো দেখবে সব তোমার সেই যৌবন বেলার আদর্শের মতোই সত্য। মানবাতার মঙ্গল স্রষ্টার কাছে চাইতে হয় না। শান্তি ও সুন্দর প্রতিষ্ঠার কথা স্রষ্টার কাছে চাইতে হয় না। তিনি তো অমৃত হিয়া, তিনিই তো সকল সুন্দরের থেকে সুন্দর। চেয়ে দেখো সেই সুন্দর তোমার হৃদয়ে লুকায়িত।

একটি সত্য অন্যটি মিথ্যা। সত্য আর মিথ্যার লড়াই নিত্যদিনের। কিন্তু একজন মুক্ত মানবই সত্য উপলব্ধি করতে পারে। সংসারের মায়া, বিলাস বাসনার কাছে অনেক গুণীকে তার প্রকৃত ইচ্ছা ও স্বাধীনতাকে বিসর্জন দিতে হয়েছে। আমি এক বাধঁন হারা। সত্য ও সুন্দরকে কোনো বাঁধনে বাধা যায় না। আমরা বাংলাদেশ সেনবাহিনীর শক্তিটাই শুধু দেখি। তাদের অসহায়ত্ব দেখি না। আমরা সামরিক শাসন আসার প্রতিক্ষায় থাকছি কিন্তু বুঝতে পারছি না সামরিক বাহিনী আসে না কেনো? আরে ঐ অসৎ রাজনৈতিক কিংবা সেনাবাহিনী তোমার আমার সম্পদ দিয়েই তো লালন পালন করছি। আজ তাকিয়ে দেখো ওদের অসহায়ত্ব? তোমরা কলামিস্টদের প্রতিনিয়ত দেখো, তোমরা টকশোতে নিয়মিত কিছু বুদ্ধিজিবীর নাম করে পরজিবী দেখো, স্টার জলসায় ডেইলী সোপ দেখ। কিন্ত দেখ না পণ্যের বাহার। তোমরা শুধু টিভি কিংবাং ইলেকট্রিক মিডিয়ার এ্যাডভেটাইজ গুলোকে দেখো কিংবা এরিয়ে যাও কিন্তু বোঝনা এই মিডিয়াগুলো গুলোই ২৪ঘন্টা এ্যাডেভেডাইজ দেয়ার জন্যই জন্ম নেয় কিংবা জন্ম দেয়া হয়। তোমরা রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি, কিংবা ওয়েসলিং বলো নাটোক বলো মুভি বলো সবকিছুযে ওদের মদদপুষ্ট তা বুঝছো না? বাংলাদেশ সেনাবাহিনির অস্ত্রগুলো দেখে তোমার খুব গর্ব হয় তাই না? তোমরা কি জানো, ঐ অস্ত্র যারা দিয়েছে তারা তাদের অস্ত্র পাহারা দেবার জন্য তাদের লোকও দিয়ে দিয়েছেন। তোমারা নবাব সিরাজুদ্দৌলাকে দেখে বিনোদন পাও কিন্তু বোঝ না সিরাজুদ্দৌলার সাথে যে মিরজাফর আর যে ফরাসী ইংরেজ কে তোমাদের প্রতিনিয়ত দেখানো হচ্ছে ওরা সবাই এক। ওরা সিরাজুদ্দৌলা নামের কোনো পালিয়ে যাওয়া স্বাক্ষী কে বাচিয়ে রাখে নি ঠিক তেমনি আজও রাখছে না। দেখো না স্বাক্ষীদের কিভাবে মারা হচ্ছে। আজ দেখো ঐ ব্রটিশ, ফরাসী নামের শক্তি আমাদের মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীর নাম করে আমাদের রক্তে উপার্জিত টাকা দিয়ে তাদের মদ বানাচ্ছে। বিশ্ব সন্ত্রাবাস এর দোহাই দিয়ে প্রতিনিয়ত প্রতিদিন বিশ্ব মিডিয়ায় ওরা কি দেখাচ্ছ? বালাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান কিংবা রাজনীতিক নেতাদের তোমরা স্বাধীন মনে করছো? দেশ স্বাধীন হয়েছে কিন্তু রাজনীতিক বা সামরিক বেসামরিক বাহিনী নয়। হে সনাপতি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা কিংবা রাজনীতিবিদ যে যেখানে আছো তোমাকে এই মূহুর্তে আমি আদেশ করছি তোমার যে