নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালো মানুষ হিসাবে নিজেকে দাবি করি না কখনোই, চেষ্টা করছি ভালো মানুষ হতে। জানিনা কবে ভালো হতে পারব! আর আমি এমনিতে বেশ ঠাণ্ডা, কিন্তু রেগে গেলে ভয়াবহ! একটু introvert টাইপের। স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি, তার যদিও অধিকাংশই ভেঙ্গে যায়! আশার পিঠে আশা বেঁধে তবুও নির্লজ্

অতনু কুমার সেন

সংক্ষেপে নিজের সম্পর্কে মূল্যায়নঃ ভালো মানুষ হিসাবে নিজেকে দাবি করি না কখনোই, চেষ্টা করছি ভালো মানুষ হতে। জানিনা কবে ভালো হতে পারব! আর আমি এমনিতে বেশ ঠাণ্ডা, কিন্তু রেগে গেলে ভয়াবহ! একটু introvert টাইপের। স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি, তার যদিও অধিকাংশই ভেঙ্গে যায়! আশার পিঠে আশা বেঁধে তবুও নির্লজ্জের মত স্বপ্ন দেখে যাই। স্বপ্ন দেখি আকাশ ছুবো, মেঘের ভেলায় উড়ে যাব, নিজের রঙে রাঙ্গিয়ে দিব, সত্য ও সুন্দরের আলো ফোটাবো। জানিনা পারব কি ব্যর্থ হবো। চেষ্টা তবু করেই যাবো।

অতনু কুমার সেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই স্মৃতি গুলোর মধ্যেই তোমাকে খুঁজেফিরি ঠাকুরমা - অনেক বড় হবি দাদুভাই

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:৫৬

তুমিও নাই, আর "রাঙ্গা ভাই" বলে কেউ ডাকে ও না। জানি না, তুমি কোন অজানায় রয়েছ , কিন্তু আমার স্মৃতি গুলোর মধ্যে তুমি এখনও জীবিত !! হটাৎ করে তোমার মতো কোনো বয়স্ক কাউকে দেখলেই, কেমনজানি লাগে। তাদের মধ্যে তোমায় খুঁজে ফিরি, তাদের সাথে কথা বলি এবং আমার খুব ভালো লাগে। মনেহয় ওই বুড়ো মানুষ গুলার মধ্যে তোমার ছোয়া আছে!!

শুধু তোমার টানে, ৫-৭ বছরের একটা ছেলে মিরুখালী থেকে মঠবাড়িয়া তে হেটে হেটে এসেছিলো। দৌড়াতে দৌড়াতে, হাটতে হাটতে, ঐ ছেলেটার পায়ে ঠোস কা পরে যেত, কিন্তু ওই ছেলেটা কোনো ক্লান্তি বোধ করতো না। তার মাথায় একটা জিনিস ই থাকতো, দিনের মধ্যে পৌঁছাতে হবে, সন্ধ্যা হবার পরে হয়তো রাস্তা ঘাট চেনা যাবে না । আর মনের মধ্যে সব সময় একটা ছবি ভাসতো, কখন যে অনেক বড়ো বিশাল একটা চাম্বল গাছ তার চোখে পরবে। কারণ ঐ বিশাল চাম্বল গাছ আলা বাড়িটাতেই তার ঠাকুর মা আর দাদু থাকে। ওইটাই তাদের নিজেদের বাড়ি। যখন দাদুর কোলে মাথা রেখে রামায়ণ এর গল্প শুনতাম আর ঠাকুরমা তুমি আমার পা দুয়ে মুছে, পায়ে মলম দিয়ে দিতা তখন অনেক বেথা লাগতো। আর তুমি বলতা তোমার মামা বাড়ি একটা খবর দেয়া লাগবো তারা অনেক চিন্তা করতাছে তোমারে নিয়া। তুমি তো মনে হয় কাউরে কিছু না বইলা আইছো, পরের বার বৌমা রে কমু তোমারে লগে না নিতে। সাথে দাদু বলতো, আমার মাথায় ই আসে না যে, - কিভাবে এই টুকু মানুষ ১০ -১২ মাইল পথ হাইটা আইছে। সাথে দাদু আমার মাথায় হাত বুলাইতো আর কইতো "বাঁইচ্যা থাক পাগলা অনেক বছর, অনেক বড় হবি দাদুভাই" !! (দাদু আমায় আদর করে পাগলা ডাকতো , যদিও "অতনু কুমার সেন" নাম টা আমার দাদুভাই এর ই দেয়া)।

