![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৭৯০ সালে ওষুধ বিজ্ঞানের জগতে সূচনা হয় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন। বিজ্ঞানী হ্যানিম্যান এ পরিবর্তনের সূচনা করেন। এ জন্য তাকে বলা হয় হোমিওপ্যাথি এর পিতা। ১৭৯৬ সালে তিনি বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেন আধুনিক হোমিওপ্যাথি এর পদ্ধতি। এরপর থেকেই এগিয়ে চলে নতুন ওষুধের অগ্রযাত্রা।
হ্যানিম্যানই প্রথম বলেন, ভেষজ বস্তুকে ওষুধ হতে হবে তার অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার গুণে। সাধারণ ভেষজগুণাবলি থাকলেই কোনো বস্তু ওষুধ হিসেবে স্বীকৃত হবে না, যতক্ষণ না তার অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার বিকাশ ঘটানো হয়। একটি বস্তুর অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার উন্নয়ন ঘটিয়ে যখন তা সুস্থ মানবদেহে প্রয়োগ করা হবে এবং তার ঔষধি গুণাবলির প্রকাশ দেখা যাবে, তখন তাকে ওষুধ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এমনিভাবে কোনো বস্তুর অভ্যন্তরীণ ক্ষমতা উন্নয়নের প্রক্রিয়াকে বলা হয় ডাইনামাইজেশন বা পোটেন্টাইজেশন।
হোমিওপ্যাথিতে ওষুধ হচ্ছে শক্তির আধার। কোনো ওষুধ বস্তুর অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার উন্নয়ন ঘটিয়ে যখন শক্তিকরণ করা হবে, তখন তা ওষুধেরূপান্তরিত হবে। এ ওষুধ যখন রোগীর দেহে প্রয়োগ করা হবে, তখন তা রিমেডি হিসেবে বিবেচিত হবে। এভাবে অনেক সাধারণ ভেষজগুণাবলিহীন বস্তুও হোমিওপ্যাথিতে ওষুধে রূপান্তরিত হয়ে রোগীর জন্য রিমেডি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এককথায় হোমিওপ্যাথি ভেষজদ্রব্যকে ওষুধে রূপান্তরিত করে রিমেডি হিসেবে ব্যবহার করে।
হ্যানিম্যানের নতুন পদ্ধতি:
বিজ্ঞানী হ্যানিম্যান ১৮৪২ সালে জীবনের শেষ মুহূর্তে অর্গানন অব মেডিসিনের ষষ্ঠ সংস্করণ রচনা সমাপ্ত করেন। এ সংস্করণে পঞ্চম সংস্করণের ওষুধ প্রস্তুত অনুচ্ছেদ ২৭০-২৭১ সম্পূর্ণ বদলিয়ে নতুনভাবে লিখেছেন। ষষ্ঠ সংস্করণের ২৭০-২৭১ অনুচ্ছেদে ওষুধ তৈরির নতুন পদ্ধতি বর্ণনা করেন, যা ১৮৩৩ থেকে ১৮৪২ সাল পর্যন্ত হ্যানিম্যানের গভীর পর্যবেক্ষণের ফসল। মূলত শততমিক পদ্ধতির তৃতীয় বিচ্ছুন্ন থেকেই নতুন পদ্ধতির যাত্রা।
কত শক্তি থেকে ওষুধ ব্যবহার শুরু হবে?
নতুন পদ্ধতির ওষুধ প্রথম শক্তি থেকেই প্রয়োগ শুরু করা যায়। তবে দ্বিতীয় শক্তি থেকে শুরু করা উত্তম। সুনির্বাচিত ওষুধ দীর্ঘক্রিয় হলেও রোগী উপকার পেলে মাসের পর মাস ধরে দৈনিক প্রয়োগ করা যায়। এ রকম ক্ষেত্রে ওষুধের প্রথম শক্তি (০১) শেষ হলে দ্বিতীয় শক্তি (০২), দ্বিতীয় শক্তি শেষ হলে তৃতীয় শক্তি (০৩) এভাবে ক্রমবর্ধমান হারে ব্যবহার করতে হবে।
কত সময় পরে রোগী ওষুধ খাবে?