বডিগার্ড তাকে তুমি সিকিউরিটি দাও। তোমার বডিগার্ডরা যে ওদের লোক। ওরাও যে আমার মতো সমাজের মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান। ওকে তুমি যদি না বাচাও ওদের গোয়েন্দ সংস্থা ঐ গার্ডকে মেরে নতুন গার্ড বসাবে। আজ জাগবার দিন আজ কারও বসে থাকলে চলবে না। তোমার বন্ধু আজ সচিব আর তুমি স্কুলের শিক্ষক হয়ে তোমার ছাত্রদের ঐ সচিব বন্ধুর কেরামতির গল্প শুনাচ্ছো? আর মনে মনে তোমার ঘরে বাজার সদায় , অভাব অনটনের কথা বলছো। আজ তোমাদের জয়গাঁথার ইতিহাস রচনা করার দিন। এখন জাগার সময় এসেছে। কে ঐ শিক্ষকদের সংসারের দুঃখ দরদাশা দুর করবেন। ঐ সচিব বন্ধু ইচ্ছে করলেও ঐ স্কুলটিকে সরকারী করতে পারছেন না। শিক্ষকের অপমান জ্বাল তিনিও অনুভব করেন। কিন্তু তিনি তা প্রকাশ করতে পারেন না। তার সীমাবদ্ধতার কথা শুধু তিনিই জানেন। হায়রে অভাগা জাত। আজ সব স্কুল কলেজকে সরকারী করার সময় এসেছে। এ শুধু আমার দাবি না আমার পূর্বপুরুষদের দাবি। আমার বাবা একজন শিক্ষক ছিলেন। মা একজন প্রাইমারী শিক্ষিকা আমি দেখেছি তাদের নিত্যদিন ঋণ করে জীবন যাপন। ঋনে আবদ্ধ হওয়া আর মুক্ত হওয়ার জন্যই কি এই দুনিয়ায় এসেছো বন্ধু। এখন সময় হয়েছে ভেঙ্গে ফেলো সকল দেয়াল, চুরমার করে দাও ঐ সাজানো নাটক। মানুষের শক্তি অসীম। যারা মৃতকে ভয় পায় তারাই প্রজা। আরে মৃত্যু যে একটি পর্দার নাম। সত্য শুধু এক মন থেকে অন্য মনে প্রবেশ করে। হে সুবিধা বঞ্চিত সরকারী কর্মকর্তা তোমরা ঘুষ খাও জাতি জানে। তোমাদের কে ঘুষ খাওয়া কে শিখিয়েছে তা বলার সময় আজ এসেছে। খুলে দাও ঐ সয়তানদের মুখোশ। হে ডাক্তার, তোমার মা বাবা অনেক অনেক কষ্ট করে তোমাকে ডাক্তার বানিয়েছে। তিলে তিলে গড়া তাদের সংসারের সঞ্চয় দিয়ে তোমাদের মানুষ বানিয়েছে। আজ তোমরা কেনো ফেনসিডিলে আসক্ত হবে। ওষুধ নামের মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীর কাছে তোমরা কেনো বন্দি থাকবে। আসো গুরিয়ে দাও সবকিছু। আজ বাংলাদেশের রাস্তায় এতো পাগল কেনো। তোমার কাছে প্রতিদিন ক’জন ভিক্ষুক আসে। নিত্য নতুন হকার কি তোমার নজরে পরে না? হে শিক্ষিত সমাজ আসো ভিক্ষুক ও পাগলদের পূর্নবাসন করি। ওদের মধ্যেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বিশ্ব গোয়েন্দা সংস্থার লোক। তুমি এবার সত্যের চোখ খোলো দেখবে সব কিছু ঝকঝকে পরিষ্কার। মাদ্রাসা লিল্লাহ বডিং এর নাম করে মুসলিম সমাজকে এতিম বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কয় টাকা লাগে এই ভিক্ষুক, এতিম, মিস্কিনদের পূর্ণাবাসন করতে? শুধু মাত্র চেষ্টার অভাব। আজ সময় এসেছে জাগ্রত হবার। আসুন আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই। সকল সত্যের সাথে সবযুগে আমি এসেছি। বাংলাদেশের মানুষকে আর