![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গতকাল আমার অফিসে দুটি ছেলে মেয়ে এসেছিল। যারা নতুন বিবাহিত
দম্পতি। ছেলেটির বয়স ২১ মেয়েটির ১৮ বছর। তাদের চোখে মুখে তারুন্যে ভরপুর। তারা আমার কাছে এসেছে কিছু একটা করতে চায়। এই মুহুর্তে তারা বেশ আর্থিক সঙ্কটে রয়েছে।
আমার প্রথম প্রশ্ন ছিল তারা লেখাপড়া করছে কি না। দিত্বীয় প্রশ্ন ছিল এত
অল্প বয়সে কেন বিয়ে করলো।
আপাতত লেখাপড়া বন্ধ। আর দিত্বীয় প্রশ্নের উত্তরই হচ্ছে আজকের এই
লেখার বিষয়।
বছরখানেক আগে মেয়েটির বাবা লন্ডন প্রবাসী ৪১ উর্ধ্বো একজনের সাথে
টেলিফোনে বিয়ে দেয়। শর্ত ছিল মেয়েটির বাবা মাকে দু/এক বছরের মধ্যে বিলেতে নিয়ে যাবে। বলাবহুল্য মেয়েটি বাবার একমাত্র সন্তান এবং
খুবই সুন্দরী।
লন্ডন যাওয়ার ঠিক কিছুদিন পূর্বে মেয়েটিকে তার বর্তমান স্বামী তার আপন মামাতো ভাই এসে জিজ্ঞাসা করে এই বিয়েতে সে রাজী ছিল কি না?
মেয়েটির উত্তর- আমি কিছু ভালো করে বুঝার আগেই সব কিছু হয়ে গেল।
ছেলেটি জিজ্ঞাসা করলো- তুমি কি আমার সাথে আসতে পারো?
মেয়েটি বললো-পারি।
তাদের পূর্বে কোন প্রেম ছিল না। একটি জটিল সমস্যা উত্তরণের পথে ছেলেটি এগিয়ে এলো। পরম নির্ভরতায় মেয়েটি দিল তার হাত ছেলেটির হাতে।
অনেক রকম সমস্যা এরই মধ্যে তারা দেখেছে। তার উপর দুই পরিবার থেকেই তারা এখন সম্পূর্ণ বিতারিত।
কোন সমস্যাই এখন পর্যন্ত তাদের কাবু করতে পারে নি। তাদের চোখে মুখে সুন্দর একটি ভবিষ্যতের স্বপ্ন। তারা জয় করবেই।
জয় হোক তাদের।
২৭ শে জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৪
এটিএম জামাল বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ২৬ শে জুন, ২০০৮ সকাল ১০:০৬
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: এভাবে কি আসলেই জয় হয়?
বিয়ে কি শুধুই দুইজনের ব্যাপার?
বিয়ে একটা সামাজিক বন্ধন - শুধুমাত্র দুইজন নর-নারীর মধ্যেই নয় বরং দুটি পরিবারের মধ্যেও তা আত্মীয়তার বন্ধন তৈরী করে। জালেরমত বিছিয়ে থাকা এ'রকম হাজার হাজার বন্ধন একটা সমাজের সকল মানুষকে পরস্পরের সাথে সংযুক্ত করে রাখে। এ'ভাবেই সামাজিক বন্ধন দৃঢ়তর হয়। যে মা জন্ম দিল - যে পিতা বহু কস্টে এত বড় করে তুলল - শুধুমাত্র নিজের সুখের চিন্তায় সেই বাবা মায়ের মনে কস্ট দিয়ে, পারিবারিক অশান্তি সৃস্টি করে - আসলেই কি শুখি হওয়া যায়? আমাদের নাটক-সিনেমা-উপন্যাস-সাহিত্য যেভাবে পিতা মাতাকে সন্তানের সুখের অন্তরায় হিসেবে উপস্থাপন করা হয় তাতে মনে হয় তাদের চেয়ে বড় শত্রু বুঝি আর কেউ নাই। তারা যেন সন্তানদের শুধুমাত্র অমঙ্গল কামনাই করেন। তারা জীবনের শেষ প্রান্তে এসে - পুরো জীবনের অভিজ্ঞতা থেকেও যে বিষয়গুলি বুঝতে পারেন না একটি সদ্য কৈশোরউত্তির্ণ যুবক বা যুবতী সেটাই খুব ভাল বুঝতে পারে। হায়রে আমাদের মানসিকতা - বাবা মা কে সন্তানের কাছে আর কত ছোট হতে হবে বলতে পারেন?
