![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্রিটিশরা এখন থেকে সন্তান জন্মদানের জন্য তিনজন মানুষের ডিএনএ ব্যবহার করতে পারবে ।
প্রথম দেশ হিসেবে ‘আইভিএফ’ নামের এই প্রযুক্তি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য। মূলত, মানবকোষের মাইটোকনড্রিয়ার ত্রুটির কারণে, বংশগত শারিরীক সমস্যা থেকে অনাগত শিশুকে রক্ষা করতেই প্রযুক্তিটি ব্যবহার করার অনুমতি দিচ্ছে ব্রিটিশ সরকার।
মানবদেহে কোষের পাওয়ার স্টেশন বলা হয় যে উপাদানটিকে, সেই মাইটোকনড্রিয়ার ত্রুটি নিয়ে জন্মেছিলেন নিকোলা পার্কার। স্বাভাবিক পদ্ধতিতে জন্ম হলে তাঁর সন্তানেরও একই পরিণতি হওয়ার সম্ভাবনা। যুক্তরাজ্যে প্রতিবছর মাইটোকোনড্রিয়ার ত্রুটি নিয়ে জন্ম হয় প্রায় সাড়ে ৬ হাজার শিশুর। আর এ উদ্দেশ্যেই ‘আইভিএফ’ পদ্ধতি ব্যবহার করে শিশু জন্ম দানের পরিকল্পনা করছেন বিজ্ঞানীরা।
এখানে শিশুর ভ্রুণ তৈরিতে প্রকৃত বাবা-মা ছাড়াও, তৃতীয় একজন দাতার ডিএনএর কিছু অংশ নিয়ে, টেস্ট টিউব পদ্ধতিতে সন্তানের ভ্রুণ তৈরি হবে। আর দাতার কোষ থেকে মাইটোকন্ড্রিয়াটিই শুধু ব্যবহার করা হবে। তবে অনেকেই এ প্রযুক্তিকে অনৈতিক বলে অভিযোগ করছেন। জীন গবেষক ডঃ ডেভিড কিং বলেন, মানুষকে জীনগতভাবে পরিবর্তিত করা কোনভাবেই উচিত নয়। গত বিশ বছর ধরে সারা বিশ্বের নীতিবান ব্যাক্তি এবং বিভিন্ন দেশের সরকার যে সীমারেখা অতিক্রম করেনি, একবার যদি আমরা সেই নৈতিক বাধাটা পার করে ফেলি, তাহলে ধীরে ধীরে ভবিষ্যতে আমরা জীনগত ভাবে পরিবর্তিত, ডিজাইনার বেবি তৈরি ঠেকাতে পারবোনা।
এ কথা মানতে নারাজ ব্রিটেনের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা। ব্রিটেনের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা স্যালি ডেভিস বলেন, আমরা কিন্তু মানুষকে পরিবর্তিত করতে চেষ্টা করছিনা। বাবা-মার কাছ থেকে আসা নিউক্লিয়ার ডিএনএতে কোনরকম হস্তক্ষেপ করা হচ্ছেনা। শুধু কোষ যেখান থেকে শক্তি পায়, সে অংশটুকু নিয়ে কাজ হচ্ছে। এ বছরই আইভিএফ পদ্ধতি নিয়ে প্রয়োজনীয় নীতিমালার একটি খসড়া তৈরি করবে যুক্তরাজ্য সরকার। আর তার দু’বছরের মধ্যেই এই পদ্ধতিতে সন্তান জন্ম দেয়া যাবে।
বিস্তারিত
©somewhere in net ltd.