নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ট্যান কার্ভ

ডিসক্লেইমার: মন্তব্য করুন নিজের মতই, কিন্তু তাতে আমার হৃদয়ের কাছাকাছি খুব প্রিয় মানুষদের কষ্ট পাওয়ার সম্ভবনা থাকলে সাথে সাথে ডিলিট হবে।

আস্তমেয়ে

হে প্রভু, তুমি আমাকে অকল্যাণ বয়ে আনা এবং অর্থহীন কথা ও কাজ থেকে রক্ষা করো! [link|http://www.somewhereinblog.net/shondhabatiblog|Ges Avwg]

আস্তমেয়ে › বিস্তারিত পোস্টঃ

রেসিপি: চ্যাপা শুঁটকির ভর্তা

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ১০:৫২

চ্যাপা শুঁটকি বস্তুটা কোন মাছ থেকে হয় সেটা আমি ঠিক জানি না। খুব সম্ভবত পুঁটি। শুঁটকির সাইজ মোটামোটি ছোট, তিন চার ইঞ্চি হবে।



ছোটবেলায় খুব বিভীষিকাময় কিছু স্মৃতির মধ্যে একটা হচ্ছে, শুঁটকির গন্ধ। আমার ঘরটা ছিল একদম রান্নাঘরের পাশে (এখন সবচেয়ে দূরে)। যাই রান্না হত, ধূয়া খেতাম আমি আগে। শুঁটকির বিকট গন্ধও তাই আগেই পেতাম।



ওই গন্ধই যথেষ্ট ছিল আমার মধ্যে কমপালসিভ-শুঁটকি-ভীতি সৃষ্টি করে দেয়ার জন্য। চারিদিকে শুনতাম চ্যাপা শুঁটকি চ্যাপা শুঁটকি। আমার দাদু বাড়ি, নানু বাড়ি দুই জায়গাতেই এই চ্যাপা শুঁটকি বস্তুটা খুব বিখ্যাত। খাওয়ার ধরণ অবশ্য একটু আলাদা। দাদুবাড়িতে কাঁচা শুঁটকিটা প্রচুর কাঁচা মরিচের সাথে বেটে খাওয়া হয়, নানুবাড়িতে প্রচুর পেঁয়াজের সাথে ভেজে। তখন অবশ্য এত কিছু বুঝতাম না। শুঁটকি মানেই বিভীষিকা। দুর্গন্ধ!



খুব খারাপ ছিলাম না শুঁটকিহীন জীবনে... এখন থেকে দুই বছর আগ পর্যন্ত আর কি। কথা বলছিলাম আমার একজন প্রিয় মানুষের সাথে। রাত তিনটা বাজে তখন। আমি শুঁটকি খাই না বলে আমাকে নিয়ে সে কি হাসাহাসি! রীতিমত সাক্ষী হিসেবে ব্যবহার করছে আমি যে 'পিচ্চি' তার ব্যপারে। আমার এত সইবে কেন, আঠারো হল না? অভিমানে ফুলতে ফুলতে রান্নাঘরে গেলাম সেই রাত তিনটার সময়। ফ্রিজ থেকে ভাত আর শুঁটকি তরকারী বের করলাম। মাইক্রোওয়েভে গরম করলাম এবং গোগ্রাসে গিললাম। দেখতে পাচ্ছিলাম না কিছু, নোনা জলের চাদরে চোখ ঝাপসা!



এখন শুঁটকি খুবই ভাল লাগে।



আমার প্রিয় স্টাইলে রান্না শুঁটকির রেসিপি দিচ্ছি তাই।



শুঁটকি মাছ দুইটা ভিন্ন সংরক্ষণ প্রকিয়ায় তৈরি হয়, একটা রোদে শুকিয়ে, আরেকটা হল মাটির নিচে পুঁতে রেখে ব্যাকটেরিয়া ব্রিড করে। অনেকটা পান্তাভাত স্টাইলে। চ্যাপা শুঁটকি দ্বিতীয় ভাবে তৈরি হয়। তাই পুরো শুকনো না, মাংসল। আর গন্ধটাও মাশাল্লাহ... ভালই বিকট।



তাই অল্প শুঁটকিতেই হয়ে যায়।



আচ্ছা, পরিমাণ আন্দাজে দিচ্ছি... (মায়ের থেকে রান্না শিখেছি, অভ্যাস খারাপ হয়ে গেছে। আমি দায়ী না!)