৩| ২৬ শে জুন, ২০০৮ সকাল ১০:১৭
অন্তিম বলেছেন: আমার মামাত ভাই ফোনে আমেরিকা থেকে বিয়ে করেছিল একটি মেয়েকে। কিন্ত তিনমাস যেতে না যেতে মেয়েটি আরেক ছেলের সাথে ভেগে গিয়েছে।
আপনি জয় হোক চেয়েছেন এই ছেলে মেয়েটির। কিন্তু একবার কি ভেবে দেখেছেন ঐ লন্ডন প্রবাসী ছেলেটির কথা। তার কি অবস্হা?
সাধারনত জীবনের তাগিদেই বেশির ভাগ মানুষ প্রবাস জীবন যাপন করে। তারা তাদের সর্বস্ব দিয়ে পরিবারকে সাহায্য করে আর একটি সপ্ন দেখে সুন্দর একটি বউ হবে। অনেকসময় দেশে ফিরতে দেড়ি হবার কারনেই ফোনে বিয়ে করে। সপ্নের জাল বুনে।
যেখানে লন্ডন প্রবাসী স্বামীর সপ্নভাংগনের হাহাকার সেখানে ছেলেমেয়েটির জয়জয়কার।
বড়ই অদ্ভুত নিয়ম!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
২৭ শে জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৬
এটিএম জামাল বলেছেন: ধন্যবাদ লেখাটির মন্তব্য করার জন্য।
৪| ২৬ শে জুন, ২০০৮ সকাল ১০:২৪
আবদাল্লাহ বিন মাহবুব বলেছেন: জয় হোক এদের ....
ইনশাল্লাহ তারা সুখী হবে ..সারাজীবন সুখে শান্তিতে বাস করবে ....
সব সমস্যা কেটে যাবে আশা করি ....
তদেরকে বলুন তাদের মা,বাবা কে বুঝাতে .... আশা করি তারা বুঝবে ....
আমাদের মা,বাবা রা বুঝতে চায় না তারা যেটা মনে করে সেটাই ঠিক ...সবসময় ,..তারা যে মাঝে মাঝে ভুল হতে পারে সেটা বোঝে না ...
তবে আমি এই দম্পতি এর জন্য আমার মন থেকে দোয়া করি যেন এরা সুখী হোক................
২৭ শে জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৬
এটিএম জামাল বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ২৬ শে জুন, ২০০৮ সকাল ১০:২৪
পেঁচালি বলেছেন: জয় হোক তাদের।
২৭ শে জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৭
এটিএম জামাল বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ২৬ শে জুন, ২০০৮ সকাল ১০:২৯
পথিক মানিক বলেছেন: তত্ত্বকথা অনেক বলা যায়........
জীবনে কে কিভাবে সুখি হবে তা যখন আগে থেকে জানার কোন উপায় নাই তখন যা আছে আর যা পাওয়া যাচ্ছে তাতেই সুখি হওয়ার চেষ্টা করা ভাল।
অভিনন্দন রইল নব দম্পত্তির জন্য।
৭| ২৬ শে জুন, ২০০৮ সকাল ১০:২৭
আবদাল্লাহ বিন মাহবুব বলেছেন: আমি ছেলেটা কে ধন্যবাদ দিচ্ছি যে সে একটা জীবন বাচিঁয়েছে ....
মেয়েটার মনের অবস্থঅ বুঝতৈ পেরেছে ..আশা করি সারাজীবন বুঝতে পারবে আর নিজেদের মধ্যে কোন সমস্যা হবে না ..সুখে শান্তিতে বসবাস করবে .............
কেউ থাকুক আর না থাকুক আল্লাহ আছে ........ওদের সাথে ....
৮| ২৬ শে জুন, ২০০৮ সকাল ১১:০৪
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "কেউ থাকুক আর না থাকুক আল্লাহ আছে ........ওদের সাথে ..."
