![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের অনেক প্রাসঙ্গিক চিত্রকল্পের পাশাপাশি এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে যার মাধ্যমে নতুন কোন আইন বা নিয়ম তৈরি হয়েছে ।আর এটাই স্বাভাবিক , কারো না কারো অবদানে অথবা ভুলের জন্য হলেও নিয়ম তৈরি হয় । সেরকমই একটি ঘটনা আজ শেয়ার করলাম ...
সালেহা ও খুনি ডা : ইকবাল
ঘটনা ১৯৭৮ সালের
ধনী ব্যবসায়ী পরিবারের সাত ভাইয়ের এক বোন ছিলেন সালেহা। সাত ভাইয়ের আদুরে এক বোন, ভালোবাসার কোন কমতি ছিলোনা সালেহার।তবে সালেহার ধনাঢ্য বাবা মেয়ের শিক্ষার্জনের বিষয়টিকে খুব একটা পাত্তা দেননি। তিনি বিত্তবান ছিলেন। ভেবেছিলেন বিত্তের জোরেই মেয়েকে ভালো একটা পাত্রের হাতে তুলে দেবেন। আর সে লক্ষ্যেই মেয়েকে সুখী করার সঠিক উপায় হিসেবে শিক্ষিত জামাই খুঁজতে শুরু করলেন। পেয়েও গেলেন। মেয়ের সুখের গ্যারান্টির জন্য সালেহার বাবা নিজের টাকায় ইকবালকে ডাক্তারি পাস করান। সূত্র মতে, বিয়ের সময় প্রচুর যৌতুকের সঙ্গে ইকবালকে হলুদ রঙের একটি ডাটসান ১৩০ প্রাইভেটকার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার পরের ঘটনা বড়ই মর্মান্তিক। ডা. ইকবালের দৃষ্টি ছিল পরনারীতে। অনৈতিক কাজের বিরোধিতা করেছিলেন সালেহা। প্রতিবাদ করেছিলেন স্বামীর দুশ্চরিত্রের বিরুদ্ধে। একদিন কাজের মেয়ের সঙ্গে এক লজ্জাকর পরিস্থিতিতে ধরা পড়ে যান সালেহার কাছে। প্রতিবাদ করতেই ডা. ইকবাল দরজার ডাসা দিয়ে সালেহার মাথায় আঘাত করে। মারা যান সালেহা। এরপর ধারালো ব্লেড দিয়ে তাকে জবাই করে ইকবাল প্রচার চালায় সালেহা আত্মহত্যা করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। সেখানে লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ডা. ইকবাল ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক। ময়নাতদন্তকারী ডাক্তার তার বন্ধু। আগে থেকে সবকিছু তারা ঠিক করে রেখেছিল। তাই সালেহার ময়নাতদন্ত করা ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতা। ডাক্তাররা বললেন, সালেহা আত্মহত্যাই করেছে। এটি কোনো হত্যাকাণ্ড নয়। লাশের দাফন হয়। কিন্তু সাংবাদিকদের কাছে ঘটনাটি অত্যন্ত সন্দেহজনক মনে হতে থাকে। সন্দেহ হয় বিদেশে অবস্থানরত সালেহার এক ভাইয়ের। পত্রিকায় অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ হতে থাকে। সালেহার পরিবার আবারও ময়নাতদন্তের অনুরোধ জানান। দ্বিতীয় দফায় ময়নাতদন্ত হয়। সেখানে আবারও মৃত্যুর কারণ আত্মহত্যা বলা হয়। তৃতীয়বার আবারও ময়নাতদন্তের আবেদন জানানো হলে তা গ্রহণ হয় না। কিন্তু অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তার পরিবারের সঙ্গে তখন সালেহার পরিবারের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। যে কারণে আবারও ময়নাতদন্ত করার আবেদনটি গ্রহণ করার ব্যবস্থা হয়। কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে এবার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মর্গে ময়নাতদন্ত হয়। তিন সদস্যের একটি বোর্ড ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে। এবার বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। প্রতিবেদনে বলা হয়, এটি হত্যা। মাথায় আঘাত করেই সালেহাকে হত্যার পর গলায় পোঁচ দেওয়া হয়েছে।
