| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
....................................পর্ব০১
হাদীস .
حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ زُهَيْرٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا إِسْحَاقَ، يَقُولُ: «أَدْرَكْتُهُمْ وَهُمْ يُعْطُونَ فِي صَدَقَةِ رَمَضَانَ الدَّرَاهِمَ بِقِيمَةِ الطَّعَامِ»
অর্থ : হযরত যুহাইর (রহ.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ ইসহাক (রহ.) থেকে শুনেছি যে, তিনি বলেছেন, আমি সাহাবায়ে কেরাম (রা.) ও তাবেয়ীনদের কে এই অবস্থায় পেয়েছি যে, তারা রমজানে সাদাকায়ে ফিতর খাবারের বিনিময়ে অর্থ (দিরহাম) দ্বারা আদায় করতেন।
[মুসান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ, হাদীস নং ১০৪৭২ , ৬/৫০৮ দারুল কিবলাহ]
>>হাদিসের মান - সহীহ.
হাদীসের মর্মবাণী বুঝার আগে জানতে হবে কে এই আবু ইসহাক রাহি:?
তিনি হলে ইরাকের বিশিষ্ট একজন তাবেয়ী.
যিনি সাইয়েদুনা আলী, ইবনে উমার,ইবনে আব্বাস,নুমান বিন বাশির,বারা বিন আযিব,আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযিয়াল্লাহু আনহুম সহ বিখ্যাত সব সাহাবায়ে কেরামের সানিধ্য পেয়েছেন .
তাই তার ادركتهم বলা দ্বারা সাহাবীগণ উদ্দেশ্য
আরব বিশ্বের প্রখ্যাত শাইখ সালিহ হাফি. এর ভাষ্য এটি.http://alodaib.com/news.php?action=show&id=2106
ইমাম বুখারী ও মুসলিম রাহি: সহ প্রায় সকল হাদিসের ইমামগণ তার থেকে হাদীস সংগ্রহ করেছেন .
এবার উপলব্ধি করুন এমন মহান একজন তাবেয়ী তার যুগের লোকদের সদাকাতুল ফিতর এর বর্ণনা দিচ্ছেন.যদি অর্থ দিয়ে তা আদায় বৈধই না হতো তাহলে এমনটি তিনি বর্ননা দিতেন না...
>>আমাদের কিছু দীনি ভাই উক্ত সহীহ হাদীসের উপর আপত্তি করে থাকেন.
তারা বলেন উক্ত হাদীসটি তিন 'কারনে প্রমানযোগ্য নয়.
১-ইমাম আবু ইসহাক তাদলিস(বর্ননা সংক্রান্ত একটি দোষ) করেন.
২-তার শেষ জীবনে স্মৃতি শক্তি লোপ পায় তাই তার বর্ননায় হেরফের হয়ে যায়.
৩-আর তার ছাত্র ইমাম যুহাইর রাহি. আবু ইসহাক এর শেষ জীবনের ছাত্র তাই তার বর্ননা গ্রহণ যোগ্য নয়.
মাশায়াল্লাহ ,আমার সেসব দীনি ভাইদের হাদীসের জ্ঞানের আগ্রহ আমাকে সত্যিই বিস্মিত করে.
তবে তাদের উলুমুল হাদীস নিয়ে আরো ভেবে দেখার দরকার আছে বলে মনে করি.
সেসব ভাইয়ের প্রতি পরামর্শ হিসেবে কিছু খন্ডন উল্লেখ করলাম :
১-আগেই বলা হয়েছে ইমাম আবু ইসহাক বুখারী মুসলিম এর রাবী.
অতএব তাকে তার তাদলিস নিয়ে
দোষযুক্ত করা নিতান্তই ছেলেখেলা.
আর যেসব ভাই তাকে তাদলিসের দোষ দিয়ে এই সানাদকে অগ্রহণযোগ্য বলছেন তারা মনে হয় তাদলিসের নামটাই জানেন, কাজটা আর জানেন না. কেননা যারা উলুমুল হাদিস নিয়ে একটু ঘাটাঘাটি করেন তারা বুঝবেন যে এই সানাদে তাদলিসের ঘ্রাণ টুকু নেই!