মাহবুব ভাই, আপনি নিশ্চিত হলেন কিভাবে যে আল্লাহ ওদের সাথে থাবেন? যে মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত, যে পিতার সামনে বিরক্তিসুচক 'উহ' সব্দ উচ্চারণ করা নিশেধ - শুধুমাত্র নিজের সুখের চিন্তায় যে সন্তান সেই পিতা মাতার মনে কস্ট দেয়-তাদের অপদস্থ করে - আল্লাহ তাদের সাথে থাকবেন এটা কি খুব বেশী আশা করা হয়ে যাচ্ছে না?
মানুসের ব্যাক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ থাকতেই পারে। সেটা সাহস করে বাবা-মাকে বুঝিয়ে বলতে হয়। তাঁরা তো কখনই সন্তানের অমঙ্গল কামনা করেন না - সুতরাং যদি ভাল কিছু হয় - তারা অবশ্বই তাতে সম্মত হবেন। আর একটা বিষয় আমাদের মনে রাখা দরকার - জীবনকে তারা আমাদের চেয়ে অনেক বেশী জানেন - তাদের অভিজ্ঞতা সদ্য কৈশোরউত্তীর্ণ সন্তানের চেয়ে অনেক বেশী। সে হিসেবেও তাদের বিবেচনাকে অবশ্বই সম্মান করা উচিত। আমি এই মেয়েটিকে সাহসী বলতাম যদি সে টেলিফোনে বিয়ের সময়ই উচ্চ কন্ঠে প্রতিবাদ করত। তখন প্রতিবাদ না করে পরে চোরেরমত পালিয়ে বিয়ে করার মধ্যে আমি কোন বাহাদুরী দেখি না। এটা সিনেমা-উপন্যাসে ভাল মানায় - কারণ সেখানে ঘটনার নিয়ন্ত্রন থাকে পরিচালক/লেখকের হাতে - সে নায়ক নাইকাকে ইচ্ছে করলেই সুখি করতে পারে- কিন্তু বাস্তবতা সিনেমা-উপন্যাসের চেয়ে অনেক কঠিন।
৯| ২৬ শে জুন, ২০০৮ সকাল ১১:০৭
সুপ্ত সবুজ বলেছেন: জয় হোক কাঙ্গাল মুরশীদ এবং অন্তিমের তাদের সুন্দর মতামত জানানোর জন্য। সেইসাথে কামনা করি লেখক এটিএম জামাল সাহেবের সন্তানরাও যেন এরকম করে। না করলে ওনি বুঝবেন না এটা বাবা-মায়ের জন্য কত লজ্জা। লেখক হয়তো বলবে যে, তিনি সন্তানদের জন্য এমন বাজে ডিসিশন নেবেন না কোনদিন। কিন্তু সময়ে পৃথিবীর অনেক কিছুই পাল্টায় এবং পৃথিবীর সকল কিছুই আপেক্ষিক। সুতরাং, আপনি অপেক্ষায় থাকুন আপনার পরিনতি দেখতে। ইনশাল্লাহ্ খুব শীঘ্রই আপনি জয় হোক না বলে বলবেন- আফসোস এই তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেয়া দম্পতির জন্য।
২৭ শে জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৮
এটিএম জামাল বলেছেন: ধন্যবাদ।
১০| ২৬ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৪
িজল্লুর রহমান সবুজ বলেছেন: জয় শুধু যে এই দম্পতিরই দরকার, তা নয়। জয় দরকার আমাদের মানসিকতার, আমাদের সামাজিকতার। আমাদের অভিভাবকরা কোনভাবেই মানতে চায়না যে, যার বিয়ের বয়স হয়েছে তার যে মতামতেরও বয়স হয়েছে। আমি অবশ্যই বিশ্বাস করি, অভিভাবকরা সব সময়ই সন্তানের ভাল চায় কিন্তু তার মতেরও তো দাম দেয়া প্রয়োজন।
১১| ২৬ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ১:১৩
কনফিফউজড বলেছেন: বিবাহ দুইজনের ব্যাপার। দুইজন পারপ্তবয়স্ক রাজি থাকলে কারু কিচু বলার নাই।
১২| ২৬ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ১:২৪
