নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের সমস্ত উদ্দেশ্য উদার সর্বস্ব হলে সকলেই উপল খন্ড হয়ে যায়।

মনসৃর

জীবনের সমস্ত উদ্দেশ্য উদার সর্বস্ব হলে সকলেই উপল খন্ড হয়ে যায়।

মনসৃর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুসলিম হয়ে অন্য ইলাহদের ইবাদাত দেখতে যাচ্ছেন ? একটু দাঁড়ান প্লিজ...

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:২০

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ...



কোন ইলাহ নেই একমাত্র আল্লাহ্‌ ছাড়া। এই ইলাহের অনেক অর্থ ও ব্যাখ্যা রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আল্লাহ্‌ ব্যাতীত ইবাদাত বা প্রার্থনার যোগ্য অন্য কেউ বা কোন কিছুই নেই। ইসলামে অন্তর্ভুক্ত হওয়া ও থাকার জন্য এর উপলব্ধি, বিশ্বাস এবং সাক্ষ্য প্রদান প্রথম ও প্রধান শর্ত। এ থেকেই প্রমাণিত হয় আল্লাহ্‌ তায়ালাকে ছাড়া অন্য যাদের ইবাদাত/প্রার্থনা/পূজা করা হয় তারা এর অযোগ্য।

ইবাদাত বা প্রার্থনা পাওয়ার একমাত্র যোগ্য সত্ত্বা মহান রাব্বুল আ'লামীন আল্লাহ্‌ তায়ালা। আর সবই অযোগ্য, মিথ্যা, ভ্রান্ত। এটা যারা উপলব্ধি করতে পারেনি তারা এটা বিশ্বাস করবে না, এর সাক্ষ্যও দেবে না বরং অন্য ইলাহদের ইবাদাত/প্রার্থনা/পূজা করবে এটাই স্বাভাবিক।

কিন্তু আফসুসের বিষয় আমাদের সমাজে এমন লোক রয়েছে যারা মুসলিম পরিবারে জন্ম নিলেও ইসলামে প্রবেশের সর্বপ্রথম দরজা, তাওহীদের ভিত্তি এই কালেমার মূল বিষয়কে উপলব্ধি করতে পারেন নি। উপলব্ধি করতে না পারলেও মুসলিম পরিবারে জন্মহেতু এই কালেমা বিশ্বাস করার এবং এর সাক্ষ্য প্রদানের দাবী করে থাকেন। আপনাদের এই দাবীকে আমি সম্মান জানাই, শ্রদ্ধা করি।

ভাই আমার, আপনি যদি আপনার দাবীতে সঠিক হয়ে থাকেন তাহলে বলেন তো আপনার ধর্মানুযায়ী অন্য সব ইলাহ যেখানে ইবাদাত/প্রার্থনা/পূজা পাওয়ার অযোগ্য, মিথ্যা, ভ্রান্ত সেখানে সে সব ইলাহ দের ইবাদাত বা প্রার্থনা দেখতে যাওয়া কি আপনার জন্য শোভনীয় ? আপনি যে দাবী করে থাকেন আপনি মুসলিম বিশ্বাস করেন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ তথা আল্লাহ্‌ ব্যতীত ইবাদাতের যোগ্য অন্য কোন ইলাহ নেই তারপরও আপনি যে অন্য সব ইলাহদের ইবাদাত বা পূজা দেখতে যান তাতে কি আপনার আত্নসম্মানে বাঁধে না ?

আল্লাহ্‌র পরিবর্তে অন্য ইলাহদের ইবাদাত করা কুফরী তথা আল্লাহকে অস্বীকার করার নামান্তর। আপনি অইসব ইলাহদের প্রার্থনানুষ্ঠান শুধ দেখতে যান, করতে নয়। কারন ওসব দেখতে আপনার ভালো লাগে, মজা পান তাই। যে জিনিস দেখে আপনার ভালো লাগে, আপনি মজা পান। সে জিনিস করতে আপনার সমস্যাটা কোথায় ভাই ? ভালো লাগার জিনিস, আনন্দের জিনিস, যার মধ্যে মজা রয়েছে তা আজ না হয় কোন কারনে আপনি করছেন না কিন্তু কাল ও যে করবেন না তার নিশ্চয়তা কী ? জেনে রাখুন যদি আপনি এটা করেই ফেলেন তাহলে আপনি কুফরীতে প্রবেশ করে ফেললেন। ছিটকে পড়লেন তাওহীদের পথ থেকে। বেরিয়ে গেলেন ইসলাম থেকে।