- 5/6 টা চ্যাপা শুঁটকি (খুব ভাল করে ধুয়ে, গায়ের ছোট ছোট অাঁশ পরিষ্কার করে, যেগুলো একটু ঘষাতেই আলগা হয়ে উঠে আসে।)

- প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ কুঁচি (শাব্দিক অর্থেই প্রচুর পরিমাণে। বাংলাদেশী পেঁয়াজের 15টার মত।)

- প্রচুর পরিমাণে রসুন কুঁচি (কুঁচি, মানে কোয়াগুলো গোল গোল করে কাটলেই হবে। 10/12 টা কোয়া।)

- পরিমাণ মত হলুদ, লবণ, মরিচ আর তেল :)



প্রথমে তেলে পেঁয়াজ আর রসুন ঢেলে অ-নে-ক্ষ-ণ নাড়ুন। যখন মনে হবে হয়ে গেছে, তারও বেশিক্ষণ রাখবেন। গোশত রান্নার সময় যতক্ষণ রাখতে হয়, তার দেড়গুণ বেশি সময়। হালকার চেয়ে একটু বেশি বাদামী রং হয়ে, 120% সিদ্ধ হয়ে, নরম হয়ে যাবে। তখন হলুদ, মরিচ আর লবন দিয়ে আরও কিছুক্ষণ নাড়ুন। তারপরে শুঁটকি দিয়ে দিন। এর পরে আবারও নাড়ুন। ঢেকে রেখে দিন, একটু পরে খুলে আবারও নাড়ুন। অ-নে-ক্ষ-ণ পরে যখন পুরোটার রং গাঢ় বাদামী হয়ে যাবে, শুঁটকি, পেঁয়াজ, রসুন কিছুই আলাদা করে চেনা যাবে না, পেঁয়াজ আর মসলা থেকে তেল আলাদা হয়ে ভেসে উঠবে, তখন নামিয়ে ফেলুন। হয়ে গেল আপনার চ্যাপা শুঁটকি ভর্তা... পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ খাবারগুলোর একটা!



সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: রান্নার আগে ঘরের দরজা জানালা ভাল করে বন্ধ করে নিবেন। নইলে প্রতিবেশীদের দ্বারা গণপিটুনী খাওয়ার ভয় আছে। রান্নার পরে ঘরে ভাল করে এয়ার ফ্রেশনার ছিটিয়ে নিন, নইলে দম বন্ধ হয়ে মরে যাওয়ার আশংকা আছে।



উৎসর্গ: যে শিখালো শুঁটকি খাওয়া

মন্তব্য ৪৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ বিকাল ৪:৫৫

অতিথি বলেছেন: আস্তা, আমারে রাইন্ধা খাওয়াইবা? শুঁটকি আমার বেজায় প্রিয়। কিন্তু কাজের বুয়া দিয়া কোনো কাম হইবো না :(
দেশে আসলে কইয়ো। আমিই শুঁটকি কিইন্যা তোমারে দাওয়াত দিমু। তুমি হেডকুক। আমি কম্পাউন্ডার।

২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ বিকাল ৪:৫৮

অতিথি বলেছেন: শুটকিতে চন্দ্রবিন্দু আছে না কি?
নাহ, দেশে গিয়ে রান্না করব না। অন ডিমান্ড রান্না খেতে হলে আমার বাসায় আসতে হবে। কিন্তু চোরকে ক্যামনে দাওয়াত দেই?

৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ বিকাল ৫:০২

অতিথি বলেছেন: চন্দরবিন্দু আছে কিনা, জানি না। লিখার সময় বানান খেয়াল থাকে না। যা অটোমেটিক্যালি আসে, তাই সই। বছর 12 আগে অবশ্য প্রায় নির্ভুল বানানে বাংলা লিখতে পারতাম।

যাউকগা, তোমার কোন বাসায়? ঢাকা, না অস্ট্রেলিয়া, না ইংল্যান্ড? দাওয়াত দিবা না কিসের ভয়ে? চোর হইবার পারি, মাগার ঈমানদার আছি। মুখ খারাপ, স্বভাব না

৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ বিকাল ৫:০২

অতিথি বলেছেন: প্রায় 10 বছর ময়মনসিংহ ছিলাম। ভীষণ দুর্গন্ধ লাগতো প্রথম। আর বানানোর প্রক্রিয়া শুনে আরও খারাপ লাগতো।
তবে এখন চ্যাপা শুটকির ভক্ত হ'য়ে গেছি। এখনও বাসায় মাঝে মাঝে রান্না হয়।
তবে সব সময় মনে জাগে ভয়..
কী জানি কখন ভাইরাল হেপাটাইসি-এ হয়!?

৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ বিকাল ৫:০৭

অতিথি বলেছেন: চোর,
আমার একটা নির্দিষ্ট সময় এক জায়গাতেই বাসা থাকে। যখন যেখানে বাসা হয়, সেই বাসায় :)
চোরের নাকি 'ধর্ম' নাই। অধর্মের মানুষদের একটু অস্বস্তি লাগে।

শেখ জলিল,
চ্যাপা শুটকি এত মজা যে রোগ ভোগের কথা একদম মনে রাখতে নেই! বাসায় আপাতত আমি সবচেয়ে বেশি শুটকি খাই। পাউরুটির ভিতরেও শুটকি ভর্তা ভরে স্যান্ডউইচ বানাই।

৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ বিকাল ৫:১১

অতিথি বলেছেন: চোরের জাত না থাক, ধর্ম আছে। কি কি চুরি করন যাইবো না, একটা লিস্টি দিও :)

কবে দাওয়াত দিবা?

৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ বিকাল ৫:২৯

নুশরাত শারমিন সুমি বলেছেন: চ্যাপা শূটকীর গন্ধে মুখে লালা আসিতেছে।

গাজীপুরের কালীগঞ্জে নায়ক ফারূক আঙ্কেলের বাড়িতে গেলে দেখি পাশের বাড়িতে কিভাবে পুঁটি মাছ দিয়া চ্যাপা শূটকী করে। দেখিলে বমি হওয়ার উপক্রম। তাহারপরও বাসায় ইহা খাওয়ার উৎসব পড়িয়া যায়। যাহাতে অনিচ্ছা সত্ত্বেও লোভ সামলাতে পারি না। যোগদান করি।

আপনার ফমর্ূলা ফলো করব। ধন্যবাদ

৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ বিকাল ৫:৩৩

একক বলেছেন: হুউমম! তাইতো বলি blog এ চেনা চেনা গন্ধ পাই কেন... আমারও পছন্দ

৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ বিকাল ৫:৩৫

অতিথি বলেছেন: শুটকি আমার দুচোখের বিষ। আমার ভাইয়ের শশুর বাড়ির ওরা অবশ্য শুটকির ভক্ত। লেখাটি ভাল লেগেছে। আস্তমেয়েকে ধন্যবাদ।

১০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ বিকাল ৫:৪৭

অতিথি বলেছেন: পদ্মা নদীতে ডুবে যাওয়ার আগে শুঁটকি চন্দ্রবিন্দু ছিল, এখনও আছে বলেই মনে হয়।

কবি শেখ জলিল বানান বিভ্রমটা দূর করতে পারতেন, কিন্তু তিনিও চন্দ্রবিন্দু ডুবিয়ে দিয়েছেন। তার বাড়ি অবশ্য পদ্মার এই পাড়ে।

সে যাক, এবার রান্নার ব্যাকরণে আসি। ভর্তা একধরণের বিশেষ রান্না। যেখানে শক্তি প্রয়োগ করে সবকিছু মিশিয়ে দিয়ে বলা যায় মন্ড মতো কিছু তৈরি করা হয়। ভালো উদাহরণ হলো আলু ভর্তা।
কিন্তু আস্ত'র রান্নার নাম ভর্তা হলে এরকম কোনো মন্ড বানানোর বর্ণনা নাই বলে একে ভর্তা বলা যাবে না। প্রক্রিয়া পড়ে মনে হচ্ছে রান্নার ব্যাকরণে এর নাম হবে ভুনা। শুঁটকি ভুনা।

ব্যাকরণ বাদ দিয়ে পোস্টের মূল বিষয়ে আসি। বেশ মজাদার হয়েছে লেখাটা। আস্ত বড় হচ্ছে। খাওয়ার জিহবাটা শিক্ষিত হয়ে উঠছে। আগাম সাংসারিক দায়িত্বের কথা ভেবে নিজের প্রস্তুতিও চালাচ্ছে। প্রশংসাযোগ্য!
কী? এর সবকিছুই!!! :)