নতুন পদ্ধতির ওষুধ ক্রনিক রোগগুলোতে প্রতিদিন বা এক দিন পরপর সেবন করা যায়। প্রয়োজনে দিনে কয়েকবারও সেবন করা যায় (অর্গা ২৪৮, ২৮২, ক, ৬ষ্ঠ)
একিউট রোগে ৬, ৪, ৩ ও ২ ঘণ্টা পরপর এবং অত্যন্ত জরুরি ক্ষেত্রে এক ঘণ্টা পরপর কিংবা আরো কম সময়ের ব্যবধানে ঘন ঘন ওষুধ সেবন করা যায় (অর্গা-২৪৮, ৬ষ্ঠ)।
কিভাবে ওষুধ পুনঃপ্রয়োগ করবেন:
নতুন পদ্ধতির ওষুধ শক্তির (হসয়পষধী) কোনো রকম পরিবর্তন না করে একই ওষুধের একই মাত্রা একবারও পুনঃপ্রয়োগ করা যায় না। মাত্রার শক্তি ক্ষেত্রে পূর্বমাত্রা থেকে পরবর্তী মাত্রা অবশ্যই ভিন্নতর হতে হবে (অর্গা ২৪৬, ২৪৭, ৬ষ্ঠ)।
সর্বতোভাবে সুনির্বাচিত ওষুধের একটি শুকনো গ্লোবিউল যদি প্রথমবার রোগীর ক্ষেত্রে বেশ কার্যকরী হয়, তাহলে দ্বিতীয়বার সে ওষুধ শুকনো অবস্থায় আর ব্যবহার করা যায় না। এমনিভাবে পানির সাথে মিশ্রিত ওষুধও যদি প্রথম মাত্রায় বেশ কার্যকরী হয়, তাহলে দ্বিতীয়বার তা ঝাঁকি না দিয়ে অর্থাৎ মাত্রার শক্তি পরিবর্তন না করে ব্যবহার করা যায় না। এজন্যই ওষুধ প্রতিবার ব্যবহারের আগে ৮, ১০, ১২ ঝাঁকি দেয়ার নিয়ম। কারণ মাত্রা শক্তির পরিবর্তন না হলে প্রাণশক্তি এ ধরনের অভিন্ন মাত্রা শক্তিকে বিনা প্রতিরোধে গ্রহণ করে না। ফলে রোগীর ক্ষেত্রে রোগ আরোগ্যের বদলে বৃদ্ধি দেখা দিতে পারে। এ জন্যই ওষুধের সত্যিকার ক্রিয়া লাভের জন্য ওষুধ ব্যবহারে মাত্রা শক্তির পরিবর্তন আবশ্যক (অর্গা ২৪৭, ক, ২৪৮, ৬ষ্ঠ)।
কত দিন পর্যন্ত ওষুধ চলবে:
একিউট রোগের ক্ষেত্রে নির্বাচিত ওষুধ প্রয়োগের পর যখন সুসপষ্ট উন্নতি দেখা দেয় এবং রোগী যতক্ষণ পর্যন্ত ভালো বোধ করতে থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আর কোনো ওষুধ প্রয়োগ করা যাবে না (অর্গা-২৪৬, ৬ষ্ঠ)।
ক্রনিক রোগের ক্ষেত্রে যতক্ষণ পর্যন্ত একটা ওষুধ রোগীকে উপকার দিতে থাকে এবং নতুন কোনো লক্ষণ প্রকাশ না করে ততক্ষণ পর্যন্ত ওষুধটি ক্রমোন্নত শক্তিতে বর্ধিত মাত্রায় চালিয়ে যেতে হবে। (অর্গা-২৮০, ৬ষ্ঠ)
এক সময় একটি ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে:
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় এক সময় একটি মাত্র ওষুধ প্রয়োগ করতে হয়। একই সময় দুই বা ততোধিক ওষুধ প্রয়োগ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বিজ্ঞানী হ্যানিম্যান বলেন, হোমিওপ্যাথিই হচ্ছে একমাত্র সঠিক এবং সহজ প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতি। তাই হোমিওপ্যাথিতে একই সময়ে দু’টি ভিন্ন প্রকৃতির ওষুধ প্রয়োগ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। কারণ চিকিৎসাধীন রোগীকে এক সময় একটির বেশি ওষুধ প্রয়োগের কোনো প্রয়োজন নেই।
ক্ষুদ্র মাত্রার পরিমাণ কী হবে:
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় শক্তিকৃত ক্ষুদ্র মাত্রার ওষুধ প্রয়োগ করতে হয়। সর্বোত্তম আরোগ্য সাধনের জন্য মাত্রাকে কতটুকু ক্ষুদ্র করতে হবে? এ ব্যাপারে পরিমাণটা নির্দিষ্ট করা খুব কঠিন। তবে চিকিৎসকের গভীর জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা এবং রোগীর সংবেদনশীলতার নির্ভুল পর্যবেক্ষণই ক্ষুদ্রতম মাত্রার পরিমাণ ঠিক করে দেবে (অর্গা-২৭৮, ৫ম ও ৬ষ্ঠ)। সাধারণত শুকনো একটি ওষুধি গ্লোবিউলকে (যার ১০০টির ওজন এক গ্রেন) প্রাথমিকভাবে ক্ষুদ্র মাত্রার পরিমাণ হিসেবে বিবেচনা করা যায় (অর্গা-২৭২, ৬ষ্ঠ)। মাত্রাকে আরো ক্ষুদ্র করার জন্য একটি ওষুধি গ্লোবিউলকে পরিশ্রুত পানির সাথে (৭-৮ টেবিল চামচ) মিশ্রণ তৈরি করে ব্যবহার করতে হয় (অর্গা-২৪৮, ক, ৬ষ্ঠ)। অত্যন্ত সংবেদনশীল রোগীর জন্য প্রথমবার ব্যবহৃত ওষুধ মিশ্রণ থেকে গ্লাস বদলানো পদ্ধতিতে মাত্রাকে আরো ক্ষুদ্রতম করে ব্যবহার করা যেতে পারে। রোগী আরো বেশি সংবেদনশীল হলে ঘ্রাণে ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে।
শিশুরা কিভাবে ওষুধ খাবে:
যারা দুগ্ধপোষ্য শিশু তারা কিভাবে ওষুধ সেবন করবে?
