নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রথমেই বলে রাখি, ধর্ম যার যার উৎসব সবার- এই মতের উপর আমি একমত নই। এ ধরনের মত ধর্মহীনদের মত। যারা ধর্মবিশ্বাসী তাদের ধর্মীয় আচরণের সাথে অন্য ধর্মের আচরণে পার্থক্য রয়েছে। যেমন পশু জবাই করা বা গরু জবাই করা মুসলিমদের ধর্মীয় আচরণ। অন্যদিকে হিন্দুদের ক্ষেত্রে সেটা গর্হিত অপরাধ। আবার হিন্দুরা মূর্তিপূজা করবে, মুসলিমদের কাছে সেটা ঘোরতর অন্যায়, শিরক- অমার্জনীয় অপরাধ।
.
এখন তবে কি আমি অন্যদের উৎসবের ব্যাপারে আক্রমণাত্মক বা বিরোধিতা করব? না, সেটা করব না। আমি তাদের মত উপাসনা বা উৎসব পালন করব না, কিন্তু তাদের উৎসব বা উপাসনায় বাধাও দেব না। বরং তাদের উৎসবে, উপাসনায় নিরাপত্তা দিতে আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। তাদের ধর্মীয় অধিকার অক্ষুণ্ন রাখতে প্রয়োজনে নিজের জীবন উৎসর্গ করব। এটাই আমার এবাদত।
.
তাদের সাথে স্বাভাবিক খানাপিনা (যেগুলো ইসলাম অনুমোদন করে) করব। তাদের সাথে চলাফেরা করব। তাদেরকে ঘৃণার চোখে দেখব না। এটা শুধু বাইরে থেকেই যে তা নয়। এটা অন্তর থেকেই। মানুষ হিসেবে প্রত্যেককেই ভালোবাসব, সম্মান করব। কিন্তু তাদের রীতি-নীতিকে গ্রহণ করব না।
.
আমি যদি তাদেরকে ঘৃণা করি বা তাদেরকে নির্মূল করার চেষ্টা করি তবে তারাও আমাকে নির্মূল করার চেষ্টা করবে। বাধবে সংঘাত, সৃষ্টি হবে ফাসাদ ও সাফাকুদ্দিমা (ইবলিসের আল্টিমেট চাওয়া এটাই)। আমি যদি তাদের দেব-দেবীদেরকে গালাগালি করি তবে তারাও আমার আল্লাহকে, রসুলকে গালি দেবে। আমার কারণে আমার আল্লাহ, আমার রসুল যদি গালি খান তবে সেই দায় আমারই। তাই আমার আল্লাহকে সম্মানীত রাখতে, আমার রসুলকে সম্মানীত রাখতে অন্যদেরকে দেব-দেবী বা উপাস্যকে আমি গালাগালি করব না।
.
"তোমরা তাদেরকে মন্দ বলো না, যাদের তারা আরাধনা করে আল্লাহকে ছেড়ে। তাহলে তারা ধৃষ্টতা করে অজ্ঞতাবশতঃ আল্লাহকে মন্দ বলবে।" আন'আম, আয়াত ১০৮।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৫
উড়োজাহাজ বলেছেন: সেটা তো ভিন্ন বিষয়, প্রচার করা। জানানো। যদি অনুকূল পরিবেশ থাকে তবে অবশ্যই জানাবেন। জানানোটাই তো ইসলামের অনেক বড় দায়িত্ব, এবাদত। কিন্তু জোর করে জানাতে চাওয়া আবার মানা আছে। আল্লাহ আগেই বলে দিয়েছেন দীনের ব্যাপারে জোর জবরদস্তি নেই।
২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ২:২৮
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমি এটা মনেপ্রানেই মানি।। সেই ছোট থেকেই।। বন্ধুদের মাঝেও আে ভিন্ন মতাবলম্বী অনেক।।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৬
উড়োজাহাজ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৩২
মলাসইলমুইনা বলেছেন: "মানুষ হিসেবে প্রত্যেককেই ভালোবাসব, সম্মান করব। কিন্তু তাদের রীতি-নীতিকে গ্রহণ করব না "|ইসলামতো খুব বেশি চায়নি তার অনুসারীদের কাছে, এই টুকুই করতে বলেছে | এটুকু করলেইতো এ'ব্যাপারে ইসলাম পরিপূর্ণ ভাবে অনুসরণ করা হলো |
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৫
উড়োজাহাজ বলেছেন: রাইট। ধন্যবাদ আপনাকে।
৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:২৪
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এবাদত এক জিনিষ, উৎসব আরেক জিনিষ।
এবাদত যার যার নিজস্ব। উৎসবটা সবার।
মাল্টিপল ধর্মের নাগরিক সমাজে উৎসবটা সবারই হওয়া উচিত।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৫
উড়োজাহাজ বলেছেন: কোরবানীর ঈদে গরু জবাই করা আমার এবাদত- হিন্দুরা কি এখানে উৎসবের কিছু খুজেঁ পাবে?
৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪২
এ আর ১৫ বলেছেন: ধর্মীয় উৎসব নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি কবে বন্ধ হবে ধর্মীয় উৎসব নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি কবে বন্ধ হবে
৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৫
শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: রাখালছেলে বলেছেন: তাহলে কি তাদেরকে আমাদের ধর্ম সম্পর্কে তাদেরকে কোন কিছুই জানাব না !
আপনি আপনার ধর্ম, মতবাদ, ইজম বা বিশ্বাসে অটুট থাকুন, সেই অনুযায়ী কাজ করে যান পুংখানুপুংখরুপে। তাহলেই সর্বত্তম উপায়ে আপনার ইজম প্রচারিত হবে। আলাদাভাবে প্রচারের দরকার নেই।
৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩৫
শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: @লেখক: প্রথমেই বলে রাখি, ধর্ম যার যার উৎসব সবার- এই মতের উপর আমি একমত নই। এ ধরনের মত ধর্মহীনদের মত।
এ ধরনের মত ধর্মহীনদের মত-ই বা হয় কি করে?
একজন নাস্তিকের একজন একেশ্বরবাদীর মত, মতবাদ বা আচার-আকিদা(উতসব) এর সাথে যেমন যায় না, তেমনি একজন বহুশ্বরবাদীর সাথেও যায় না।
তাই, ধর্মহীনদের মত-ও এধরনের মত হতে পারে না।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১১
উড়োজাহাজ বলেছেন: ধর্মহীনদের বলতে এখানে তাদেরকে মিন করা হয়েছে যারা কোন ধর্মের ব্যাপারেই সিরিয়াস নয়। যে কারণে তারা উৎসবের সুযোগ খুঁজে বেড়ায় সবখানেই।
৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৩
এ আর ১৫ বলেছেন: শকুন দৃিষ্ট:::একজন নাস্তিকের একজন একেশ্বরবাদীর মত, মতবাদ বা আচার-আকিদা(উতসব) এর সাথে যেমন যায় না, তেমনি একজন বহুশ্বরবাদীর সাথেও যায় না।
কারো সাথে কারো মতবাদ এক সাথে যায় না , নাস্তিক বা বহু ঈশ্বরবাদী কেন এক ঈশ্বরবাদিদের মত এক সাথে যায় না যেমন এক ঈশ্বরবাদি ইহুদীর সাথে মুসলমানের যেমন যায় না তেমন এক ঈশ্বরবাদী খৃষ্ঠান বা ব্রক্ষবাদি হিন্দুদের সাথে ও যায় না ।
তাই, ধর্মহীনদের মত-ও এধরনের মত হতে পারে না।
উৎসব সবার জন্য এই মতের প্রবক্তারা আস্তিক এবং এই মতকে নাস্তিকরা ও সমর্থন করে । কোন কিছু দেখা মানি সেটা গ্রহন করা নহে এবং কোন কিছু অধ্যয়ন করা সে বিশ্বাষ গ্রহন করা নহে , যদি তাই হোত তাহোলে জাকির নায়েকের ঈমাণ সবার আগে চলে যেত । জাকির নায়েক বাইবেল গীতা ত্রিপিটক শুধু পড়েন নি মুখস্ত করেছেন এবং বক্তিতায় ব্যবহার করেন সেই জন্য তার ঈমাণ চুত হয় নি এবং আমার মত মানুষরা অনেক অনেক পুজা মন্ডপ , বড় দিনের উৎসব , বৌদ্ধ পুর্ণীমার উৎসব দেখেছি এই কারনে আমার ঈমাণ চুত হয়নি এবং হবে না ইনশায়াল্লাহ ।
অন্য ধর্মের ধর্মীয় উৎসব অবলোকন মানি ঐ বিশ্বাষ গ্রহন এই ধরনের ফালতু কাট মোল্লা মতবাদ পরিতাজ্য এই মতবাদ সমাজে ঘৃণা চর্চার উপাদান এবং মানুষে মানুষে হিংসা বিদ্বেষ সৃষ্ঠি করে । যদি বিস্তারিত বুঝতে চান আমার আগের মন্তব্যতে ( ৫ নং মন্তব্য) তে যে লিংকটা দেওয়া হয়েছে সেটা পড়ুন । ধন্যবাদ
