নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালো মানুষ হিসাবে নিজেকে দাবি করি না কখনোই, চেষ্টা করছি ভালো মানুষ হতে। জানিনা কবে ভালো হতে পারব! আর আমি এমনিতে বেশ ঠাণ্ডা, কিন্তু রেগে গেলে ভয়াবহ! একটু introvert টাইপের। স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি, তার যদিও অধিকাংশই ভেঙ্গে যায়! আশার পিঠে আশা বেঁধে তবুও নির্লজ্

অতনু কুমার সেন

সংক্ষেপে নিজের সম্পর্কে মূল্যায়নঃ ভালো মানুষ হিসাবে নিজেকে দাবি করি না কখনোই, চেষ্টা করছি ভালো মানুষ হতে। জানিনা কবে ভালো হতে পারব! আর আমি এমনিতে বেশ ঠাণ্ডা, কিন্তু রেগে গেলে ভয়াবহ! একটু introvert টাইপের। স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি, তার যদিও অধিকাংশই ভেঙ্গে যায়! আশার পিঠে আশা বেঁধে তবুও নির্লজ্জের মত স্বপ্ন দেখে যাই। স্বপ্ন দেখি আকাশ ছুবো, মেঘের ভেলায় উড়ে যাব, নিজের রঙে রাঙ্গিয়ে দিব, সত্য ও সুন্দরের আলো ফোটাবো। জানিনা পারব কি ব্যর্থ হবো। চেষ্টা তবু করেই যাবো।

অতনু কুমার সেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

যারা যুগের সাথে বদলাতে পারে না, যুগ তাদের পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয়। তাই ক্রমাগত যুগের সাথে বদলাতে থাকুন :)

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৪:৪৯



Kodak কোম্পানিকে মনে আছে? ১৯৯৮ সালে কোড্যাক কোম্পানিতে প্রায় ১লক্ষ ৭০ হাজার কর্মচারী কাজ করতেন।
এবং বিশ্বে ছবি তোলার প্রায় ৮৫% ই কোড্যাক ক্যামেরায় তোলা হত। গত কয়েক বছরে মোবাইল ক্যামেরার বাড়বাড়ন্ত হওয়ায় এমন অবস্থা হয় যে Kodak ক্যামেরার কোম্পানীটাই উঠে যায়। এমনকি Kodak সম্পুর্ন দেউলিয়া হয়ে পড়ে এবং এদের সমস্ত কর্মচারীকে বাধ্যতামূলক ছাঁটাই করা হয়।

ওই একই সময়ে আরো কতগুলি বিখ্যাত কোম্পানি তাদের ঝাঁপ পাকাপাকি বন্ধ করতে বাধ্য হয়। যেমন-

HMT (ঘড়ি)
BAJAJ (স্কুটার)
DYANORA (TV)
MURPHY (radio)
NOKIA (Mobile)
RAJDOOT (bike)
AMBASSADOR (গাড়ি)

এই উপরের কোম্পানিগুলোর মধ্যে কারুরই কোয়ালিটি খারাপ ছিল না। তবুও এই কোম্পানি গুলো উঠে গেল কেন? কারণ এরা সময়ের সাথে নিজেকে বদলাতে পারেনি।

এখনকার সময়ে দাঁড়িয়ে আপনি হয়তো ভাবতেও পারছেন না যে সামনের 10 বছরে দুনিয়া কতটা পাল্টে যেতে পারে! এবং আজকের 70%-90% চাকরিই সামনের 10 বছরে সম্পুর্নভাবে বিলুপ্ত হতে চলেছে। আমরা ধীরে ধীরে ঢুকে পড়েছি "চতুর্থ শিল্প বিপ্লব"-এর যুগে।

আজকের বিখ্যাত কোম্পানিগুলোর দিকে তাকান-

উবের কেবলমাত্র একটি software-এর নাম। না, এদের নিজস্ব কোন গাড়ি নেই। তবু আজ বিশ্বের বৃহত্তম ট্যাক্সি-ভাড়ার কোম্পানি হল উবের।