বিজ্ঞানী হ্যানিম্যান বলেছেন, দুগ্ধপোষ্য শিশুর ওপর ওষুধ তার মায়ের দুধের মাধ্যমে বিস্ময়করভাবে কার্যকরী। শিশুর জন্য নির্বাচিত ওষুধটি তার স্তন্যদায়িনী মাকে প্রয়োগ করতে হবে (অর্গা-২৮৪, ক, ৬ষ্ঠ)। কিন্তু মাত্রা কী হবে? হ্যাঁ, মাকে ওষুধ প্রয়োগ করলেও এ ক্ষেত্রে মাত্রা হবে সাধারণ মাত্রার তুলনায় কম (শসনপড়থয়প নসঢ়প)। অর্থাৎ সাধারণ মাত্রা যদি হয় এক টেবিল চামচ পরিমাণ, তবে শিশুর মায়ের জন্য হবে এক চা চামচ বা তার চেয়ে কম। (ক্রনিক ডিজিজেজ-পৃঃ ২৬৫)।
ক্রনিক রোগে ওষুধ প্রয়োগ:
ক্রনিক রোগে যতক্ষণ পর্যন্ত একটি ওষুধ উপকার দেয়, ততক্ষণ পর্যন্ত ওষুধটি চালাতে হবে। কিন্তু কিভাবে?
প্রথমত, নির্বাচিত ওষুধটি চলবে ততক্ষণ পর্যন্ত, যতক্ষণ পর্যন্ত নতুন কোনো লক্ষণ প্রকাশ না পায়। ওষুধ প্রতিদিন কিংবা এক দিন পরপর ব্যবহার করতে হবে। ওষুধ ঘন ঘন প্রয়োগ করা ঠিক হবে না। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে দিনে কয়েকবার পর্যন্ত ওষুধ দেয়া যেতে পারে (অর্গা, ২৮২, ক, ৬ষ্ঠ)।
দ্বিতীয়ত, ওষুধটি প্রয়োগ করতে হবে ক্রমোন্নত ও পরিবর্তিত শক্তিতে। অর্থাৎ ওষুধের প্রথম শক্তি উপকার দিলে দ্বিতীয় শক্তি, তৃতীয় শক্তি এভাবে এবং প্রতিবার সেবনের পূর্বে ঝাঁকি (৮, ১০, ১২) দিতে হবে।
তৃতীয়ত, উপকার প্রাপ্ত ওষুধের মাত্রাটাও ধীরে ধীরে বাড়াতে হবে (অর্গা ২৮০, ৬ষ্ঠ, কুনজলি)।
চতুর্থত, ওষুধ ব্যবহার করতে হবে ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ রোগী সাধারণভাবে সুস্থতা বোধ করবে এবং তার এক বা একাধিক পুরনো রোগ লক্ষণ পরিবর্তিত পর্যায়ে ফিরে না আসবে-(অর্গা, ২৮০, ৬ষ্ঠ, কুনজলি)।
পঞ্চমত, পরিবর্তিত এবং ক্রমোন্নতি শক্তি ও বর্ধিত মাত্রায় ওষুধ ব্যবহারে যখন পুরনো রোগ লক্ষণ ফিরে আসবে তখন বুঝতে হবে যে রোগীর আরোগ্য আসন্ন। এ অবস্থায় রোগীর ওষুধ এক বা দুই সপ্তাহ বনধ রাখতে হবে। এ সময় রোগীকে প্লাসিবো দিয়ে পর্যবেক্ষণ করে যেতে হবে (অর্গা, ২৮১, ৬ষ্ঠ, কুনজলি)।
ষষ্ঠত, ওষুধবিহীন পর্যবেক্ষণকালে যদি আগত পুরনো রোগের লক্ষণগুলো কয়েক দিন বা কয়েক ঘণ্টার মধ্যে চলে যায় এবং আর কোনো লক্ষণ ফিরে না আসে এবং রোগী স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে শুরু করে তাহলে বুঝতে হবে রোগী আরোগ্য লাভ করেছে (অর্গা-২৮১, ৬ষ্ঠ, কুনজলি)। সুতরাং তাকে আর কোনো ওষুধ দেয়ার প্রয়োজন নেই।
সপ্তমত, ওষুধবিহীন পর্যবেক্ষণকালে যদি পুরনো রোগের লক্ষণগুলো আসতেই থাকেএবং তা চলে না গিয়ে থেকেই যায় তাহলে পুনরায় নির্বাচিত ওষুধের উচ্চতর শক্তির দ্বারা পূর্ব নিয়মে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে (অর্গা, ২৮১, ৬ষ্ঠ, কুনজলি)।
অষ্টমত, এমনি অবস্থায় ওষুধ প্রয়োগে আগের মতো মাত্রাকে অবশ্যই ক্রমান্বয়ে বাড়াতে হবে. কিন্তু রোগী যদি একটু বেশি অনুভূতিপ্রবণ হয় তাহলে কি মাত্রা একই হারে ক্রমান্বয়ে বাড়ানো যাবে?- না। এ ক্ষেত্রে অত্যন্ত ধীর গতিতে এবং সামান্য পরিমাণে মাত্রা বাড়াতে হবে (ঞভপ নসঢ়পঢ় থড়প মষধড়পথঢ়পন ফথড় শসড়প ঢ়লসালী থষন দী ফথড় ঢ়শথললপড় থশসৎষয়ঢ়)। অথচ সাধারণ ক্রনিক রোগীদের ক্ষেত্রে এ মাত্রা অত্যন্ত দ্রুত গতিতে বাড়ানো যায় (নসঢ়পঢ় ধথষ দপ শসড়প ড়থহমনলী মষধড়পথঢ়পন-অর্গা-২৮১, ৬ষ্ঠ, কুনজলি)। রোগী যদি আরো বেশি অনুভূতিপ্রবণ হয় (ৎষৎঢ়ৎথললী ঢ়পষঢ়ময়মংপ) তাহলে মাত্রা যথাসম্ভব ক্ষুদ্র করতে হবে।