আর যদি না তা নাও করেন অন্য ইলাহদের ইবাদাত শুধু দেখে যান, দেখে আপনার ভালো লাগে মজা পান তাহলে কোরাআন-হাদীস ঘেঁটে দেখে নিন শিরক কী জিনিস। আপনার-আমার এবং সমস্ত সৃষ্টি জগতের প্রভু, ইবাদাত বা প্রার্থনার একমাত্র যোগ্য সত্ত্বা আল্লাহ্‌ তায়ালার উপর সবচেয়ে বড় অত্যাচার কি। কোন অপরাধ তিনি কখনো ক্ষমা করেন না।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৩৯

আহমেদ মুস্তফা জিহাদী বলেছেন: কি লেখা লিখলেন বুঝলাম না। ইসলামে কি অন্য ধর্মের উঁৎসবে যেতে না করা হয়েছে সরাসরি ? যদি সেটা করা হয়ে থাকে দলিলপত্র দেখান।

বিশেষ করে এই লাইনটা পড়ে হাসতে হাসতে গড়াগাড়ি খাইলাম কিছুক্ষণ -

ভালো লাগার জিনিস, আনন্দের জিনিস, যার মধ্যে মজা রয়েছে তা আজ না হয় কোন কারনে আপনি করছেন না কিন্তু কাল ও যে করবেন না তার নিশ্চয়তা কী ?


অসংখ্য মুসলিম পূজা দেখতে প্রতিনিয়ত যাচ্ছে। তাদের সেই জিনিস ভালো লাগাতে কিছুদিন বাদে তারা মূর্তিপূজা শুরু করে দিয়েছে এমন কথা জীবনে শুনিনাই :)


০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১০

মনসৃর বলেছেন: না বুঝে থাকলে আবার পড়েন। বার বার পড়েন। মাথায় ঘিলু নামক পদার্থ থেকে থাকলে এবং দিনকানা না হলে ঠিকই বুঝতে পারবেন।
আল্লাহ্‌ তায়ালা ছাড়া অন্য সব ইলাহদেরকে প্রত্যাখ্যান করতে নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ"র মূল কথাই এটা। যে মুসলিম আল্লাহ্‌ তায়ালা ছাড়া অন্য সব ইলাহদেরকে প্রত্যাখ্যান করে আল্লাহ্‌ তায়ালার উপর ঈমান আনলো, আল্লাহ তায়ালা ছাড়া অন্য সব ইলাহদেরকে মিথ্যা, ভ্রান্ত এবং ইবাদাতের অযোগ্য হিসেবে স্বীকার করলো তার পক্ষে কীভাবে সম্ভব যে সে ওইসব মিথ্যা, ভ্রান্ত, ইবাদাতের অযোগ্য ইলাহদের ইবাদাত দেখতে যাবে ? ওসব দেখে মজা পাবে ?
যাবে না আত্নসম্মান যাদের নেই, নিজের সত্য ও ইবাদাতের যোগ্য রবের প্রতি যাদের ভালোবাসা নেই, সম্পর্ক নেই তারা তো যাবেই অন্যসব মিথ্যা ও ইবাদাতের অযোগ্য ইলাহদের ইবাদাতের উৎসবে।
মূর্তিপূজা হচ্ছে শিরকের সবচেয়ে পুরনো ভার্শন। সরাসরি অইটা না করলেও অনেক শিরকই তারা করছে। অইটা করতেও খুব দেরি নেই। যা দেখতে ভালো লাগে তা করতে আপত্তি থাকার কি অযৌক্তিক নয় ?

২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫

এলিয়ান বলেছেন: আমি যদি নিজ চোখা না দেখি তাহলে কেমনে বলব এর কি করতেছে। সহী হাদিসে আছে নবীজি মসজিদে নবাবীতে অন্য ধর্মের লোকদের উপাসনা করতে দিয়েছেন। (দু:খিত হাদিসের রেফারেন্সটা পাইতেছিনা)। আর আমি তো সুধু দেখতে যাইতেছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.