পোস্টমর্টেম রিপোর্টটা খুব ভালো করে দেখে নিচ্ছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তা আবদুস সালাম। রিপোর্টের একটি জায়গায় গিয়ে চোখ আটকে গেল। ভালো করে পড়ে দেখতে টেবিলে রাখা চশমাটা হাতে তুলে নিলেন। রুমাল দিয়ে চশমাটা মুছে চোখে পরে নিলেন।
সালেহা ও খুনি ডা : ইকবাল, সালেহার বাড়ি
রিপোর্টটা কাছে নিয়ে ভালো করে পড়লেন। চোখেমুখে কৌতূহলের ছাপ। রিপোর্ট পড়েই চোখ বুজে কী যেন ভাবলেন। চোখ খুললেন। আবারও চশমা মুছতে শুরু করলেন। বিশেষ বিশেষ সময়ে এমন হয় তার। বার বার চশমা মোছার রোগ আছে এই গোয়েন্দা কর্মকর্তার।তার সামনে বসা আছেন এক ব্যক্তি। যেন ভুলেই গেছেন তাকে। গোয়েন্দার হাবভাব দেখে লোকটি হতবাক। ভাবছেন, ঘটনা কী? কিছু কি বুঝতে পারলেন? না, বুঝতে পারেননি বোধহয়। কীভাবে বুঝবেন। সব ঠিকঠাক আছে না!‘প্লিজ! কুড ইউ টেল মি, হোয়াট রং উইথ মি? অ্যাকচুয়ালি হোয়াট হ্যাপেন্ড? আই অ্যাম টায়ার্ড। ’ বেশ দৃঢ়তার সঙ্গে হঠাৎ কথাগুলো বললেন সেই লোকটি। গোয়েন্দা কর্মকর্তাটি তার কথা শুনে কোনো জবাব দিলেন না। শুধু লোকটির দিকে তাকিয়ে রইলেন। গোয়েন্দা কর্মকর্তার এমন তাকিয়ে থাকার দৃশ্য দেখে লোকটি একটু ঘাবড়ে গেলেন ।
এবার তার মুখ থেকে কথা বেরোচ্ছে না। কিছু একটা বলতে গিয়েও মুখের ভিতরেই যেন কথা আটকে গেল। ‘না ইয়ে মানে অনেকক্ষণ ধরে বসা তো, তাই আর কি বলছিলাম’— এবার লোকটির সুর খুব নরম। গোয়েন্দা কর্মকর্তার হঠাৎ চিৎকার, ‘রাখেন মশায়, ইয়ে ইয়ে কী বলছেন? কী বলতে চান?’ আঁতকে উঠলেন লোকটি। গোয়েন্দা সালাম একটু হেসে বললেন, ‘কী ব্যাপার! আপনি ভয়টয় পেলেন কেন?’ লোকটি কোনো জবাব দেন না। গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলে গেলেন, ‘আচ্ছা ঠিক আছে, আপনাকে আটকে রেখেছি। জিজ্ঞাসা করছি না কিছু, এটা ঠিক হচ্ছে না। আপনি আপনার নাম-ঠিকানা কাগজে লিখে দেন। তারপর দেখি কী করা যায়। ’ লোকটি যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। হয়তো তাকে ছেড়ে দেবে। ‘গোয়েন্দা কর্মকর্তাটি আসলেই ভালো। কেন যে মানুষ পুলিশ সম্পর্কে খারাপ কথা বলে, বুঝি না। ’ এমন সব কথা ভাবছেন লোকটি। কলম বের করে একটি সাদা কাগজ লোকটির সামনে ঠেলে দিলেন সালাম। কলমটি হাতে তুলে নিলেন। সাদা কাগজে শুধু নাম লিখেছেন লোকটি। ঠিকানা লিখতে যাবেন, ঠিক সেই সময়ে গোয়েন্দা সালাম তার হাত থেকে কলম টেনে নিলেন। বললেন, ‘থাক, আর লিখতে হবে না। ’ অবাক হয়ে তাকালেন লোকটি। ফেকাসে দেখাচ্ছে তাকে। সালাম বললেন, ‘পানি খাবেন?’ আসলে খুবই তেষ্টা পেয়েছিল তার। ‘খাবো’ বলতেই তার সামনে একটা পানির বোতল ও গ্লাস দেওয়া হলো। পরপর দুই গ্লাস পানি ডগডগ করে গলায় ঢেলে দিলেন। পানি পানের পর একটু ভালো লাগছিল লোকটির। গোয়েন্দা কর্মকর্তা এবার নিজের চেয়ার ছেড়ে দাঁড়ালেন। আস্তে আস্তে হেঁটে লোকটির পেছনে গেলেন। বলতে শুরু করলেন, ‘মি. ডা. ইকবাল, আমি আসলে ভাবছিলাম আপনার স্ত্রী সালেহার খুনের ঘটনা নিয়ে। পোস্টমর্টেম রিপোর্টের ভিত্তিতে বলা যায়, তাকে হত্যা করা হয়েছে। ভারী কোনো বস্তু দিয়ে তার মাথায় আঘাত করা হয়। যাতে মাথার ভিতরে রক্ত জমাট শুধু নয়, সেখানকার মগজ পর্যন্ত গলে গেছে। আর তার গলায় ব্লেড দিয়ে ৭ ইঞ্চি কাটা হয়। গভীরতা ছিল ৪ ইঞ্চি। সেটিও আমার কাছে এখন গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হলো, ব্লেড দিয়ে যিনি কেটেছেন, বাঁ হাতে কেটেছেন। সেটি কাটার ধরন দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনি নিজেই বাঁ হাতি। নয় কি? ভুল বলেছি?’ কথাগুলো একনাগারে বলেই প্রশ্ন ছুড়ে দেন ইকবালের কাছে। ডা. ইকবাল ঘাবড়ে যান। এর পরও বাঁচার শেষ চেষ্টা হিসেবে বলেন, ‘বাঁ হাতি আরও অনেকেই হতে পারেন। ’ গোয়েন্দা কর্মকর্তা আবারও তার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দেন। চশমা নিয়ে মুছতে থাকেন। ডা. ইকবাল এবার নিজেকে ঠিক রাখতে পারেন না। গোয়েন্দা কর্মকর্তার হাত চেপে ধরেন। বলেন, ‘স্যার! আমি ভুল করেছি। ’ এভাবেই তরুণী গৃহবধূর হত্যা রহস্য বেরিয়ে আসে। ধরা পড়েন খুনি ডা. ইকবাল।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদেও নানা ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়েছিলেন ইকবাল। কিন্তু গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন ইন্সপেক্টর আবদুস সালামের কাছে তার ছলচাতুরী ধোপে টেকেনি। স্বীকার করেছিলেন হত্যার কথা।
খুনের দায় থেকে ডা. ইকবাল নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করেছেন বার বার। পারেননি। সালেহা খুনের পর সারা দেশের মানুষ প্রতিবাদ করেছে। ফাঁসির দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছে। পত্রপত্রিকাগুলোতে এ নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। পরে ফাঁসি হয় ডা. ইকবালের। আদালতে বলা হয়, গৃহপরিচারিকার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের পরিণতিতে ডা. ইকবাল খুন করেন তার স্ত্রীকে। আদালতে আরও অভিযোগ করা হয়, যৌতুক আদায়ের জন্য ডা. ইকবাল নির্যাতন করতেন সালেহাকে। বিচারে ডা. ইকবালের মৃত্যুদণ্ড হয়। ১৯৮৭ সালে সেই দণ্ড কার্যকর করা হয়। এই মৃত্যুদণ্ড তখন খুব আলোচিত হয়েছিল। কারণ স্বাধীন বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত সমাজের কোনো ব্যক্তির ফাঁসি হওয়ার ঘটনা ছিল ওটাই প্রথম। যৌতুকের নির্মমতার ইতিহাসে সালেহা ও তার স্বামী ডা. ইকবালের নাম মনে পড়লে আজও মানুষের অনুভূতি ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে। সালেহার মৃত্যুর পর সামাজিক সোচ্চারের কারণে ১৯৮০ সালে যৌতুকবিরোধী আইন প্রণীত হয়। তৎকালীন সময়ে সালেহা হত্যাকাণ্ড ও বিচার