Airbnb হল আজকে দুনিয়ার সবথেকে বড় হোটেল কোম্পানি। কিন্তু মজার ব্যাপার হল, পৃথিবীর একটি হোটেলও তাদের মালিকানায় নেই।

একইভাবে Paytm, ওলা ক্যাব, Oyo rooms ইত্যাদি অসংখ্য কোম্পানির উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে।

আজকে আমেরিকায় নতুন উকিলদের জন্য কোন কাজ নেই, কারণ IBM Watson নামে একটি আইনি software যে কোন নতুন উকিলের থেকে অনেক ভাল ওকালতি করতে পারে। এইভাবে পরের 10 বছরে প্রায় 90% আমেরিকানদের আর কোন চাকরি থাকবে না। বেঁচে থাকবে খালি বাকি 10%। এই 10% হবে বিশেষ বিশেষজ্ঞ।

নতুন ডাক্তারদেরও চাকরি যেতে বসেছে। Watson নামের software মানুষের থেকেও 4 গুন নিখুঁত ভাবে ক্যানসার এবং অন্যান্য রোগ শনাক্ত করতে পারে। 2030 সালের মধ্যে কম্পিউটারের বুদ্ধি মানুষের বুদ্ধিকে ছাপিয়ে যাবে।

2019 সালের মধ্যেই রাস্তায় নামতে চলেছে চালকহীন গাড়ি। 2020 সালের মধ্যেই এই একটা আবিষ্কার বদলে দিতে পারে গোটা দুনিয়ার চালচিত্র। এর ফলে সামনের 10 বছরে আজকের 90% গাড়িই আর রাস্তায় দেখা যাবে না। বেঁচে থাকা গাড়িগুলো হয় ইলেক্ট্রিকে চলবে অথবা হাইব্রিড গাড়ি হবে। রাস্তাগুলো ক্রমশঃ ফাঁকা হতে থাকবে। পেট্রোলের ব্যবহার কমবে এবং পেট্রোল উৎপাদনকারী আরব দেশগুলি ক্রমশঃ দেউলিয়া হয়ে আসবে।

তখন গাড়ি লাগলে, উবেরের মত কোন software-এর কাছেই গাড়ি চাইতে হবে। আর গাড়ি চাইবার কিছুক্ষনের মধ্যেই সম্পুর্ন চালক-বিহীন একটা গাড়ি আপনার দরজার সামনে এসে দাঁড়াবে। আপনি যদি অনেকের সাথে ওই একই গাড়িতে যাত্রা করেন, তাহলে মাথাপিছু গাড়িভাড়া বাইকের থেকেও কম হবে।

গাড়িগুলো চালকবিহীন হবার ফলে 99% দুর্ঘটনা কমে যাবে। এবং সেই কারণেই গাড়ি-বীমা করানো বন্ধ হবে এবং গাড়ি-বিমার কোম্পানি গুলো সব উঠে যাবে।

গাড়ি চালানোর মত কাজগুলো আর পৃথিবীতে বেঁচে থাকবে না। 90% গাড়িই যখন রাস্তা থেকে উধাও হয়ে যাবে, তখন ট্রাফিক পুলিশ এবং পার্কিং-এর কর্মী-দেরও কোন প্রয়োজন থাকবে না।

ভেবে দেখুন, আজ থেকে 5-10 বছর আগেও রাস্তার মোড়ে মোড়ে STD বুথ ছিল। দেশে মোবাইল বিপ্লব আসার পর, এই সবকটা STD বুথই কিন্তু পাততাড়ি গুটাতে বাধ্য হল। যেগুলো টিকে রইল, তারা মোবাইল রিচার্জের দোকান হয়ে গেল। এরপর মোবাইল রিচার্জেও অনলাইন বিপ্লব এল। ঘরে বসেই অনলাইনে লোকে মোবাইল রিচার্জ করা শুরু করল। এই রিচার্জের দোকান গুলোকে তখন আবার বদল আনতে হল। এরা এখন কেবল মোবাইল ফোন কেনা-বেচা এবং সারাইয়ের দোকান হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে সেটাও বদলাবে খুব শিগগিরই। Amazon, Flipkart থেকে সরাসরি মোবাইল ফোন বিক্রি বাড়ছে।

