![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন নামক চলমান চিত্রের এক জীবন্ত অভিনেতা আমি। খল চরিত্রের। নিজেই নিজের সাথে ভিলেনি করে নিজেরই সর্বনাশ করে চলেছি প্রতিনিয়ত। জানিনা, এর শেষ কোথায়! মহান পরিচালক দৃশ্যপটের শেষ দৃশ্যে কি লিখে রেখেছেন সেটুকু দেখার অপেক্ষা করছি মাত্র। আপনাকে অভিনন্দন কষ্ট করে আমার প্রোফাইল দেখতে এসেছেন বলে।
সময় রাত সাড়ে বারোটা।
ক্রিং! ক্রিং!
- হ্যালো জানু!
- হ্যাগো, শুনছি!!
- কি করো?
- শুয়ে শুয়ে তোমাকেই ভাবছি!
- আচ্ছা আমাকে এতো ভালবাস কেন?
- কই? আমিতো আরও ভালোবাসতে চাই!
- তাই? আসলে আমি অনেক ভাগ্যবতী যে তোমার মত বয়ফ্রেন্ড পেয়েছি।
- আমিও ভাগ্যবান গো। তোমার মত একটা গার্লফ্রেন্ড পেয়েছি!
- এই শোন না, আগামীকাল একটু দেখা করতে পারবা?
- কি যে বলোনা, তুমি বললে তো আমি এক্ষুনি আসতে পারি!
- আমি জানি তো! তাহলে সকাল দশটায়, কেমন?
- ওকে, কোন সমস্যা নেই। বলো কোথায় দেখা করতে হবে?
- দিগম্বরা শপিং মলের সামনে থাকব আমি।
- শপিং মলের সামনে কেন?
- জানু, তুমি কিন্ত বেশি বেশি প্রশ্ন করতেছ! তুমি জানোনা আমার একটা ব্যাগ পছন্দ হইছে। ৯ হাজার টাকা দাম চাইছিল, কিন্ত আমি একদাম বলে আসছি ৮ হাজার টাকা। তুমি আমাকে কিনে দিবে কিন্ত!
- একটা ভ্যানিটি ব্যাগ ৮ হাজার টাকা?
- জানু, আমার পছন্দ একটু স্পেশাল, তুমি জানো না?
- ওকে বেবি, তুমি চাইলে তো আকাশের চাদও কিনে দিতে পারি। শুধু আমায় এভাবেই ভালবেসো যেও! তাহলে কাল সকাল দশটায় আমি শপিং মলের সামনে চলে আসব। কোন সমস্যা নেই!!
- বাই বাই, টা টা!
রাত একটা।
ক্রিং! ক্রিং!!
-হ্যালো ভাইয়া
- কি হইছে, এতো রাতে?
- ভাইয়া আমার ফোনের টাচ ভেঙ্গে গেছে, আমি রুমমেটের মোবাইল দিয়ে ফোন দিছি।
- কিভাবে ভাঙল? দেখে রাখতে পারিস না?
- টাচ তো আগেই ভাঙ্গা ছিল, এবার হালকা বাড়ি খেয়েছে তো একটু তাই ভাঙা অংশ আর কাজই করতেছে না।
- ও
- ভাইয়া আমাকে ৫০০ টাকা বিকাশ করে দিও, আমি টাচটা লাগিয়ে নিব।
- কি বলছিস? আমি কি টাকার গাছ লাগাইছি? আমার কাছে এক পয়সাও নাই! তুই আব্বাক বল।
- আব্বা তো তোমার কথাই বলল, আব্বার বেতনও নাকি হয় নি।
- তাইলে বাদ দে, আব্বার বেতন হোক। তোর ফোন চালানোর দরকার নাই। আব্বা বেতন পেলে টাচ পাল্টিয়ে নিস।মাঝরাতে ধুমের মধ্যে ফোন ধরে এসব ভ্যান ভ্যানানি আর ভাল লাগে না!...
টুট! টুট! টুট! (ফোনটা কেটে দিল ছেলেটি!)
এমন কাল্পনিক মায়ায় পড়ে আমরা বঞ্চিত করছি আমাদেরই সত্যিকারের প্রিয়জনদের যারা আমাদের ভালোবাসা পাবার সত্যিকারের দাবী রাখে! আমাদের এই অতি আবেগ আমাদের বাবা-মাদের বৃদ্ধাশ্রমে রাখতে বাধ্য করছে! সুতরাং সবাইকে যার যার প্রাপ্য অনুযায়ী ভালবাসুন। একজনকে ভালবাসতে গিয়ে যেন অন্য কেউ বঞ্চিত না হয়। এভাবেই গড়ে উঠুক প্রতিটি সোনার সংসার।
-অতনু বারীশ
কপিরাইট স্বত্বাধিকারী।
[email protected]
তাং- ১২/১২/১৮ ইং
২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৫
অতনু বারীশ বলেছেন: প্রিয় স্যার,
ব্লগে আমার প্রবেশ করার মুহুর্তেই প্রথম বান্ধব হিসেবে আপনার দেখা পাওয়ায়, মনের মন্দিরে আপনাকে পুস্পমাল্য দ্বারা স্থায়ীভাবে জায়গা করে দিলাম।
৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৪২
ল বলেছেন: বেশ ভাল লেখার হাত।
শুভ কামনা নিরন্তর।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২০
অতনু বারীশ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২০
হাবিব বলেছেন: ব্লগে আপনাকে স্বাগতম