প্রক্রিয়া খুব কাছ থেকে দেখেছেন এবং এসব নিয়ে পত্রিকায় ধারাবাহিক প্রতিবেদন লিখেছেন, এমন সাংবাদিকদের মধ্যে বশির আহমেদ অন্যতম। তিনি বলেন, ওই সময়ে সালেহা হত্যাকাণ্ডটি ছিল টক অব দ্য কান্ট্রি। অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর ঘটনা। পত্রিকায় তাদের অনুসন্ধানীমূলক প্রতিবেদন না হলে হয়তো সালেহা খুনের ঘটনাটি প্রকাশ পেত না। অপমৃত্যু হিসেবেই থাকত। পত্রিকায় প্রতিবেদন হওয়ার কারণেই দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত হয়। যাতে খুনের ঘটনাটি প্রকাশ পায়। তিনি আরও বলেন, ইকবালের পরিবার তাদের ওপর এমন ক্ষুব্ধ হয়েছিল যে, ফাঁসির রায় কার্যকরের পর ইকবালের বাসায় গেলে সাংবাদিকদের দা নিয়ে ধাওয়া করেছিল ইকবালের স্বজনরা।
এই ঘটনার সঠিক বিচারের জন্য সবচেয়ে বেশি ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য তৎকালীন সাংবাদিকরা। তারা নিয়মিত এই ঘটনার ফলোআপ করে গেছেন। তাদের জন্যই কবর দেওয়ার পরও একবার না, দুইবার লাশ তোলা হয়েছে কবর থেকে আবার ময়নাতদন্তের জন্য। সালেহার পরিবার প্রভাবশালী থাকায় ৩য়বার পুনরায় ময়নাতদন্ত হয়, নাহলে হয়তো এই খুনি ডাক্তার কখনোই ধরা পরতো না। নিরপেক্ষ ময়নাতদন্ত যারা করেছেন ৩য় দফায় তারাও ধন্যবাদ প্রাপ্ত। আর যারা কিছু টাকা ও বন্ধুত্বের কাছে ১ম ও ২য় দফা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বিক্রি করে দেয় তাদের প্রতি ধিক্কার।
এই ঘটনা থেকে আমরা কি শিক্ষা পাই? সাংবাদিকদের কোনো ঘটনা হলে তার বিচার না হওয়া পর্যন্ত সোচ্চার থাকা। নাহলে বিচার হবেনা। বর্তমানে আমাদের সাংবাদিক ও অনলাইন মিডিয়ার বেশিরভাগ খবর থাকে বিদেশের। কোন দেশে কি হইলো, কি বানালো, কি খেলো, কি কাপড় পরলো, কোন তারকা মারা গেলো, কোন তারকাকে কে খুন করেছে এইসব! এইসব নিয়া সারাদিন তর্ক থাকে মানুষ পত্রিকার কমেন্ট বক্স। অথচ নিজের দেশে যে কত অপরাধ হয়ে যাচ্ছে সেগুলার ফলোআপ নাই বললেই চলে। সেই দেশের মানুষরাও হয়তো সেইসব খবর নিয়ে এত কেয়ার করেনা যত আমাদের দেশের সাংবাদিকরা ততাদের খবর নিয়ে করে। এই কারনে অপরাধের ফলোআপ হয়না, অপরাধী দুইদিন পর গায়েব।
যেই সালেহার মৃত্যুর পর যৌতুক বিরোধী আইন হয় সেই যৌতুকও এখন ভাইরাস আমাদের সমাজের। প্রতি সপ্তাহেই খবর পাওয়া যায় অল্প বয়সী মেয়েদের মৃত্যুর, শিরোনাম থাকে প্রেমের বিয়ের পরও যৌতুকের বলি হলেন এই, সেই। এই যুগেও যৌতুক নামক ভাইরাসটার কারনে এত মৃত্যু হয় ভাবতেই খারাপ লাগে। যৌতুক বিরোধী সচেতনতা আরো বৃদ্ধি করতে হবে।
ভারতে এইরকম একটা খুনের ঘটনার ছবি দেখেছিলাম no one killed Jessica, যদিও সেখানে খুনের কারন ছিলো ভিন্ন তবে পরবর্তীতে সাংবাদিকদের কারনেই সেই হত্যার বিচার হয়। আমাদের দেশেও এই ঘটনায় ভালো স্ক্রিপ্ট পাওয়া যাবে সিনেমা তৈরির। অবশ্যই চেষ্টা করা উচিত সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য।
সেই সময়ে মামলার রায় হবার পরে লোকমুখে শোনা কথা গুলো ...