আমার ছোট ছোট প্রয়োজন গুলো কে আমার ঠাকুরমা খুব প্রায়োরিটি দিতো, সুন্দর একটা সিপ্ দিয়ে মাছ ধরার ইচ্ছা আমার অনেক দিনের ই ছিল। কিন্তু মনের মতো একটা টুনি বাঁশ খুঁজে পাছিল্লাম না। অবশেষে নিরু জেঠুর কাছ থেকে অনেক অনুরোধ করে, তার বেড়া বাধাঁর প্রয়োজনীয় টুনি বাঁশ থেকে, আমি দুই টুকরা নিয়ে আসি। আমার গৃহ শিক্ষক এবং ঠাকুরমার সহযোগিতায়, জোড়া/তালি/ঘষা/মাজা করে, অনেক সুন্দর একটা বড়শি এর সিপ্ তৈরি করি। এবং মাছ ধরতে যাই শিকদার বাড়ি। আমার স্পষ্ট মনে আছে, আমি অনেক বড়ো বড়ো কই মাছ পাইতেছিলাম (দুই কুড়ি তো হবেই ) আমার মাছ ধরার হাড়ি প্রায় ভরে গেছিল। কিন্তু আমার পাশের মিঠু দাদা এন্ড জসিম ভাইয়া তেমন মাছ পাচ্ছিল না। জসিম ভাই এবং মিঠু দাদা বুদ্ধি করে আমার সিপ্ নিয়ে মাছ ধরতে চাইলো। আমি দিতে অস্বীকার করায় আমার সিপ্ টা ভেঙ্গে ফেলে। আমি কাঁদতে কাঁদতে ঠাকুরমার কাছে গিয়ে নালিশ করি। ঠাকুরমা বলে এখন তো সন্ধ্যা হইসে ভাই, কালকে আমি মিঠুগো বাড়ি যাইয়া অর মা এর কাছে নিলিস দিমু। রাতে মাছ গণনা করার পরে, ঠাকুরমা আমার মাকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলতেছিলো, কি কৈছিলা বৌ - অতবড় পাতিল নেবার দরকার নাই , এখন কি হইলো " তুমি তো রাঙ্গা ভাইরে কোনো দাম এ দেও না, এই দেখো দুই কুড়ি এর বেশি বড় বড় কোই মাছ ধরছে!! লগে একটা হউল মাছ ও আছে। পাজি মিঠু যদি হিংসার ঠেলায় আমার রাঙা ভাই এর সিপ্ টা না ভাঙ্গতো তাইলে আরো বেশি মাছ পাইতো। পরের দিন সকাল বেলাতে বৃষ্টির মধ্যে ছাতি মাথায় দিয়ে মিঠু দাদা দেড় বাড়িতে গেছিলাম। এবং মিঠু দাদার নিজের সিপ্ টি আমায় দিয়ে দেয়। অনেক দিন আগের কথা কিন্তু আমার সবকিছুই মনে আছে। এইগুলো এখন শুধুই মধুর স্মৃতি, এবং এই স্মৃতি গুলোর মধ্যেই তোমাকে খুঁজেফিরি ঠাকুরমা। এখন কার ঠাকুর মারা হয়তো বৃষ্টির মধ্যে তাদের নাতি এর জন্য এই সামান্য কারনে কোনো জায়গায় যাবে না।


গতকাল আমার ঠাকুর "মা" এর ষষ্ঠতম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল।





মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: ঠাকুর মার মৃত্যু বার্ষিকিতে শ্রদ্ধা জানাই।

২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:০৪

অতনু কুমার সেন বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.