ডাবিয়ে রাখা যাবে না। তোমরা মিডিয়ার দখল নিয়ে নাও। তোমরা আজও কেনো বুঝছো না তোমাদের চুকুরী খোঁজার নাম করে কিংবা মাদকের আড়ালে ঐ মাল্টিন্যাশনালরাই বন্দি করে রেখেছে। আমাদের টাকাই আমাদের হাতে ঋণ হয়ে ফিরে আসছে। হায়রে অভাগা জাতি। আজ জেগে ওঠো। হে রাজনীতিবিদ ও সমাজের বৃদ্ধ ব্যবসায়ী সমাজ তুমি কি আজ এতিম মিস্কিনদের হক নষ্ট করে, কিবাং জমিজমা লুটে নেয়ার দন্ডে দন্ডিত? তাহলে আজ এই কলংকের তকমা মাথায় নিয়ে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হয়ে আছো কেনো? আজ যে বাঁধন হারাদের দিন এসেছে। এতিমের আসল হক নষ্টকারিদের চিনিয়ে দেবার দিন এসেছে। আসো এই সমৃদ্ধ সমাজটিকে ঢেলে সাজাই। আমরা সবাই যে বিশ্ব মায়ের সন্তান। আসো গুরিয়ে দাও ঐ সব সয়তানদের দুর্গ। জাতিসংঘ কেনো ইউএসএ তে থাকবে? জাতিসংঘ প্রধান দপ্তর কেনো বাংলাদেশে হতে পারে না। আরে ঐ অত্যাচারী সমাজ যে ওটাকে সেই সাদ্দাতের তৈরি করা বেহেশত ভাবছে। আমাদের লুটে ওরা যে আরও ধনী হচ্ছে। ওরা বুজছে না রক্ত মাংসের মানুষ আজ জেগে উঠেছে। ঐ কঙ্কালদের মানুষ চিনে ফেলেছে। কঙ্কাল দিয়ে শুধু ডাক্তারি বিদ্যা অর্জন করা যায় আসোল পড়া উদ্দেশ্য যে ঐ রক্তমাংসের মানুষের উপরই প্রিস্কৃপশন করা। জেগে ওঠো আর ঘুমিয়ে থেকো না। আজ বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দাও বাংলাদেশীরা পুরো বিশ্ব শাসনের ক্ষমতা রাখে। ওরা আর দূর্বল নয়। পৃথিবীর সকল বঞ্চিতদের আজে জাগিয়ে তোলো। যারা ভালো ইংরেজী জানো আমার লেখা ইংরেজীতে রুপান্তর করে বিশ্বের মানুষের কাছে পৌছে দাও। তোমাদের বাপ দাদা দের ওরা বোকা বানিয়েছে তোমাদের পারবে না। আমি খুব দ্রুত লিখি তাই ভুল শুদ্ধ প্রুফ দেখতে ইচ্ছে হয় না। বানান ভুল দেখলে ঠিক করে দিও। সবার মাঝে সত্যকে বিকাশিত করো। মানুষ মানুষকে মারবে এ হয় না। আমরা আর ওদের হাতের পুতুল হয়ে বাঁচতে চাই না। মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে চেতনাকে শেষ করা যায় না। পরমাত্মার আবির্ভাব তোমার হৃদয়কে প্রভাবিত করে। সমাজে হঠাৎ হঠাৎ কিছু কিছু ঝার ফু দেয়ার মানুষ বের হয়, আবার হারিয়ে যায়। আবার কিছু জতিষ্যির দেখা মেলে ওরা আসলে বিশ্বগোয়েন্দা সংস্থার লোক ওদের এরিয়ে চলবে। সব সময় তোমার নিজের ভিতরের বিশ্বাসকে গুরুত্ব দেবে। নিজের মধ্যের সত্য বিশ্বাস তোমাকে অনেক ঊদ্ধে নিয়ে যাবে। আর ওখানে যেতে পারলে আইন তোমার কাছে ফাইন হয়ে হাস্যকর রূপ ধারণ করবে। আজ খুব বেশী মনে পড়ছে হুমায়ূন আহমেদ স্যারকে যিনি সারাজীবন ঘৃহবন্দিই ছিলেন। উপন্যাস নাটকে আমাদের জাগাতে চেয়েছে আমরা তাকে অনেক পরে বুজেছি। ডঃ জাফর ইকবার স্যার সায়েন্স ফিকশনের নামে আমাদের মাঝে বর্তমান সময়কে তুলে দিয়েছেন। আসুন আজ সময় এসেছে জাগ্রত হবার।

মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির কাছে আমার সোনার বাংলাদেশ বিক্রি হতে দেবো না।

আমরা সবাই বাঙালী। কোন শক্তি আজ আমাদের রুখতে পাবরে না। আমরা শান্তির জন্য লড়ছি। শান্তি পুরষ্কারের জন্য নয়। আমরা নিজের বিবেকের কাছে দায়ী। মিডিয়ার নিজেকে প্রকাশ করার জন্য আমাদের চির সত্য চেতনা জন্ম হয় না। আমাদের জন্ম হয় যুগ পরিবর্তনের জন্য। আমরা সবাই মিলে একত্রিত হয়ে নতুন করে নতুন বাংলাদেশ গড়ব। আমাদের কেউ রুখতে পারবে না। মিডিয়া কন্টোল এখন থেকে বাংলাদেশীরা করবে। বাংলাদেশীরা হবে বিশ্বের সেরা জাতি। ওরা ভেবেছিলো সত্যকে দাস করে রাখবে। সত্য কখনও গোপন থাকে না। সত্য প্রকাশিত হবেই। বাংলাদেশ সমস্ত বিশ্ব নতুন করে গড়ে তুলবে। বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বকে বুঝিয়ে দেবে বাংলা সাংস্কৃতি বশ্বের সকল সাংস্কৃতির চেয়ে সেরা। ওদের পাতানো খেলা দেখতে আমরা রাজী না। ওদের হাতে যে মিথ্যে শক্তি তাকে মারবার জন্যই আমরা যুগে যুগে আসি। বাংলাদেশ হবে বিশ্বের আদর্শ। বিশ্বের সকল বঞ্চিতদের মধ্যে একজন স্বাধীনচেতা মানুষ বাস করে তাকে জাগিয়ে তোলার দায়িত্ব আমার। তুমি খেলা দেখে সময় নষ্ট করো না। দু’টি দলই যে ওদের। ওরা দল কেনা শিখেছে, মাঠও কিনেছিলো, আমরা আমাদের মাঠ ফিরিয়ে নিয়ে আসবই। সেই মাঠে নামিয়ে তোমাদের মনবতা শিখাব। আর কেউ শেয়ার বাজার নিয়ে খেলতে পারবে না। আর কোনো দূর্ণীতি চলতে দেয়া যাবে না। বাংলার বুকে আর কোনো কুশিলবকে জন্ম নিতে দেবো না। এক নতুন সমাজ। এখানে কেউ প্রজা নয়। সবার বাঁচার অধীকার সমান। সকল মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীকে দেশ থেকে উৎখাত করতে হবে। ওদের আর আমরা দেখতে চাই না। আমরা আমরা কোনো গরীব দেশ না। আমরা সাধারনের মধ্য থেকে যুগে যুগে আসি শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য শান্তি পুরষ্কারের জন্য না। যে সকল প্রগতিশীল মানুষ নতুন পথের যাত্রি হতে ইছ্ছুক। তারা সবাই রাস্তায় নেমে পরুন। আমি আপনাদের সবার মাঝে আছি। মৃত্যু আমাদের এই উদ্দ্যেশ্যকে রুখতে পারবে না। মিডিয়ায় বিকৃত খবর প্রচার করা চলবে না। এ রাষ্ট্র ব্যবস্থা আমরা মানি না। দেশ আজ কলংকমুক্ত হবেই। সবাই নিজ নিজ পেশায় থেকে আমাদের এই শান্তির আন্দোলকে বেগবান করুন। মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। জন্ম যখন হয়েছে মৃত্যু হবেই। সেই মরন হোক বাঙালীকে চির সত্যের পথে জাগ্রত করার জন্য। আমাদের এতোদিন ওরা নষ্ট করেছে পরবর্তি প্রজন্মকে আমরা একটি নতুন রাষ্ট্রিয় ব্যবস্থা উপহার দিতে এসেছি।

























মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৮

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: আপনি কম্প্যুটারের লোক, একটা ইনটেলিজেন্ট প্রোগ্রাম লিখুন; আমরা সে প্রোগ্রামটুকু আমাদের মগজে ডাউনলোড করে নেবো, আপনার মত হয়ে যাবো: ক্লোন্ড!

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২২

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: বন্ধু!!! আমার ভিতরের যে সত্য জাগ্রত। তোমরা তাকে জাগ্রত করো। সত্যকে ছড়িয়ে দাও। এই সমাজটাকে পরিবর্তন করতে হবে। যে সমাজে সব মানুষ সমান অধিকার থাকবে। জেগে ওঠাও তোমার ভিতরের শক্তিকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.