গর্ভবতী মাকে ওষুধ সেবন:
গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে মাকে এন্টিসোরিক ওষুধ সেবন করানোর জন্য বিজ্ঞানী হ্যানিম্যান পরামর্শ দিয়েছেন। এ সময় নতুন পদ্ধতিতে শক্তিকৃত সালফার প্রয়োগের জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে করে গর্ভস্থ সন্তান সোরামুক্ত হতে পারে। কারণ সোরা হচ্ছে অধিকাংশ ক্রনিক রোগের প্রধান কারণ এবং যা উত্তরাধিকার সূত্রে সন্তানের মধ্যে প্রবাহিত হয়। এভাবে জন্মের সময় থেকেই সন্তানকে সোরার প্রভাবমুক্ত করতে পারলে ভবিষ্যতে সে সুস্থ সবল জীবনযাপন করতে পারবে। বিজ্ঞানী হ্যানিম্যান জোর দিয়ে বলেছেন, সবার কাছে বিস্ময় লাগে যে, এভাবে চিকিৎসিত স্ত্রীলোকদের সন্তানরা সাধারণভাবে অধিকতর শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যবান হয়ে জন্ম নেয়, এটা আমার সোরাতত্ত্বের মহান সত্যেরই একটি প্রমাণ (অর্গা, ২৮৪, ক, ৬ষ্ঠ।
স্মরণ রাখা দরকার গর্ভবতী মাকে প্রথম পর্যায়ে সালফার দিয়েই চিকিৎসা শুরু করতে হবে। কিন্তু তাকে লক্ষণ অনুযায়ী অন্যান্য ওষুধও সময় সময় দিতে হবে। এভাবে পূর্ণ গর্ভকালীন সময়টা একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকলে নিরাপদ প্রসবের নিশ্চয়তা দেয়া যায়।
মহিলাদের মাসিক স্রাবের সময়ে ওষুধ প্রয়োগ বিধান:
বিজ্ঞানী হ্যানিম্যান মহিলাদের মাসিক স্রাব শুরুর আগে এবং মাসিক স্রাব চলাকালীন ক্রনিক রোগে ওষুধ প্রয়োগ করতে নিষেধ করেছেন। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে স্রাব চলার চতুর্থ দিন থেকে ওষুধ প্রয়োগ করা যেতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে যেমন অপরিপক্ব মাসিক, অত্যধিক রক্তস্রাব কিংবা দীর্ঘদিনস্রাব চলতে থাকলে চতুর্থ দিনে উচ্চশক্তির নতুন পদ্ধতির নাক্সভমিকা ঘ্রাণে প্রয়োগ করতে হয়। এরপর আবার ষষ্ঠ দিন থেকে এন্টিসোরিক ওষুধ দিতে হবে। যদি কোনো রোগী এসব ক্ষেত্রে অত্যন্ত সংবেদনশীল ও স্নায়বিক কাতর হয় তাহলে তাকে তার স্রাব শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতি তিন দিন পর একবার নাক্স ভমিকা ঘ্রাণে প্রয়োগ করতে হবে। এ সময় তার এন্টিসোরিক ওষুধ বনধ না রেখে চালিয়ে যেতে হবে। কারণ মাসিক স্রাবের এ নাজুক অবস্থায় (শসড়দমন ঢ়য়থয়প) মাঝে মধ্যে যদি নাক্স ভমিকা প্রয়োগ না করা হয়, তাহলে ক্রনিক রোগের আরোগ্যের জন্য কিছুই করা যাবে না। বিশেষত নাক্স ভমিকা রোগীর স্নায়বিক বিশৃঙ্খলাকে শৃঙ্খলায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। মাসিক স্রাবের অস্বাভাবিকতা রোগীর মধ্যে এক ধরনের মানসিক উত্তেজনা ও অস্থিরতার জন্ম দেয়, যা এন্টিসোরিক ওষুধের ক্রিয়াকে প্রচণ্ডভাবে বাধাগ্রস্ত করে। এ কারণেই মাঝে মধ্যে নাক্স ভমিকা প্রয়োগ করে এন্টিসোরিক ওষুধের ক্রিয়াকে গতিশীল করে নিতে হয় (ক্রনিক ডিজিজেজ, পৃঃ ২৩৫)।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:৩৮