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "আমি অবশ্যই বিশ্বাস করি, অভিভাবকরা সব সময়ই সন্তানের ভাল চায় কিন্তু তার মতেরও তো দাম দেয়া প্রয়োজন।" হ্যা অবশ্বই প্রয়োজন - এবং এই কথাটা আমাদের সাহিত্য এবং মিডিয়াতে যেভাবে আসে তাতে আপনার বক্তব্যের প্রথম অংশের চেয়ে দ্বীতিয় অংশকেই বেশী প্রাধান্য দেয়া হয়। বাবা-মাকে দেখান হয় সন্তানের সুখের প্রধান অন্তরায় হিসেবে। আর বাবা-মাকে অমান্য করে অপদস্থ করে দুটি পরিবারের মধ্যে মনোমালিন্য ঘটিয়ে শুধুমাত্র নিজের সুখের জন্য কোন ছেলের বা মেয়ের হাত ধরে বেরিয়ে যাওয়াকে দেখান হয় বীরত্ব - মহান কীর্তি হিসেবে - সেটা কি ঠিক? আমার আপত্তিটা সেখানেই। আমাদের বুঝতে হবে বাবা-মা কখনই সন্তানের শত্রু নন-নিজের বক্তব্য তাদেরকে বুঝিয়ে বল্লে তারা অবশ্বই বুঝবেন।
এ'খানে যে ঘটনা বলা হয়েছে সেখানে মেয়েটা তার অমতের কথা বাবাকে জানায়নি - টেলিফোনে বিয়ে হয়ে যাবার পর সবার মুখে চুনকালী দিয়ে আর একজনের সাথে পালিয়ে যাবার মধ্যে ভাল কি আছে আমার বুঝে আসে না। যদি সে সাহসী হত, তাহলে প্রথমেই প্রতিবাদ করল না কেন? এক জনের সাথে বিয়ে হয়ে যাবার পর(তা যেভাবেই হোক) অন্যের সাথে পালিয়ে যাওয়া কি বিশ্বাস ঘাতকতা নয়?
১৩| ২৭ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ২:৪৬
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: লন্ডন প্রবাসী ভাইয়ের জন্য দুঃখ লাগতাছে। এত বয়সে যাও একখান বিয়া করল সেইটাও ভাইগা গেল। এই নতুন জুটির তো জয় হয়াই গেছে। আর জয় হোক কয়া লাভ কী ?
কথা হইল, আগের স্বামীর সাথে ঠিকমতো তালাক হইছে তো ? ভালো কইরা না বুইজা যার বিয়া হইতে পারে, তার ভালো কইরা না বুইজা তালাক না হওয়ার সম্ভাবনা আছে । নাকি না বুইজা দুই স্বামী বর্তমান রেখেছেন ১৮ বছরের তরুণীটি ? যদি তালাক ঠিক মতো না হয়ে থাকে, তবে তাদের বর্তমান সম্পর্কটি অবৈধ। যতই জয় হোক বলুন, তাদের ভবিষ্যতে দুঃখ আছে। প্রথম স্বামী তাদের ছাড়বে না।
২৭ শে জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৪
এটিএম জামাল বলেছেন: প্রচন্ড ক্লান্ত কিন্তু তোমার মন্তব্যের জবাব না দিয়ে পারছি না।
তুমি হয়তো লেখাটি ভালো করে পড় নি। মেয়েটির বাবা লন্ডনে বিয়ে
দিয়েছেন একটি শর্ত দিয়ে। সেটা মনে হয় খেয়াল করো নি। বিয়ের পরে মেয়েটির স্বামী তার শ্বশুর এবং শ্বাশুরীকে লন্ডন নিয়ে যেতে হবে।
এই শর্ত ৪১ বছর বয়স্ক প্রবাসী লোকটি মেনে নিয়ে ছিলো। তুমি হয়তো জানো না লন্ডনে ইচ্ছে করলেই তাদের নিয়ে যেতে পারে না।
এটা দীর্ঘ সময়ের ব্যপার। এখানে লন্ডন প্রবাসী মূলা জুলিয়েছিলো।
আর যে বাবা নিজ স্বার্থ বা খায়েশ মেটানো চিন্তা করে মেয়ের বিয়ে দেয় তার নৈতিকতা কোথায় ভেবেছো?
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জুন, ২০০৮ সকাল ১০:০৩
আমি ও আমরা বলেছেন: জয় হোক।