সালেহার বাবার বাড়ি যশোর শহরে। সেই সময় ৬ তলা হোটেল মিড টাউন উনাদের ছিল। বহু বছর ঐ বিল্ডিং টাই শহরের সবচেয়ে উচু বিল্ডিং ছিল। কথিত আছে সালেহার বাবা নাকি মৃত্যুদণ্ড মাফ করে দিয়েছিল এবং বলেছিল ন্যায়বিচার পেয়েছি এতেই আমি খুশি, আমার মেয়েই যখন বেচে নেই আর একজনের বুক খালি করে কি লাভ। ভায়েরা তাতে রাজি হয়নি। ফাসি কার্যকর করে বাড়ি ফেরার পথে রোড এক্সিডেন্টে বাবা মা মারা যান ।
যতদূর মনে পড়ে, সালেহার বাবা-মা যশোরের খাজুরায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় একসঙ্গে মারা যান। সিরাজউদ্দিন হোসেন কলেজের আশেপাশে কোথাও একটা খেজুর গাছের ওপর তাদের গাড়ি আছড়ে পড়েছিল। ‘৮৩-’৮৪ সালে যশোর থেকে মাগুরা যাওয়ার সময় ঘটনাস্থল দেখার সুযোগ হয়েছিল।অনেককে বলতে শুনেছি তারা নাকি পাপের শাস্তি পেয়েছে। সত্যি-মিথ্যা আল্লাহতা’লা ভালো জানেন।
ছবিতে : সালেহা ও খুনি ডা : ইকবাল, সালেহার বাড়ি
ছবি ও লিখা কৃতিত্ব : বাংলাদেশ প্রতিদিন, ছাড়পোকা ও অনেকটুকু আমার নিজের ভাষায় লিখা
০২ রা আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৫৭
অসিত কর্মকার সুজন বলেছেন: হুম এ ঘটনাগুলো আজো মনে দাগ কাটে ।
২| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৫১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
খুকু আর মনিরের প্রেম কাহিনী'
নিয়ে লিখবেন পরবর্তীতে।
০২ রা আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৫৬
অসিত কর্মকার সুজন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে । জ্বী আমি চেষ্টা করবো " খুকু আর মনিরের প্রেম কাহিনী " নিয়ে লেখার জন্য ।
৩| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: আজো যদি দেশে এরকম সাংবাদিক থাকতো তাহলে অনেক অপরাধীই পার পেত না; আমার খুকু-মনিরের কাহিনী লোকমুখে শুনেছি। -- আর এখন তো সাংবাদিক মরলেও বিচার পায় না-সাধারণ জনগন তো --------
০২ রা আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৫৮
অসিত কর্মকার সুজন বলেছেন: সেই দিনগুলোর মতো সাহসী আজকাল খুব কম দেখা যায় । আপনাকে ধন্যবাদ ।
৪| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: দুঃখজনক।
০২ রা আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:০১
অসিত কর্মকার সুজন বলেছেন: এরকমের ঘটনা গুলো আসলেই দুঃখজনক ।
৫| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৩৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অপরাধী কোনও না কোনও প্রমাণ রেখে যায় ঘটনাস্থলে। খুকু (রিমা) হত্যার শাস্তিও হয়েছিল সাংবাদিকদের প্রচেষ্টার কারণে। খুকুর বাবা সাংবাদিক ছিলেন আর মনিরের মা বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ছিলেন। মুনিরের পরিবারের পক্ষ থেকেও অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল।
০২ রা আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:০০
অসিত কর্মকার সুজন বলেছেন: অপরাধী নিজের জান্তেই কিছু চিহ্ন রেখে যাবে এটাই স্বাভাবিক ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৩১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সে সময়কার মর্মান্তিক ঘটনা
আজো মনে দাগ কাটে