অরিত্রো বলেছেন: কোন সুস্বথু মানুষের শরীর এ কোন জীবাণু প্রবেশ করালে যদি কোন রোগ এর প্রকাশ হয় তবে ওই রোগ এর জন্য ওই জীবাণু দারা ই তার চিকিৎসা করা যাবে। অবশ্যই তার জন্য জীবাণু এর অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার পরিবরতন করতে হবে। এটাকেই বস্তুর অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার উন্নয়ন বলা হইছে।
এই পদ্ধতির মূলনীতি হচ্ছে ওষুধ এর পরিমাণ জত কম, তার কার্যকারিতা তত বেশি।
গ্লোবিউল এ যে পরিমাণ কার্যকারী উপাদান থাকে তার থাকে কম পরিমাণ থাকে তরলে। এটাই শক্তির মাত্রা বুঝানো হইছে।
শততমিক পদ্ধতির তৃতীয় বিচ্ছুন্ন এর অর্থ একই ।
২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:১৩
অদ্ভুত বলেছেন: অনেক ক্ষেত্রে হোমিও অনেক ভাল কাজ করে। প্রায় ২ বছর থেকে হোমিও ধরসি।
৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:৫১
রাসেল মাহ্মুদ বলেছেন: অভিনন্দন। তুলে রাখলাম।
৪| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ২:২১
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন:
হোমিওপ্যাথী কি জ্যোতিষশাস্ত্রের মতো মানুষের বিশ্বাস নির্ভর বিদ্যা? এ কি বিজ্ঞান না মনগড়া শাস্ত্র? জানতে আগ্রহী
৫| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:৪০
অরিত্রো বলেছেন: না ভাই, এটাও একটা বিজ্ঞান। এর জন্ম গ্রীক জ্ঞানী দের হাতে
৬| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ৭:২৬
সাহোশি৬ বলেছেন: ওষুধ এর পরিমাণ জত কম, তার কার্যকারিতা তত বেশি"
- এ আবার কেমন কথা। পর্যাপ্ত পরিমাণের ওষুধই কার্যকরী। পর্যাপ্ত পরিমাণের চেয়ে কম খেলে কাজ করার কথা না, আবার বেশী খেলে সমস্য হবার কথা।
পরিমাণ যত কম, কার্যকারিতা তত বেশী - এই নীতি মানলে তো শূন্য পরিমাণেরই সবচেয়ে বেশী কার্যকর হবার কথা।
৭| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ৭:২৭
সাহোশি৬ বলেছেন: "গ্লোবিউল এ যে পরিমাণ কার্যকারী উপাদান থাকে তার থাকে কম পরিমাণ থাকে তরলে। এটাই শক্তির মাত্রা বুঝানো হইছে।
শততমিক পদ্ধতির তৃতীয় বিচ্ছুন্ন এর অর্থ একই ।" - বুঝলাম না।
৮| ১৫ ই জুন, ২০১১ রাত ৮:০৫
পাগলা দাশু০০৭ বলেছেন: সাহোশি৬ বলেছেন: ওষুধ এর পরিমাণ জত কম, তার কার্যকারিতা তত বেশি" - এ আবার কেমন কথা। পর্যাপ্ত পরিমাণের ওষুধই কার্যকরী। পর্যাপ্ত পরিমাণের চেয়ে কম খেলে কাজ করার কথা না, আবার বেশী খেলে সমস্য হবার কথা। পরিমাণ যত কম, কার্যকারিতা তত বেশী - এই নীতি মানলে তো শূন্য পরিমাণেরই সবচেয়ে বেশী কার্যকর হবার কথা। সাহোশি৬ বলেছেন: "গ্লোবিউল এ যে পরিমাণ কার্যকারী উপাদান থাকে তার থাকে কম পরিমাণ থাকে তরলে। এটাই শক্তির মাত্রা বুঝানো হইছে। শততমিক পদ্ধতির তৃতীয় বিচ্ছুন্ন এর অর্থ একই ।" - বুঝলাম না।
২৫ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৪
অরিত্রো বলেছেন: এটা বোঝানোর জন্য আপনাকে ফার্মাকোলোজী বোঝাতে হবে। গুগলে মিনিমাম ইফেকটিভ কনসেনট্রেশন এই নামে খুজলে ই পাবেন এবং বুঝতে পারবেন
৯| ২৫ শে জুন, ২০১১ রাত ৮:১৯
েমা আশরাফুল আলম বলেছেন: সাহোশি৬ বলেছেন: পর্যাপ্ত পরিমাণের ওষুধই কার্যকরী।
Pharmacology supports this statement.