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৫
উড়োজাহাজ বলেছেন: ধর্মহীনদের বলতে এখানে তাদেরকে মিন করা হয়েছে যারা কোন ধর্মের ব্যাপারেই সিরিয়াস নয়। যে কারণে তারা উৎসবের সুযোগ খুঁজে বেড়ায় সবখানেই।
আর কোন কিছু অবলোকন করা মানেই সেটাকে গ্রহণ করা নয় সেটা আমি জানি এবং আপনার সাথে একমত পোষণ করছি। ধার্মিকদের উচিত নয় নিজ ধর্মবিরুদ্ধ কাজকে আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করা। এটাই হচ্ছে সীমারেখা। একই সাথে অন্য ধর্মের আচরণকে বাধাগ্রস্ত করাও ধার্মিকের কাজ নয়।
৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৯
কাউয়ার জাত বলেছেন:
এ আর ১৫ বলেছেন:
"আমার মত মানুষরা অনেক অনেক পুজা মন্ডপ , বড় দিনের উৎসব , বৌদ্ধ পুর্ণীমার উৎসব দেখেছি এই কারনে আমার ঈমাণ চুত হয়নি এবং হবে না ইনশায়াল্লাহ ।"
আপনার ঈমান মনে হয় আর এফ এল প্লাস্টিকের তৈরি। পোকায় কাটে না, মরচেও ধরেনা।
তা এ বিষয়ক পোস্টগুলোতে কি গন্ধ শুঁকে শুঁকে আসেন?
১০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৭
শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: @এ আর ১৫: আপনি সবখানেই আপনার এই একই কমেন্ট ctl+C & ctl+V মারতেছেন (কখন পোস্ট, কখন কমেন্ট আকারে)।
আপনার জন্য আমার ছোট্ট উপদেশ বা অনুরোধ (যেটা মনে করেন) - আগে "মত" ও "মতবাদের" পার্থক্যটা বুঝার চেস্টা করেন, আর এজন্য একটু গভীর পড়াশুনা করেন।
ড. তাজ হাশমীর Peasant Utopia - the communalization of class politics in east bengal 1920-1947 এবং Women & Islam in Bangladesh - beyond subjection & tyranny বই দুটো পড়ে দেখতে পারেন।
তাঁর এ দুই গবেষণা সাম্প্রদায়িকতা বোঝার মেইনস্ট্রিম চোখটা কচলে দিতে পারে। তাঁর অারো কাজ অাছে, অারো কাজ তিনি বাংলাদেশ স্টাডিজে যোগ করবেন, এ অাশা রাখি।
১১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ২:২৩
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
"ধর্ম যারা যার" এবং এটা স্বীকার করে নেয়া হয়েছে প্রথমেই ।
মানে গরু আপনি খাবেন কিন্তু আর কাউকে জোর করে খাওয়াচ্ছেন না, পুজা আপনি করবেন, খাবেন। কিন্তু খেতে কাউকে বাধ্য করছেন না।
মানে হচ্ছে ধর্মের যে সব কাজ কারবার অন্য ধর্মের লোকেরা করতে পারবেনা সেটা তার তার নিজস্ব।
এর পরেই বলা হচ্ছে ধর্মের সাথে সম্পর্ক না উৎসবের যে এন্টারটেনিং পার্ট আছে , যেখানে একটা সমাজের অংশগ্রহণের ব্যাপার থাকে, সবাই আনন্দে থাকে তাই বলা হচ্ছে উৎসবটা "সবার।"
সমাজে সবাই মিলেমিসে থাকা উচিত।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪১
রাখালছেলে বলেছেন: তাহলে কি তাদেরকে আমাদের ধর্ম সম্পর্কে তাদেরকে কোন কিছুই জানাব না !