নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশী

িজ েচতনা

আমি একজন সাধারন মানুষ

িজ েচতনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কী হিরো! তোমার যে দেখা নাই!’

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৪



বিকেলবেলা। এফডিসির প্রধান ফটক। কৌতূহলী মানুষের ভিড় তেমন একটা নেই। কিন্তু ভেতরে ঢুকেই দেখা গেল, চার নম্বর ফ্লোরের মুখে মানুষের ভিড়টা একটু বেশি। এই জটলার কারণ কী? অপরিচিত একজন বললেন, ‘অনেক দিন পর শাকিব খান এফডিসিতে আইছে। শুটিং হইব। তাই এখানে বেড়াইতে আসা ভক্তরা খাড়াইয়া আছে, উনারে দেখার জন্য।’ মনে মনে খুঁজছি, শুটিং কোথায়? ফ্লোরে গিয়ে শাকিব খানকে পাওয়া গেল না। লাইট, ক্যামেরা অ্যাকশন-কাট নেই। একদিকে বাড়ির সেট তৈরি হচ্ছে। হাতুড়ির শব্দে কান ঝালাপালা হওয়ার জোগাড়। গ্রিনরুমের দিকে এগোই। এখানে পাওয়া গেল শাকিবকে। মেকআপ নিচ্ছেন। গায়ে হাসপাতালের পোশাক। তিনি বললেন, ‘আজ পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনির শুটিং চলছে। হাসপাতালের একটা দৃশ্য ধারণ করা হবে। দুই নম্বর ফ্লোরে সেট ফেলা হয়েছে। মেকআপ শেষ করে ওখানে যাব।’ ছবিতে জয় চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। তিনি আরও বললেন, ‘সম্ভবত এই লটেই ছবির কাজ শেষ হয়ে যাবে।’ কথা বলতে বলতে তখন গাড়িতে উঠছেন শাকিব। এর আগে সহকারীকে শুটিংয়ের জিনিসপত্র নিয়ে দুই নম্বর ফ্লোরে যেতে বললেন।

ভক্তদের ফাঁকি দিয়ে শাকিবকে নিয়ে সাঁই করে গাড়ি দুই নম্বর ফ্লোরের দিকে রওনা হলো। কিন্তু গাড়ির চাকা ঘুরতে পারল না বেশি দূর। ক্যানটিন চত্বরের মুখে রাস্তায় পরিচালক-প্রযোজক মোহাম্মদ হোসেন, নৃত্য পরিচালক মাসুম বাবুলসহ অনেকে আড্ডা দিচ্ছিলেন। তাঁদের দেখে গাড়ি থামিয়ে নেমে পড়লেন শাকিব। ‘কী হিরো, তোমার যে দেখা নাই!’—শাকিবকে দেখেই বলে উঠলেন মোহাম্মদ হোসেন। অন্যদিকে, মাসুম বাবুল বলেন, ‘আরে, দেবদাস যে!’

এর মধ্যে ওই রাস্তার মাথায় হঠাৎ জয়া আহসানকে দেখে চোখ আটকে গেল। রীতিমতো ভিরমি খেলাম। জয়ার মাথায় ব্যান্ডেজ! মান্না ফিল্ম কমপ্লেক্সের সামনে দিয়ে একা একা ডাবিং থিয়েটারের দিকে যাচ্ছেন তিনি। পরিচিত একজন দৌড়ে এসে তাঁকে বলল, ‘আপা, কী হয়েছে... কী হয়েছে...।’ এবার জয়ার হি হি হি। পরিচিতজনকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘শুটিংয়ের কস্টিউম।’ এরপর ঢুকে গেলেন ডাবিং কমপ্লেক্সে।

ডাবিং কমপ্লেক্সের নিচতলার একটা ঘর হাসপাতালের মতো করে সাজানো হয়েছে। সেখানে ঢুঁ দিতেই জানা গেল, পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনির একটা দৃশ্য ধারণ হবে। এই দৃশ্যে শাকিব হাসপাতালে। এর আগে ভুল বুঝে জয়া আঘাত করে আহত করেছিলেন শাকিবকে। পরে ভুল বুঝতে পেরে শাকিবকে দেখতে এসেছেন তিনি—এমন একটা দৃশ্য ধারণ করা হবে এখন।

দেখি, বিছানায় শুয়ে আছেন শাকিব। জয়া বসে আছেন ক্যামেরার পেছনে। কথা হলো তাঁর সঙ্গে। তিনি জানালেন, ‘এখানে আমার চরিত্রের নাম জারা।’ চরিত্রটিতে অভিনয় করতে কেমন লাগছে? ‘এখানে অভিনয় আমার জন্য একটা নতুন জার্নি। নতুন অভিজ্ঞতা। অনেক মজা করে এই ছবিতে অভিনয় করছি,’ বললেন তিনি। পরিচালক শাফিউদ্দিন শাফি দৃশ্য ধারণের আগে লাইট, ক্যামেরা, লোকেশন—সবকিছু মিলিয়ে নিচ্ছেন। এক ফাঁকে তিনি বলেন, ‘রোমান্টিক গল্পের এই কাহিনিতে সামাজিক সেন্টিমেন্টও আছে। ছবির বেশি অংশের কাজ হয়েছে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন লোকেশনে।’

ওদিকে ততক্ষণে প্রস্তুত লাইট ও ক্যামেরা। ‘হিরোইন বাঁ দরজা দিয়ে আসবেন। আর হিরো আপনার এক্সপ্রেশনটা গল্পের সঙ্গে মিলিয়ে দেবেন। ওকে। আমরা যাই...।’ চিৎকার করে বলে উঠলেন পরিচালক, ‘ওয়ান, টু, থ্রি...অ্যাকশন!’ আরো আছে এখানে দেখুন।

সুউরসঃ প্রথম আলো।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৬

রেজিস্টার বলেছেন: সাকিব খানের চুলের কাট পাল্টাইলোনা :P জরা জীর্ণ জারা =p~ =p~

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.