![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি নতুন শুরু করছিও নতুন ভাবে. লেখা ভালো না লাগলে কিছুই করার নেই
সংগ্রহীত
১।ত-শিবিরের বেজন্মরা কয়েকদিন আগে হিন্দুদের গ্রামে হামলা করে। গর্ভবতী এক মহিলার পেটে তারা লাথি দিয়ে আঘাত করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঐ মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এই বেজন্মরাই আমাদের সমাজে ধর্মের রক্ষক হিসেবে পরিচিত। তারাই কে মুসলিম কে নাস্তিক তার সার্টিফিকেট দেয়।
কিন্তু এতো হায়নার মাঝেও কিছু মানুষ দেখে প্রাণ ফিরে পাই, শত অন্ধকারেও আশার আলো দেখি। এই নিউজটা দিল হিমেল ভাই। সাতক্ষীরার প্রতিনিধি তাকে এই সংবাদ জানায়। তার পকেটে ৩২০০ টাকা ছিল পুরাটাই সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসে দিয়ে দিছে। ঐ সময় উপস্থিত তিন জনের কাছ থেকেই প্রায় দশ হাজার টাকা উঠেছে। আপাদত জরুরী ভিত্তিতে এই সামান্য টাকা গুলো পাঠানো হল। অর্থের আরো প্রয়োজন হতে পারে। আশা করি আমরা সবাই সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেব।
জামাতের বেজন্মরা ঐ মায়ের পেটেই শুধু লাথি দেয় নি, লাথি দিয়েছে আমাদের মাতৃভূমির পেটে। এই বেজন্মরা হয় এই দেশে থাকবে না হয় আমরা। পাকিস্তানি গেলমানদের জায়গা এই দেশে না। পাকিস্তানের গেলমান পাকিস্তানে ফিরে যা।
২। জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন-
যুদ্ধাপরাধের দায়ে যদি জামাত-শিবির নিষিদ্ধ হয় তাহলে যুদ্ধাপরাধীদের পত্রিকা ও তৎকালীন পাকিস্তানী মুখপত্র "দৈনিক সংগ্রাম" কেন নিষিদ্ধ হবে না?
এই সংগ্রাম পত্রিকাটি ২৫ মার্চ সর্ম্পকে বলেছে-
আল্লাহর দান পাকিস্তান শক্রর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। পাকিস্তানের সেনা বাহিরীর জন্য এই বাঙলার মানুষ অপেক্ষা করেছিল এবং তারা তাদের পবিত্র দায়িত্ব পালন করেছে।৮ মে সংবাদ পত্রিকা ছাপে- সামরিক সরকার ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে। এমনকি ২৬ মার্চকে পাকিস্তানিদের মুক্তি দিবস হিসেবে ঘোষণা করে বড় একটি বিবৃতি পত্রিকার প্রথম পাতায় প্রকাশ করে ৩ মে। ৬ জুন বাঙালি গণহত্যার জন্য পাকিবাহিনী অভিনন্দিত হয় সংগ্রাম পত্রিকা কর্তৃক।
স্বাধীনতার নেতাদের সর্ম্পকে সংগ্রাম পত্রিকা-
বঙ্গবন্ধুকে ভারতের দালাল থেকে শুরু করে জখন্য সব ভাষায় ভূষিত করে এই সংগ্রাম পত্রিকা। সবচেয়ে অবাককাণ্ড হল তাজউদ্দীন আহমেদের নামের আগে "শ্রী" বসিয়ে দেয়।
দৈনিক সংগ্রাম ৮ মে "শ্রী তাজউদ্দিনের বাংলাদেশ" শিরোনাম দিয়ে উপ-সম্পাদকীয়তে লেখা ছাপল।
শহিদ মিনার প্রসঙ্গ-
শহিদ মিনারকে হিন্দুয়ানী থেকে শুরু করে কাফেরদের কাজ-কাম বলে আক্ষায়িত করে এই পত্রিকাটি।
জনগণ প্রসঙ্গে-
১৭ জুন দৈনিকটি স্বাধীনতা যুদ্ধের সর্মথকদের "জনগণ একপাল ভেড়ার ন্যায়" বলে উল্লেখ করে।
এছাড়াও জামাতিদের বিরুদ্ধে যারাই ছিল তাদের সকলকে নাস্তিক, কাফেল হিসেবে উল্লেখ করেছিল। এই লিস্টে কবি কাজী নজরুল ইসলামও বাদ যান নি।
এতো কিছু করার পরও এই পত্রিকাটির বিচার কী হবে না? যদি বলেন সম্প্রাদক তো ভিন্ন ছিল হ্যা ভাই সম্পাদক ভিন্ন হলে রক্ত একি এদের। আর রক্ত হল পাকি রক্ত। বর্তমানেও পত্রিকাটি জামাতিদের মুখপত্র।
৩।নোয়াখালীতে জামায়াত-শিবিরের তান্ডবে ৭৬টি হিন্দু পরিবার নিঃস্ব।
জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন- সাঈদির মেশিনের তেল কী হিন্দুরা বন্ধ করে দিয়েছিল নাকি? নাকি সোনা পাখি ময়না পাখি খাঁচায় ভরে রাখছিল?
এত অরাজকতা করেও বুক ফুলিয়ে হাটে জামায়াতের কুত্তারা , কারো কি কিচ্ছু বলার নেই???
©somewhere in net ltd.