ওষুধ এর পরিমাণ জত কম, তার কার্যকারিতা তত বেশি" - এ আবার কেমন কথা।
মিনিমাম ইফেকটিভ কনসেনট্রেশন আপনি কিভাবে মাপবেন যেখানে আপনি বলে দিচ্ছেন ওষুধ এর পরিমাণ জত কম, তার কার্যকারিতা তত বেশি
২৬ শে জুন, ২০১১ রাত ২:৪১
অরিত্রো বলেছেন: এটা একটা কনছেপ্টচুয়াল টারমিনোলজি। এটা বোঝার জন্য বা মাপার জন্য আপনাকে বায়োফার্মা এর ড্রাগ কমপার্টমেন্টাল সিস্টেম (সিঙ্গেল ও মাল্টি) জানতে হবে
১০| ২৬ শে জুন, ২০১১ সকাল ৭:৫১
েমা আশরাফুল আলম বলেছেন: Yes, biopharmaceutics and compartmental analysis is required to determine this parameter and that is the base for determining the dose of any drug in modern drug development process.
But my argument is how you can implement this theorem in Homeopathic system of medication.
As a pharmacologist, I can't accept what you are telling about Homeopathic system of medication.
Still it is obscure to understand the exact mechanism of Homeopathic drug to pharmacologist.
২৬ শে জুন, ২০১১ দুপুর ২:১০
অরিত্রো বলেছেন: জী জনাব, আমি আপনার প্রশ্ন বুঝতে পারছি। এখানে বিস্তারিত বলা সম্ভব না। আমার পরীক্ষা চলছে। তাই পরীক্ষার পর এই বিষয়ে নতুন একটা পোস্ট নিয়ে আসব ইনশাল্লাহ।
১১| ২৬ শে জুন, ২০১১ দুপুর ২:৩১
েমা আশরাফুল আলম বলেছেন: Waiting for your explanation. Good wish for your exam.
২৮ শে জুন, ২০১১ রাত ১:৫৩
অরিত্রো বলেছেন: এক ক্ষেত ধইনা পাতা
১২| ২৬ শে জুন, ২০১১ দুপুর ২:৪৩
বিপ্লব কান্তি বলেছেন: এলোপ্যাথি ঔষধের সাইড এফেক্ট মারাত্নক, এফেক্ট ও সরাসরি । কিন্তু বাংলাদেশে এলোপ্যাথী ঔষধ যারা প্রয়োগ করেন তাদেরকে বাইরের দেশের মত বাংলাদেশে ও Doctor বলা হয় , কিন্তু উনারা বেশিরভাগ লোকই বাটপার ও বকলম । বকলম মানে পড়াশোনা ও বিজ্ঞানে হাত নেই , কিন্তু উল্টাপাল্টা চিকিৎসা করেই যাচ্ছে । বাটপার মানে রোগীর কাছ থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয় অনেক ক্ষেত্রেই ।
আমার প্রশ্ব হলো, হোমিওপ্যাথি ঔষধ কি আসলে কাজ করে ? কারো তো কোন কিছু ভালো হতে দেখিনি । শুধুমাত্র যেসব অসুখ আপনা আপনি ভালো হয়ে যায় সেসব অসুখে হোমিওপ্যাথি যথেষ্ট কার্যকর , কারন সেখানে ঔষধের তো ভূমিকা থাকে না ।
আপনি কি বলেন ? কোন রোগ কি কখনো ভালো হতে দেখেছেন ?