ইমাম আবু ইসহাক নিজেই তার সোনালি যুগের সংবাদ দিচ্ছেন এখানে সানাদে তাদলিস কি পেলেন আমাদের বোধগম্য নয়.
২- প্রত্যেক ব্যক্তিরই স্মৃতি শক্তি শেষ বয়সে কিছুটা লোপ পায় এখানেও ঠিক তেমনই হয়েছে.
তবে একারণে তার হাদীসের বর্ননায় হের ফের হওয়াটা মুহাদ্দিসগনের নিকট শতসিদ্ধ কথা নয়.
ইমাম যাহাবী বলেন -
وهو ثقة حجة بلا نزاع و قد تغير حفظه تغير السن و لم يختلط
তিনি সকলের ঐক্যমতের সিকাহ ও হুজ্জাহ (উচ্চমানের নির্ভরযোগ্য রাবী)
আর বার্ধক্যের কারণে তার স্মৃতি শক্তিতে পরিবর্তন আসে কিন্তু হাদীস বর্ননায় তার হেরফের হয়নি.
(সিয়ারু আলামিন নুবালা ৬/১২২ দারুল হাদীস)
হাদিসের ক্ষেত্রে যেহেতু সতর্কতা জরুরী, তাই তার স্মৃতি লোপ পাওয়ার বিষয়ে মুহাদ্দিসগন সর্তক করেছেন.
৩-ইমাম বুখারী তার সহীহুল বুখারীতে উল্লেখিত সানাদের আলোচিত অংশ অর্থাৎ ইমাম যুহাইর এর বর্ননায় তার উস্তায ইমাম আবু ইসহাক থেকে হাদিস উল্লেখ করেছেন .(সহীহুল বুখারী ৩৫৫২ কিতাবুল মানাকিব)
এখন সেসব ভায়েরা কি বলবেন- সহীহুল বুখারীর হাদীস অগ্রহণযোগ্য?
৪-বর্তমান সালাফী সহ সকলের শ্রোদ্ধাভাজন ইমাম ইবনুল কাইয়িম রাহি তার বিখ্যাত সুনানু আবি দাউদের ব্যাখ্যাগ্রন্থ তাহযিবুস সুনানের ভিতর ইমাম যুহাইর এর সানাদে আবু ইসহাকের হাদীসের গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে বিস্তর আলোচনা করতঃ ইমাম ইবনে হাযম এর উক্তি উল্লেখ করেন যে,
তিনি বলেন -
نقول ان رواية زهير عن ابي إسحاق صحيحة
আমরা বলবো নিশ্চয়ই আবু ইসহাক থেকে যুহাইরের বর্নিত হাদিস সহীহ্
(তাহযিবুস সুনান ১/২৭৯ মাকতবাতুল মায়ারিফ)
এরপরও সেসব বন্ধুগণ এই হাদীসটিকে অগ্রহণযোগ্য বলবেন?
আমি বলছি না যে আপনারা দু 'চার জন মুহাদ্দিসগনের উক্তি কে পূজিঁ করে স্বেচ্ছায় সহীহুল বুখারীর সানাদের অংশকে অগ্রহণযোগ্য বলছেন . কিন্তু একটি সানাদকে অগ্রহণযোগ্য বলার আগে অনেক দিক বিবেচনা করা লাগে,
শুধুমাত্র দু 'চার জনের উক্তিকে পূজিঁ করে বড় বড় ইমামদেরও অগ্রহণযোগ্য বলা যায় কিন্তু এটা শাস্ত্রীয় হাদীস গবেষণা নীতি নয় বরং এটা আপনার নিজস্ব নীতি হতে পারে. যা অপরের উপর চাপিয়ে দেয়া অন্যায়.
আশা করি বুঝতে পেরেছেন.
আল্লাহ আমাদের সহীহ বুঝ দান করুন.... ....................................
