একটি উন্মুক্ত প্রেমপত্র

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২১

যার জন্য এটা প্রযোজ্যঃ



তুমি চাও বা না চাও আমি অসংখ্যবার তোমাকে বলে যেতে থাকব- ভালবাসি। লোকে বলে এক হাতে তালি বাজে না। না বাজুক। আমি অথর্ব বিকলঙ্গের মত একটা হাতই নাড়িয়ে যাব। আমি ভালবাসি তাই তোমাকেও বাসতে হবে,এমন কোন কথা নাই। "ভালবাসা দিবি কিনা বল"- এটা বখাটের মুখের ভাষা- প্রেমিকের না।



সুন্দর চেহারা দেখে যে প্রেমে পড়া তা ডিমের খোসার মতই ভঙ্গুর। তুমি জানো আমি জানি আমাদের যৌবন আর বছর বিশেক। একটা সময় তুমি ক্লান্ত হবা, রক্তে ঝিম ধরবে। তখন পাশে একজন লাগবে যে দুই যুগ আগে তোমার বাইরেটা দেখে তোমাকে ভালবাসে নি। তোমাকে বেসেছিল।



মানুষের মন খুব বিচিত্র রাস্তায় কাজ করে। আমি নানা ঘাটে পানি খেয়ে ঘুরে ফিরে তোমার ঘাটে এসে বেঁহুশ হয়ে পড়ে গেছি। বিলিভ মি, খুব ক্লান্ত আমি। নিজের সাথে বোঝাপরা করেছি বহুবার। এখন আমি স্থির। স্নাইপারের হাতের মত।



আমি জানি তুমি স্রোতে গা ভাসানোটাকে ঘৃণা কর। আমি জানি তুমি লোক দেখানোটাকে ঘৃণা কর। আমি কম বলা-বেশি শোনা তুমিটাকেই ভালবাসি। আমি চট করে নির্বাক করে দেয়া তুমিটাকেই ভালবাসি। আমি ভালবাসি তোমার বরফ শীতল হিমাংক টুকু। আমি ভালবাসি তোমার কেয়ার না করা টুকু।



মেয়ে, সবাই ভালবাসতে পারে না। আশে পাশের সবাই যার যার চরিত্রে অভিনয় করে যায়। আমি ভালবেসেছি। চার পাশে যে স্বচ্ছ দেয়াল তুলে রেখেছ, একবার নামিয়ে এই উষ্ণ স্রোতে পা ডুবাও, দেখবে, জীবনটা কত রঙ্গে ধরা দিবে।



পুনশ্চঃ জবাবটুকু মনের ভেতর বীজ করে পুষে রাখতো পার। আমি চুপিসারে সার-পানি দিব। একদিন সেটা বিশাল মহিরুহু হয়ে তোমার মনটাকে ছেয়ে ফেলবে হয়তো

২ টি +১/-০