টাকার সংজ্ঞাও পাল্টাচ্ছে। একসময়ের নগদ টাকা আজকের যুগে "প্লাস্টিক টাকায়" পরিণত হয়েছে। ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ডের যুগ ছিল কদিন আগেও। এখন সেটাও বদলে গিয়ে হয়ে যাচ্ছে মোবাইল ওয়ালেট-এর যুগ। Paytm-এর রমরমা বাজার, মোবাইলের এক টিপে টাকা এপার-ওপার।

যারা যুগের সাথে বদলাতে পারে না, যুগ তাদের পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয়। তাই ক্রমাগত যুগের সাথে বদলাতে থাকুন।

সাফল্যকে সাথে রাখুন, সময়ের সাথে থাকুন।

-Collected

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৫:২১

এস এম ইসমাঈল বলেছেন: তাহলে যন্ত্র কি মানুষের সব কাজের ভার নিয়ে নেবে? আর মানুষ আয়েশ করে ঘুমাবে?

১০ ই মে, ২০১৯ ভোর ৪:০৫

অতনু কুমার সেন বলেছেন: ধন্যবাদ!!

২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:১৬

অগ্নিবেশ বলেছেন: যারা সব কিছু আল্লাহর উপর ছেড়ে দিয়ে আয়েস করে ঘুমাবে, তারা আর ঘুম থেকে উঠবে না। আর যারা নতুন কিছু ভাববে তারাই টিকে যাবে।

১০ ই মে, ২০১৯ ভোর ৪:০৮

অতনু কুমার সেন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার কমেন্ট এর জন্য

৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:৫২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: তার মানে পৃথিবীতে যন্ত্রের শাসন চালু হচ্ছে!

১০ ই মে, ২০১৯ ভোর ৪:০৮

অতনু কুমার সেন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার কমেন্ট এর জন্য

৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:১৯

নজসু বলেছেন:




যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে মানুষ ক্রমাগত অলস হয়ে যাচ্ছে।
ভাবতেই অবাক লাগে মানুষ এখন যন্ত্র দিয়ে গরুর দুধ পর্যন্ত দোয়ায়। :||

১০ ই মে, ২০১৯ ভোর ৪:০৮

অতনু কুমার সেন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার কমেন্ট এর জন্য

৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:২৪

কানিজ রিনা বলেছেন: মানুষ পুরনো বাদ দিয়ে নতুন দিকে আগাবে
সুবিধা মত। তবে পুরনো ঢেঁকি ছাটা চাউল
আর মেশিনে ছাটা চাউলের পুষ্টিগুন তফাৎ।
যা মানুষ চোখে দেখেনা সুবিধা যেটা মানুষ
সেই দিকে আগায়। বিজ্ঞান মানুষকে সুবিধা
যেমন দিয়েছে অনেক অসুবিধাও আছে।
যেমন আগের দিনে মানুষ যুদ্ধ করত ঢাঁল
তরবারী দিয়ে এখন মানুষ এটোমিক বোম
দিয়ে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়। ধংশ কোনটাতে
সেটা মানুষ উপলদ্ধি করেছে ট্রাম্প কিমজংএর
যুদ্ধের দামামার ভিতি থেকে। তাই মানুষ যত
সুবিধা ভোগী জীবন বেছে নিবে ততোই মানুষ
ক্ষতির দিকে আগাবে। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর
উপস্থাপনে।

১০ ই মে, ২০১৯ ভোর ৪:০৮

অতনু কুমার সেন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার কমেন্ট এর জন্য

৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:১৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
লেখাটা কপি-পেষ্ট মনে হচ্ছে।

১০ ই মে, ২০১৯ ভোর ৪:০৮

অতনু কুমার সেন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার কমেন্ট এর জন্য

৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস। যুগের সাথে বদলাতে হবে। অন্যথ্যায় পিছিয়ে পড়তে হবে।
ভালো পোষ্ট।

১০ ই মে, ২০১৯ ভোর ৪:০৯

অতনু কুমার সেন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার কমেন্ট এর জন্য

৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:০৫

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: যুগ আমাকে বদলাবে না, বরং আমিই যুগকে বদলে দিব। এই হোক অঙ্গীকার, এই হোক শক্তি।

একজন ব্লগার কালেক্টড লিখবে এটা মানায় না। ব্লগার না কেবল সবারই উচিৎ মূল লেখকের নাম মেনশন করে ক্রেডিট দেয়া।

১০ ই মে, ২০১৯ ভোর ৪:০৯

অতনু কুমার সেন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার কমেন্ট এর জন্য

৯| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৩১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এসেছে নতুন শিশু, তাকে
ছেড়ে দিতে হবে স্থান;
জীর্ণ পৃথিবীতে ব্যর্থ, মৃত আর
ধ্বংসস্তূপ-পিঠে।
চলে যেতে হবে আমাদের।
চলে যাব- তবু আজ যতক্ষণ দেহে
আছে প্রাণ
প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব
জঞ্জাল,
এ বিশ্বকে এ-শিশুর বাসযোগ্য
ক'রে যাব আমি-
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ়
অঙ্গীকার।
অবশেষে সব কাজ সেরে,
আমার দেহের রক্তে নতুন
শিশুকে
করে যাব আশীর্বাদ,
তারপর হব ইতিহাস।।

১০ ই মে, ২০১৯ ভোর ৪:১০

অতনু কুমার সেন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার কমেন্ট এর জন্য

১০ ই মে, ২০১৯ ভোর ৪:১০

অতনু কুমার সেন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার কমেন্ট এর জন্য

১০| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৯

আরোগ্য বলেছেন: যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলুক আর নাই বা চলুক, পৃথিবী থেকে সে সময় মত ঠিকই সরে যাবে। কিন্তু যে যুগকে পরিবর্তন করে, সেই যুগান্তকারীকে পৃথিবী অমর করে রাখে।

১০ ই মে, ২০১৯ ভোর ৪:১০

অতনু কুমার সেন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার কমেন্ট এর জন্য

১১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৩০

চিত্রাভ বলেছেন: কি হবে আর কি হবেনা ভবিষ্যতে তা হয়তো কিছু অনুমান করা যায় --তবে "ইচ্ছা"র আছে দীর্ঘ পরমায়ু, টিকে থাকে বা "ইচ্ছা"বেঁচে থাকতে চায় জগতে। "ইচ্ছা"র ইচ্ছা হয় বেঁচে থাকতে -- এমনই "ইচ্ছা" যে সে চায় "ইচ্ছা"র দীর্ঘ জীবন । "The will,of course, is a will to live, and a will to maximum life. How dear life is to all living things !-- and with that silent patience it will bide its time !" জগতের সব পালটে যায় কিন্তু মানুষের আছে "ইচ্ছা" হাতিয়ার -- সাফল্যও "ইচ্ছা"র অধীন । বাতিল হয়ে নতুন আসে চিরকাল দুই এর শক্তিতে, সেই দুই এর একটি -- স্বাধীন ইচ্ছা আরেকটি হল স্বাধীন মননশীলতা -- এই দুইয়ে মিলে মানুষ এবং জগত । এই দুইই মিত্র শক্তি -- চলমান জগতের রূপকার !

১২| ১০ ই মে, ২০১৯ ভোর ৪:১১

অতনু কুমার সেন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার কমেন্ট এর জন্য

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.