২৮ শে জুন, ২০১১ রাত ১:৫৪
অরিত্রো বলেছেন: ওষুধ ব্যবস্থাপনাতে ফার্মাসিস্ট এর ভুমিকা খুব জরুরী। এই বিষয় টা আমাদের দেশে চালু করা যাচ্ছে না আমাদের দেশের মহাজ্ঞানী ডাক্তার দের জন্য। এলোপ্যাথি ঔষধের মারাত্নক সাইড এফেক্ট গুলো দূর করা যাচ্ছে না।
যদি কোন ডাক্তার এই বল্গ পরে থাকেন তবে দয়া করে এটা ভুল বুঝবেন না।
১৩| ২১ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:৪৪
jahidbd বলেছেন: জার্মানদের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় আস্থা
ডয়চে ভেলে 24.11.2010
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার প্রতি অগাধ বিশ্বাস মার্টিনা ফ্লাইশমানের৷ যে কোন অসুখ বিসুখই হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের কাছে যান তিনি৷ ছেলের চিকিৎসা করাতে গিয়েই প্রথম হোমিওপ্যাথির সংস্পর্শে আসেন তিনি৷ অনেক জার্মানই এখন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার দিকে ঝুঁকছেন
মার্টিনা ফ্লাইশমানের ছেলে হাইপারঅ্যাকটিভ রোগে ভুগছিল, অর্থাৎ স্থির থাকতে পারতোনা সে৷ ডাক্তার তাকে মানসিক ব্যাধির ওষুধ সাইকোট্রপিক’এর প্রেসক্রিপশন দেন৷ এতে আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন মার্টিনা৷ তখন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার কথাটা তাঁর মাথায় আসে৷ এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার ছেলের রোগের লক্ষণগুলো দেখে চিন্তিত হয়ে উঠি আমরা৷ সাইকোট্রপিক ওষুধ ‘রিটাল’ শুধু রোগের লক্ষণগুলি চেপে রাখতে পারে, সারাতে পারেনা৷ হোমিওপ্যাথি তাকে ভাল করে দিয়েছে৷’’
হোমিওপ্যাথির ডাঃ কারিন বান্ডেলিন মার্টিনার ছেলের চিকিৎসা করেছেন৷ মার্টিনাও এখন অসুখ বিসুখে ডাঃ বান্ডেলিনের কাছেই যান৷ হোমিওপ্যাথির খুদে বড়িগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাকে সক্রিয় করে তুলতে পারে৷ সুস্থ কোনো ব্যক্তি কোনো রোগের ওষুধ খেলে সেই রোগের লক্ষণগুলো ফুটে ওঠে তার শরীরে৷ যেমন মার্টিনা গলাব্যথার জন্য যে ওষুধ খেলেন, তা সুস্থ কেউ খেলে তার গলাব্যথা দেখা দিতে পারে৷ বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে পুরোপুরি প্রমাণিত না হলেও হোমিওপ্যাথির প্রতি আস্থাশীল হয়ে উঠছেন জার্মানির অনেকে৷ এ প্রসঙ্গে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ডাঃ কারিন বান্ডেলিন বলেন, ‘‘আমি যখন প্রথমে এই চিকিৎসা শুরু করি, তখন আমার কোনো রোগী ওষুধ কিনতে গেলে দোকানদার বলতো ‘আমি যদি আপনার কাছে ওষুধ বিক্রি করি, তাহলে আপনি তা খেতেও পারেন বা ফেলেও দিতে পারেন৷ একই কাজ হবে৷’ আমার মনে হয়না, আজ সহজে কেউ এই কথা বলবে৷’’
অ্যালোপ্যাথির চিকিৎসকরা হোমিওপ্যাথিকে সন্দেহের চোখে দেখে
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ও ওষুধপত্র সম্পর্কে এখন প্রচুর বইপত্র বাজারে পাওয়া যাচ্ছে৷ ৫৭ শতাংশ জার্মান হোমিওপ্যাথিতে বিশ্বাস করেন৷ পানি বা স্পিরিট মিশিয়ে মিশিয়ে অত্যন্ত লঘু করে ফেলা হয় ওষুধের উপাদানগুলো, যাতে একদিকে এগুলোর বিষ কমে যায়, অন্যদিকে কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়৷ এটাই মনে করা হয় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাশাস্ত্রে৷ অ্যালোপ্যাথির চিকিৎসকরা কিন্তু এই বিষয়টিকে সন্দেহের চোখে দেখেন৷ কিন্তু ডোরিস রোডের মত রোগীদের পুরোপুরি আস্থা রয়েছে হোমিওপ্যাথিতে৷ ঘাড় ব্যথা হলে ডোরিস তাই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসারই দ্বারস্থ হন৷ তাঁর ছেলের হুপিং কাশিতেও হোমিওপ্যাথির খুদে বড়ি দিয়েই চিকিৎসা করিয়েছেন তিনি৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘এতে আমি বুঝতে পেরেছি যে, আমার সিদ্ধান্তটা সঠিক ছিল৷ যদিও একজন বন্ধুস্থানীয় অ্যালোপ্যাথিক ডাক্তার আমাদের বলেছিলেন, ছেলের জীবন নিয়ে আমর ছিনিমিনি খেলছি৷’’#b#
