নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর থেকে সারদেশে এক ভয়াভয় অবস্থার তৈরি হয়েছে।গত দুই দিনে মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ৬০ ছাড়িয়ে গেছে। যারা গুলিতে আহত হয়ে মারা যাচ্ছেন, তাদের হিসাব আমরা জানি না।এর উপর শুরু হয়েছে সংখ্যালঘূ নি্র্যাতন। সরকার আইন শৃঙ্খলা রক্ষাই চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে । গত কয়েকদিনে সারদেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘূদের উপর নি্র্যাতন,মন্দিরে হামলা, আগুন, প্রতিমা ভাঙচুর অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে।
সাতক্ষীরার প্রত্যন্ত অঞ্চলে জামায়াত শিবির নেতাকর্মীরা সংখ্যালঘূ সম্প্রদায়ের বাড়ি ঘর এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে।
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় সর্বজনীন পূজা মন্দিরে হামলা চালিয়ে প্রতিমা ভাঙচুর এবং লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় দুটি মন্দিরে পেট্রল ঢেলে আগুন দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুটি ঘটনাই গত বৃহস্পতিবার রাতে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা ঘটিয়েছেন বলে স্থানীয় লোকজন অভিযোগ
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) উপজেলার গাইয়ারচর গ্রামে পূর্ণবক্ষ হরিচাঁদ গুরুচাঁদ সেবা আশ্রম ও রাধা গোবিন্দ নামে দুটি মন্দিরে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পেট্রল ঢেলে আগুন দেওয়া হয়েছে এলাকাবাসীর দাবি, জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা মন্দিরে আগুন দিয়েছেন। সেবা আশ্রমটি মন্দির হিসেবে ব্যবহূত হয়ে আসছিল।
মন্দিরে আগুন যে আগুন বাংলাদেশকে ছারখার করে ফেলতে পারে। যারা এই ভয়াবহ কর্মটির পরিকল্পনা করেছে, নেতৃত্ব দিয়েছে এবং তা বাস্তবায়িত করেছে তারা তাদের কর্মকাণ্ডের রাজনৈতিক পরিণতি কি হতে পারে তা জেনেই এই কাজ করেছে।
বিশ্বের দেশে দেশে যত রকমের নির্যাতন-নিপীড়ন চলছে, সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়কে চিহ্নিত করা হয় তার মধ্যে জঘন্যতম হিসেবে। তাই সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তার বিষয়কে আমরা মনে করি একটি দেশের সরকারের অন্যতম প্রধান উদ্বেগের বিষয় হওয়া উচিত। আর বাংলাদেশ সরকারের এ ক্ষেত্রে উদ্বিগ্ন হওয়ার দ্বিগুণ যৌক্তিকতা রয়েছে। কারণ, বাংলাদেশের জন্মই হয়েছে অসাম্প্রদায়িক ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে। এ জন্যই আর দেরি না করে সরকার ও রাষ্ট্রকে আগাম ও বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
তাই সংখ্যালঘূ নি্র্যাতন কোন রাজনৈতিক ইসূ্ না বনিয়ে যে ধরনের ঘটনা ঘটে গেল সে ধরনের ঘটনার আর কোনো পুনরাবৃত্তি স্বাধীন বাংলাদেশে না হয়।
অবিলম্বে দোষী জামায়াত-শিবির, ধর্মব্যবসায়ী, জঙ্গী উগ্রবাদী ও নেপথ্যের চক্রান্তকারীদের খুঁজে বের করে প্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা যাবে না।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের যাবতীয় ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন এবং ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।
০২ রা মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১৫
মনুআউয়াল বলেছেন: কোন নির্যাতন গ্রহনযোগ্য নয়।আমি সবাইকে সবার প্রতি মানবিক আচারনের অনুরোধ করছি
২| ০২ রা মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৫
এই আমি রবীন বলেছেন: @দুখ বিলাসি, সংখ্যা গুরু নির্যাতন মানে??
ঝটিকা মিছিল করে যানবাহন ভাংচুর, দোকান পাট হামলা, মসজিদের গালিচা পোড়ানো, সাইদীর কে সংখ্যাগুরু বলবেন??
দুরে গিয়ে মর..........
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৩২
দুখ বিলাসি বলেছেন: সংখ্যা গুরু নির্যাতন কি গ্রহণযোগ্য?