১১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ বিকাল ৫:৫১

অতিথি বলেছেন: নোতুন বানান পাইলাম: শূটকী। রেফারেন্স, সুমিপুর মন্তব্য।

১২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ বিকাল ৫:৫২

অতিথি বলেছেন: লইটকা শুকটি ভালা লাগে । মুখে লোল এসে যায়........... ।

১৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সন্ধ্যা ৬:১০

অতিথি বলেছেন: বেগুন আর আলু দি য়া মাখা মাখা একটা শুটকির তরকারি হয় না!!!!! উফফফ....ভাবতেই লোলায়া, জামা কাপড় ভাসায় দিলাম।

১৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সন্ধ্যা ৬:১২

অতিথি বলেছেন: গোপী বায়েন, খাড়অ লোলদানী আইনা দিতাছি!
আচ্ছা শুঁটকির তেহারী হয় না?

১৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সন্ধ্যা ৬:২২

অতিথি বলেছেন: মামু এই তেহরীটাই হয় না। তবে, শুটকির ফ্রাইড আইসক্রিমটা খাইছেন

১৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সন্ধ্যা ৬:২৪

অতিথি বলেছেন: ফ্রাইড আইসক্রীম টা খাই নাই, তবে আইসক্রীমের মুড়িঘন্ট টা খাইছি। লবনটা একটু বেশি হইছিল যদিও!

১৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:১৬

হযবরল বলেছেন: চট্টগ্রামের লোক শুটকি খায় , তয় চ্যাপা শুটকি খায়না, চিটাগাং এ এইটার প্রোডাকশন ও নাই । আমি এক নোয়াখাইল্যা দোস্তের বাসায় একবার খাইছি। বিকট গন্ধ । এরচেয়ে বেশী গন্ধ আর কোন শুটকির হয় না।

১৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:৩১

অনিক বলেছেন: শোমচৌ,
ভর্তা আর ভূনার পার্থক্যটা ঠিকই ধরেছেন। আস্তমেয়ের রান্নাকরা শুটকি ভূনা শীল পাটায় পিষলে মজাদার শুটকি ভর্তা হয়ে যেত।

শুকানো কথা থেকে শুকনো মরিচ । শুকানো মাছ থেকে শুটকি মাছ। তাই শুটকি বানানটাই শুদ্ধ মনে হয়। শুঁটকি নয়। তবে চট্টগ্রামের মানুষ একটু নাকে কথা বলে। তাদের জন্য শুঁটকি ঠিক আছে।

১৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ৮:৩৬

অতিথি বলেছেন: অনিক, ধন্যবাদ।

ভর্তাটা মানছেন কিন্তু চনদ্রবিন্দুটা মানছেন না।
আমাকে মানতে বলিনি।

হাতের কাছে অভিধান থাকলে একটু পাতা উলেট বলুন। চট্টগ্রামের কারো লেখা অভিধান না দেখলেই হয়।

২০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ১০:২৭

ঝরা পাতা বলেছেন: শোমচৌ ঠিক বলেছেন। শুঁটকি - বানানটাই সঠিক।

কিন্তু লেখাটা পড়ে যে শুঁটকির শোক মনে প্রবল হয়ে উঠলো তার দায় কি আস্ত নেবে? হযুদা কি কন?

২১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ১:৩৪

অতিথি বলেছেন: সত্যি বলতে কি, আমিও বানানটা নিয়ে একটু সংশয়ে ছিলাম। অভিধান দেখার ধৈর্য হয় নি। শোমচৌকে ধন্যবাদ। ঠিক করে দিলাম।

সুমি, শুঁটকির এই ব্যপারটা হয় ক্যামনে তা আমি কিছুতেই বুঝি না। এত গন্ধের পরেও এত খেতে ইচ্ছা করে কেন?