সব রোগ ভাল করতে পারেনা হোমিওপ্যাথি
সব কিছু অবশ্য হোমিওপ্যাথি ভাল করতে পারেনা৷ যেমন ক্যান্সার৷ এই ব্যাধিতে প্রচলিত ওষুধেরই প্রয়োজন৷ তবে পাশাপাশি হোমিওপ্যাথিও চলতে পারে৷ ডোরিস রোডেও তাঁর ছেলের ফুসফুসের সংক্রমণে অ্যালোপ্যাথির দ্বারস্থ হয়েছিলেন৷ এ প্রসঙ্গে ডোরিস রোডে বলেন, ‘‘হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় অসুখটা ভাল হচ্ছিলনা, অগত্যা অ্যান্টিবায়োটিকের সাহায্যই নিতে হল৷’’
মার্টিনা ফ্লাইশমানের অবশ্য হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত ভাল অভিজ্ঞতাই হয়েছে৷ খুদে বড়িগুলোর ওপর প্রবল আস্থা রয়েছে তাঁর৷ মার্টিনা বলেন, ‘‘হোমিওপ্যাথি ছাড়া আমি আজকের অবস্থায় আসতে পারতামনা৷ এক কথায় আমি এখন খুব ভাল আছি৷’’
উল্লেখ্য, হোমিওপ্যাথির জনক ক্রিস্টিয়ান ফ্রিডরিশ সামুয়েল হানেমানের জন্ম জার্মানির স্যাক্সনি রাজ্যে ১৭৫৫ সালের ১০ই এপ্রিল৷ ১৭৭৯ সালে চিকিৎসা বিজ্ঞানে এমডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি৷ ১৭৯৬ সালে নতুন এক চিকিৎসা পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন হানেমান৷ পরে এই পদ্ধতিকে সুশৃঙ্খল করে নাম দেন হোমিওপ্যাথি৷ রোগীকে অল্প ওষুধ দিয়ে সুস্থ করে তোলাই হোমিওপ্যাথির মূলমন্ত্র৷ চিকিৎসক ও ওষুধপ্রস্তুতকারীরা হোমিওপ্যাথিকে নিজেদের স্বার্থের পরিপন্থী মনে করে হানেমানের বিরুদ্ধাচরণ শুরু করেন সেই সময়৷ এই চাপ সহ্য করতে না পেরে জার্মানি ছেড়ে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে চলে যান হানেমান৷ সেখানেই তিনি ১৮৪৩সালের ২রা জুলাই মৃত্যুবরণ করেন৷
প্রতিবেদন: রায়হানা বেগম
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক
১৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:৩৫
সানহিমেল বলেছেন: হোমিপ্যাথি সম্পর্কে আপনার লেখাটি পরে অনেক ভাল লাগল। যদিও আগেও কিছু কিছু জানা ছিল, তারপর ও সোর্স সহ সাজানো আপনার লেখাটি অনেক ভাল হয়েছে। আপনার জন্য শুভকামনা।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:১৩
সাহোশি৬ বলেছেন: আপনার লেখা পড়এ অনেক কিছুই বুঝলাম না, দয়া করে নীচের ব্যাপারগুলো যদি একটু পরিস্কার করে সবিস্তারে বর্ণনা করতেন তাহলে বাধিত হতাম।
১। "হোমিওপ্যাথিতে ওষুধ হচ্ছে শক্তির আধার। কোনো ওষুধ বস্তুর অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার উন্নয়ন ঘটিয়ে যখন শক্তিকরণ করা হবে, তখন তা ওষুধেরূপান্তরিত হবে।" - এই বাক্যের কোন অর্থই আমি ধরতে পারিনি।
২। "মূলত শততমিক পদ্ধতির তৃতীয় বিচ্ছুন্ন থেকেই নতুন পদ্ধতির যাত্রা।" - এই কথারই বা মানে কি?
৩। "সর্বতোভাবে সুনির্বাচিত ওষুধের একটি শুকনো গ্লোবিউল যদি প্রথমবার রোগীর ক্ষেত্রে বেশ কার্যকরী হয়, তাহলে দ্বিতীয়বার সে ওষুধ শুকনো অবস্থায় আর ব্যবহার করা যায় না। এমনিভাবে পানির সাথে মিশ্রিত ওষুধও যদি প্রথম মাত্রায় বেশ কার্যকরী হয়, তাহলে দ্বিতীয়বার তা ঝাঁকি না দিয়ে অর্থাৎ মাত্রার শক্তি পরিবর্তন না করে ব্যবহার করা যায় না। এজন্যই ওষুধ প্রতিবার ব্যবহারের আগে ৮, ১০, ১২ ঝাঁকি দেয়ার নিয়ম। কারণ মাত্রা শক্তির পরিবর্তন না হলে প্রাণশক্তি এ ধরনের অভিন্ন মাত্রা শক্তিকে বিনা প্রতিরোধে গ্রহণ করে না। ফলে রোগীর ক্ষেত্রে রোগ আরোগ্যের বদলে বৃদ্ধি দেখা দিতে পারে। এ জন্যই ওষুধের সত্যিকার ক্রিয়া লাভের জন্য ওষুধ ব্যবহারে মাত্রা শক্তির পরিবর্তন আবশ্যক।" - এই কথার কোন মানেই বুঝলাম না।