নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘরকুনো ভবঘুরে। পথের প্রতি কি এক ভীষণ আকর্ষন অনুভব করি। অজানা অচেনা পথের ডাক শুনতে পাই। কিন্তু, সে ডাকে সাড়া দায়ে হয়না, দিতে পারিনা।

আতিক ইশরাক ইমন

প্রলাপ বক্তা

আতিক ইশরাক ইমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আনসারি স্যারের মাইর

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪০

স্যারদের হাতে তো সবাই প্রায় মাইর খেয়েছে। কিন্তু আমরা যেই মাইরটা খেয়েছিলাম সেইটা ছিল পুরাই ইউনিক। ক্লাসের সবাইকে টেবিলের ভাঙা পায়া দিয়ে মারা কে নিশ্চয় ইউনিক বলা যায়, নাকি:-D?

তা মারটা খেয়েছিলাম ক্লাস নাইনে থাকতে। আর ঘটনার (খল)নায়ক ছিলেন আমাদের আনসারি স্যার।
সেদিন আমাদের ক্লাসে স্যার আসতে দেরী করছিলো। আর স্যার না থাকলে কি হয় তা তো জানেনই, হয় চিল্লাচিল্লি আর শব্দদূষণ। আমরাও শব্দ দূষণ উত্‍পাদন করছিলাম। আর আনসারি স্যার তখন আমাদের রুমের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার সময় অবশ্য একবার আমাদেরকে চুপ করতে বলে গেছিলেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা! স্যার বের হওয়ার সাথে সথে আবার চিল্লাচিল্লি শুরু। এইরকম এক দুই মিনিট যাওয়ার পরেই দেখি স্যার পাশের ক্লাশ থেকে বের হয়ে আমাদের ক্লাশ পার হয়ে টেনের রুমের সামনে গেলেন। বলে রাখি যে টেনের রুমের সামনেই বেশ কিছু ভাঙাচোরা চেয়ার টেবিল ছিল। সেখান থেকেই একটা টেবিলের পায়া তুলে নিয়ে স্যার আমাদের রুমে ঢুকলেন। তারপর আর কোনো কথা নাই। স্যার সাইলেন্ট মোডে পুরা উরাধুরা মাইর দিতে লাগলেন:-D। খালি ঠাশ ঠাশ বাড়ি পড়তে লাগলো সবার পিঠে। জন প্রতি দুইটা বাড়ি। ঘটনাটা এতই আকস্মিকভাবে শুরু হয়েছিল যে আমরা ভাবছিলাম কি হৈতেছে এইটা!! কিন্তু এইরকমভাবে গণহারে সবাই মাইর খাওয়াতে ব্যাথার চাইতে মজা পেয়েছিলাম বেশি। ঐযে কথায় আছে না, "দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ:-P।" আমরাও একজন আরেকজনের মাইর খাওয়া দেখে হাসছিলাম:-D। তাছাড়া স্যারকে একটু আধটু পঁচানোও হোতো তো তাই স্যারের মারটা কেউ সিরিয়াসভাবে নেয়নি।আর স্যারের সেই গণ ধোলাইয়ের পরে একাকজনের এক্সপ্রেশন কি ছিল:-D!! রাসেল ভাই (গামা ভাই) তো পিঠ থেকে ময়লা ঝাড়ছিল আর বলছিলো, "হায় হায় আমর শার্টটা কালকেই কাঁচা হলো, এখন ময়লা হয়ে গেল।" ভাব এমন যে মাইর খাওয়ার চাইতে অর শার্টে ময়লা লাগা বেশি গুরুত্বপূর্ণ:-P। আর সাঈফ নাকমুখ কুঁচকে বলছিল, "চিয়ার টেবিলের মধ্যে মনেহয় ইঁদুর ছিল, কেমন গন্ধ বাহির হচ্ছে।"
মাইর খাওয়াটা সেইরকম মজা ছিল:-D। সেই ঘটনার আগে বা পরে আর কখনোন স্যারের হাতে মাইর খেয়ে এত মজা পাইনি:-D। অবশ্য অন্য কোনো স্যারও ঐভাবে টেবিলের পায়া দিয়ে কখনো গণহারে মারেনাই:-P

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১২

নুর আমিন লেবু বলেছেন: হাহাহাহা।
মজা পেলুম।।।

এরকম মাইর আমি ও খাইছি অনেক।।।।

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৪২

আতিক ইশরাক ইমন বলেছেন: :)

২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১৪

ডা: শরীফুল ইসলাম বলেছেন: নষ্টালজিক হয়ে গেনু :|| :||

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৪৩

আতিক ইশরাক ইমন বলেছেন: সেইসব দিন যদি আবার ফিরে পেতাম :(

৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:২৫

টিপলু বলেছেন: ইয়াকুব স্যারের কথা ভুলিনি... :(

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৪২

আতিক ইশরাক ইমন বলেছেন: স্কুলের স্যার ম্যাডামদের আসলেই ভোলা যায় ন.....

৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৯

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহাহাহা....চমৎকার মাইর...এখনকার পোলাপান মাইরের মজা বুঝলো না =p~

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১৯

আতিক ইশরাক ইমন বলেছেন: মজা বুঝানোর জন্য তাদেরকে সকাল বিকাল দুইবেলা নিয়মিত মাইরের উপর রাখা উচিত :)

৫| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২৯

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: আমাদের ক্লাশে পিটাইবার জন্যে একবার কেমিস্ট্রি স্যার বেসিনের নিচের লোহার পাইপ খুলে নিয়ে আসছিল...১৯৯৭ এর ঘটনা! =p~

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.