হাদীস .
حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ زُهَيْرٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا إِسْحَاقَ، يَقُولُ: «أَدْرَكْتُهُمْ وَهُمْ يُعْطُونَ فِي صَدَقَةِ رَمَضَانَ الدَّرَاهِمَ بِقِيمَةِ الطَّعَامِ»
অর্থ : হযরত যুহাইর (রহ.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ ইসহাক (রহ.) থেকে শুনেছি যে, তিনি বলেছেন, আমি সাহাবায়ে কেরাম (রা.) ও তাবেয়ীনদের কে এই অবস্থায় পেয়েছি যে, তারা রমজানে সাদাকায়ে ফিতর খাবারের বিনিময়ে অর্থ (দিরহাম) দ্বারা আদায় করতেন।
[মুসান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ, হাদীস নং ১০৪৭২ , ৬/৫০৮ দারুল কিবলাহ]
>>হাদিসের মান - সহীহ.
হাদীসের মর্মবাণী বুঝার আগে জানতে হবে কে এই আবু ইসহাক রাহি:?
তিনি হলে ইরাকের বিশিষ্ট একজন তাবেয়ী.
যিনি সাইয়েদুনা আলী, ইবনে উমার,ইবনে আব্বাস,নুমান বিন বাশির,বারা বিন আযিব,আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযিয়াল্লাহু আনহুম সহ বিখ্যাত সব সাহাবায়ে কেরামের সানিধ্য পেয়েছেন .
তাই তার ادركتهم বলা দ্বারা সাহাবীগণ উদ্দেশ্য
আরব বিশ্বের প্রখ্যাত শাইখ সালিহ হাফি. এর ভাষ্য এটি.http://alodaib.com/news.php?action=show&id=2106
ইমাম বুখারী ও মুসলিম রাহি: সহ প্রায় সকল হাদিসের ইমামগণ তার থেকে হাদীস সংগ্রহ করেছেন .
এবার উপলব্ধি করুন এমন মহান একজন তাবেয়ী তার যুগের লোকদের সদাকাতুল ফিতর এর বর্ণনা দিচ্ছেন.যদি অর্থ দিয়ে তা আদায় বৈধই না হতো তাহলে এমনটি তিনি বর্ননা দিতেন না...
>>আমাদের কিছু দীনি ভাই উক্ত সহীহ হাদীসের উপর আপত্তি করে থাকেন.
তারা বলেন উক্ত হাদীসটি তিন 'কারনে প্রমানযোগ্য নয়.
১-ইমাম আবু ইসহাক তাদলিস(বর্ননা সংক্রান্ত একটি দোষ) করেন.
২-তার শেষ জীবনে স্মৃতি শক্তি লোপ পায় তাই তার বর্ননায় হেরফের হয়ে যায়.
৩-আর তার ছাত্র ইমাম যুহাইর রাহি. আবু ইসহাক এর শেষ জীবনের ছাত্র তাই তার বর্ননা গ্রহণ যোগ্য নয়.
মাশায়াল্লাহ ,আমার সেসব দীনি ভাইদের হাদীসের জ্ঞানের আগ্রহ আমাকে সত্যিই বিস্মিত করে.
তবে তাদের উলুমুল হাদীস নিয়ে আরো ভেবে দেখার দরকার আছে বলে মনে করি.
সেসব ভাইয়ের প্রতি পরামর্শ হিসেবে কিছু খন্ডন উল্লেখ করলাম :
১-আগেই বলা হয়েছে ইমাম আবু ইসহাক বুখারী মুসলিম এর রাবী.
অতএব তাকে তার তাদলিস নিয়ে
দোষযুক্ত করা নিতান্তই ছেলেখেলা.
আর যেসব ভাই তাকে তাদলিসের দোষ দিয়ে এই সানাদকে অগ্রহণযোগ্য বলছেন তারা মনে হয় তাদলিসের নামটাই জানেন, কাজটা আর জানেন না. কেননা যারা উলুমুল হাদিস নিয়ে একটু ঘাটাঘাটি করেন তারা বুঝবেন যে এই সানাদে তাদলিসের ঘ্রাণ টুকু নেই!
