নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি তোমাদেরই

আশমএরশাদ

শিশিরের শব্দের মত

আশমএরশাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

"ধর্মীয় গোষ্টি গুলাকে শীতল রাখলে ক্ষমতার চেয়ারটা ঠান্ডা থাকে" এই মতবাদটি মুলত সামরিক শাসকদের

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:১৮

"ধর্মীয় গোষ্টি গুলাকে শীতল রাখলে ক্ষমতার চেয়ারটা ঠান্ডা থাকে" এই মতবাদটি মুলত সামরিক শাসকদের হলেও শেখ হাসিনা সেটা শিখে নিতে পেরেছেন। মেজর জিয়া করেছেন সংবিধানের মুলনীতি বদলিয়ে আর এরশাদ করেছিলেন রাষ্ট্রকে ধর্ম পরিয়ে। আর শেখ হাসিনা করছেন হেফাজত তোষে। সামরিক শাসকদ্বয় ব্যক্তি জীবনে কতটা ধার্মিক ছিলেন সেটা আপনার ভালো জানেন। কুচ কুচ ধর্ম, কুচকুচ সেকুলার, কুচকুচ ইন্ডিয়া বিরোধীতা এবং সার্বক্ষণিক আওয়ামীলীগ বিরোধীতাই ছিলো বিএনপির এতদিনের সম্বল। প্রথম টেকনিকে হাত বাড়িয়েছে এখন আওয়ামীলীগ।
বাবু নগরী ৫ই মে শাপলা চত্তরের জনসভায় বলেছিলেন "ক্ষমতায় যেতে হলে এবং ক্ষমতায় থাকতে হলে হেফাজতের দাবী মেনে নিয়েই থাকতে হবে। " এই প্রথম কারো বক্তব্যের শতভাগ বাস্তবায়ন দেখতে পেলাম। শেখ হাসিনা নিজের কলিজাটা বের করে রেঁধে খাওয়ালেও হেফাজতীরা নৌকায় ভোট দেবে সেটা আমি বিশ্বাস করি না। "
কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির সমমান দেয়ার জন্য শেখ হাসিনা ধন্যবাদ পেতে পারেন। তবে যে ছাত্ররা জাতীয় সংগীত গায় না তাদেরকে কেমন করে সম্মাননা পত্র তুলে দেয়া যাবে সেটাও দেখার বিষয়। কওমী মাদ্রাসা গুলা যেমন ইচ্ছা তেমন করে যুগের পর যুগ চলতে পারে না।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পুরো বক্তব্যে
__________________________________________
♦ আমরা দাওয়াতে আপনার সবাই এক হয়ে এখানে এসে, গনবভনেরর মাঠিকে ধন্য করছেন।

♦বাংলাদেশে শিক্ষার সূচনা হয়েছে ক্বওমী মাদ্রাসার মাধ্যমে।

♦কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদীসকে মাস্টার্স এর মান প্রদান করা হল।

♦ সিলেবাস ওলামায়ে কেরামই নির্ধারিত করবেন

♦ ভারতবর্ষ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূত্রপাত উলামায়ে দেওবন্দ আন্দোলনের মাধ্যমে।

♦গ্রীক মূর্তি আমারও ভাল লাগানে। আপনাদের দাবী আমি রাখব। তাই ইতিমধ্যেই প্রধান বিচারপতিকে মূর্তি সরানোর ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিব! আমার উপর আস্থা রাখুন।

♦আপনাদের নিয়েই আমি এদেশে ইসলামের জন্য কাজ করতে চাই। স্বাধীনতা বিরোধী চক্র আমাদের মাঝে দূরত্ব তৈরি করতে চায়।

♦বাংলাদেশে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা দেয়া হয় ক্বওমী মাদ্রাসাগুলোতে।

♦কওমি মাদরাসার স্বাতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে এবং দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতি অক্ষুণ্ন রেখে কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ শ্রেণি দাওরায়ে হাদিসকে ইসলামিক স্টাডিজ ও অ্যারাবিকে মাস্টার্সের সমমান ঘোষণা করা হলো।

♦ সনদের স্বীকৃতি না থাকায় কওমি মাদরাসায় শিক্ষার্থীরা তেমন কিছুই করতে পারছে না। সনদের স্বীকৃতি পেলে তারা আলোর দিশা পাবে। কর্মক্ষেত্রে সফল হবে।

♦দেওবন্দের উসুলের ভিত্তিতে সনদের সীকৃতি ঘোষনা করা হল।

♦বাংলাদেশে ১৪ হাজার কওমি মাদরাসা আছে। ১৪ লাখ ছাত্র রয়েছে। দীনি এলেম হলো মৌলিক শিক্ষা। এ শিক্ষা না থাকলে শিক্ষা পরিপূর্ণ হয় না।