গোপল ভাঁড়,
বেগুণ আর আলু দিয়ে যেটা হয়, ওটা কিন্তু চ্যাপা শুঁটকি দিয়ে হবে না। একদম শুকনো শুঁটকি গুলো দিয়ে হয়। শুঁটকিগুলো চাবিয়ে খেতেও মজা লাগে। আমারও লোভ লাগছে

হযবরল,
চিটাগঙে রোদে শুকিয়ে শুঁটকি বানানো হয়, যেটার প্রচলন অন্যান্য জায়গায় কম। রোদে শুকালে গন্ধটা অনেক কম হয়। তবে এই ভাবে রান্না করলে, রান্নার সময় গন্ধ পঁচা লাগে, পরে খুবই ভাল লাগে :)

শোমচৌ, অনিক,
উহু, এটাকে ভর্তা বলার কারণ হল, রান্না শেষে আপনি পেঁয়াজ, রসুন, শুঁটকি কিছুই আলাদা করতে পারবেন না। পুরো মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়। লিটারেলি 'ভর্তা' হয়ে যায়। ভুনা করার সময় কিন্তু 'কসানো', মানে পেঁয়াজ, মসলা অনেক্ষণ জ্বাল দেয়া হলেও মাছ বা মাংস অক্ষত থাকে। 'ভর্তা' হয়ে যায় না।

ঝরা পাতা,
বাংলাদেশী দোকান থেকে শুঁটকি কিনে রান্না করে ফেলুন না। নাই আশে পাশে কোন দোকান? তাহলে তো ভাল একটা ভোজ খাওয়ানোর ভাল দায়টুকু পাই!

২২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ৯:০২

অতিথি বলেছেন: আমার কি হবে! আস্তা দাওয়াতের দিনতারিখ জানাও। তর সইছে না শূটকীর লাইগা।

২৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ৯:১২

অতিথি বলেছেন: কুমিল্লা একটা ভর্তা হোটেল আছে!!

২৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ৯:৩৮

অতিথি বলেছেন: চোরকে দাওয়াত দিয়ে আনি না তো, বললাম না? এটা তো ডু ইট য়ুরসেল্ফ গাইড! কি সুন্দর করে রেসিপি দিলাম, বানায় ফেলেন নিজে।

আলী প্রাণ, আমার মাকে সবাই ভর্তা বিশেষজ্ঞ ডাকে। একবার দাওয়াতে 9 রকমের ভর্তা বানিয়েছিল। আমি সরাসরি ট্রেনিং নিচ্ছি

২৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ দুপুর ১২:২১

সুর বাংলা বলেছেন: ইয়াক, ইয়াক, থু........
ওটা মাইনষে খায়!
প্রোটিন পঁচা, ইয়াক....

২৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ দুপুর ১:৩৮

অতিথি বলেছেন: কেমন আছো আপু??


শুকটি কি???

২৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ দুপুর ২:০৪

অতিথি বলেছেন: প্রিয় আস্তমেয়ে আপনার শুটকি নিয়ে প্রবন্ধটি ভালো লেগেছে। আমারও খুব ভাল লাগে শুটকি খেতে। কিন্তু গিন্নী পছন্দ করেন না। তাই ইচ্ছে থাকলেও উপায় নেই।

২৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সন্ধ্যা ৬:৪১

অতিথি বলেছেন: মেইলে খানিকটা পাঠিয়ো তো শুঁটকি । বেশ অনেকদিন খাওয়া হচ্ছেনা। রাতের খাবার টা এখন আর তাহলে খাচ্ছিনা। একবারে শুঁটকি দিয়েই খাবো। তাড়াতাড়ি পাঠিয়ো কিন্তু।

২৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ৮:০৩

শাহানা বলেছেন: শুটকির গন্ধ পাচ্ছি...
রাত 3টার সময় গল্প, তারপর চোখের পানি, ব্যাপার তো ভালো নহে....

৩০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ১০:২১

অতিথি বলেছেন: প্রিয় খাবারের তালিকার শীর্ষে কিন্তু খাওয়ার পর যে হাতের গন্ধ যায় না। হাতে অপরিষ্কার আর গন্ধ থাকলে মেজাজ খারাপ থাকে। এটা আবার খাবার সময় ভুলে যাই। প্রচন্ড ঝাল দিয়ে শুটকি ভর্তা । নাকের পানি আর চোখের পানি এক করা ঝাল (যদি ও অনেক দিন খাই না:((।

৩১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ১০:৫৬

সুর বাংলা বলেছেন: হুহ
গন্ধ বেরুচ্ছে!