ইমাম আবু ইসহাক নিজেই তার সোনালি যুগের সংবাদ দিচ্ছেন এখানে সানাদে তাদলিস কি পেলেন আমাদের বোধগম্য নয়.
২- প্রত্যেক ব্যক্তিরই স্মৃতি শক্তি শেষ বয়সে কিছুটা লোপ পায় এখানেও ঠিক তেমনই হয়েছে.
তবে একারণে তার হাদীসের বর্ননায় হের ফের হওয়াটা মুহাদ্দিসগনের নিকট শতসিদ্ধ কথা নয়.
ইমাম যাহাবী বলেন -
وهو ثقة حجة بلا نزاع و قد تغير حفظه تغير السن و لم يختلط
তিনি সকলের ঐক্যমতের সিকাহ ও হুজ্জাহ (উচ্চমানের নির্ভরযোগ্য রাবী)
আর বার্ধক্যের কারণে তার স্মৃতি শক্তিতে পরিবর্তন আসে কিন্তু হাদীস বর্ননায় তার হেরফের হয়নি.
(সিয়ারু আলামিন নুবালা ৬/১২২ দারুল হাদীস)
হাদিসের ক্ষেত্রে যেহেতু সতর্কতা জরুরী, তাই তার স্মৃতি লোপ পাওয়ার বিষয়ে মুহাদ্দিসগন সর্তক করেছেন.
৩-ইমাম বুখারী তার সহীহুল বুখারীতে উল্লেখিত সানাদের আলোচিত অংশ অর্থাৎ ইমাম যুহাইর এর বর্ননায় তার উস্তায ইমাম আবু ইসহাক থেকে হাদিস উল্লেখ করেছেন .(সহীহুল বুখারী ৩৫৫২ কিতাবুল মানাকিব)
এখন সেসব ভায়েরা কি বলবেন- সহীহুল বুখারীর হাদীস অগ্রহণযোগ্য?
৪-বর্তমান সালাফী সহ সকলের শ্রোদ্ধাভাজন ইমাম ইবনুল কাইয়িম রাহি তার বিখ্যাত সুনানু আবি দাউদের ব্যাখ্যাগ্রন্থ তাহযিবুস সুনানের ভিতর ইমাম যুহাইর এর সানাদে আবু ইসহাকের হাদীসের গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে বিস্তর আলোচনা করতঃ ইমাম ইবনে হাযম এর উক্তি উল্লেখ করেন যে,
তিনি বলেন -
نقول ان رواية زهير عن ابي إسحاق صحيحة
আমরা বলবো নিশ্চয়ই আবু ইসহাক থেকে যুহাইরের বর্নিত হাদিস সহীহ্
(তাহযিবুস সুনান ১/২৭৯ মাকতবাতুল মায়ারিফ)
এরপরও সেসব বন্ধুগণ এই হাদীসটিকে অগ্রহণযোগ্য বলবেন?
আমি বলছি না যে আপনারা দু 'চার জন মুহাদ্দিসগনের উক্তি কে পূজিঁ করে স্বেচ্ছায় সহীহুল বুখারীর সানাদের অংশকে অগ্রহণযোগ্য বলছেন . কিন্তু একটি সানাদকে অগ্রহণযোগ্য বলার আগে অনেক দিক বিবেচনা করা লাগে,
শুধুমাত্র দু 'চার জনের উক্তিকে পূজিঁ করে বড় বড় ইমামদেরও অগ্রহণযোগ্য বলা যায় কিন্তু এটা শাস্ত্রীয় হাদীস গবেষণা নীতি নয় বরং এটা আপনার নিজস্ব নীতি হতে পারে. যা অপরের উপর চাপিয়ে দেয়া অন্যায়.
আশা করি বুঝতে পেরেছেন.
আল্লাহ আমাদের সহীহ বুঝ দান করুন....
©somewhere in net ltd.