![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছাত্রলীগের ইতিহাসে অপরাধের এক কালো অধ্যায় রয়েছে, যা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িয়েছে, নির্মমভাবে মানুষের জীবন নিয়েছে। এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। তবে এটাও ঠিক যে, ছাত্রলীগের বাইরের কিছু গোষ্ঠী বা ব্যক্তি কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাত্রলীগের অপকর্মকেও ছাড়িয়ে গেছে। এই সত্য স্বীকার করা মানে ছাত্রলীগের পাপকে কমিয়ে দেখা নয়, বরং বাস্তবতাকে স্বচ্ছভাবে মূল্যায়ন করা।
ছাত্রলীগের অপকর্মের তালিকা দীর্ঘ। তারা দেশের টাকা লুটপাট করেছে, তারা বিরোধী রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে, তাদের অস্তিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। যারা তাদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে—তারা যে দলেরই হোক বা যে মতাদর্শেরই হোক—ছাত্রলীগ তাদের নির্মমভাবে দমন করেছে। তাদের কাছে রাজনীতি ছিল ক্ষমতার খেলা, আধিপত্য বিস্তারের হাতিয়ার। এই ক্ষমতার দম্ভে তারা যেকোনো বাধাকে নিশ্চিহ্ন করতে উদ্যত ছিল।
তবে একটি বিষয় পরিষ্কার করা দরকার—ছাত্রলীগ আলাদাভাবে নারী বিদ্বেষী ছিল না। তাদের বিদ্বেষ ছিল তাদের বিরুদ্ধে কথা বলা যেকোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর প্রতি, সে নারী হোক বা পুরুষ। যারা তাদের বিরোধিতা করত, তাদের প্রতিই তারা বিষোদগার করত, আক্রমণ চালাত, এমনকি হত্যা পর্যন্ত করত। তাদের এই নৃশংসতা কোনো নির্দিষ্ট শ্রেণি বা লিঙ্গের প্রতি সীমাবদ্ধ ছিল না। তাদের কাছে বিরোধিতা করাই ছিল সবচেয়ে বড় অপরাধ, এবং তারা সেই বিরোধিতার জবাব দিত নির্মমতার সাথে। এই বাস্তবতা স্বীকার করলেও বলতে হয়, নারী বা কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর প্রতি আলাদাভাবে বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য তাদের সময় বা পরিকল্পনা ছিল না। তাদের লক্ষ্য ছিল শুধু ক্ষমতা ধরে রাখা এবং বিরোধীদের নিশ্চিহ্ন করা।
কিন্তু এখানে আরেকটি গোষ্ঠীর কথা উঠে আসে, যারা ছাত্রলীগের এই অপকর্মের সমালোচনা করলেও নিজেরা আরও ভয়ঙ্কর বিদ্বেষের পথে হেঁটেছে। আপনারা, যারা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কথা বলেন, আপনাদের মধ্যে বিদ্বেষের মাত্রা কখনো কখনো ছাত্রলীগকেও ছাড়িয়ে যায়। আপনারা ভিন্নমতের কাউকে সহ্য করতে পারেন না। ছাত্রলীগ তাদের বিরোধীদের একটি নির্দিষ্ট ট্যাগে—যেমন ‘শিবির’—আটকে রাখত। কিন্তু আপনারা? আপনারা বিরোধীদের শ্রেণিবদ্ধ করেন ‘শাহবাগী’, ‘লীগের দোসর’, ‘নাস্তিক’, ‘র’ এজেন্ট’—এমন বহু ট্যাগ দিয়ে। এই ট্যাগিংয়ের মাধ্যমে আপনারা বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে একটি বিষাক্ত পরিবেশ তৈরি করেন, যা ছাত্রলীগের নৃশংসতাকেও অনেক ক্ষেত্রে ছাড়িয়ে যায়।
বাস্তবতা হলো, আপনারা বুদ্ধিভিত্তিক শয়তানিতে ছাত্রলীগের থেকে অনেক এগিয়ে। আব্দুল কাদের যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা ভুল নয়। তার বক্তব্যকে ছাত্রলীগের পাপ লঘু করার প্রচেষ্টা হিসেবে প্রচার করা যায় না। বরং তার বক্তব্যকে ভুল বলে প্রচার করার অর্থ হলো শিবিরের নারী বিদ্বেষের মতো ঘৃণ্য মনোভাবকে লঘু করে দেখানো। এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আব্দুল কাদেরের কথা ছিল সত্যের প্রতি একটি সৎ দৃষ্টিভঙ্গি, যা বাস্তবতাকে উন্মোচন করে, কিন্তু তা ছাত্রলীগের অপরাধকে মাফ করে না। বরং এটি আমাদের সবাইকে নিজেদের বিদ্বেষের প্রকৃতি নিয়ে ভাবতে বাধ্য করে।
২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২২
ঢাবিয়ান বলেছেন: @ শেরজা তপন , ভাবেন যে এই স্পেসটা দিচ্ছে ডাকসু ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের !!!! কার হয়ে কাজ করছে কাদের ?
৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৩৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে যারাই কথা বলেছে তাদের প্রতি বিদ্বেষ ছিলো।
৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৪১
ধুলো মেঘ বলেছেন: ছাত্রলীগ নারী বিদ্বেষী ছিল - সেটা পাওনাকে বলল কে? তারা নারী প্রেমী ছিল। নারীকে তারা মহব্বত করত, প্রেম করত, নারীর শরীর ব্যবহার করত। নারীদেহের স্বাদ না পেলে ছাত্রলীগ নেতাদের রাতে ঘুম হতোনা।
view this link
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৪
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি বা আপনারা বলতে কোন গোষ্ঠীকে উদ্দেশ্য করছেন- আপনি কি এর মধ্যে নেই, আপনি কি ফুলের মত পবিত্র চরিত্রের অধিকারী? বিভিন্নভাবে ইনিয়ে বিনিয়ে অনেকেই ছাত্রলীগকে স্পেস দেবার চেষ্টা করছেন ইদানিং!!