৩২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ ভোর ৫:১৬

অতিথি বলেছেন: মদীনার ভাইয়াটা শুটকি একদমই পছন্দ করতেন না, চারটে পিচ্ছি আঙ্কেল-আন্টির কেউই না। আপুটা শুধু শুটকির ভর্তা আর ভাজি করতো, রেখে দিত আমার জন্যও ।

মনে করিয়ে দিলেন ।

৩৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ ভোর ৬:২২

অতিথি বলেছেন: মনে হচ্ছে চ্যাপা শুটকির গন্ধটা এখনও নাক থেকে নিঃশেষ হ'য়ে যায়নি! কারণ গন্ধ শোঁকার জন্য কেউ যদি শুটকি বানানে চন্দ্রন্দিু লাগান- ক্ষতি নাই (শোমচৌ, ঝরাপাতা)। আবার কেউ যদি গন্ধ কমাতে চান (অনিক)তাহ'লে চন্দ্রবিন্দু মুছে দিন- আপত্তি নেই, চলবে।
শুটকি, শুঁটকি, শুঁটকী 3টি বানানই শুদ্ধ। বাংলা একাডেমির ব্যবহারিক বাংলা অভিধান-তো তাই বলে!

৩৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ ভোর ৬:৩৫

অতিথি বলেছেন: আস্ত বেগম'স রেসিপি ... আমি এই রান্না শিখতে চাই না ... খেতে চাই তবে রান্না ভালো না হলে খবর আছে।

৩৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ৭:৪৫

অতিথি বলেছেন: শুঁটকি...
আমি সহ্যই করতে পারিনা।

৩৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সন্ধ্যা ৬:৪৪

অতিথি বলেছেন: হুমমম
একদিন! শুটকির গন্ধটাও ভালো লাগবে।

উৎসগর্ীত হবে নতুন নামে।

উৎসর্গ বানান ঠিক আছেতো? কে জানে!

৩৭| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ৮:৪৩

অতিথি বলেছেন: শুটকী.........................
মাকে বলতে হবে নিয়ে আসতে। কতদিন খাওয়া হয়না। উপরের বণর্ীত শুটকী খেলে যে কারোরই কলেরা হয়ে যেতে পারে। শুনলাম, চোরের কলেরা হইছে; তয় ভাই চোর; ঠিক প্রতিষেধকের কাছে এসেছো। বিষে বিষক্ষয়; এই রান্না খাইলে আপনার কলেরা ঠিকও হইয়া যাইতে পারে :)

আমরা কখনোই শুটকী কে, শুঁটকী বলি না :)

৩৮| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ৯:৪০

অতিথি বলেছেন: তাই ভাল। এই শুঁটকি সবার পেটে সইবে না।

৩৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ ভোর ৫:৪৯

এই আমি মীরা বলেছেন: শুটকি... ইয়াাাাক!!

৪০| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ ভোর ৫:৫৪

অতিথি বলেছেন:

৪১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ ভোর ৫:৫৯

অতিথি বলেছেন: হা হা হা

৪২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:৫১

অতিথি বলেছেন: রেসিপি দিয়া তো মহা ফ্যাসাদে ফালাইলা, এখন শুঁটকি পাই কোথায়?

৪৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ৩:১২

অতিথি বলেছেন: সিডনী চলে আসেন, এখনও আছে শুঁটকি ভর্তা

৪৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ৩:১৭

কনফুসিয়াস বলেছেন: শুটকির আবার গন্ধ আছে নাকি?
ওটাতো খোশবু...!

৪৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ দুপুর ১:৪৮

অতিথি বলেছেন: আমারতো শুটকির ভক্তা পছন্দ.....

গন্ধ ভালো লাগে না কিন্তু গাইতে তো ভালোই লাগে.............


আস্ত খাজনা থেকে বাজনা বেশী হয়ে গেলো না???

৪৬| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৬ সকাল ৮:১৫

অতিথি বলেছেন: সিডনী সিটি লাইব্রেরী থেকে লিখছি, একটু পরেই কাজ শেষে এক্সপ্রেস ট্রেনে চড়ে সোজা বাংলা মার্কেট, আজ খাবারের মেন্যুতে নতুন আইটেম, শুটকি ভর্তা। দেখা যাক, কেমন হয়!

৪৭| ০১ লা মে, ২০০৮ সকাল ১০:১৮

বিবেক সত্যি বলেছেন:
শুটকী খাইনায়, খাইনা, খাবো ও না...
ব্যাস...

৪৮| ১০ ই জুলাই, ২০০৮ সকাল ৯:৫১

ইউনুস খান বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টের জন্য।

আমি খাই।

৪৯| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৩৭

নিমচাঁদ বলেছেন: চ্যাপা শুটকির গন্ধ ভালো লাগে না

লইট্যা ফেভারেট

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.