♦আমি অনেক আগ থেকেই ভাবছিলাম, কওমি মাদরাসার সনদের অন্তত স্বীকৃতি হওয়া একান্ত দরকার। আমি এ ব্যাপারে আলেমদের বলেছিলাম, আপনারা ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। আপনারা এক হয়ে এখানে এসেছেন আমি আনন্দিত। আমরা স্বীকৃতি ঘোষণা করবো এবং আপনারা যতোটুকুতে ঐক্যবদ্ধ হবেন সেভাবেই আমরা কারিকুলাম ও আইন প্রণয়ন করবো।

♦এটি আপাতত একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমেই হবে। পরবর্তীতে আপনাদের পরামর্শ অনুযায়ী ধীরে ধীরে আইন প্রণয়ন করা হবে এবং অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।

♦জংগীবাদের বিরুদ্ধে ওলামায়ে কেরাম জনগনকে সচেতন করবেন এবং আমাকে সাহায্য করবেন আশা করি।

♦জিহাদের ময়দান ভিন্ন বিষয়। কিন্তু অহেতুক মানুষ হত্যা করে কেউ কেউ জান্নাতে চলে যেতে চাচ্ছে। জান্নাতে কে যাবে কে যাবে না সেটা আল্লাহ জানেন। তিনি বিচার করবেন। আল্লাহর সিদ্ধান্ত নিজের দায়িত্বে নিয়ে নিচ্ছে অনেকে। তরুনদের বিভ্রান্তের হাত থেকে আপনারা বাঁচাতে পারেন। সচেতন করতে পারেন।

♦আমি পৃথিবীর নানা প্রান্তে অনেক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করি। সেখানে কেউ ইসলাম ধর্মকে দোষারোপ করে কথা বললে আমার কষ্ট লাগে। আমি তার প্রতিবাদ করি। আমি বলি, গোটা কয়েক লোকের জন্য আমাদের প্রিয় ও শ্রেষ্ঠ ধর্মকে দোষ দিবেন না।

♦আমাদের দেশে ও দেশের বাইরে অনেক সময় অনেকে কওমি মাদরাসা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। আমি তার প্রতিবাদ করেছি। আমি তার প্রতিবাদ করে বলেছি, এ দেশে শিক্ষার সূচনা ও প্রসার ঘটেছে মাদরাসার মাধ্যমে। কওমি মাদরাসা না হলে আমরা হয়তো শিক্ষিতই হতাম না।

♦দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো এ ভারতবর্ষের স্বাধীন সংগ্রামকে সামনে রেখে। দারুল উলুম দেওবন্দের অসামান্য অবদান রয়েছে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের পেছনে।

♦আমি মনেপ্রানে ধর্ম পালন করি। আমার পরিবার সম্পর্কে আপনারা জানেন। ধর্মীয় পরিবেশেই আমি বড় হয়েছি। আমি বাকি জীবন ইসলামের জন্য কাজ করতে চাই। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের অংশটির কার্টেসী - সৈয়দ আনোয়ার আবদুল্লাহ (ফেসবুক থেকে নেয়া)

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৪১

বিজন রয় বলেছেন: "ধর্মীয় গোষ্টি গুলাকে শীতল রাখলে ক্ষমতার চেয়ারটা ঠান্ডা থাকে" এই মতবাদটি মুলত সামরিক শাসকদের হলেও শেখ হাসিনা সেটা শিখে নিতে পেরেছেন।

একটা দারুন পোস্ট দিয়েছেন?

আসলে এই সরকার সাথে জিয়া আর এরশাদ সরকারের পার্থক্য খুব একটি নেই।

২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৩

বিজন রয় বলেছেন: শেখ হাসিনা নিজের কলিজাটা বের করে রেঁধে খাওয়ালেও হেফাজতীরা নৌকায় ভোট দেবে সেটা আমি বিশ্বাস করি না।

১০০% সহমত।

৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: খেলাফত মজলিশ সহ অনেকগুলো কওমী পন্থিদল মহাজোটের অংশ। সুতরাং এটা তাদের প্রাপ্য।

৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৭

তেীহিদুল ইসলাম শওকত বলেছেন: ২০১৩ সালের টক তেতুল পেকে মিষ্টি হয়েছে ২০১৭ সালে এসে।

৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫১

টারজান০০০০৭ বলেছেন: পাঁঠাদের এতদিনের পরিশ্রম মাটি হইয়া গেলো , আহারে !
তবে একখান বুদ্ধি আছে. তাহারা যদি নিজের বিচিতে কামড় দিয়া সরকারের সাথে লড়াই করতে পারে তাইলে কুস্তি জিততেও পারে ! খিকজ ! :D

৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:১৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: স্বীকৃতি তো মনে হয় বি এন পি আমলেও একবার দেয়া হয়েছিল, এখন আবার নতুন করে কী দিল কে জানে...

৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:০০

টারজান০০০০৭ বলেছেন: স্তালিন কহিলেন ইউরেকা ! পাইয়াছি ! :D ;) :P =p~

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.